আর কত বয়স হলে বয়স্ক ভাতা জুটবে নবতিপর আবিয়ার?

আবিয়া বেওয়ার বয়স ৯০ বছরের কাছাকাছি। তারপরও পাননি বিধবা কিংবা বয়স্ক ভাতার কার্ড। স্বামীহারা বিধবা অর্থের অভাবে নানা সংকটে ভুগছেন। বয়সের ভারে রোগ-শোকে ভারাক্রান্ত। চিকিৎসা দূরের কথা, তিন বেলা খাবার জোটানোও তাঁর জন্য কষ্টকর। নওগাঁ জেলার মান্দা উপজেলার গণেশপুর ইউনিয়নের গণেশপুর গ্রামের প্রয়াতআছির উদ্দিন মোল্লার স্ত্রী আবিয়া বেওয়া। এই বৃদ্ধ বয়সে বেঁচে থাকার জন্য তিনি একটি বয়স্ক ভাতার কার্ডের জন্য ঘুরছেন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও মেম্বারদের দ্বারে দ্বারে। শুধু আশ্বাসই মেলে, ৩ বছর ঘুরেও কেউ তাঁর জন্য একটি বয়স্ক ভাতার কার্ডের ব্যবস্থা করে দেননি। সরকারি নিয়ম অনুযায়ী, বয়স্ক ভাতা পাওয়ার ক্ষেত্রে নারীর বয়স সর্বনিম্ন ৬২ আর পুরুষের বয়স সর্বনি¤œ ৬৫ বছর। সে অনুযায়ী আবিয়ার বেওয়া বয়স্ক ভাতা পাওয়ার যোগ্য হলেও কেউ তাঁর সহযোগিতায় এগিয়ে আসেনি। ১৯৭১ সালের আগে জন্ম নেয়া তার পঞ্চাশোর্ধ বয়সের ৩ ছেলে ও ২ মেয়ের মধ্যে বড় সন্তান ১ছেলে ও ১ মেয়ে রেখে মারা গেছে প্রায় ২যুগ আগে। পেটের তাড়নায় অন্য ছেলে মেয়েরা যে যার মতো ক্ষেতমজুরের কাজের মাধ্যমে ক্ষুধা নিবারণে ব্যস্ত। আবিয়া বেওয়া জানিয়েছেন, ২ বছর আগে তিনি চেয়ারম্যানকে তার ছবি এবং আইডি কার্ডের ফটোকপি দিয়েছিলেন। অফিস থেকে বলা হয়েছিল যে তার কাজ হয়ে গেছে। আগামী ২-৩ মাসের মধ্যেই টাকা পাবেন। এক বছর পরেও কোনো টাকা না পেয়ে পুনরায় ইউনিয়ন পরিষদে যোগাযোগ করা হলে চেয়ারম্যান আবারও কাগজ চাইলে তিনি সেবারও কাগজ দিয়েছিলেন এখন ২ বছর পেরিয়ে ৩ বছর হতে চললো তবুও তার কার্ড হয়নি। ৩ বছর থাকা হামি মেম্বার চিয়ামিনের (চেয়ারম্যান) কাছে ঘোরোচি। কোনো কাম হয়নি। কেউ হামার জন্য কিছু করে নাই। তিনি অভিযোগ করে বলেন, কত বছর বয়াস হলে কার্ড হয়? কার কাছে গেলে হামার একটা কার্ড হবে? হামার জন্য একটি কার্ডের ব্যবস্থা করে দেন, বুড়ো বয়াসে আমি এনা শান্তি পাই। আল্লাহ তোমাকের ভালো করবে। এতো বছর বয়সেও তার কোন প্রকার কার্ড হয়নি কেনো, এমন প্রশ্নের উত্তরে গণেশপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হানিফ উদ্দিন মন্ডল বলেন, আবিয়ার কোনো কার্ড করা হয়নি। তবে তার আইডি কার্ডের ফটোকপির উল্টো দিকে আপনি একটা স্বাক্ষর করে দিলে আমি তার একটা কার্ড করে দেবো। মান্দা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আব্দুল হালিম বলেন, আবিয়া বেওয়া মান্দা উপজেলা সমাজ সেবা অফিসে আবেদন করলে তদন্ত সাপেক্ষে তার বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

বুধবার, ২২ জানুয়ারী ২০২০ , ৮ মাঘ ১৪২৬, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪১

আর কত বয়স হলে বয়স্ক ভাতা জুটবে নবতিপর আবিয়ার?

