বাণিজ্যমেলায় ইসলামী ব্যাংক

নান্দনিক প্যাভিলিয়নে উন্নয়নের চিত্র

নান্দনিক আর সুসজ্জিত প্যাভিলয়নের মাধ্যমে গ্রাহক সেবা দিচ্ছে দেশের বড় বেসরকারি ইসলামি ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেড। মেলার প্রবেশ মুখেই অবস্থিত সুউচ্চ এই প্যাভিলনকে এবার সাজানো হয়েছে বিভিন্ন শিল্প উন্নয়নের চিত্র দিয়ে। এখানে সারাদেশের উন্নয়ন চিত্র এবং জাতীয় উন্নয়নে ইসলামী ব্যাংকের অংশগ্রহণের সবকটিই কিছু কিছু করে তুলে ধারা হয়েছে বিশাল জায়গাজুড়ে। মনোরম করে সাজানো হয়েছে বিভিন্ন শিল্প কারখানা, কৃষি স্থাপনা, স্কুল, মসজিদ, নদী ও মাঠের সমন্বয়ে। সবকিছু মিলিয়ে দর্শক ও সেবা প্রার্থীদের কাছে আকর্ষণীয় হয়ে ওঠেছে প্যাভিলিয়নটি। প্যাভিলিয়নে আসা দর্শনার্থীরা জানিয়েছেন, সাজসজ্জা আর সেবায় মুগ্ধ তারা। তারা বলেন, দেখেই মনে হচ্ছে মনোরোম ইন্টিরিয়র ডিজাইনে খুব পরিকল্পিতভাবে প্যাভিলিয়নটি সাজানো হয়েছে। প্যাভিলিয়নের থিমগুলোতেও আভিজাত্য রয়েছে। এছাড়া এখানে এসে ব্যাংকের বিভিন্ন সেবা সম্পর্কেও জানতে পারছেন তারা। যা পরে ব্যাংক হিসাব খুলতে ও ব্যাংকের সঙ্গে ব্যবসায়ীক লেনদেন করতে সহজ হচ্ছে।

আর্থিক অন্তর্ভুক্তির কার্যক্রম বাড়ানো এবং মানুষকে ব্যাংকিং সম্পর্কে সঠিক ধারণা দিতে প্রতিবছর মেলায় অংশগ্রহণ করে ইসলামী ব্যাংক। এবার প্যাভিলিয়নে ১৭টি আমানত প্রকল্প এবং ২২টি বিনিয়োগ প্রকল্পের বৈশিষ্ট্য তুলে ধরা হচ্ছে। প্যাভিলিয়নজুড়ে শিল্পায়ন, গার্মেন্টস, পল্লী উন্নয়ন, আবাসন, পরিবহন, কৃষি ও কৃষিভিত্তিক শিল্পে বিনিয়োগ কার্যক্রমের চিত্র ফুটে উঠেছে। এই সঙ্গে ব্যাংকের শাখা, উপশাখা এবং এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেটের মাধ্যমে বৈদেশিক বাণিজ্য, প্রযুক্তিসমৃদ্ধ ব্যাংকিং সেবা, চিকিৎসা, শিক্ষা ও সিএসআর কার্যক্রমের তথ্য সেবাসহ সিআরএম ও এটিএমের মাধ্যমে টাকা জমা এবং উত্তোলনের সুবিধা রয়েছে এ প্যাভিলিয়নে।

গত বুধবার মেলার প্যাভিলিয়ন পরিদর্শনের সময় কথা হয় ব্যাংকটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী মো. মাহবুব উল আলমের সঙ্গে। তিনি সংবাদকে বলেন, এবার আমরা প্যাভিলিয়নকে ভিন্নভাবে সাজিয়েছি। এখানে আমাদের ব্যাংকের অর্থায়নে উন্নয়ন কর্মকা-গুলোর কিছু চিত্র তুলে ধরেছি। এছাড়া এখানে সকাল নয়টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত আমাদের তিন চারজন কর্মকর্তা সার্বক্ষণিক সেবা দিয়ে যাচ্ছেন। তারা ব্যাংক ও ব্যাংকিং সম্পর্কে গ্রাহকের যে কোন প্রশ্নের উত্তর দিয়ে থাকেন। গ্রাহকরা স্বচক্ষে আমাদের বিনিয়োগ ও উন্নয়নে সহযোগিতা দেখতে পারেন। সব মিলিয়ে প্যাভিলিয়নটি এবার মেলার সেরা হবে বলে দাবি তারা। তিনি বলেন, গতবছরও আমাদের প্যাভিলিয়ন দর্শনার্থীদের পছন্দের শীর্ষে ছিল। যদিও সার্বিক বিচারে দ্বীতিয় স্থান অর্জন করেছিলাম। এবারও আমাদের প্যাভিলিয়নটি মেলার সবচাইতে সুন্দর ও আকর্ষণীয়। তাই আমার বিশ্বাস এবার শেষ পর্যন্ত আমরাই শীর্ষে থাকব।

