নোয়াখালীর চাটখিল ফায়ার সার্ভিস স্টেশন উদ্বোধনের এক বছর পূর্ণ হলেও এখনও প্রয়োজনীয় জনবল ও সরঞ্জামাদি নেই। এতে করে ফায়ার সার্ভিসের কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। ফলে এলাকাবাসী কাক্সিক্ষত সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, চাটখিল উপজেলা সদর থেকে ২ কিলোমিটার পশ্চিমে পরকোট ইউনিয়নের পরকোট গ্রামে ২০১৫ সালে ফায়ার সার্ভিস স্টেশনটি স্থাপিত হয়। স্থাপিত হওয়ার পর উদ্বোধন এর অভাবে ৩ বছরেও কোন কর্যক্রম শুরু হয়নি। গত ২০১৮ সালের ডিসেম্বর মাসে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে স্টেশনটির উদ্বোধন ঘোষণা করেন। এরপর থেকে পর্যায়ক্রমে কিছু জনবল ও সরঞ্জামাদি দিয়ে এর কার্যক্রম শুরু হয়। ফায়ার সার্ভিসের কার্যক্রম শুরু হওয়ায় এলাকাবাসীর দীর্ঘদিনের কাক্সিক্ষত দাবি পূরণ হয়। কিন্তু অদ্যাবধি প্রয়োজনীয় জনবল ও সরঞ্জামাদি না আসায় জনগণ কাক্সিক্ষত সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। চাটখিল ফায়ার সার্ভিস অফিস সূত্রে জানা যায়, এখানে ২৭টি কর্মকর্তা ও কর্মচারীর পদ থাকলেও বর্তমানে কর্মরত আছেন মাত্র ১৫ জন এবং এরা সবাই ডেপুটেশনে কর্মরত রয়েছেন। এছাড়া প্রয়োজনীয় সরঞ্জামাদির মধ্যে হাইড্রোলিক জগ, বিধিম এপারেটর্স, স্পেটর, চেঞ্জর নেই। তাই জনবল ও প্রয়োজনীয় সরঞ্জামাদির অভাবে তারা কাক্সিক্ষত সেবা দিতে পারছেন না। চাটখিল ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের কর্মকর্তা মো. ইয়াছিন বলেন, জনবল সঙ্কট ও সরঞ্জামাদির সমস্যার কথা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। এ ব্যাপারে বৃহত্তর নোয়াখালী ফায়ার সার্ভিসের দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তা মো. জসিম উদ্দিন এর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, চাটখিলে এখনও স্থায়ীভাবে কোন কর্মকর্তা কর্মচারী নিয়োগ দেয়া হয়নি। বিভিন্ন স্টেশন থেকে কর্মী এনে আপাতত কাজ চালানো হচ্ছে। এদিকে স্থানীয় এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান যথাযথ নিয়মে কাজ না করায় নির্মাণের ৩ বছরের মাথায় ফায়ার সার্ভিসের উত্তর পাশের সাইট ওয়ালটি ধসে পড়েছে এবং প্রয়োজনীয় মাটি ভরাটের কাজ শেষ হয়নি। এ বিষয়ে এলাকাবাসী গণপূর্ত অধিদফতরের কর্মকর্তাদের দৃষ্টি কামনা করেছেন।
মঙ্গলবার, ২১ জানুয়ারী ২০২০ , ৭ মাঘ ১৪২৬, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪১
প্রতিনিধি, নোয়াখালী
নোয়াখালীর চাটখিল ফায়ার সার্ভিস স্টেশন উদ্বোধনের এক বছর পূর্ণ হলেও এখনও প্রয়োজনীয় জনবল ও সরঞ্জামাদি নেই। এতে করে ফায়ার সার্ভিসের কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। ফলে এলাকাবাসী কাক্সিক্ষত সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, চাটখিল উপজেলা সদর থেকে ২ কিলোমিটার পশ্চিমে পরকোট ইউনিয়নের পরকোট গ্রামে ২০১৫ সালে ফায়ার সার্ভিস স্টেশনটি স্থাপিত হয়। স্থাপিত হওয়ার পর উদ্বোধন এর অভাবে ৩ বছরেও কোন কর্যক্রম শুরু হয়নি। গত ২০১৮ সালের ডিসেম্বর মাসে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে স্টেশনটির উদ্বোধন ঘোষণা করেন। এরপর থেকে পর্যায়ক্রমে কিছু জনবল ও সরঞ্জামাদি দিয়ে এর কার্যক্রম শুরু হয়। ফায়ার সার্ভিসের কার্যক্রম শুরু হওয়ায় এলাকাবাসীর দীর্ঘদিনের কাক্সিক্ষত দাবি পূরণ হয়। কিন্তু অদ্যাবধি প্রয়োজনীয় জনবল ও সরঞ্জামাদি না আসায় জনগণ কাক্সিক্ষত সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। চাটখিল ফায়ার সার্ভিস অফিস সূত্রে জানা যায়, এখানে ২৭টি কর্মকর্তা ও কর্মচারীর পদ থাকলেও বর্তমানে কর্মরত আছেন মাত্র ১৫ জন এবং এরা সবাই ডেপুটেশনে কর্মরত রয়েছেন। এছাড়া প্রয়োজনীয় সরঞ্জামাদির মধ্যে হাইড্রোলিক জগ, বিধিম এপারেটর্স, স্পেটর, চেঞ্জর নেই। তাই জনবল ও প্রয়োজনীয় সরঞ্জামাদির অভাবে তারা কাক্সিক্ষত সেবা দিতে পারছেন না। চাটখিল ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের কর্মকর্তা মো. ইয়াছিন বলেন, জনবল সঙ্কট ও সরঞ্জামাদির সমস্যার কথা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। এ ব্যাপারে বৃহত্তর নোয়াখালী ফায়ার সার্ভিসের দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তা মো. জসিম উদ্দিন এর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, চাটখিলে এখনও স্থায়ীভাবে কোন কর্মকর্তা কর্মচারী নিয়োগ দেয়া হয়নি। বিভিন্ন স্টেশন থেকে কর্মী এনে আপাতত কাজ চালানো হচ্ছে। এদিকে স্থানীয় এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান যথাযথ নিয়মে কাজ না করায় নির্মাণের ৩ বছরের মাথায় ফায়ার সার্ভিসের উত্তর পাশের সাইট ওয়ালটি ধসে পড়েছে এবং প্রয়োজনীয় মাটি ভরাটের কাজ শেষ হয়নি। এ বিষয়ে এলাকাবাসী গণপূর্ত অধিদফতরের কর্মকর্তাদের দৃষ্টি কামনা করেছেন।