চালু হচ্ছে নতুন আন্তঃনগর ট্রেন

ঢাকা-জামালপুর-ঢাকা রুটে রোববার থেকে চালু হচ্ছে নতুন আন্তঃনগর ট্রেন জামালপুর এক্সপ্রেস। এছাড়া চট্টগ্রাম-সিলেট রুটে উদয়ন ও পাহাড়িকা এক্সপ্রেস ট্রেনের নতুন কোচ প্রতিস্থাপন, পাবনা এক্সপ্রেস ট্রেনের সেবা ঢালারচর এক্সপ্রেস নামে ঢালারচর পর্যন্ত বৃদ্ধি এবং ফরিদপুর এক্সপ্রেস ট্রেনের সেবা রাজবাড়ী এক্সপ্রেস নামে ভাঙ্গা পর্যন্ত বৃদ্ধি করা হবে। রোববার সকাল ১০টায় গণভবন থেকে রেলওয়ে নতুন এই ট্রেন সার্ভিসের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

এ বিষয়ে রেলওয়ের মহাপরিচালক মো. শামছুজ্জামান সংবাদকে বলেন, রাজবাড়ী ও ঢালারচল এলাকায় নতুন রেললাইন নির্মাণ করা হয়েছে। তাই এসব এলাকায় নতুন ট্রেন সার্ভিস চালু করা হচ্ছে। ইন্দোনেশিয়া থেকে আধুনিক সুযোগ-সুবিধা সম্পন্ন কোচ দিয়ে নতুন ট্রেন সার্ভিস চালু করা হচ্ছে। রোববার সকাল ১০টায় গণভবন জামালপুর এক্সপ্রেসসহ চারটি প্রকল্পের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

রেলওয়ে সূত্র জানায়, জামালপুর এক্সপ্রেস ঢাকা ছাড়বে সকাল ১০:৩০টায় জামালপুর পৌঁছাবে বিকেল ৪:০৫টায় এবং জামালপুর ছাড়বে ৫:৪৫টায়, ঢাকা পৌঁছাবে ১১:৩০টায়। ট্রেনের বিরতি স্টেশনগুলো হলো- বিমানবন্দর, জয়দেবপুর, টাঙ্গাইল, বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব, ভূঞাপুর, হেমনগর, অ্যাড. মতিউর রহমান, তারাকান্দি, সরিষাবাড়ি। ট্রেনটিতে এসি চেয়ার ১১০টি ও শোভন চেয়ার ৫১০টিসহ সর্বমোট ৬২০টি আসনের ব্যবস্থা থাকবে। সাপ্তাহিক বন্ধের দিন হবে রোববার।

জামালপুর হতে ঢাকা পর্যন্ত রেলপথে ‘জামালপুর এক্সপ্রেস’ ট্রেনটি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিশেষ আগ্রহে চালু হচ্ছে। তারাকান্দি-বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব-টাঙ্গাইল হয়ে নতুন রুটে ঢাকা-জামালপুরের মধ্যে আন্তঃনগর এ ট্রেনটি পরিচালনার মাধ্যমে বাংলাদেশের মধ্যাঞ্চলের একটি বৃহৎ জনগোষ্ঠীর রাজধানীসহ দেশের গুরুত্বপূর্ণ অঞ্চলের সঙ্গে যোগাযোগের সুযোগ সৃষ্টি হবে এবং কৃষি ক্ষেত্রে অভূতপূর্ব উন্নতি সাধন করতে পারবে। নতুন এই ট্রেনে ব্যবহৃত মিটারগেজ কোচসমূহ এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) এর অর্থায়নে ইন্দোনেশিয়া থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে। প্রতিটি কোচ স্টেইনলেস স্টিলের তৈরি। ট্রেনটিতে প্রতিবন্ধী যাত্রীদের হুইল চেয়ারসহ চলাচলের সুবিধার্থে থাকছে মেইন ও টয়লেটের প্রস্তুত দরজা এবং নির্ধারিত আসনের সুবিধা। শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত কোচে রয়েছে পরিবেশবান্ধব বায়ো-টয়লেট এবং আধুনিক ও উন্নত মানের রুফ মাউন্টেড এয়ার কন্ডিশনার ইউনিট সম্বলিত শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা। এছাড়াও ফরিদপুর এক্সপ্রেস ট্রেনের সেবা ‘রাজবাড়ি এক্সপ্রেস’ নামে ফরিদপুর জেলার ভাঙ্গা পর্যন্ত এবং পাবনা এক্সপ্রেস ট্রেনের সেবা ‘ঢালারচর এক্সপ্রেস’ নামে পাবনা জেলার ঢালারচর পর্যন্ত বৃদ্ধি করা হবে। এছাড়াও চট্টগ্রাম-সিলেট রুটের ‘উদয়ন ও পাহাড়িকা এক্সপ্রেস’ ট্রেনে এর রেক নতুন কোচ দ্বারা প্রতিস্থাপন করা হবে বলে রেলওয়ে সূত্র জানায়।

শনিবার, ২৫ জানুয়ারী ২০২০ , ১১ মাঘ ১৪২৬, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪১

