দুর্ভোগে অর্ধলক্ষাধিক মানুষ
যশোরের চৌগাছায় পাতিবিলা ও নারায়ণপুর ইউনিয়নের কয়েকটি গ্রামের বাসিন্দাদের কপোতাক্ষ পারাপারে নদের ওপর স্থাপিত বাঁশের সাঁকোটি বেহাল হয়ে পড়েছে। স্থানীয়দের দাবি ঝুঁকিপূর্ণ এই বামের সাঁকোর ইজারা বাতিল করে এখানে একটি সেতু নির্মাণ করা হোক। সেটিও সম্ভব না হয়ে তারা বাঁশের সেতুটি টোল ফ্রি করার দাবি জানিয়েছেন। উপজেলার হাকিমপুর ইউনিয়নের তাহেরপুরে ভৈরব নদ থেকে কপোতাক্ষ নদের উৎপত্তি। কপোতাক্ষ নদটি উপজেলার জনবসতিপূর্ণ এলাকাকে প্রায় দ্বিখণ্ডিত করেছে। একপাশে রয়েছে চৌগাছা শহরসহ বেশিরভাগ ইউনিয়ন। অন্যপাশে রয়েছে নারায়ণপুর, স্বরূপদাহ ও সুখপুকুরিয়া এই তিন বৃহৎ ইউনিয়ন।
নদে পানি একেবারেই কমে যাওয়ায় নদের ওপারের নারাণপুর ইউনিয়নের সঙ্গে উপজেলা শহরের পাশের ইউনিয়ন পাতিবিলার সঙ্গে যোগাযোগের একমাত্র মাধ্যম হিসেবে কয়েক বছর আগে হাজরাখানা গ্রামে অবস্থিত পীর বলুহ দেওয়ানের মাজারের পাশ দিয়ে স্থানীয়রা একটি বাঁশের সাঁকো নির্মাণ করেন। যার একপাশে নারায়ণপুর ইউনিয়নের বৃহৎ গ্রাম হাজরাখানা অন্যপাশে পাতিবিলা ইউনিয়নের বৃহৎ গ্রাম নিয়ামতপুর। বাঁশের সাঁকোটি নির্মিত হওয়ার পর দু’ইউনিয়নের অর্ধলক্ষাধিক জনসাধারণের চলাচলের পথ সুগম হয়। উভয় পারের লোকজনের যাতায়াতে এই সাঁকোটি প্রায় ১০ কিলোমিটার রাস্তা সংক্ষিপ্ত করেছে। তবে সাঁকোটি ব্যবহার করতে স্থানীয়দের সরকারি ইজারাদারকে প্রতি ব্যক্তিকে মাথাপ্রতি ৫ টাকা এবং বাই সাইকেলসহ ১০ টাকা করে দিতে হয়। ফলে স্কুল, মাদ্রাসা পড়ুয়া শিক্ষার্থী, সাধারণ কৃষক ও খেটে খাওয়া মানুষ পড়েছেন বিপাকে। এছাড়া প্রতিবছর ভাদ্রমাসে হাজরাখানা গ্রামে প্রায় ১৫ দিনব্যাপী বসে শতাব্দী প্রাচীন পীর বলুহ দেওয়ান মেলা। সে সময় হাজার-হাজার মানুষ সাঁকোটি দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াত করে। ফলে কয়েক বছরেই বাঁশের সাঁকোটি ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। একদিকে অধিক ব্যয়ে অন্যদিকে ঝুকিপূর্ণ বাঁশের সাঁকো পার হতে গিয়ে বিগত বছরগুলোতে বেশ কয়েক ব্যক্তি নদীতে পড়ে আহত হয়েছে। এসব কারণে স্থানীয়রা বাঁশের সাঁকোর স্থলে নদে একটি সেতু নির্মাণের দাবি জানিয়েছেন। নারায়ণপুর ইউপির সদস্য ও উপজেলা যুবলীগের আহব্বায়ক কমিটির সদস্য মনিরুজ্জামান মিলন জানান সাঁকোর স্থলে একটি সেতু নির্মানের দাবি দির্ঘদিনের। অনেকেই প্রতিশ্রতি দিলেও কোন ফল হয়নি। অঙ্গীকারেই সীমাবদ্ধ থেকেছে। তিনি আরো বলেন এলাকার অধিকাংশ মানুষ গরিব। টাকা দিয়ে পার হওয়া তাদের জন্য কষ্টের। দ্রুত সেতু নির্মাণ সম্ভব না হলে ইজারা বাতিল করে সাঁকোটি সর্বসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করে দেয়া হোক। নারায়ণপুর ইউপি চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি জয়নাল আবেদীন মুকুল বলেন সাঁকোটি জেলা পরিষদ ইজারা দিয়ে থাকে। এজন্য আমার কিছু করার নেই। তবে ইজারা বাতিল হলে ভালো হয়।
রবিবার, ২৬ জানুয়ারী ২০২০ , ১২ মাঘ ১৪২৬, ২৯ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪১
