ই-পাসপোর্টের আবেদন করা যাবে অনলাইনে

অনলাইনে ইলেকট্রনিক পাসপোর্ট বা ই-পাসপোর্টের জন্য আবেদন করা যাবে। একেবারে নতুন এবং যাদের এমআরপির মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে, নবায়ন করতে হবে, এমন নাগরিকদের কাছ থেকেই ই-পাসপোর্টের আবেদনপত্র নেয়া হচ্ছে। তবে যাদের মেশিন রিডেবল পাসপোর্ট (এমআরপি) মেয়াদ ৬ মাসের বেশি আছে তাদের ই-পাসপোর্টের জন্য আবেদন করতে নিরুৎসাহিত করা হচ্ছে। গত বৃহস্পতিবার থেকে রাজধানীর আগারগাঁও পাসপোর্ট অধিদফতর, যাত্রাবাড়ী ও উত্তরা কার্যালয়ে গ্রাহকদের ই-পাসপোর্ট সেবা দেয়া শুরু হয়েছে বলে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা ও সেবা বিভাগের সচিব মো. শহিদুজ্জামান সাংবাদিকদের বলেন, দেশের সব জায়গায় (৭২টি আঞ্চলিক ও বিভাগীয় অফিসে) এবং বাংলাদেশের ৮২টি বৈদেশিক মিশনে এ কার্যক্রম চালু হবে। এই মুহূর্তে দেশের সর্বত্র ই-পাসপোর্ট কার্যক্রম চালানোর মতো জনবল বা কারিগরি সক্ষমতা নেই। ২০২০ সালের ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে দেশের সব জায়গায় ই-পাসপোর্ট কার্যক্রম চালু হয়ে যাবে। একেবারে নতুন এবং যাদের এমআরপির মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে, নবায়ন করতে হবে, এমন নাগরিকদের কাছ থেকেই আমরা ই-পাসপোর্টের আবেদনপত্র নিচ্ছি। তাদের নামেই ই-পাসপোর্ট ইস্যু করা হবে।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, সারাদেশে বিভিন্ন স্থল, নৌ ও বিমানবন্দরে ৫০টি ‘ই-গেট’ স্থাপন করা হবে। প্রাথমিকভাবে ঢাকায় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে স্থাপন করা নয়টি ‘ই-গেট’ দিয়ে ই-পাসপোর্ট ব্যবহারের সুবিধা মিলবে। ই-পাসপোর্টের জন্য অনলাইনে আবেদন করা যাবে। পাশাপাশি পিডিএফ ফরম ডাউনলোড করে হাতেও পূরণ করা যাবে। ফরম পূরণের সময় ছবি সত্যায়ন করতে হবে না। তবে বয়স্কদের ক্ষেত্রে জাতীয় পরিচয়পত্র ও অপ্রাপ্তবয়স্কদের ক্ষেত্রে জন্মনিবন্ধন সনদ দাখিল বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। আন্তর্জাতিক চলাচলের ক্ষেত্রে অধিকতর নিরাপত্তা সংরক্ষণ এবং আন্তঃসীমান্ত চলাচলকে আরও সহজ, ঝামেলাহীন ও সময় সাশ্রয়ী করতে যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে উন্নত দেশের কাতারে জাতীয় অবস্থান এবং মর্যাদা সুসংহত করতেই চালু হয়েছে ই-পাসপোর্ট কার্যক্রম। ৫ ও ১০ বছর মেয়াদি এবং ৪৮ ও ৬৪ পাতার ই-পাসপোর্ট ১৫ শতাংশ ভ্যাটসহ ভিন্ন ভিন্ন ফি দিয়ে পাওয়া যাবে। নতুন পাসপোর্টের ক্ষেত্রে অতি জরুরি তিন দিনে, জরুরি সাত দিনে ও সাধারণ পাসপোর্ট আবেদনের ক্ষেত্রে ২১ দিনের পাসপোর্ট পাওয়া যাবে। তবে পুরনো অথবা মেয়াদোত্তীর্ণ পাসপোর্ট রি-ইস্যু করার ক্ষেত্রে অতি জরুরি পাসপোর্ট দু’দিনে, জরুরি পাসপোর্ট তিন দিনে ও সাধারণ পাসপোর্ট সাত দিনের মধ্যে পাওয়া যাবে।

বাংলাদেশে আবেদনকারীদের জন্য ৪৮ পৃষ্ঠার পাঁচ বছর মেয়াদি ই-পাসপোর্টের জন্য সাধারণ ফি সাড়ে তিন হাজার টাকা, জরুরি ফি সাড়ে পাঁচ হাজার টাকা ও অতি জরুরি ফি সাড়ে সাত হাজার টাকা। ১০ বছর মেয়াদি ৪৮ পৃষ্ঠার পাসপোর্টের জন্য সাধারণ ফি পাঁচ হাজার টাকা, জরুরি ফি সাত হাজার টাকা ও অতি জরুরি ফি নয় হাজার টাকা।

এছাড়া ৬৪ পৃষ্ঠার পাঁচ বছর মেয়াদি ই-পাসপোর্টের জন্য সাধারণ ফি সাড়ে পাঁচ হাজার টাকা, জরুরি ফি সাড়ে সাত হাজার টাকা ও অতি জরুরি ফি সাড়ে ১০ হাজার টাকা। আর ১০ বছর মেয়াদি ৬৪ পৃষ্ঠার ই-পাসপোর্টের জন্য সাধারণ ফি সাত হাজার টাকা, জরুরি ফি নয় হাজার টাকা ও অতি জরুরি ফি ১২ হাজার টাকা।

রবিবার, ২৬ জানুয়ারী ২০২০ , ১২ মাঘ ১৪২৬, ২৯ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪১

