ভবন নির্মাণে অনুমোদনের বালাই নেই! রাজস্ব ক্ষতি

উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ সমূহের আওতা বহির্ভূত উপজেলা ও ইউনিয়ন পরিষদের অধিক্ষেত্রাধীন এলাকায় ইমারত স্থাপনার নকশা অনুমোদন এবং ভবনের গুণগতমান নিশ্চিতকরণের জন্য স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের নির্দেশ থাকা সত্বেও খুলনার বটিয়াঘাটা উপজেলায় এই নির্দেশ যথাযথভাবে না মানার অভিযোগ উঠেছে।

জানা গেছে, গত ২০১৭ সালের ১০ জুলাই, এই বিভাগের ইপ-১ অধি শাখার ৫৪২ স্মারকে পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের নির্দেশ সম্বলিত আইনটি বটিয়াঘাটা উপজেলা প্রকৌশল বিভাগ ৩১ আগস্ট ২০১৭ গ্রহণ করেন। পত্র গ্রহণের পর থেকে এ পর্যন্ত মাত্র কমিটির দুটি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। তাতে ৩৯টি ভবনের অনুমোদন দেয়া হয়েছে। এর বেশিরভাগই ইমারত স্থাপনার নীতিমালা অনুসরণ করা হয়নি। এছাড়া বটিয়াঘাটা উপজেলা ৭টি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত। এমনকি খুলনা মহানগর সংলগ্ন জলমা ইউনিয়নের কৈয়াবাজার, জিরোপয়েন্ট, হরিণটানা, মহাম্মদনগর, গল্লামারী বটিয়াঘাটা সড়কের দু’পাশে, বাইনতলা, বটিয়াঘাটা, ভান্ডারকোট, গঙ্গারামপুর, সুরখালী, বালিয়াডাঙা এই উপজেলার আওতাধীন। এই সব ইউনিয়নে হাজার হাজার নতুন বহুতল বিশিষ্ট পাকা ভবন নির্মিত হচ্ছে। নিয়ম অনুযায়ী পাকা ভবন তৈরি করতে গেলে সয়েলটেস্ট, প্ল্যান প্রণয়নসহ অন্যান্য আনুসঙ্গিক বিষয় দেখে তবেই বাড়ি করার অনুমোদন দেয়ার কথা। সেই সঙ্গে রাজস্ব খাতে নগদ ৫ হাজার টাকাও জমা দেবার কথা। কিন্তু এসব বাড়ি নির্মাণে সরকারি খাতে কোন অর্থই জমা না পড়ায় সরকার কোটি কোটি টাকা রাজস্ব আয় থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। উপজেলা প্রকৌশল দফতরের সহকারী প্রকৌশলী এই কমিটির সচিবের দায়িত্ব পালন করেন। তা সত্ত্বেও প্রকৌশল দফতরের পক্ষ থেকে জনগণকে ভবন নির্মাণ সম্পর্কে নিয়মকানুন অবহিত করার জন্য কোন পদক্ষেপ এমনকি কোন মাইকিংও করা হয়নি। এ ব্যাপারে উপজেলা প্রকৈাশলী প্রসেনজিৎ চক্রবর্তীর কাছে উপজেলায় তাদের কার্যক্রমের এরিয়া সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি এরিয়ার কোন ধারণা দিতে পারেননি। এ সম্পর্কে সহকারী প্রকৌশলী মাসুদুর রহমানের কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান, জলমা ইউনিয়নের কৈয়া বাজার থেকে হরিণটানা ও লবনচরা এলাকাসহ অন্যান্য ইউনিয়ন প্রকৈাশল দপ্তরের আওতাভুক্ত। প্রকৌশল দপ্তর ও কমিটির কর্মকর্তাদের গাফিলতির কারণে সরকার এভাবে কোটি কোটি টাকার রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে । অন্যদিকে অনেক পুরনো বাড়ির ওপর বহূতল ভবন নির্মাণ করার অনুমতি দিয়ে ঝুঁকির মুখে ফেলেছে সেসব ভবন। বিষয়টি খতিয়ে দেখতে স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব ও জেলা নির্বাহী প্রকৌশলীর আশু হস্তক্ষেপ কামনা করছেন জনগণ।

বুধবার, ২২ জানুয়ারী ২০২০ , ৮ মাঘ ১৪২৬, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪১