ঢাকা-জামালপুর রুটে

চালু হচ্ছে নতুন আন্তঃনগর ট্রেন

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক |

ঢাকা-জামালপুর-ঢাকা রুটে রোববার থেকে চালু হচ্ছে নতুন আন্তঃনগর ট্রেন জামালপুর এক্সপ্রেস। এছাড়া চট্টগ্রাম-সিলেট রুটে উদয়ন ও পাহাড়িকা এক্সপ্রেস ট্রেনের নতুন কোচ প্রতিস্থাপন, পাবনা এক্সপ্রেস ট্রেনের সেবা ঢালারচর এক্সপ্রেস নামে ঢালারচর পর্যন্ত বৃদ্ধি এবং ফরিদপুর এক্সপ্রেস ট্রেনের সেবা রাজবাড়ী এক্সপ্রেস নামে ভাঙ্গা পর্যন্ত বৃদ্ধি করা হবে। রোববার সকাল ১০টায় গণভবন থেকে রেলওয়ে নতুন এই ট্রেন সার্ভিসের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

এ বিষয়ে রেলওয়ের মহাপরিচালক মো. শামছুজ্জামান সংবাদকে বলেন, রাজবাড়ী ও ঢালারচল এলাকায় নতুন রেললাইন নির্মাণ করা হয়েছে। তাই এসব এলাকায় নতুন ট্রেন সার্ভিস চালু করা হচ্ছে। ইন্দোনেশিয়া থেকে আধুনিক সুযোগ-সুবিধা সম্পন্ন কোচ দিয়ে নতুন ট্রেন সার্ভিস চালু করা হচ্ছে। রোববার সকাল ১০টায় গণভবন জামালপুর এক্সপ্রেসসহ চারটি প্রকল্পের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

রেলওয়ে সূত্র জানায়, জামালপুর এক্সপ্রেস ঢাকা ছাড়বে সকাল ১০:৩০টায় জামালপুর পৌঁছাবে বিকেল ৪:০৫টায় এবং জামালপুর ছাড়বে ৫:৪৫টায়, ঢাকা পৌঁছাবে ১১:৩০টায়। ট্রেনের বিরতি স্টেশনগুলো হলো- বিমানবন্দর, জয়দেবপুর, টাঙ্গাইল, বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব, ভূঞাপুর, হেমনগর, অ্যাড. মতিউর রহমান, তারাকান্দি, সরিষাবাড়ি। ট্রেনটিতে এসি চেয়ার ১১০টি ও শোভন চেয়ার ৫১০টিসহ সর্বমোট ৬২০টি আসনের ব্যবস্থা থাকবে। সাপ্তাহিক বন্ধের দিন হবে রোববার।

জামালপুর হতে ঢাকা পর্যন্ত রেলপথে ‘জামালপুর এক্সপ্রেস’ ট্রেনটি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিশেষ আগ্রহে চালু হচ্ছে। তারাকান্দি-বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব-টাঙ্গাইল হয়ে নতুন রুটে ঢাকা-জামালপুরের মধ্যে আন্তঃনগর এ ট্রেনটি পরিচালনার মাধ্যমে বাংলাদেশের মধ্যাঞ্চলের একটি বৃহৎ জনগোষ্ঠীর রাজধানীসহ দেশের গুরুত্বপূর্ণ অঞ্চলের সঙ্গে যোগাযোগের সুযোগ সৃষ্টি হবে এবং কৃষি ক্ষেত্রে অভূতপূর্ব উন্নতি সাধন করতে পারবে। নতুন এই ট্রেনে ব্যবহৃত মিটারগেজ কোচসমূহ এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) এর অর্থায়নে ইন্দোনেশিয়া থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে। প্রতিটি কোচ স্টেইনলেস স্টিলের তৈরি। ট্রেনটিতে প্রতিবন্ধী যাত্রীদের হুইল চেয়ারসহ চলাচলের সুবিধার্থে থাকছে মেইন ও টয়লেটের প্রস্তুত দরজা এবং নির্ধারিত আসনের সুবিধা। শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত কোচে রয়েছে পরিবেশবান্ধব বায়ো-টয়লেট এবং আধুনিক ও উন্নত মানের রুফ মাউন্টেড এয়ার কন্ডিশনার ইউনিট সম্বলিত শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা। এছাড়াও ফরিদপুর এক্সপ্রেস ট্রেনের সেবা ‘রাজবাড়ি এক্সপ্রেস’ নামে ফরিদপুর জেলার ভাঙ্গা পর্যন্ত এবং পাবনা এক্সপ্রেস ট্রেনের সেবা ‘ঢালারচর এক্সপ্রেস’ নামে পাবনা জেলার ঢালারচর পর্যন্ত বৃদ্ধি করা হবে। এছাড়াও চট্টগ্রাম-সিলেট রুটের ‘উদয়ন ও পাহাড়িকা এক্সপ্রেস’ ট্রেনে এর রেক নতুন কোচ দ্বারা প্রতিস্থাপন করা হবে বলে রেলওয়ে সূত্র জানায়।