গবেষণাহীন সিদ্ধান্ত! অতঃপর সরস্বতী পূজা...

কবীর চৌধুরী তন্ময়

ভারতের সংবিধান অসাম্প্রদায়িক হলেও সরকারি চরিত্র সাম্প্রদায়িক। কিন্তু বাংলাদেশের রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম হলেও রাষ্ট্র-সরকার চরিত্র কিন্তু অসাম্প্রদায়িক। সম্প্রীতি রাষ্ট্রকাঠামো ও সরকার ব্যবস্থা বারবার প্রশ্নবিদ্ধ হচ্ছে সঠিক সিদ্ধান্তের অভাবে। কারণ সিদ্ধান্তগুলো গ্রহণ করার আগে কোন রকমের গবেষণা বা গভীরভাবে কোনো কিছুর প্রতি মনোযোগ ছিলো-আছে বলে প্রতীয়মান নয়। একটি সিদ্ধান্ত গ্রহণের আগে ও পরে অনেকগুলো শাখা-প্রশাখা কিংবা স্থান, কাল খুব একটা বিবেচনা করা হয়না বলেই সম্প্রীতির সরকার নানানভাবে প্রশ্নের মুখোমুখি হচ্ছে। যার কারণে এক শ্রেণি এতে নোংরা রাজনীতির খেলায় সহায়তা পাচ্ছে, অন্যদিকে একটি প্রজন্মের কাছে ভুল বার্তা পৌঁছে যাচ্ছে।

আসন্ন ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচন-২০২০ এর ভোটের দিন সনাতন ধর্মের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সরস্বতী পূজা হওয়ায় মূলত সমস্যাটি তৈরি হয়েছে। নির্বাচন কমিশন ৩০ জানুয়ারির আগের কয়েক দিন এবং পরের কয়েকদিন নিয়ে মোটেও মনোযোগ দেয়নি। অন্যদিকে সরস্বতী পূজার দিনে ভোট গ্রহণের দিন ধার্য করলে মূলত কার ক্ষতি হবে- এটিও গবেষণা করেছে বলে আমার মনে হয় না। এমনিতেই দেশের আমলাতান্ত্রিক জটিলতার নেতিবাচক দিকগুলো রাজনৈতিক ব্যক্তিদের বক্তব্য-বিবৃতিতে শোনা যায়। কিন্তু এই আমলাতান্ত্রিক জটিলতা কার ভালো করছে- এটিও সরকার ও রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের খতিয়ে দেখার প্রয়োজন হয়ে পড়েছে।

সঠিক তথ্যনির্ভর ও সঠিক শিক্ষার মাধ্যমেই আজকের শিক্ষার্থীরা আগামীর বাংলাদেশ হবে। কিন্তু যে শিক্ষার্থীদের বিদ্যাদেবীকে আনুষ্ঠানিক সম্মান-শ্রদ্ধা আর ভক্তি-ভালোবাসা জানানোর দিন; সেই দিনেই যদি ভোট হয় (!) তাহলে আমরা আমাদের শিক্ষার্থীদের মূলত কী শিক্ষা দিচ্ছি- এই প্রশ্ন আসা স্বাভাবিক। সম্প্রীতির বাংলাদেশে একটি জেনারেশনের সামনে আমরা কী বার্তা তুলে ধরছি- এটিও ভাবনার বিষয়।

নির্বাচন কমিশন রংপুরের উদাহরণ টেনে এনে ঢাকার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অনুষ্ঠেয় সরস্বতী পূজাকে এক করে দেখার মাধ্যমে অন্যদের মনোযোগ ভিন্নভাবে দৃশ্যায়ন করার পরিপ্রেক্ষিতে মূলত নিজেদের অমনোযোগী আর গবেষণাহীন সিদ্ধান্তকে এড়িয়ে চলার নীতি গ্রহণ করলেও তারা ভুলে গেছে; এটি একবিংশ শতাব্দী। এখনকার ছোট্ট কিশোরও রাজনৈতিক সচেতন। নিজের অধিকারের প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ।

আমিও নির্বাচন কমিশনের সাথে একমত যে, ভোটও পবিত্র আবার পূজাও পবিত্র। কিন্তু একটা পবিত্র দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে আরেকটি পবিত্র দিনকে ভারী করার অর্থ কী দাঁড়াল? সম্প্রীতির সরকারকে কে কাঠগড়ায় দাঁড় করাল?

ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন নির্বাচন রিটার্নিং কর্মকর্তা আবুল কাসেম ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচন রিটার্নিং কর্মকর্তা আব্দুল বাতেন জানান, পূজা উদযাপিত হয়ে থাকে এ রকম প্রতিষ্ঠানে ৭৩টি ভোটকেন্দ্র রয়েছে। এর মধ্যে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন এলাকার ১ হাজার ৩১৮টি কেন্দ্রের মধ্যে ২৭টি এবং দক্ষিণ সিটি করপোরেশন এলাকার ১ হাজার ১৫০টি কেন্দ্রের ২৬টিতেই পূজা হয়ে থাকে।

এখন প্রশ্ন হলো, উত্তর-দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মোট ৫৩টি কেন্দ্রে ভোটের দিন কীভাবে সরস্বতী পূজা হবে? ওই কেন্দ্রগুলোর নিরাপত্তার বিষয়টি কীভাবে দেখা হবে? একটা পবিত্র দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে আরেকটি পবিত্র অধিকারকে খর্ব করা হলো না? দিন-তারিখ হিসেব করলে ভোট পিছানোর কোন সুযোগ নেই। কিন্তু দুই-একদিন আগে হলে এমন কী ক্ষতি হয়ে যায়- এটিও সবার জিজ্ঞাসা।

এদিকে ইসি সচিব আলমগীর বলেন, ‘পূজা ২৯ জানুয়ারি। হিন্দু সম্প্রদায়ের অনেকের সঙ্গেই কথা হয়েছে। তাদের মধ্যে কেউ কেউ মনে করেন, পূজা ৩০ জানুয়ারি সকাল ১১টা পর্যন্ত লগ্ন রয়েছে। পূজার দিন কিন্তু নির্বাচনের দিন নয়।’

কিন্তু আমার ব্যক্তিগত খোঁজ-খবরে জানতে পারি এবং পঞ্জিকা মতে, সরস্বতী পূজার তিথি ২৯ জানুয়ারি ৯টা ১০ মিনিট থেকে ৩০ জানুয়ারি বেলা ১১টা পর্যন্ত।

আর ২৯ জানুয়ারি থেকেই নির্বাচনী নানা ধরনের বিধি-নিষেধ ও নিয়ন্ত্রণ থাকে। পূজা আর নির্বাচন এক সাথে করতে গেলে কিছুটা বিরোধ-বিতর্ক সৃষ্টি হতেই পারে। কারণ সরস্বতী পূজা হিন্দু সম্প্রদায়ের অন্যতম প্রধান ধর্মীয় উৎসব। কোনো ধরনের বিধি-নিষেধ বা নিয়ন্ত্রণের মধ্যে দিয়ে এই উৎসব অবাধ হতে পারে না। আবার পূজানুষ্ঠান যদি উৎসবমুখর পরিবেশে করতে দেওয়া হয়, সেখানে আবার নির্বাচনী পরিবেশও থাকবে না বা থাকা সম্ভব নয়। কারণ আমাদের রাজনৈতিক সংস্কৃতির সাথে নির্বাচনী সংস্কৃতিও খুব একটা ইতিবাচক নয়। আর সিটি করপোরেশন নির্বাচন স্থানীয় নির্বাচন হলেও এটি এখন দলীয় প্রতীকে দলীয় নির্বাচনের আকার ধারণ করেছে।

বাংলাদেশের ইউনিয়ন নির্বাচন থেকে আরম্ভ করে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলীয় নেতাকর্মীদের সংঘাতময় ট্রেডিশন থেকে আমরা বেরিয়ে আসতে পারেনি। পেশি শক্তির অপব্যবহার, একে অপরের ওপর কলঙ্ক আরোপ করা, অদৃশ্য শক্তির দখলদারিত্বের প্রতিযোগিতার পরিবেশ-পরিস্থিতি সরস্বতী পূজার উৎসবমুখর পরিবেশকে ভীতিকর অবস্থায় নিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া যায় না।

দুর্গাপূজার দিনে রংপুরে ভোট হওয়া নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়া থেকে সব জায়গায় নেতিবাচক সমালোচনাগুলোকে ইতিবাচকভাবে গ্রহণ করলে ঢাকা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে এমন ভুল থেকে বেরিয়ে আসা সম্ভব হতো। সম্প্রীতির সরকার প্রশ্নে মুখোমুখি হতো না। একটা প্রজন্মের মাঝে রাষ্ট্র ব্যবস্থা নিয়ে ভ্রান্ত ধারণা জন্ম হতো না। প্রতিটি সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে মানুষের পবিত্র অধিকারগুলো বিবেচনায় আনা সরকারসহ রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের দায়িত্ব ও কর্তব্য।

[লেখক : সভাপতি, বাংলাদেশ অনলাইন অ্যাক্টিভিস্ট ফোরাম (বোয়াফ)]

info@kabirchowdhurytanmoy.com

রবিবার, ১৯ জানুয়ারী ২০২০ , ৫ মাঘ ১৪২৬, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪১

গবেষণাহীন সিদ্ধান্ত! অতঃপর সরস্বতী পূজা...