দুর্ভোগে অর্ধলক্ষাধিক মানুষ
প্রতিনিধি, চৌগাছা (যশোর)
যশোরের চৌগাছায় পাতিবিলা ও নারায়ণপুর ইউনিয়নের কয়েকটি গ্রামের বাসিন্দাদের কপোতাক্ষ পারাপারে নদের ওপর স্থাপিত বাঁশের সাঁকোটি বেহাল হয়ে পড়েছে। স্থানীয়দের দাবি ঝুঁকিপূর্ণ এই বামের সাঁকোর ইজারা বাতিল করে এখানে একটি সেতু নির্মাণ করা হোক। সেটিও সম্ভব না হয়ে তারা বাঁশের সেতুটি টোল ফ্রি করার দাবি জানিয়েছেন। উপজেলার হাকিমপুর ইউনিয়নের তাহেরপুরে ভৈরব নদ থেকে কপোতাক্ষ নদের উৎপত্তি। কপোতাক্ষ নদটি উপজেলার জনবসতিপূর্ণ এলাকাকে প্রায় দ্বিখণ্ডিত করেছে। একপাশে রয়েছে চৌগাছা শহরসহ বেশিরভাগ ইউনিয়ন। অন্যপাশে রয়েছে নারায়ণপুর, স্বরূপদাহ ও সুখপুকুরিয়া এই তিন বৃহৎ ইউনিয়ন।
নদে পানি একেবারেই কমে যাওয়ায় নদের ওপারের নারাণপুর ইউনিয়নের সঙ্গে উপজেলা শহরের পাশের ইউনিয়ন পাতিবিলার সঙ্গে যোগাযোগের একমাত্র মাধ্যম হিসেবে কয়েক বছর আগে হাজরাখানা গ্রামে অবস্থিত পীর বলুহ দেওয়ানের মাজারের পাশ দিয়ে স্থানীয়রা একটি বাঁশের সাঁকো নির্মাণ করেন। যার একপাশে নারায়ণপুর ইউনিয়নের বৃহৎ গ্রাম হাজরাখানা অন্যপাশে পাতিবিলা ইউনিয়নের বৃহৎ গ্রাম নিয়ামতপুর। বাঁশের সাঁকোটি নির্মিত হওয়ার পর দু’ইউনিয়নের অর্ধলক্ষাধিক জনসাধারণের চলাচলের পথ সুগম হয়। উভয় পারের লোকজনের যাতায়াতে এই সাঁকোটি প্রায় ১০ কিলোমিটার রাস্তা সংক্ষিপ্ত করেছে। তবে সাঁকোটি ব্যবহার করতে স্থানীয়দের সরকারি ইজারাদারকে প্রতি ব্যক্তিকে মাথাপ্রতি ৫ টাকা এবং বাই সাইকেলসহ ১০ টাকা করে দিতে হয়। ফলে স্কুল, মাদ্রাসা পড়ুয়া শিক্ষার্থী, সাধারণ কৃষক ও খেটে খাওয়া মানুষ পড়েছেন বিপাকে। এছাড়া প্রতিবছর ভাদ্রমাসে হাজরাখানা গ্রামে প্রায় ১৫ দিনব্যাপী বসে শতাব্দী প্রাচীন পীর বলুহ দেওয়ান মেলা। সে সময় হাজার-হাজার মানুষ সাঁকোটি দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াত করে। ফলে কয়েক বছরেই বাঁশের সাঁকোটি ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। একদিকে অধিক ব্যয়ে অন্যদিকে ঝুকিপূর্ণ বাঁশের সাঁকো পার হতে গিয়ে বিগত বছরগুলোতে বেশ কয়েক ব্যক্তি নদীতে পড়ে আহত হয়েছে। এসব কারণে স্থানীয়রা বাঁশের সাঁকোর স্থলে নদে একটি সেতু নির্মাণের দাবি জানিয়েছেন। নারায়ণপুর ইউপির সদস্য ও উপজেলা যুবলীগের আহব্বায়ক কমিটির সদস্য মনিরুজ্জামান মিলন জানান সাঁকোর স্থলে একটি সেতু নির্মানের দাবি দির্ঘদিনের। অনেকেই প্রতিশ্রতি দিলেও কোন ফল হয়নি। অঙ্গীকারেই সীমাবদ্ধ থেকেছে। তিনি আরো বলেন এলাকার অধিকাংশ মানুষ গরিব। টাকা দিয়ে পার হওয়া তাদের জন্য কষ্টের। দ্রুত সেতু নির্মাণ সম্ভব না হলে ইজারা বাতিল করে সাঁকোটি সর্বসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করে দেয়া হোক। নারায়ণপুর ইউপি চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি জয়নাল আবেদীন মুকুল বলেন সাঁকোটি জেলা পরিষদ ইজারা দিয়ে থাকে। এজন্য আমার কিছু করার নেই। তবে ইজারা বাতিল হলে ভালো হয়।