রাজধানীর চলন্তিকা বস্তিতে

ফের আগুন : শত শত মানুষ খোলা আকাশের নিচে : দগ্ধ ২

পাঁচ মাসের ব্যবধানে রাজধানীর মিরপুরের চলন্তিকা বস্তিতে আবারও ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। এতে বস্তির বাসিন্দা পারভিন (৩৫) ও শহিদুল ইসলাম (২০) নামে দু’জন দগ্ধ হয়েছে। তাদের উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয়েছে। গতকাল ভোর সোয়া ৪টার দিকে রূপনগরের সেকশন-৬ ব্লক-সি এলাকার ওই বস্তিতে এ ঘটনা ঘটে।

পরে ফায়ার সার্ভিসের ১৫টি ইউনিট প্রায় দেড় ঘণ্টার চেষ্টায় ভোর পৌনে ৬টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। অগ্নিকাণ্ডে পুড়ে গেছে ২ শতাধিক ঘরের ৩৭৭টি কক্ষ। ফলে খোলা আকাশের নিচে আশ্রয় নিয়েছে শত শত মানুষ। ফায়ার সার্ভিসের পক্ষ থেকে গঠন করা হয়েছে ৫ সদস্যের তদন্ত কমিটি। তবে, আগুন লাগার কারণ ও ক্ষয়ক্ষতি সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যায়নি। বস্তিবাসীর দাবি, ২টি গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণের পরে আগুন চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে। ঢামেক হাসপাতাল পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ (ইন্সপেক্টর) বাচ্চু মিয়া জানান, সকাল ৭টার দিকে ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা পারভিন ও শহিদুল ইসলাম নামে দু’জনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে আসে। তাদের মধ্যে পারভিনের শ্বাসনালীসহ শরীরের ৯০ শতাংশ পুড়ে গেছে। তিনি আরও জানান, ওই নারীর সঙ্গে কোন স্বজন আসেনি। দুপুরে সে একাই দগ্ধ অবস্থায়ই দৌড়ে বার্ন ইউনিট থেকে বেরিয়ে গিয়েছিলেন। পরে আনসার সদস্যরা তাকে আবার ধরে বার্ন ইউনিটে নিয়ে আসে। তার সঙ্গে কোন কথা বলাও সম্ভব হচ্ছে না। তার অবস্থা গুরুতর বলে জানিয়েছে চিকিৎসকরা।

প্রত্যক্ষদর্শী সূত্র জানায়, ভোরে আগুন লাগার কিছুক্ষণ পর বিকট শব্দে দুটি গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরিত হয়। এর পরপরই আগুন ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়তে থাকে। ভয়াবহ আগুনে নিমিষেই পুড়ে ছারখার হয় অন্তত ২০০টি বস্তিঘর। তাদের দাবি, গত বছরের আগস্ট মাসে আগুনে যেসব বসতবাড়ি পুড়ে যায় তার বেশিরভাগ ছিল ঝিলপাড়ের। সেবার চলন্তিকা অংশের কিছুটা পুড়েছিল। ওইসময় যে অংশ রক্ষা পেয়েছিল এবারের আগুনে মূলত সেই অংশটিই পুড়ে গেছে। বস্তির চলন্তিকা অংশে বেশিরভাগ মানুষই নিজেরা ঘর করে বাস করতেন। কেউ কেউ ঘর ভাড়া করেও থাকতেন।

জোসনা বেগম নামে এক বস্তিবাসী জানান, তারা নিজেরা একটি ঘর বানিয়ে থাকতেন। এছাড়া আরও পাঁচটি ঘর ভাড়া দিতেন। তাদের সবগুলো ঘরই পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। জোসনার জন্ম হয় এই বস্তিতেই। তিনি বলেন, ‘আমার জন্মের আগ থেকে এই বস্তিতে বাবা-মায়ের বাস। আমার মায়েরও এখানে ১০টি ঘর রয়েছে। সেগুলোও ভাড়া দেয়া ছিল। যা সব পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।’ এখন আমরা খোলা জায়গাতেই থাকব, যখন টাকা হবে তখন আবার ঘর ওঠাবো,’ বলতে বলতে কান্নায় ভেঙে পড়েন জোসনা বেগম।

অগ্নিকাণ্ডের সময়ের বর্ণনা দিতে গিয়ে তিনি বলেন, আগুন আগুন বলে চিৎকার শুনে যখন বের হই আমরা তখন আমার এবং মায়ের ঘরগুলো অক্ষত ছিল। এরপর একটি প্রচণ্ড বিস্ফোরণ ঘটে। দেখি আগুন আরও বেশি ছড়িয়ে পড়ছে। এরপর চোখের সামনেই ঘরগুলো পুড়ে গেল। চেয়ে চেয়ে দেখলাম সব ধ্বংস হয়ে গেল।

