ক্ষণগণনা

আর ৫১ দিন

মুজিববর্ষের আর ৫১ দিন বাকি। এ উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার শিক্ষার্থীদের জন্য বিশেষ প্রণোদনা দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে জানিয়েছেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী অ্যাডভোকেট আ ক ম মোজাম্মেল হক। এছাড়াও মুজিববর্ষ উপলক্ষে দেশের ১৪ হাজার অসচ্ছল মুক্তিযোদ্ধাকে বাড়ি নির্মাণ করে দেয়া হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি। গতকাল গাজীপুরে জাহাঙ্গীর আলম শিক্ষা ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে উচ্চতর শিক্ষাবৃত্তি-২০২০ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব তথ্য জানান। চলতি মাসের মধ্যে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবর্ষের আয়োজনে বছরব্যাপী পরিকল্পনা চূড়ান্ত হবে। উদ্বোধনী আনুষ্ঠানিকতা শুরু হবে ১৭ মার্চ জাতীয় প্যারেড গ্রাউন্ডে। বৃহস্পতিবার আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটের মিলনায়তনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটির চতুর্থ সভা শেষে এর প্রধান সমন্বয়ক ড. কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, গত ১০ জানুয়ারি ক্ষণগণনার মধ্য দিয়েই মুজিববর্ষের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়ে গেছে। সারাদেশে এখন উৎসবের আমেজ চলছে এই আয়োজনকে ঘিরে। বছরব্যাপী এ আয়োজন সবার সঙ্গে পালনের জন্য আজকের এ সভা হয়েছে। এখানে নানা বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়েছে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন জাতীয় কমিটির সভাপতি বঙ্গবন্ধু কন্য এই সিদ্ধান্ত শেখ হাসিনা চূড়ান্ত করবেন। এর পরেই আমরা আনুষ্ঠানিকভাবে এ আয়োজন সম্পর্কে সবাইকে জানাতে পারব।

তিনি আরও বলেন, উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ বিশ্বের অন্য দেশের রাষ্ট্র ও সরকারপ্রধানরা উপস্থিত থাকবেন। তবে কারা উপস্থিত থাকবেন, তা এখনও চূড়ান্ত হয়নি। এর জন্য পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কাজ করছে। তাদের কাজের অগ্রগতি রয়েছে। এ বিষয়েও পরে জানানো হবে। ১৭ মার্চের আগেই আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস ও বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ভাষণের দিন রয়েছে- সেখানে কোন আয়োজন থাকছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, দুটি দিবসেই আলাদা আলাদা আয়োজনের পরিকল্পনা রয়েছে। সে সঙ্গে এবারের অমর একুশে গ্রন্থমেলা ইতোমধ্যেই বঙ্গবন্ধুকে উৎসর্গ করা হয়েছে। সে সঙ্গে আগামী বছর কলকাতা আন্তর্জাতিক বইমেলাও বঙ্গবন্ধুর নামে উৎসর্গ করা হবে।

ঢাকা ও সারাদেশে ১০০টি ক্যামেরার মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকীর উদ্বোধনী আয়োজন সরাসরি সম্প্রচার করা হবে। যা বাংলাদেশের ইতিহাসে রেকর্ড সৃষ্টি করবে বলে বঙ্গবন্ধু জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটির চতুর্থ সভা শেষে অ্যাসোসিয়েশন অব টিভি চ্যানেল ওনার্সের (অ্যাটকো) সভাপতি অঞ্জন চৌধুরী জানান।

তিনি বলেন, ইতোমধ্যেই আমাদের সব বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল মুজিববর্ষের কাউন্টডাউন সম্প্রচার করছে। উদ্বোধনী দিনে ঢাকা ও ঢাকার বাইরে থেকে সারাদিন নানা আয়োজনও সরাসরি সম্প্রচার করা হবে। সে সঙ্গে দেশের বাইরেও এ আয়োজন ছড়িয়ে দেয়া হবে। সংগঠনের সিনিয়র সহসভাপতি মোজাম্মেল হক বাবু বলেন, উদ্বোধনী অনুষ্ঠানস্থল জাতীয় প্যারেড গ্রাউন্ডে ১৮টি, রাজধানীর ১৮টি স্থান থেকে ১৮টি এবং ৬৪ জেলায় একটি করে মোট একশ’ ক্যামেরার মাধ্যমে এ আয়োজন সরাসরি সম্প্রচার করা হবে। এর মাধ্যমে সারা পৃথিবীব্যাপী এ আয়োজন ছড়িয়ে পড়বে।

শনিবার, ২৫ জানুয়ারী ২০২০ , ১১ মাঘ ১৪২৬, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪১

