বরিশালে শ্রম আদালতের কার্যক্রম শুরু

বরিশল বিভাগ প্রতিষ্ঠার ২৯ বছর পর বরিশালে বহুল কাক্সিক্ষত শ্রম আদালতের কার্যক্রম শুরু হয়েছে। আমানতগঞ্জ এলাকায় অবস্থিত বরিশাল শ্রম অধিদফতর কার্যালয় ভবনে সম্প্রতি এই আদালতের অস্থায়ী কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে। ভবনের অভাবে আদালতের স্থায়ী এজলাস স্থাপন করে বিচারিক কার্যক্রম এখনও শুরু করা যায়নি।

বরিশাল শ্রম আদালতের রেজিস্ট্রার হিসেবে অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করছেন শ্রম অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক ওসমান গনি। তিনি বলেন, জেলা ও দায়রা জজ পদধারী বেগম শাহনাজ সুলতানা গত ৬ নভেম্বর বরিশাল শ্রম আদালতের চেয়ারম্যান হিসেবে যোগদান করেছেন। নগরীর আমানতগঞ্জে শ্রম অধিদফতর ভবনের দোতলায় দুটি কক্ষে অস্থায়ীভাবে আদালতের কার্যক্রম চালানো হচ্ছে। আপাতত আদালতে মামলা গ্রহণ ও বিবাদীদের সমন জারির কার্যক্রম চলছে। ওসমান গনি জানান, এ পর্যন্ত দুটি মামলা দায়ের করা হয়েছে বরিশাল শ্রম আদালতে। যার মধ্যে একটি হচ্ছে একজন দর্জি শ্রমিক ক্ষতিপূরণ চেয়ে মালিকের বিরুদ্ধে, অপরটি শ্রম অধিদপ্তর বাদী হয়ে একটি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে।

তিনি জানান, আদালতের এজলাস স্থাপনে বাড়ি ভাড়ার জন্য নগরীর স্বরোড সোনালী আইসক্রিমের মোড় ও নাজিরমহল্লায় নির্মাণাধীন দুটি ভবন এবং নাজিরমহল্লা ও বিএম কলেজের সামনে নির্মাণ সম্পন্ন হওয়া দুটি ভবন প্রাথমিকভাবে বাছাই করে মন্ত্রণালয়ে পত্র পাঠানো হয়েছে। এ চারটি ভবনের যেকোন একটি চূড়ান্ত অনুমোদন পেলে সেখানে আদালতের স্থায়ী কার্যক্রম শুরু করা হবে। তাছাড়া আদালতের প্যানেল বিচারক হিসেবে মালিক ও শ্রমিক প্রতিনিধির নামও এখন পর্যন্ত চূড়ান্ত হয়নি বলে উপ-পরিচালক ওসমান গনি জানান।

জানা গেছে, বরিশাল শ্রম আদালতে নিয়োগপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বেগম শাহনাজ সুলতানা বাগেরহাট জেলায় নারী ও শিশু নির্যাতন অপরাধ দমন ট্রাইবুনালের বিচারক ছিলেন। তাকে বরিশাল শ্রম আদালতের চেয়ারম্যান হিসেবে নিযুক্ত করে গত ৮ মে প্রজ্ঞাপন জারি করে আইন মন্ত্রণালয়। একই সময়ে বরিশালে শ্রম আদালত স্থাপনেরও প্রজ্ঞাপন দেয়া হয়। কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের উপ- মহাপরিদর্শক হিরন কুমার সাহা জানান, তার দফতর থেকে দায়ের হওয়া ৫০টি মামলা খুলনা শ্রম আদালতে বিচারাধীন। আইন মন্ত্রণালয়ের প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়েছে, চলমান মামলাগুলোর নিস্পত্তি খুলনা শ্রম আদালতেই হবে। বরিশালে আদালত কার্যক্রম শুরুর পর নতুন মামলার নিষ্পত্তি হবে এখানকার আদালতে।

রবিবার, ১৯ জানুয়ারী ২০২০ , ৫ মাঘ ১৪২৬, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪১