জোসনা বেগম বলেন, ‘কিছুদিন পরপরই আমাদের বস্তিতে আগুন লাগে। ভোট নেয়ার সময় নেতারা আমাদের কাছে আসেন। আর আগুন লাগলে আমাদের খোঁজখবরও নেয় না ঠিকমতো।

বস্তির আরেক বাসিন্দা ইয়ানুর বেগম জানান, রাত সাড়ে তিনটার দিকে আগুন লাগে। তিনিও গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণের দাবি করে বলেন, প্রথমে ‘রনির মা’র (রহিমা হক) ঘরে আগুন দেখি। এর একটু পর একটি গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণ হয়ে আগুন চারদিকে ছড়িয়ে পড়তে শুরু করে। পরপরই আরও একটি গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরিত হয় তাতে দ্রুত গোটা বস্তিটা পুড়ে যায়।’ আমাদের দিকটায় ঘরগুলো আগুনে পুড়ে শেষ হয়ে যাওয়ার পরে ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি আসে। হাতেগোনা কয়েকটি ঘরের আগুন নেভাতে পারে ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা।

চলন্তিকা বস্তির বাসিন্দা ও মুক্তিযোদ্ধা মো. হানিফ বলেন, ‘গত বছর আগুন লাগার পর এই এলাকায় গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে একটি সাইনবোর্ড লাগানো হয়। এতে বলা হয় নিম্ন ও নিম্ন মধ্যবিত্তদের পুনর্বাসনের জন্য ফ্ল্যাট প্রকল্পের নির্ধারিত স্থান এটি। আমরা সাইনবোর্ড টানানোর পর হাইকোর্টে একটি রিট করেছি। ৩৬ জন মুক্তিযোদ্ধার সঙ্গে আরও কিছু লোকজন মিলে মোট ১২৬ জন এ রিটের পক্ষে স্বাক্ষর করেছি। রিটে জানতে চাওয়া হয়েছে এখানে যদি বস্তিবাসীকে উচ্ছেদ করে ভবন করা হয় সেই ভবনে কারা থাকবে? যদি বস্তিবাসীকে উচ্ছেদ করে অন্য কাউকে সেই ভবনে তোলা হয় তাহলে আমরা এই জায়গা ছেড়ে দেব না। আর যদি বস্তিবাসীদের জন্য এখানে ভবন করা হয় সেই ভবনে বস্তিবাসী থাকতে পারে তাহলে আমাদের কোন আপত্তি নেই।

ফায়ার সার্ভিস নিয়ন্ত্রণ কক্ষের কর্মকর্তা লিমা খানম জানান, ভোর সোয়া ৪টার দিকে বস্তিটিতে আগুনের সূত্রপাত ঘটে। পরে ফায়ার সার্ভিসের ১৫টি ইউনিট দেড় ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। আগুনে মোট ৩৭৭টি কক্ষ পুড়ে গেলেও আগুন লাগার কারণ ও মোট ক্ষয়ক্ষতি সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যায়নি। চলন্তিকা বস্তিতে আগুনের ঘটনার তদন্ত কমিটির প্রধান ও ফায়ার সার্ভিসের উপপরিচালক দেবাশীষ বর্ধণ বলেন, ‘আমরা যখন আগুন নেভাচ্ছিলাম তখনই সিলিন্ডার বিস্ফোরিত হয়। তবে কোথা থেকে আগুনের সূত্রপাত ঘটে তা জানা যায়নি। তদন্ত চলছে, তদন্তের পর বিস্তারিত কারণ জানা যাবে।’

প্রসঙ্গত, চলন্তিকা মোড় থেকে রূপনগর আবাসিক এলাকা পর্যন্ত ঝিলের ওপর কাঠের পাটাতন দিয়ে গড়ে তোলা এই বস্তিতে গত বছরের ১৬ আগস্ট সন্ধ্যায় আরও এক দফা অগ্নিকাণ্ড হয়। বস্তির প্রায় আড়াই হাজার ঘরের মধ্যে একটি বড় অংশ ওই অগ্নিকাণ্ডে পুড়ে যায়।

শনিবার, ২৫ জানুয়ারী ২০২০ , ১১ মাঘ ১৪২৬, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪১