প্যাভিলিয়ন ঘুরে দেখা যায়, ভেতর ও বাহির জুড়ে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে একটি উন্নয়নশীল বাংলাদেশের প্রতিচ্ছবি। প্যাভিলিয়নের ঠিক মাঝেই বাংলাদেশের ম্যাপের আদলে তৈরি করা হয়েছে গ্রামীণ উন্নয়ন, ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের কার্যক্রম ও উন্নয়নের একটি প্রদর্শনী। প্যাভিলিয়নের স্তম্ভগুলো তৈরি করা হয়েছে গাছের আদলে আর উপরের ছাদ করা হয়েছে খোলা আকাশের মতো করে। প্যাভিলিয়নে ঠাঁই পেয়েছে বিভাগভিত্তিক উন্নয়ন কর্মকা-। যা মাটির ও টিনের ঘর, কোল্ড স্টোরেজ, পল্লী গৃহনির্মাণ, সেমিপাকা ঘর, সিএসআর কার্যক্রম, হসপিটাল-ক্লিনিক, ডেইরি ফার্ম ইত্যাদি দিয়ে সমন্বয়ে সাজানো হয়েছে।

প্যাভিলিয়নে আসা মাহবুবা আলম নামের একজন দর্শনার্থীর সঙ্গেও কথা হলো। তিনি রাজধানীর মানিকনগর থেকে এসেছেন। মাহবুবা আলম বলেন, আমি প্রতিবছরই একাধিকবার মেলায় আসি। কেনাকাটা ছাড়াও আমি প্যাভিলিয়নগুলো ঘুরে ঘুরে দেখি। সব প্যাভিলিয়নই সুন্দর করে সাজানো হয়েছে। অনেকে অনেক থিম ব্যবহার করেছে। এবারও বড় প্যাভিলিয়নগুলো ঘুরে দেখেছি। তবে সবচেয়ে ভালো লেগেছে ইসলামী ব্যাংকের প্যাভিলিয়নটি। প্যাভিলিয়নের মেঝেতে তাকিয়ে মনে হয়েছে আমি পুরো দেশটিকে দেখছি। দেশের উন্নয়নের চিত্রগুলো দেখে আমি মুগ্ধ হয়েছি। এছাড়া এখানে একজন অফিসার আমাকে তাদের পণ্য সম্পর্কে খুব সুন্দর করে বুঝিয়ে দিয়েছেন। আমার খুব ভালো লেগেছে। একই রকম কথা বললেন রেজাউল নামের আরেক দর্শনার্থী। একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের এই কর্মকর্তা এসেছেন রাজধানীর ফার্মগেট থেকে।

প্যাভিলিয়নে দর্শনার্থীদের সেবা প্রদানকারী ইসলামী ব্যাংকের পান্থপথ শাখার জুনিয়র অফিসার হালিমা আক্তারের সঙ্গে কথা হলো। তিনি বলেন, প্রতিদিন হাজার হাজার দর্শনার্থী প্যাভিলিয়ন পরিদর্শন করতে আসেন। তারা ঘুরে ঘুরে প্যাভিলিয়নের শিল্পকর্মগুলো দেখেন। দল বেধে ছবি তুলেন, বিভিন্ন বিষয় জানতে চান। আমরা তাদের সেব প্রশ্নের উত্তর দেই। মাঝে মাঝে ব্যাংক ও হিসাব খেলা সম্পর্কেও জানতে চান। সব বিষয় তাদের বুঝিয়ে দেই। তিনি জানান, গতবছরের চেয়েও এবার বেশি দর্শনার্থী প্যাভিলিয়নে প্রবেশ করছেন। নারী, পুরুষ, স্কুলের ছাত্রছাত্রীসহ সব শ্রেণীর দর্শনার্থীই আমাদের প্যাভিলিয়ন পরিদর্শন করেন।

রবিবার, ২৬ জানুয়ারী ২০২০ , ১২ মাঘ ১৪২৬, ২৯ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪১