ই-পাসপোর্টের আবেদন করা যাবে অনলাইনে

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক |

অনলাইনে ইলেকট্রনিক পাসপোর্ট বা ই-পাসপোর্টের জন্য আবেদন করা যাবে। একেবারে নতুন এবং যাদের এমআরপির মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে, নবায়ন করতে হবে, এমন নাগরিকদের কাছ থেকেই ই-পাসপোর্টের আবেদনপত্র নেয়া হচ্ছে। তবে যাদের মেশিন রিডেবল পাসপোর্ট (এমআরপি) মেয়াদ ৬ মাসের বেশি আছে তাদের ই-পাসপোর্টের জন্য আবেদন করতে নিরুৎসাহিত করা হচ্ছে। গত বৃহস্পতিবার থেকে রাজধানীর আগারগাঁও পাসপোর্ট অধিদফতর, যাত্রাবাড়ী ও উত্তরা কার্যালয়ে গ্রাহকদের ই-পাসপোর্ট সেবা দেয়া শুরু হয়েছে বলে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা ও সেবা বিভাগের সচিব মো. শহিদুজ্জামান সাংবাদিকদের বলেন, দেশের সব জায়গায় (৭২টি আঞ্চলিক ও বিভাগীয় অফিসে) এবং বাংলাদেশের ৮২টি বৈদেশিক মিশনে এ কার্যক্রম চালু হবে। এই মুহূর্তে দেশের সর্বত্র ই-পাসপোর্ট কার্যক্রম চালানোর মতো জনবল বা কারিগরি সক্ষমতা নেই। ২০২০ সালের ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে দেশের সব জায়গায় ই-পাসপোর্ট কার্যক্রম চালু হয়ে যাবে। একেবারে নতুন এবং যাদের এমআরপির মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে, নবায়ন করতে হবে, এমন নাগরিকদের কাছ থেকেই আমরা ই-পাসপোর্টের আবেদনপত্র নিচ্ছি। তাদের নামেই ই-পাসপোর্ট ইস্যু করা হবে।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, সারাদেশে বিভিন্ন স্থল, নৌ ও বিমানবন্দরে ৫০টি ‘ই-গেট’ স্থাপন করা হবে। প্রাথমিকভাবে ঢাকায় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে স্থাপন করা নয়টি ‘ই-গেট’ দিয়ে ই-পাসপোর্ট ব্যবহারের সুবিধা মিলবে। ই-পাসপোর্টের জন্য অনলাইনে আবেদন করা যাবে। পাশাপাশি পিডিএফ ফরম ডাউনলোড করে হাতেও পূরণ করা যাবে। ফরম পূরণের সময় ছবি সত্যায়ন করতে হবে না। তবে বয়স্কদের ক্ষেত্রে জাতীয় পরিচয়পত্র ও অপ্রাপ্তবয়স্কদের ক্ষেত্রে জন্মনিবন্ধন সনদ দাখিল বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। আন্তর্জাতিক চলাচলের ক্ষেত্রে অধিকতর নিরাপত্তা সংরক্ষণ এবং আন্তঃসীমান্ত চলাচলকে আরও সহজ, ঝামেলাহীন ও সময় সাশ্রয়ী করতে যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে উন্নত দেশের কাতারে জাতীয় অবস্থান এবং মর্যাদা সুসংহত করতেই চালু হয়েছে ই-পাসপোর্ট কার্যক্রম। ৫ ও ১০ বছর মেয়াদি এবং ৪৮ ও ৬৪ পাতার ই-পাসপোর্ট ১৫ শতাংশ ভ্যাটসহ ভিন্ন ভিন্ন ফি দিয়ে পাওয়া যাবে। নতুন পাসপোর্টের ক্ষেত্রে অতি জরুরি তিন দিনে, জরুরি সাত দিনে ও সাধারণ পাসপোর্ট আবেদনের ক্ষেত্রে ২১ দিনের পাসপোর্ট পাওয়া যাবে। তবে পুরনো অথবা মেয়াদোত্তীর্ণ পাসপোর্ট রি-ইস্যু করার ক্ষেত্রে অতি জরুরি পাসপোর্ট দু’দিনে, জরুরি পাসপোর্ট তিন দিনে ও সাধারণ পাসপোর্ট সাত দিনের মধ্যে পাওয়া যাবে।

বাংলাদেশে আবেদনকারীদের জন্য ৪৮ পৃষ্ঠার পাঁচ বছর মেয়াদি ই-পাসপোর্টের জন্য সাধারণ ফি সাড়ে তিন হাজার টাকা, জরুরি ফি সাড়ে পাঁচ হাজার টাকা ও অতি জরুরি ফি সাড়ে সাত হাজার টাকা। ১০ বছর মেয়াদি ৪৮ পৃষ্ঠার পাসপোর্টের জন্য সাধারণ ফি পাঁচ হাজার টাকা, জরুরি ফি সাত হাজার টাকা ও অতি জরুরি ফি নয় হাজার টাকা।

এছাড়া ৬৪ পৃষ্ঠার পাঁচ বছর মেয়াদি ই-পাসপোর্টের জন্য সাধারণ ফি সাড়ে পাঁচ হাজার টাকা, জরুরি ফি সাড়ে সাত হাজার টাকা ও অতি জরুরি ফি সাড়ে ১০ হাজার টাকা। আর ১০ বছর মেয়াদি ৬৪ পৃষ্ঠার ই-পাসপোর্টের জন্য সাধারণ ফি সাত হাজার টাকা, জরুরি ফি নয় হাজার টাকা ও অতি জরুরি ফি ১২ হাজার টাকা।