রাজধানীর চলন্তিকা বস্তিতে

ফের আগুন : শত শত মানুষ খোলা আকাশের নিচে : দগ্ধ ২

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক |

image

গতকাল রাজধানীর মিরপুরের চলন্তিকা বস্তিতে আবারও ভয়াবহ অগ্নিকা- -সংবাদ

পাঁচ মাসের ব্যবধানে রাজধানীর মিরপুরের চলন্তিকা বস্তিতে আবারও ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। এতে বস্তির বাসিন্দা পারভিন (৩৫) ও শহিদুল ইসলাম (২০) নামে দু’জন দগ্ধ হয়েছে। তাদের উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয়েছে। গতকাল ভোর সোয়া ৪টার দিকে রূপনগরের সেকশন-৬ ব্লক-সি এলাকার ওই বস্তিতে এ ঘটনা ঘটে।

পরে ফায়ার সার্ভিসের ১৫টি ইউনিট প্রায় দেড় ঘণ্টার চেষ্টায় ভোর পৌনে ৬টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। অগ্নিকাণ্ডে পুড়ে গেছে ২ শতাধিক ঘরের ৩৭৭টি কক্ষ। ফলে খোলা আকাশের নিচে আশ্রয় নিয়েছে শত শত মানুষ। ফায়ার সার্ভিসের পক্ষ থেকে গঠন করা হয়েছে ৫ সদস্যের তদন্ত কমিটি। তবে, আগুন লাগার কারণ ও ক্ষয়ক্ষতি সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যায়নি। বস্তিবাসীর দাবি, ২টি গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণের পরে আগুন চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে। ঢামেক হাসপাতাল পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ (ইন্সপেক্টর) বাচ্চু মিয়া জানান, সকাল ৭টার দিকে ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা পারভিন ও শহিদুল ইসলাম নামে দু’জনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে আসে। তাদের মধ্যে পারভিনের শ্বাসনালীসহ শরীরের ৯০ শতাংশ পুড়ে গেছে। তিনি আরও জানান, ওই নারীর সঙ্গে কোন স্বজন আসেনি। দুপুরে সে একাই দগ্ধ অবস্থায়ই দৌড়ে বার্ন ইউনিট থেকে বেরিয়ে গিয়েছিলেন। পরে আনসার সদস্যরা তাকে আবার ধরে বার্ন ইউনিটে নিয়ে আসে। তার সঙ্গে কোন কথা বলাও সম্ভব হচ্ছে না। তার অবস্থা গুরুতর বলে জানিয়েছে চিকিৎসকরা।

প্রত্যক্ষদর্শী সূত্র জানায়, ভোরে আগুন লাগার কিছুক্ষণ পর বিকট শব্দে দুটি গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরিত হয়। এর পরপরই আগুন ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়তে থাকে। ভয়াবহ আগুনে নিমিষেই পুড়ে ছারখার হয় অন্তত ২০০টি বস্তিঘর। তাদের দাবি, গত বছরের আগস্ট মাসে আগুনে যেসব বসতবাড়ি পুড়ে যায় তার বেশিরভাগ ছিল ঝিলপাড়ের। সেবার চলন্তিকা অংশের কিছুটা পুড়েছিল। ওইসময় যে অংশ রক্ষা পেয়েছিল এবারের আগুনে মূলত সেই অংশটিই পুড়ে গেছে। বস্তির চলন্তিকা অংশে বেশিরভাগ মানুষই নিজেরা ঘর করে বাস করতেন। কেউ কেউ ঘর ভাড়া করেও থাকতেন।

জোসনা বেগম নামে এক বস্তিবাসী জানান, তারা নিজেরা একটি ঘর বানিয়ে থাকতেন। এছাড়া আরও পাঁচটি ঘর ভাড়া দিতেন। তাদের সবগুলো ঘরই পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। জোসনার জন্ম হয় এই বস্তিতেই। তিনি বলেন, ‘আমার জন্মের আগ থেকে এই বস্তিতে বাবা-মায়ের বাস। আমার মায়েরও এখানে ১০টি ঘর রয়েছে। সেগুলোও ভাড়া দেয়া ছিল। যা সব পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।’ এখন আমরা খোলা জায়গাতেই থাকব, যখন টাকা হবে তখন আবার ঘর ওঠাবো,’ বলতে বলতে কান্নায় ভেঙে পড়েন জোসনা বেগম।