কবীর চৌধুরী তন্ময়

ভারতের সংবিধান অসাম্প্রদায়িক হলেও সরকারি চরিত্র সাম্প্রদায়িক। কিন্তু বাংলাদেশের রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম হলেও রাষ্ট্র-সরকার চরিত্র কিন্তু অসাম্প্রদায়িক। সম্প্রীতি রাষ্ট্রকাঠামো ও সরকার ব্যবস্থা বারবার প্রশ্নবিদ্ধ হচ্ছে সঠিক সিদ্ধান্তের অভাবে। কারণ সিদ্ধান্তগুলো গ্রহণ করার আগে কোন রকমের গবেষণা বা গভীরভাবে কোনো কিছুর প্রতি মনোযোগ ছিলো-আছে বলে প্রতীয়মান নয়। একটি সিদ্ধান্ত গ্রহণের আগে ও পরে অনেকগুলো শাখা-প্রশাখা কিংবা স্থান, কাল খুব একটা বিবেচনা করা হয়না বলেই সম্প্রীতির সরকার নানানভাবে প্রশ্নের মুখোমুখি হচ্ছে। যার কারণে এক শ্রেণি এতে নোংরা রাজনীতির খেলায় সহায়তা পাচ্ছে, অন্যদিকে একটি প্রজন্মের কাছে ভুল বার্তা পৌঁছে যাচ্ছে।

আসন্ন ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচন-২০২০ এর ভোটের দিন সনাতন ধর্মের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সরস্বতী পূজা হওয়ায় মূলত সমস্যাটি তৈরি হয়েছে। নির্বাচন কমিশন ৩০ জানুয়ারির আগের কয়েক দিন এবং পরের কয়েকদিন নিয়ে মোটেও মনোযোগ দেয়নি। অন্যদিকে সরস্বতী পূজার দিনে ভোট গ্রহণের দিন ধার্য করলে মূলত কার ক্ষতি হবে- এটিও গবেষণা করেছে বলে আমার মনে হয় না। এমনিতেই দেশের আমলাতান্ত্রিক জটিলতার নেতিবাচক দিকগুলো রাজনৈতিক ব্যক্তিদের বক্তব্য-বিবৃতিতে শোনা যায়। কিন্তু এই আমলাতান্ত্রিক জটিলতা কার ভালো করছে- এটিও সরকার ও রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের খতিয়ে দেখার প্রয়োজন হয়ে পড়েছে।

সঠিক তথ্যনির্ভর ও সঠিক শিক্ষার মাধ্যমেই আজকের শিক্ষার্থীরা আগামীর বাংলাদেশ হবে। কিন্তু যে শিক্ষার্থীদের বিদ্যাদেবীকে আনুষ্ঠানিক সম্মান-শ্রদ্ধা আর ভক্তি-ভালোবাসা জানানোর দিন; সেই দিনেই যদি ভোট হয় (!) তাহলে আমরা আমাদের শিক্ষার্থীদের মূলত কী শিক্ষা দিচ্ছি- এই প্রশ্ন আসা স্বাভাবিক। সম্প্রীতির বাংলাদেশে একটি জেনারেশনের সামনে আমরা কী বার্তা তুলে ধরছি- এটিও ভাবনার বিষয়।

নির্বাচন কমিশন রংপুরের উদাহরণ টেনে এনে ঢাকার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অনুষ্ঠেয় সরস্বতী পূজাকে এক করে দেখার মাধ্যমে অন্যদের মনোযোগ ভিন্নভাবে দৃশ্যায়ন করার পরিপ্রেক্ষিতে মূলত নিজেদের অমনোযোগী আর গবেষণাহীন সিদ্ধান্তকে এড়িয়ে চলার নীতি গ্রহণ করলেও তারা ভুলে গেছে; এটি একবিংশ শতাব্দী। এখনকার ছোট্ট কিশোরও রাজনৈতিক সচেতন। নিজের অধিকারের প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ।

আমিও নির্বাচন কমিশনের সাথে একমত যে, ভোটও পবিত্র আবার পূজাও পবিত্র। কিন্তু একটা পবিত্র দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে আরেকটি পবিত্র দিনকে ভারী করার অর্থ কী দাঁড়াল? সম্প্রীতির সরকারকে কে কাঠগড়ায় দাঁড় করাল?

ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন নির্বাচন রিটার্নিং কর্মকর্তা আবুল কাসেম ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচন রিটার্নিং কর্মকর্তা আব্দুল বাতেন জানান, পূজা উদযাপিত হয়ে থাকে এ রকম প্রতিষ্ঠানে ৭৩টি ভোটকেন্দ্র রয়েছে। এর মধ্যে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন এলাকার ১ হাজার ৩১৮টি কেন্দ্রের মধ্যে ২৭টি এবং দক্ষিণ সিটি করপোরেশন এলাকার ১ হাজার ১৫০টি কেন্দ্রের ২৬টিতেই পূজা হয়ে থাকে।

এখন প্রশ্ন হলো, উত্তর-দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মোট ৫৩টি কেন্দ্রে ভোটের দিন কীভাবে সরস্বতী পূজা হবে? ওই কেন্দ্রগুলোর নিরাপত্তার বিষয়টি কীভাবে দেখা হবে? একটা পবিত্র দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে আরেকটি পবিত্র অধিকারকে খর্ব করা হলো না? দিন-তারিখ হিসেব করলে ভোট পিছানোর কোন সুযোগ নেই। কিন্তু দুই-একদিন আগে হলে এমন কী ক্ষতি হয়ে যায়- এটিও সবার জিজ্ঞাসা।

এদিকে ইসি সচিব আলমগীর বলেন, ‘পূজা ২৯ জানুয়ারি। হিন্দু সম্প্রদায়ের অনেকের সঙ্গেই কথা হয়েছে। তাদের মধ্যে কেউ কেউ মনে করেন, পূজা ৩০ জানুয়ারি সকাল ১১টা পর্যন্ত লগ্ন রয়েছে। পূজার দিন কিন্তু নির্বাচনের দিন নয়।’

কিন্তু আমার ব্যক্তিগত খোঁজ-খবরে জানতে পারি এবং পঞ্জিকা মতে, সরস্বতী পূজার তিথি ২৯ জানুয়ারি ৯টা ১০ মিনিট থেকে ৩০ জানুয়ারি বেলা ১১টা পর্যন্ত।

আর ২৯ জানুয়ারি থেকেই নির্বাচনী নানা ধরনের বিধি-নিষেধ ও নিয়ন্ত্রণ থাকে। পূজা আর নির্বাচন এক সাথে করতে গেলে কিছুটা বিরোধ-বিতর্ক সৃষ্টি হতেই পারে। কারণ সরস্বতী পূজা হিন্দু সম্প্রদায়ের অন্যতম প্রধান ধর্মীয় উৎসব। কোনো ধরনের বিধি-নিষেধ বা নিয়ন্ত্রণের মধ্যে দিয়ে এই উৎসব অবাধ হতে পারে না। আবার পূজানুষ্ঠান যদি উৎসবমুখর পরিবেশে করতে দেওয়া হয়, সেখানে আবার নির্বাচনী পরিবেশও থাকবে না বা থাকা সম্ভব নয়। কারণ আমাদের রাজনৈতিক সংস্কৃতির সাথে নির্বাচনী সংস্কৃতিও খুব একটা ইতিবাচক নয়। আর সিটি করপোরেশন নির্বাচন স্থানীয় নির্বাচন হলেও এটি এখন দলীয় প্রতীকে দলীয় নির্বাচনের আকার ধারণ করেছে।

বাংলাদেশের ইউনিয়ন নির্বাচন থেকে আরম্ভ করে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলীয় নেতাকর্মীদের সংঘাতময় ট্রেডিশন থেকে আমরা বেরিয়ে আসতে পারেনি। পেশি শক্তির অপব্যবহার, একে অপরের ওপর কলঙ্ক আরোপ করা, অদৃশ্য শক্তির দখলদারিত্বের প্রতিযোগিতার পরিবেশ-পরিস্থিতি সরস্বতী পূজার উৎসবমুখর পরিবেশকে ভীতিকর অবস্থায় নিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া যায় না।

দুর্গাপূজার দিনে রংপুরে ভোট হওয়া নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়া থেকে সব জায়গায় নেতিবাচক সমালোচনাগুলোকে ইতিবাচকভাবে গ্রহণ করলে ঢাকা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে এমন ভুল থেকে বেরিয়ে আসা সম্ভব হতো। সম্প্রীতির সরকার প্রশ্নে মুখোমুখি হতো না। একটা প্রজন্মের মাঝে রাষ্ট্র ব্যবস্থা নিয়ে ভ্রান্ত ধারণা জন্ম হতো না। প্রতিটি সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে মানুষের পবিত্র অধিকারগুলো বিবেচনায় আনা সরকারসহ রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের দায়িত্ব ও কর্তব্য।

[লেখক : সভাপতি, বাংলাদেশ অনলাইন অ্যাক্টিভিস্ট ফোরাম (বোয়াফ)]

info@kabirchowdhurytanmoy.com