ভবন নির্মাণে অনুমোদনের বালাই নেই! রাজস্ব ক্ষতি

প্রতিনিধি, বটিয়াঘাটা, খুলনা

উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ সমূহের আওতা বহির্ভূত উপজেলা ও ইউনিয়ন পরিষদের অধিক্ষেত্রাধীন এলাকায় ইমারত স্থাপনার নকশা অনুমোদন এবং ভবনের গুণগতমান নিশ্চিতকরণের জন্য স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের নির্দেশ থাকা সত্বেও খুলনার বটিয়াঘাটা উপজেলায় এই নির্দেশ যথাযথভাবে না মানার অভিযোগ উঠেছে।

জানা গেছে, গত ২০১৭ সালের ১০ জুলাই, এই বিভাগের ইপ-১ অধি শাখার ৫৪২ স্মারকে পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের নির্দেশ সম্বলিত আইনটি বটিয়াঘাটা উপজেলা প্রকৌশল বিভাগ ৩১ আগস্ট ২০১৭ গ্রহণ করেন। পত্র গ্রহণের পর থেকে এ পর্যন্ত মাত্র কমিটির দুটি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। তাতে ৩৯টি ভবনের অনুমোদন দেয়া হয়েছে। এর বেশিরভাগই ইমারত স্থাপনার নীতিমালা অনুসরণ করা হয়নি। এছাড়া বটিয়াঘাটা উপজেলা ৭টি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত। এমনকি খুলনা মহানগর সংলগ্ন জলমা ইউনিয়নের কৈয়াবাজার, জিরোপয়েন্ট, হরিণটানা, মহাম্মদনগর, গল্লামারী বটিয়াঘাটা সড়কের দু’পাশে, বাইনতলা, বটিয়াঘাটা, ভান্ডারকোট, গঙ্গারামপুর, সুরখালী, বালিয়াডাঙা এই উপজেলার আওতাধীন। এই সব ইউনিয়নে হাজার হাজার নতুন বহুতল বিশিষ্ট পাকা ভবন নির্মিত হচ্ছে। নিয়ম অনুযায়ী পাকা ভবন তৈরি করতে গেলে সয়েলটেস্ট, প্ল্যান প্রণয়নসহ অন্যান্য আনুসঙ্গিক বিষয় দেখে তবেই বাড়ি করার অনুমোদন দেয়ার কথা। সেই সঙ্গে রাজস্ব খাতে নগদ ৫ হাজার টাকাও জমা দেবার কথা। কিন্তু এসব বাড়ি নির্মাণে সরকারি খাতে কোন অর্থই জমা না পড়ায় সরকার কোটি কোটি টাকা রাজস্ব আয় থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। উপজেলা প্রকৌশল দফতরের সহকারী প্রকৌশলী এই কমিটির সচিবের দায়িত্ব পালন করেন। তা সত্ত্বেও প্রকৌশল দফতরের পক্ষ থেকে জনগণকে ভবন নির্মাণ সম্পর্কে নিয়মকানুন অবহিত করার জন্য কোন পদক্ষেপ এমনকি কোন মাইকিংও করা হয়নি। এ ব্যাপারে উপজেলা প্রকৈাশলী প্রসেনজিৎ চক্রবর্তীর কাছে উপজেলায় তাদের কার্যক্রমের এরিয়া সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি এরিয়ার কোন ধারণা দিতে পারেননি। এ সম্পর্কে সহকারী প্রকৌশলী মাসুদুর রহমানের কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান, জলমা ইউনিয়নের কৈয়া বাজার থেকে হরিণটানা ও লবনচরা এলাকাসহ অন্যান্য ইউনিয়ন প্রকৈাশল দপ্তরের আওতাভুক্ত। প্রকৌশল দপ্তর ও কমিটির কর্মকর্তাদের গাফিলতির কারণে সরকার এভাবে কোটি কোটি টাকার রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে । অন্যদিকে অনেক পুরনো বাড়ির ওপর বহূতল ভবন নির্মাণ করার অনুমতি দিয়ে ঝুঁকির মুখে ফেলেছে সেসব ভবন। বিষয়টি খতিয়ে দেখতে স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব ও জেলা নির্বাহী প্রকৌশলীর আশু হস্তক্ষেপ কামনা করছেন জনগণ।