বরিশালে শ্রম আদালতের কার্যক্রম শুরু

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক, বরিশাল

বরিশল বিভাগ প্রতিষ্ঠার ২৯ বছর পর বরিশালে বহুল কাক্সিক্ষত শ্রম আদালতের কার্যক্রম শুরু হয়েছে। আমানতগঞ্জ এলাকায় অবস্থিত বরিশাল শ্রম অধিদফতর কার্যালয় ভবনে সম্প্রতি এই আদালতের অস্থায়ী কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে। ভবনের অভাবে আদালতের স্থায়ী এজলাস স্থাপন করে বিচারিক কার্যক্রম এখনও শুরু করা যায়নি।

বরিশাল শ্রম আদালতের রেজিস্ট্রার হিসেবে অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করছেন শ্রম অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক ওসমান গনি। তিনি বলেন, জেলা ও দায়রা জজ পদধারী বেগম শাহনাজ সুলতানা গত ৬ নভেম্বর বরিশাল শ্রম আদালতের চেয়ারম্যান হিসেবে যোগদান করেছেন। নগরীর আমানতগঞ্জে শ্রম অধিদফতর ভবনের দোতলায় দুটি কক্ষে অস্থায়ীভাবে আদালতের কার্যক্রম চালানো হচ্ছে। আপাতত আদালতে মামলা গ্রহণ ও বিবাদীদের সমন জারির কার্যক্রম চলছে। ওসমান গনি জানান, এ পর্যন্ত দুটি মামলা দায়ের করা হয়েছে বরিশাল শ্রম আদালতে। যার মধ্যে একটি হচ্ছে একজন দর্জি শ্রমিক ক্ষতিপূরণ চেয়ে মালিকের বিরুদ্ধে, অপরটি শ্রম অধিদপ্তর বাদী হয়ে একটি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে।

তিনি জানান, আদালতের এজলাস স্থাপনে বাড়ি ভাড়ার জন্য নগরীর স্বরোড সোনালী আইসক্রিমের মোড় ও নাজিরমহল্লায় নির্মাণাধীন দুটি ভবন এবং নাজিরমহল্লা ও বিএম কলেজের সামনে নির্মাণ সম্পন্ন হওয়া দুটি ভবন প্রাথমিকভাবে বাছাই করে মন্ত্রণালয়ে পত্র পাঠানো হয়েছে। এ চারটি ভবনের যেকোন একটি চূড়ান্ত অনুমোদন পেলে সেখানে আদালতের স্থায়ী কার্যক্রম শুরু করা হবে। তাছাড়া আদালতের প্যানেল বিচারক হিসেবে মালিক ও শ্রমিক প্রতিনিধির নামও এখন পর্যন্ত চূড়ান্ত হয়নি বলে উপ-পরিচালক ওসমান গনি জানান।

জানা গেছে, বরিশাল শ্রম আদালতে নিয়োগপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বেগম শাহনাজ সুলতানা বাগেরহাট জেলায় নারী ও শিশু নির্যাতন অপরাধ দমন ট্রাইবুনালের বিচারক ছিলেন। তাকে বরিশাল শ্রম আদালতের চেয়ারম্যান হিসেবে নিযুক্ত করে গত ৮ মে প্রজ্ঞাপন জারি করে আইন মন্ত্রণালয়। একই সময়ে বরিশালে শ্রম আদালত স্থাপনেরও প্রজ্ঞাপন দেয়া হয়। কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের উপ- মহাপরিদর্শক হিরন কুমার সাহা জানান, তার দফতর থেকে দায়ের হওয়া ৫০টি মামলা খুলনা শ্রম আদালতে বিচারাধীন। আইন মন্ত্রণালয়ের প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়েছে, চলমান মামলাগুলোর নিস্পত্তি খুলনা শ্রম আদালতেই হবে। বরিশালে আদালত কার্যক্রম শুরুর পর নতুন মামলার নিষ্পত্তি হবে এখানকার আদালতে।