আমতলীতে সন্তানকে পানিতে ফেলে হত্যা করে বাবার দায় স্বীকার

পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে (১৬১ ধারায়) নিজ সন্তানকে হত্যার দায় স্বীকার করেছে বাবা। বরগুনার আমতলী উপজেলার গুলিশাখালী ইউনিয়নের গোছখালী গ্রামে বৃহস্পতিবার রাত ১১টার দিকে স্ত্রীর পর পর ৩টি কন্যা সন্তান হওয়ার ক্ষোভে ক্ষিপ্ত হয়ে ৪০ দিন বয়সী জিদনি নামের এক কন্যা সন্তানকে পানিতে ফেলে হত্যা করেছে বাবা জাহাঙ্গীর সিকদার।

বাবার হাতে শিশু সন্তানের হত্যার ঘটনার এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। স্থানীয়রা এ ঘটনার সঠিক বিচার দাবি করেছেন। শনিবার পুলিশ পাষ- বাবাকে স্ত্রীর করা মামলায় একমাত্র আসামি হিসেবে গ্রেফতার দেখিয়েছে। পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে বাবা জাহাঙ্গীর সিকদার শিশু কন্যা হত্যার কথা স্বীকার করেছে বলে জানা গেছে। আজ তাকে আদালতে সোপর্দ করা হবে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার গুলিশাখালী ইউনিয়নের গোছখালী গ্রামের জাহাঙ্গীর সিকদার ও সীমা দম্পতির সোহাগী (৯) এবং জান্নাতী (৩) বছরের দুটি কন্যা সন্তান রয়েছে। গত ৮ ডিসেম্বর ওই দম্পতির আরেকটি কন্যা সন্তানের জন্ম হয়। বাবা জাহাঙ্গীর কন্যা সন্তান জন্মের বিষয়টি মেনে নিতে পারেনি। এ কন্যা শিশু জন্মের পর থেকেই জাহাঙ্গীর ও তার স্ত্রীর মধ্যে মনোমালিন্য চলে আসছিল। প্রতিবেশীদের অভিযোগ, কন্যা সন্তান জন্মের পর থেকেই জাহাঙ্গীর স্ত্রীর সঙ্গে কথা বলা বন্ধ করে দেয় এবং কন্যা সন্তানটি ছুঁয়েও দেখেনি সে। বৃহস্পতিবার রাত ১০টার দিকে বাবা জাহাঙ্গীর সিকদার জিদনিকে নিয়ে ঘরে শুয়ে ছিল। এ সময় তার স্ত্রী সীমা বেগম এবং তার শাশুড়ি পারুল বেগম ঘরের বাইরে গৃহস্থলী কাজ করছিলেন। শিশুটির মা সীমা বেগম এবং নানী পারুল বেগম কাজ শেষে রাত ১১টার দিকে ঘরে প্রবেশ করে শিশু জিদনি ও তার বাবা জাহাঙ্গীরকে দেখতে না পেয়ে ডাক চিৎকার দেয়। এতে প্রতিবেশীরা এবং বাড়ির অন্য লোকজন ছুটে আসে। পরে স্বজনরা খোজাখুঁজির এক পর্যায়ে রাত সাড়ে ১১ টার দিকে ঘরের পেছনের ডোবা থেকে কাঁথায় মোড়ানো বিছানাপত্রসহ জিদনির মরদেহ উদ্ধার করে। খবর পেয়ে আমতলী থানা পুলিশ রাত ৩টার দিকে শিশুটির মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য বরগুনা মর্গে প্রেরণ করে এবং ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে পাষ- বাবা জাহাঙ্গীর সিকদারকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নিয়ে আসে।

আমতলী থানার ওসি আবুল বাশার জানান, হত্যার কথা স্বীকার করায় শনিবার তাকে সন্তান হত্যা মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। আজ তাকে আদালতে সোপর্দ করা হবে।

আরও খবর
সশস্ত্র বাহিনীর ভাবমূর্তি সমুন্নত রাখতে হবে
নারী শিক্ষার প্রসারে বাল্যবিবাহ ও মাতৃমৃত্যু হ্রাস পাবে
আজ আখেরি মোনাজাত
ধনীদের অন্যায্য কর ছাড়
যুক্তরাষ্ট্রের তুলনায় বাংলাদেশে বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড কম পররাষ্ট্রমন্ত্রী
বগুড়া-১ আসনের এমপি আবদুল মান্নান আর নেই
প্রতারণার ফাঁদ দেখছে ঐক্যফ্রন্ট
রওশনের ওপর ক্ষুব্ধ রংপুরের জাপা নেতাকর্মীরা
‘শ্রাবণ ট্র্যাজেডি’র মঞ্চায়ন আজ
ঢাকা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব শেষ হচ্ছে আজ
বলিউড অভিনেত্রী শাবানা আজমি সড়ক দুর্ঘটনায় আহত
শিল্পকলায় জমজমাট বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক উৎসব
অতিরিক্ত ওজনবাহী ট্রাকে ডুবে গেছে ফেরির পন্টুন
গ্রেফতার হয়নি অধিকাংশ আসামি