ক্ষণগণনা

আর ৫১ দিন

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক |

image

মুজিববর্ষের আর ৫১ দিন বাকি। এ উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার শিক্ষার্থীদের জন্য বিশেষ প্রণোদনা দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে জানিয়েছেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী অ্যাডভোকেট আ ক ম মোজাম্মেল হক। এছাড়াও মুজিববর্ষ উপলক্ষে দেশের ১৪ হাজার অসচ্ছল মুক্তিযোদ্ধাকে বাড়ি নির্মাণ করে দেয়া হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি। গতকাল গাজীপুরে জাহাঙ্গীর আলম শিক্ষা ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে উচ্চতর শিক্ষাবৃত্তি-২০২০ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব তথ্য জানান। চলতি মাসের মধ্যে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবর্ষের আয়োজনে বছরব্যাপী পরিকল্পনা চূড়ান্ত হবে। উদ্বোধনী আনুষ্ঠানিকতা শুরু হবে ১৭ মার্চ জাতীয় প্যারেড গ্রাউন্ডে। বৃহস্পতিবার আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটের মিলনায়তনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটির চতুর্থ সভা শেষে এর প্রধান সমন্বয়ক ড. কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, গত ১০ জানুয়ারি ক্ষণগণনার মধ্য দিয়েই মুজিববর্ষের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়ে গেছে। সারাদেশে এখন উৎসবের আমেজ চলছে এই আয়োজনকে ঘিরে। বছরব্যাপী এ আয়োজন সবার সঙ্গে পালনের জন্য আজকের এ সভা হয়েছে। এখানে নানা বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়েছে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন জাতীয় কমিটির সভাপতি বঙ্গবন্ধু কন্য এই সিদ্ধান্ত শেখ হাসিনা চূড়ান্ত করবেন। এর পরেই আমরা আনুষ্ঠানিকভাবে এ আয়োজন সম্পর্কে সবাইকে জানাতে পারব।

তিনি আরও বলেন, উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ বিশ্বের অন্য দেশের রাষ্ট্র ও সরকারপ্রধানরা উপস্থিত থাকবেন। তবে কারা উপস্থিত থাকবেন, তা এখনও চূড়ান্ত হয়নি। এর জন্য পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কাজ করছে। তাদের কাজের অগ্রগতি রয়েছে। এ বিষয়েও পরে জানানো হবে। ১৭ মার্চের আগেই আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস ও বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ভাষণের দিন রয়েছে- সেখানে কোন আয়োজন থাকছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, দুটি দিবসেই আলাদা আলাদা আয়োজনের পরিকল্পনা রয়েছে। সে সঙ্গে এবারের অমর একুশে গ্রন্থমেলা ইতোমধ্যেই বঙ্গবন্ধুকে উৎসর্গ করা হয়েছে। সে সঙ্গে আগামী বছর কলকাতা আন্তর্জাতিক বইমেলাও বঙ্গবন্ধুর নামে উৎসর্গ করা হবে।

ঢাকা ও সারাদেশে ১০০টি ক্যামেরার মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকীর উদ্বোধনী আয়োজন সরাসরি সম্প্রচার করা হবে। যা বাংলাদেশের ইতিহাসে রেকর্ড সৃষ্টি করবে বলে বঙ্গবন্ধু জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটির চতুর্থ সভা শেষে অ্যাসোসিয়েশন অব টিভি চ্যানেল ওনার্সের (অ্যাটকো) সভাপতি অঞ্জন চৌধুরী জানান।

তিনি বলেন, ইতোমধ্যেই আমাদের সব বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল মুজিববর্ষের কাউন্টডাউন সম্প্রচার করছে। উদ্বোধনী দিনে ঢাকা ও ঢাকার বাইরে থেকে সারাদিন নানা আয়োজনও সরাসরি সম্প্রচার করা হবে। সে সঙ্গে দেশের বাইরেও এ আয়োজন ছড়িয়ে দেয়া হবে। সংগঠনের সিনিয়র সহসভাপতি মোজাম্মেল হক বাবু বলেন, উদ্বোধনী অনুষ্ঠানস্থল জাতীয় প্যারেড গ্রাউন্ডে ১৮টি, রাজধানীর ১৮টি স্থান থেকে ১৮টি এবং ৬৪ জেলায় একটি করে মোট একশ’ ক্যামেরার মাধ্যমে এ আয়োজন সরাসরি সম্প্রচার করা হবে। এর মাধ্যমে সারা পৃথিবীব্যাপী এ আয়োজন ছড়িয়ে পড়বে।