বাণিজ্যমেলায় ইসলামী ব্যাংক

নান্দনিক প্যাভিলিয়নে উন্নয়নের চিত্র

রোকন মাহমুদ |

image

নান্দনিক আর সুসজ্জিত প্যাভিলয়নের মাধ্যমে গ্রাহক সেবা দিচ্ছে দেশের বড় বেসরকারি ইসলামি ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেড। মেলার প্রবেশ মুখেই অবস্থিত সুউচ্চ এই প্যাভিলনকে এবার সাজানো হয়েছে বিভিন্ন শিল্প উন্নয়নের চিত্র দিয়ে। এখানে সারাদেশের উন্নয়ন চিত্র এবং জাতীয় উন্নয়নে ইসলামী ব্যাংকের অংশগ্রহণের সবকটিই কিছু কিছু করে তুলে ধারা হয়েছে বিশাল জায়গাজুড়ে। মনোরম করে সাজানো হয়েছে বিভিন্ন শিল্প কারখানা, কৃষি স্থাপনা, স্কুল, মসজিদ, নদী ও মাঠের সমন্বয়ে। সবকিছু মিলিয়ে দর্শক ও সেবা প্রার্থীদের কাছে আকর্ষণীয় হয়ে ওঠেছে প্যাভিলিয়নটি। প্যাভিলিয়নে আসা দর্শনার্থীরা জানিয়েছেন, সাজসজ্জা আর সেবায় মুগ্ধ তারা। তারা বলেন, দেখেই মনে হচ্ছে মনোরোম ইন্টিরিয়র ডিজাইনে খুব পরিকল্পিতভাবে প্যাভিলিয়নটি সাজানো হয়েছে। প্যাভিলিয়নের থিমগুলোতেও আভিজাত্য রয়েছে। এছাড়া এখানে এসে ব্যাংকের বিভিন্ন সেবা সম্পর্কেও জানতে পারছেন তারা। যা পরে ব্যাংক হিসাব খুলতে ও ব্যাংকের সঙ্গে ব্যবসায়ীক লেনদেন করতে সহজ হচ্ছে।

আর্থিক অন্তর্ভুক্তির কার্যক্রম বাড়ানো এবং মানুষকে ব্যাংকিং সম্পর্কে সঠিক ধারণা দিতে প্রতিবছর মেলায় অংশগ্রহণ করে ইসলামী ব্যাংক। এবার প্যাভিলিয়নে ১৭টি আমানত প্রকল্প এবং ২২টি বিনিয়োগ প্রকল্পের বৈশিষ্ট্য তুলে ধরা হচ্ছে। প্যাভিলিয়নজুড়ে শিল্পায়ন, গার্মেন্টস, পল্লী উন্নয়ন, আবাসন, পরিবহন, কৃষি ও কৃষিভিত্তিক শিল্পে বিনিয়োগ কার্যক্রমের চিত্র ফুটে উঠেছে। এই সঙ্গে ব্যাংকের শাখা, উপশাখা এবং এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেটের মাধ্যমে বৈদেশিক বাণিজ্য, প্রযুক্তিসমৃদ্ধ ব্যাংকিং সেবা, চিকিৎসা, শিক্ষা ও সিএসআর কার্যক্রমের তথ্য সেবাসহ সিআরএম ও এটিএমের মাধ্যমে টাকা জমা এবং উত্তোলনের সুবিধা রয়েছে এ প্যাভিলিয়নে।

গত বুধবার মেলার প্যাভিলিয়ন পরিদর্শনের সময় কথা হয় ব্যাংকটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী মো. মাহবুব উল আলমের সঙ্গে। তিনি সংবাদকে বলেন, এবার আমরা প্যাভিলিয়নকে ভিন্নভাবে সাজিয়েছি। এখানে আমাদের ব্যাংকের অর্থায়নে উন্নয়ন কর্মকা-গুলোর কিছু চিত্র তুলে ধরেছি। এছাড়া এখানে সকাল নয়টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত আমাদের তিন চারজন কর্মকর্তা সার্বক্ষণিক সেবা দিয়ে যাচ্ছেন। তারা ব্যাংক ও ব্যাংকিং সম্পর্কে গ্রাহকের যে কোন প্রশ্নের উত্তর দিয়ে থাকেন। গ্রাহকরা স্বচক্ষে আমাদের বিনিয়োগ ও উন্নয়নে সহযোগিতা দেখতে পারেন। সব মিলিয়ে প্যাভিলিয়নটি এবার মেলার সেরা হবে বলে দাবি তারা। তিনি বলেন, গতবছরও আমাদের প্যাভিলিয়ন দর্শনার্থীদের পছন্দের শীর্ষে ছিল। যদিও সার্বিক বিচারে দ্বীতিয় স্থান অর্জন করেছিলাম। এবারও আমাদের প্যাভিলিয়নটি মেলার সবচাইতে সুন্দর ও আকর্ষণীয়। তাই আমার বিশ্বাস এবার শেষ পর্যন্ত আমরাই শীর্ষে থাকব।