প্রতিনিধি, নওগাঁ

image

আবিয়া বেওয়ার বয়স ৯০ বছরের কাছাকাছি। তারপরও পাননি বিধবা কিংবা বয়স্ক ভাতার কার্ড। স্বামীহারা বিধবা অর্থের অভাবে নানা সংকটে ভুগছেন। বয়সের ভারে রোগ-শোকে ভারাক্রান্ত। চিকিৎসা দূরের কথা, তিন বেলা খাবার জোটানোও তাঁর জন্য কষ্টকর। নওগাঁ জেলার মান্দা উপজেলার গণেশপুর ইউনিয়নের গণেশপুর গ্রামের প্রয়াতআছির উদ্দিন মোল্লার স্ত্রী আবিয়া বেওয়া। এই বৃদ্ধ বয়সে বেঁচে থাকার জন্য তিনি একটি বয়স্ক ভাতার কার্ডের জন্য ঘুরছেন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও মেম্বারদের দ্বারে দ্বারে। শুধু আশ্বাসই মেলে, ৩ বছর ঘুরেও কেউ তাঁর জন্য একটি বয়স্ক ভাতার কার্ডের ব্যবস্থা করে দেননি। সরকারি নিয়ম অনুযায়ী, বয়স্ক ভাতা পাওয়ার ক্ষেত্রে নারীর বয়স সর্বনিম্ন ৬২ আর পুরুষের বয়স সর্বনি¤œ ৬৫ বছর। সে অনুযায়ী আবিয়ার বেওয়া বয়স্ক ভাতা পাওয়ার যোগ্য হলেও কেউ তাঁর সহযোগিতায় এগিয়ে আসেনি। ১৯৭১ সালের আগে জন্ম নেয়া তার পঞ্চাশোর্ধ বয়সের ৩ ছেলে ও ২ মেয়ের মধ্যে বড় সন্তান ১ছেলে ও ১ মেয়ে রেখে মারা গেছে প্রায় ২যুগ আগে। পেটের তাড়নায় অন্য ছেলে মেয়েরা যে যার মতো ক্ষেতমজুরের কাজের মাধ্যমে ক্ষুধা নিবারণে ব্যস্ত। আবিয়া বেওয়া জানিয়েছেন, ২ বছর আগে তিনি চেয়ারম্যানকে তার ছবি এবং আইডি কার্ডের ফটোকপি দিয়েছিলেন। অফিস থেকে বলা হয়েছিল যে তার কাজ হয়ে গেছে। আগামী ২-৩ মাসের মধ্যেই টাকা পাবেন। এক বছর পরেও কোনো টাকা না পেয়ে পুনরায় ইউনিয়ন পরিষদে যোগাযোগ করা হলে চেয়ারম্যান আবারও কাগজ চাইলে তিনি সেবারও কাগজ দিয়েছিলেন এখন ২ বছর পেরিয়ে ৩ বছর হতে চললো তবুও তার কার্ড হয়নি। ৩ বছর থাকা হামি মেম্বার চিয়ামিনের (চেয়ারম্যান) কাছে ঘোরোচি। কোনো কাম হয়নি। কেউ হামার জন্য কিছু করে নাই। তিনি অভিযোগ করে বলেন, কত বছর বয়াস হলে কার্ড হয়? কার কাছে গেলে হামার একটা কার্ড হবে? হামার জন্য একটি কার্ডের ব্যবস্থা করে দেন, বুড়ো বয়াসে আমি এনা শান্তি পাই। আল্লাহ তোমাকের ভালো করবে। এতো বছর বয়সেও তার কোন প্রকার কার্ড হয়নি কেনো, এমন প্রশ্নের উত্তরে গণেশপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হানিফ উদ্দিন মন্ডল বলেন, আবিয়ার কোনো কার্ড করা হয়নি। তবে তার আইডি কার্ডের ফটোকপির উল্টো দিকে আপনি একটা স্বাক্ষর করে দিলে আমি তার একটা কার্ড করে দেবো। মান্দা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আব্দুল হালিম বলেন, আবিয়া বেওয়া মান্দা উপজেলা সমাজ সেবা অফিসে আবেদন করলে তদন্ত সাপেক্ষে তার বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।