রাজনীতি ও সড়কের ড্রাইভিং সিটে কোন শৃঙ্খলা নেই : কাদের

রাজনীতি এবং সড়কের ড্রাইভিং সিটে শৃঙ্খলা নেই উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, আজ পলিটিক্সেও সবাই আমরা বেপরোয়া ড্রাইভিংয়ে ব্যস্ত। আমাদের মুখে এবং কথামালার মধ্যে কোন সতর্কতা নেই। মুখ থেকে বিষ বের হচ্ছে, যা ফরমালিনের চেয়েও ভয়ঙ্কর। এখানেও আমরা বেপরোয়া। জানি না আমরা কবে কখন ধৈর্য, শৃঙ্খলা এবং নিরাপত্তার কাছে ফিরতে পারব। গতকাল রাজধানীর ব্র্যাক সেন্টারে ১১ জন নারী গাড়িচালকদের প্রশিক্ষণ শেষে সনদ বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। ‘উইমেন বিহাইন্ড দ্য হুইল ফর রোড সেফটি’ শীর্ষক এ অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন ব্র্যাকের নির্বাহী পরিচালক আসিফ সালেহ। অনুষ্ঠানের বিশেষ অতিথি ছিলেন মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব কাজী রওশন আখতার।

এ সময় সড়ক মন্ত্রী বলেন, মাঝে মাঝে লজ্জা হয়, কষ্ট হয়, এত কথা বলি, কেন বলি? সড়কে শৃঙ্খলার জন্য। কিন্তু সড়কে কি শৃঙ্খলা দেখা যাচ্ছে? দেখছি সবাই বেপরোয়া। লেখা সিটিং সার্ভিস কিন্তু আসলে চিটিং সার্ভিস। চিটিংয়ের কারণে সার্ভিস সিটিং হচ্ছে না। এখানে পরিবহন মালিক নেতারা আছেন। প্রতিনিয়ত বলছি কিন্তু কাজ হচ্ছে না। এত লেখালেখি, সেমিনার, সিম্পোজিয়াম হচ্ছে, কিন্তু কাজের কাজ হচ্ছে না। বাসে লেখা আল্লাহর নামে চলিলাম, চলতে চলতে গর্তের মধ্যে পড়ে গেলাম। এই দৃশ্য নিত্যদিনের। এখানে বেপরোয়া কিন্তু চালক এবং পথচারী সবাই। পথচারীরা যত্রতত্র রাস্তা পারাপার হচ্ছেন, হাতে মোবাইল ফোন, মধুর আলাপ করছেন, ছুটন্ত গাড়ি এসে চাপা দিয়ে যাচ্ছে, কে শোনে কার কথা। আইন না মানার যে প্রবণতা এদেশে, কবে যে সচেতনতা আসবে? আজ মা তার সন্তানকে কোলে নিয়ে রাস্তা পার হচ্ছেন আবার অনেকে হামাগুঁড়ি দিয়ে রাস্তা পার হচ্ছেন। অথচ পাশেই ফুটওভার ব্রিজ। এমনকি মেয়র হানিফ ফ্লাইওভারের ওপরও এপার থেকে ওপারে পারাপার হচ্ছেন। যা খুবই দুঃখজনক। বিআরটিসিতে দুর্নীতি-অনিয়ম যেভাবে বাসা বেঁধেছে তা ভাঙা খুব কঠিন হয়ে পড়েছে। সিন্ডিকেট, অনিয়মে বিআরটিসি লাভের মুখ দেখে না। নতুন ভালো একজনকে চেয়ারম্যান নিয়োগ করা হয়েছে তিনি কাজ করছেন।

ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএমে) ভোট কারচুপি হবে, এমন অভিযোগ না করে বিএনপিকে সুনির্দিষ্ট প্রমাণ দেয়ার আহ্বান জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, আমি বিএনপি নেতাদের বলবো, অন্ধকারে ঢিল না ছুঁড়ে প্রমাণ দিন, কোথায় ইভিএমে ভোট কারচুপি হয়েছে। সিলেট সিটি করপোরেশনের নির্বাচনেও ইভিএমের দুই কেন্দ্রে বিএনপির প্রার্থী বিজয়ী হয়েছে। সুতরাং ইভিএম নিয়ে বিএনপির অভিযোগ অহেতুক। তারা কথায় কথায় বলে আচরণবিধি লংঘন হচ্ছে। আমি আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, কই আমি তো কোথাও ভোট চাইতে যাইনি। কোন নির্বাচনী কার্যালয়েও যাইনি। তারা (বিএনপি) শুধু বিরোধিতার জন্য এসব কথা বলে। অন্ধকারে ঢিল না মেরে প্রমাণ দেন।

রবিবার, ২৬ জানুয়ারী ২০২০ , ১২ মাঘ ১৪২৬, ২৯ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪১