প্যাভিলিয়ন ঘুরে দেখা যায়, ভেতর ও বাহির জুড়ে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে একটি উন্নয়নশীল বাংলাদেশের প্রতিচ্ছবি। প্যাভিলিয়নের ঠিক মাঝেই বাংলাদেশের ম্যাপের আদলে তৈরি করা হয়েছে গ্রামীণ উন্নয়ন, ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের কার্যক্রম ও উন্নয়নের একটি প্রদর্শনী। প্যাভিলিয়নের স্তম্ভগুলো তৈরি করা হয়েছে গাছের আদলে আর উপরের ছাদ করা হয়েছে খোলা আকাশের মতো করে। প্যাভিলিয়নে ঠাঁই পেয়েছে বিভাগভিত্তিক উন্নয়ন কর্মকা-। যা মাটির ও টিনের ঘর, কোল্ড স্টোরেজ, পল্লী গৃহনির্মাণ, সেমিপাকা ঘর, সিএসআর কার্যক্রম, হসপিটাল-ক্লিনিক, ডেইরি ফার্ম ইত্যাদি দিয়ে সমন্বয়ে সাজানো হয়েছে।

প্যাভিলিয়নে আসা মাহবুবা আলম নামের একজন দর্শনার্থীর সঙ্গেও কথা হলো। তিনি রাজধানীর মানিকনগর থেকে এসেছেন। মাহবুবা আলম বলেন, আমি প্রতিবছরই একাধিকবার মেলায় আসি। কেনাকাটা ছাড়াও আমি প্যাভিলিয়নগুলো ঘুরে ঘুরে দেখি। সব প্যাভিলিয়নই সুন্দর করে সাজানো হয়েছে। অনেকে অনেক থিম ব্যবহার করেছে। এবারও বড় প্যাভিলিয়নগুলো ঘুরে দেখেছি। তবে সবচেয়ে ভালো লেগেছে ইসলামী ব্যাংকের প্যাভিলিয়নটি। প্যাভিলিয়নের মেঝেতে তাকিয়ে মনে হয়েছে আমি পুরো দেশটিকে দেখছি। দেশের উন্নয়নের চিত্রগুলো দেখে আমি মুগ্ধ হয়েছি। এছাড়া এখানে একজন অফিসার আমাকে তাদের পণ্য সম্পর্কে খুব সুন্দর করে বুঝিয়ে দিয়েছেন। আমার খুব ভালো লেগেছে। একই রকম কথা বললেন রেজাউল নামের আরেক দর্শনার্থী। একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের এই কর্মকর্তা এসেছেন রাজধানীর ফার্মগেট থেকে।

প্যাভিলিয়নে দর্শনার্থীদের সেবা প্রদানকারী ইসলামী ব্যাংকের পান্থপথ শাখার জুনিয়র অফিসার হালিমা আক্তারের সঙ্গে কথা হলো। তিনি বলেন, প্রতিদিন হাজার হাজার দর্শনার্থী প্যাভিলিয়ন পরিদর্শন করতে আসেন। তারা ঘুরে ঘুরে প্যাভিলিয়নের শিল্পকর্মগুলো দেখেন। দল বেধে ছবি তুলেন, বিভিন্ন বিষয় জানতে চান। আমরা তাদের সেব প্রশ্নের উত্তর দেই। মাঝে মাঝে ব্যাংক ও হিসাব খেলা সম্পর্কেও জানতে চান। সব বিষয় তাদের বুঝিয়ে দেই। তিনি জানান, গতবছরের চেয়েও এবার বেশি দর্শনার্থী প্যাভিলিয়নে প্রবেশ করছেন। নারী, পুরুষ, স্কুলের ছাত্রছাত্রীসহ সব শ্রেণীর দর্শনার্থীই আমাদের প্যাভিলিয়ন পরিদর্শন করেন।