রবিবার, ১৯ জানুয়ারী ২০২০ , ৫ মাঘ ১৪২৬, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪১

আমতলীতে সন্তানকে পানিতে ফেলে হত্যা করে বাবার দায় স্বীকার

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক, বরগুনা

পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে (১৬১ ধারায়) নিজ সন্তানকে হত্যার দায় স্বীকার করেছে বাবা। বরগুনার আমতলী উপজেলার গুলিশাখালী ইউনিয়নের গোছখালী গ্রামে বৃহস্পতিবার রাত ১১টার দিকে স্ত্রীর পর পর ৩টি কন্যা সন্তান হওয়ার ক্ষোভে ক্ষিপ্ত হয়ে ৪০ দিন বয়সী জিদনি নামের এক কন্যা সন্তানকে পানিতে ফেলে হত্যা করেছে বাবা জাহাঙ্গীর সিকদার।

বাবার হাতে শিশু সন্তানের হত্যার ঘটনার এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। স্থানীয়রা এ ঘটনার সঠিক বিচার দাবি করেছেন। শনিবার পুলিশ পাষ- বাবাকে স্ত্রীর করা মামলায় একমাত্র আসামি হিসেবে গ্রেফতার দেখিয়েছে। পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে বাবা জাহাঙ্গীর সিকদার শিশু কন্যা হত্যার কথা স্বীকার করেছে বলে জানা গেছে। আজ তাকে আদালতে সোপর্দ করা হবে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার গুলিশাখালী ইউনিয়নের গোছখালী গ্রামের জাহাঙ্গীর সিকদার ও সীমা দম্পতির সোহাগী (৯) এবং জান্নাতী (৩) বছরের দুটি কন্যা সন্তান রয়েছে। গত ৮ ডিসেম্বর ওই দম্পতির আরেকটি কন্যা সন্তানের জন্ম হয়। বাবা জাহাঙ্গীর কন্যা সন্তান জন্মের বিষয়টি মেনে নিতে পারেনি। এ কন্যা শিশু জন্মের পর থেকেই জাহাঙ্গীর ও তার স্ত্রীর মধ্যে মনোমালিন্য চলে আসছিল। প্রতিবেশীদের অভিযোগ, কন্যা সন্তান জন্মের পর থেকেই জাহাঙ্গীর স্ত্রীর সঙ্গে কথা বলা বন্ধ করে দেয় এবং কন্যা সন্তানটি ছুঁয়েও দেখেনি সে। বৃহস্পতিবার রাত ১০টার দিকে বাবা জাহাঙ্গীর সিকদার জিদনিকে নিয়ে ঘরে শুয়ে ছিল। এ সময় তার স্ত্রী সীমা বেগম এবং তার শাশুড়ি পারুল বেগম ঘরের বাইরে গৃহস্থলী কাজ করছিলেন। শিশুটির মা সীমা বেগম এবং নানী পারুল বেগম কাজ শেষে রাত ১১টার দিকে ঘরে প্রবেশ করে শিশু জিদনি ও তার বাবা জাহাঙ্গীরকে দেখতে না পেয়ে ডাক চিৎকার দেয়। এতে প্রতিবেশীরা এবং বাড়ির অন্য লোকজন ছুটে আসে। পরে স্বজনরা খোজাখুঁজির এক পর্যায়ে রাত সাড়ে ১১ টার দিকে ঘরের পেছনের ডোবা থেকে কাঁথায় মোড়ানো বিছানাপত্রসহ জিদনির মরদেহ উদ্ধার করে। খবর পেয়ে আমতলী থানা পুলিশ রাত ৩টার দিকে শিশুটির মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য বরগুনা মর্গে প্রেরণ করে এবং ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে পাষ- বাবা জাহাঙ্গীর সিকদারকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নিয়ে আসে।

আমতলী থানার ওসি আবুল বাশার জানান, হত্যার কথা স্বীকার করায় শনিবার তাকে সন্তান হত্যা মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। আজ তাকে আদালতে সোপর্দ করা হবে।