অগ্নিকাণ্ডের সময়ের বর্ণনা দিতে গিয়ে তিনি বলেন, আগুন আগুন বলে চিৎকার শুনে যখন বের হই আমরা তখন আমার এবং মায়ের ঘরগুলো অক্ষত ছিল। এরপর একটি প্রচণ্ড বিস্ফোরণ ঘটে। দেখি আগুন আরও বেশি ছড়িয়ে পড়ছে। এরপর চোখের সামনেই ঘরগুলো পুড়ে গেল। চেয়ে চেয়ে দেখলাম সব ধ্বংস হয়ে গেল।

জোসনা বেগম বলেন, ‘কিছুদিন পরপরই আমাদের বস্তিতে আগুন লাগে। ভোট নেয়ার সময় নেতারা আমাদের কাছে আসেন। আর আগুন লাগলে আমাদের খোঁজখবরও নেয় না ঠিকমতো।

বস্তির আরেক বাসিন্দা ইয়ানুর বেগম জানান, রাত সাড়ে তিনটার দিকে আগুন লাগে। তিনিও গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণের দাবি করে বলেন, প্রথমে ‘রনির মা’র (রহিমা হক) ঘরে আগুন দেখি। এর একটু পর একটি গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণ হয়ে আগুন চারদিকে ছড়িয়ে পড়তে শুরু করে। পরপরই আরও একটি গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরিত হয় তাতে দ্রুত গোটা বস্তিটা পুড়ে যায়।’ আমাদের দিকটায় ঘরগুলো আগুনে পুড়ে শেষ হয়ে যাওয়ার পরে ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি আসে। হাতেগোনা কয়েকটি ঘরের আগুন নেভাতে পারে ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা।

চলন্তিকা বস্তির বাসিন্দা ও মুক্তিযোদ্ধা মো. হানিফ বলেন, ‘গত বছর আগুন লাগার পর এই এলাকায় গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে একটি সাইনবোর্ড লাগানো হয়। এতে বলা হয় নিম্ন ও নিম্ন মধ্যবিত্তদের পুনর্বাসনের জন্য ফ্ল্যাট প্রকল্পের নির্ধারিত স্থান এটি। আমরা সাইনবোর্ড টানানোর পর হাইকোর্টে একটি রিট করেছি। ৩৬ জন মুক্তিযোদ্ধার সঙ্গে আরও কিছু লোকজন মিলে মোট ১২৬ জন এ রিটের পক্ষে স্বাক্ষর করেছি। রিটে জানতে চাওয়া হয়েছে এখানে যদি বস্তিবাসীকে উচ্ছেদ করে ভবন করা হয় সেই ভবনে কারা থাকবে? যদি বস্তিবাসীকে উচ্ছেদ করে অন্য কাউকে সেই ভবনে তোলা হয় তাহলে আমরা এই জায়গা ছেড়ে দেব না। আর যদি বস্তিবাসীদের জন্য এখানে ভবন করা হয় সেই ভবনে বস্তিবাসী থাকতে পারে তাহলে আমাদের কোন আপত্তি নেই।

ফায়ার সার্ভিস নিয়ন্ত্রণ কক্ষের কর্মকর্তা লিমা খানম জানান, ভোর সোয়া ৪টার দিকে বস্তিটিতে আগুনের সূত্রপাত ঘটে। পরে ফায়ার সার্ভিসের ১৫টি ইউনিট দেড় ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। আগুনে মোট ৩৭৭টি কক্ষ পুড়ে গেলেও আগুন লাগার কারণ ও মোট ক্ষয়ক্ষতি সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যায়নি। চলন্তিকা বস্তিতে আগুনের ঘটনার তদন্ত কমিটির প্রধান ও ফায়ার সার্ভিসের উপপরিচালক দেবাশীষ বর্ধণ বলেন, ‘আমরা যখন আগুন নেভাচ্ছিলাম তখনই সিলিন্ডার বিস্ফোরিত হয়। তবে কোথা থেকে আগুনের সূত্রপাত ঘটে তা জানা যায়নি। তদন্ত চলছে, তদন্তের পর বিস্তারিত কারণ জানা যাবে।’

প্রসঙ্গত, চলন্তিকা মোড় থেকে রূপনগর আবাসিক এলাকা পর্যন্ত ঝিলের ওপর কাঠের পাটাতন দিয়ে গড়ে তোলা এই বস্তিতে গত বছরের ১৬ আগস্ট সন্ধ্যায় আরও এক দফা অগ্নিকাণ্ড হয়। বস্তির প্রায় আড়াই হাজার ঘরের মধ্যে একটি বড় অংশ ওই অগ্নিকাণ্ডে পুড়ে যায়।