রাজনীতি ও সড়কের ড্রাইভিং সিটে কোন শৃঙ্খলা নেই : কাদের

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক |

রাজনীতি এবং সড়কের ড্রাইভিং সিটে শৃঙ্খলা নেই উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, আজ পলিটিক্সেও সবাই আমরা বেপরোয়া ড্রাইভিংয়ে ব্যস্ত। আমাদের মুখে এবং কথামালার মধ্যে কোন সতর্কতা নেই। মুখ থেকে বিষ বের হচ্ছে, যা ফরমালিনের চেয়েও ভয়ঙ্কর। এখানেও আমরা বেপরোয়া। জানি না আমরা কবে কখন ধৈর্য, শৃঙ্খলা এবং নিরাপত্তার কাছে ফিরতে পারব। গতকাল রাজধানীর ব্র্যাক সেন্টারে ১১ জন নারী গাড়িচালকদের প্রশিক্ষণ শেষে সনদ বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। ‘উইমেন বিহাইন্ড দ্য হুইল ফর রোড সেফটি’ শীর্ষক এ অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন ব্র্যাকের নির্বাহী পরিচালক আসিফ সালেহ। অনুষ্ঠানের বিশেষ অতিথি ছিলেন মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব কাজী রওশন আখতার।

এ সময় সড়ক মন্ত্রী বলেন, মাঝে মাঝে লজ্জা হয়, কষ্ট হয়, এত কথা বলি, কেন বলি? সড়কে শৃঙ্খলার জন্য। কিন্তু সড়কে কি শৃঙ্খলা দেখা যাচ্ছে? দেখছি সবাই বেপরোয়া। লেখা সিটিং সার্ভিস কিন্তু আসলে চিটিং সার্ভিস। চিটিংয়ের কারণে সার্ভিস সিটিং হচ্ছে না। এখানে পরিবহন মালিক নেতারা আছেন। প্রতিনিয়ত বলছি কিন্তু কাজ হচ্ছে না। এত লেখালেখি, সেমিনার, সিম্পোজিয়াম হচ্ছে, কিন্তু কাজের কাজ হচ্ছে না। বাসে লেখা আল্লাহর নামে চলিলাম, চলতে চলতে গর্তের মধ্যে পড়ে গেলাম। এই দৃশ্য নিত্যদিনের। এখানে বেপরোয়া কিন্তু চালক এবং পথচারী সবাই। পথচারীরা যত্রতত্র রাস্তা পারাপার হচ্ছেন, হাতে মোবাইল ফোন, মধুর আলাপ করছেন, ছুটন্ত গাড়ি এসে চাপা দিয়ে যাচ্ছে, কে শোনে কার কথা। আইন না মানার যে প্রবণতা এদেশে, কবে যে সচেতনতা আসবে? আজ মা তার সন্তানকে কোলে নিয়ে রাস্তা পার হচ্ছেন আবার অনেকে হামাগুঁড়ি দিয়ে রাস্তা পার হচ্ছেন। অথচ পাশেই ফুটওভার ব্রিজ। এমনকি মেয়র হানিফ ফ্লাইওভারের ওপরও এপার থেকে ওপারে পারাপার হচ্ছেন। যা খুবই দুঃখজনক। বিআরটিসিতে দুর্নীতি-অনিয়ম যেভাবে বাসা বেঁধেছে তা ভাঙা খুব কঠিন হয়ে পড়েছে। সিন্ডিকেট, অনিয়মে বিআরটিসি লাভের মুখ দেখে না। নতুন ভালো একজনকে চেয়ারম্যান নিয়োগ করা হয়েছে তিনি কাজ করছেন।

ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএমে) ভোট কারচুপি হবে, এমন অভিযোগ না করে বিএনপিকে সুনির্দিষ্ট প্রমাণ দেয়ার আহ্বান জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, আমি বিএনপি নেতাদের বলবো, অন্ধকারে ঢিল না ছুঁড়ে প্রমাণ দিন, কোথায় ইভিএমে ভোট কারচুপি হয়েছে। সিলেট সিটি করপোরেশনের নির্বাচনেও ইভিএমের দুই কেন্দ্রে বিএনপির প্রার্থী বিজয়ী হয়েছে। সুতরাং ইভিএম নিয়ে বিএনপির অভিযোগ অহেতুক। তারা কথায় কথায় বলে আচরণবিধি লংঘন হচ্ছে। আমি আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, কই আমি তো কোথাও ভোট চাইতে যাইনি। কোন নির্বাচনী কার্যালয়েও যাইনি। তারা (বিএনপি) শুধু বিরোধিতার জন্য এসব কথা বলে। অন্ধকারে ঢিল না মেরে প্রমাণ দেন।