রাখাইনে সেনাবাহিনীর গুলিতে ২ রোহিঙ্গা নারী নিহত

আন্তর্জাতিক বিচার আদালত (আইসিজে) সংখ্যালঘু রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে নিরাপত্তা দিতে মায়ানমারকে আদেশ দেয়ার দু’দিনের মধ্যেই এক অন্তঃসত্ত্বাসহ দুই রোহিঙ্গা নারীকে হত্যা করেছে দেশটির সেনাবাহিনী। চলতি বছরে এটি দ্বিতীয় ঘটনা। রয়টার্স।

গতকাল দেশটির পশ্চিমাঞ্চলীয় রাজ্য রাখাইনে রোহিঙ্গাদের একটি গ্রামে সেনা সদস্যরা গোলা ছুঁড়ে ওই দুই নারীকে হত্যা করে বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে সংবাদ মাধ্যম রয়টার্স। এ সময় ওই গোলার আঘাতে আহত হয়েছেন আরও কমপক্ষে সাতজন। এ প্রসঙ্গে উত্তর রাখাইন রাজ্যের বুথিডাং টাউনশিপের সংসদ সদস্য মাং কেউ জান রয়টার্সকে বলেন, একটি ব্যাটালিয়ন থেকে সেনা সদস্যরা কিন টাং গ্রামে গোলাবর্ষণ করে। সেখানে কোন যুদ্ধ হয়নি, কোন যুদ্ধ ছাড়াই তারা গ্রামে গোলাবর্ষণ করেছে। তবে মায়ানমার সেনাবাহিনী বিনা কারণে হত্যার দায় অস্বীকার করে বলেছে, বিদ্রোহীরা একটি সেতুতে হামলা চালিয়েছিল। আর সে কারণেই গোলা ছোঁড়া হয়।

এর আগে গত বৃহস্পতিবার রোহিঙ্গা গণহত্যার ঘটনায় আন্তর্জাতিক বিচার আদালত-আইসিজে অন্তর্বর্তীকালীন এক রায়ে রাখাইনে রোহিঙ্গাদের সুরক্ষা দেয়াসহ চারটি আদেশ দেন মায়ানমারকে। আইসিজের ওই আদেশে বলা হয়, জাতিসংঘ কনভেনশন অনুযায়ী, মায়ানমারকে রোহিঙ্গাদের সুরক্ষা দিতে হবে, গণহত্যার প্রমাণ ধ্বংস করা যাবে না, সশস্ত্র বাহিনী পুনরায় কোন গণহত্যা ঘটাতে পারবে না এবং সর্বশেষ প্রতি ৪ মাস পরপর মায়ানমারকে আদালতে প্রতিবেদন জমা দিতে হবে যতদিন পর্যন্ত রোহিঙ্গা গণহত্যা মামলার চূড়ান্ত রায় প্রকাশিত না হয়। রায়ের পর তাৎক্ষণিক কোন প্রতিক্রিয়া না দেখালেও একদিন পর শুক্রবার মায়ানমার কর্তৃপক্ষ ওই রায় প্রত্যাখ্যান করেছে বলে দেশটির গণমাধ্যমে খবর আসে।

২০১৭ সালে রাখাইনে জাতিগত নিধনের শিকার হয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেন সাত লক্ষাধিক রোহিঙ্গা। মায়ানমারের সেনাবাহিনী ও উগ্র বৌদ্ধরা রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর ওপর বর্ণনাতীত নির্যাতন চালায়।

রবিবার, ২৬ জানুয়ারী ২০২০ , ১২ মাঘ ১৪২৬, ২৯ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪১

আইসিজের রায়পরবর্তী পরিস্থিতি

রাখাইনে সেনাবাহিনীর গুলিতে ২ রোহিঙ্গা নারী নিহত

সংবাদ ডেস্ক |

আন্তর্জাতিক বিচার আদালত (আইসিজে) সংখ্যালঘু রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে নিরাপত্তা দিতে মায়ানমারকে আদেশ দেয়ার দু’দিনের মধ্যেই এক অন্তঃসত্ত্বাসহ দুই রোহিঙ্গা নারীকে হত্যা করেছে দেশটির সেনাবাহিনী। চলতি বছরে এটি দ্বিতীয় ঘটনা। রয়টার্স।

গতকাল দেশটির পশ্চিমাঞ্চলীয় রাজ্য রাখাইনে রোহিঙ্গাদের একটি গ্রামে সেনা সদস্যরা গোলা ছুঁড়ে ওই দুই নারীকে হত্যা করে বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে সংবাদ মাধ্যম রয়টার্স। এ সময় ওই গোলার আঘাতে আহত হয়েছেন আরও কমপক্ষে সাতজন। এ প্রসঙ্গে উত্তর রাখাইন রাজ্যের বুথিডাং টাউনশিপের সংসদ সদস্য মাং কেউ জান রয়টার্সকে বলেন, একটি ব্যাটালিয়ন থেকে সেনা সদস্যরা কিন টাং গ্রামে গোলাবর্ষণ করে। সেখানে কোন যুদ্ধ হয়নি, কোন যুদ্ধ ছাড়াই তারা গ্রামে গোলাবর্ষণ করেছে। তবে মায়ানমার সেনাবাহিনী বিনা কারণে হত্যার দায় অস্বীকার করে বলেছে, বিদ্রোহীরা একটি সেতুতে হামলা চালিয়েছিল। আর সে কারণেই গোলা ছোঁড়া হয়।

এর আগে গত বৃহস্পতিবার রোহিঙ্গা গণহত্যার ঘটনায় আন্তর্জাতিক বিচার আদালত-আইসিজে অন্তর্বর্তীকালীন এক রায়ে রাখাইনে রোহিঙ্গাদের সুরক্ষা দেয়াসহ চারটি আদেশ দেন মায়ানমারকে। আইসিজের ওই আদেশে বলা হয়, জাতিসংঘ কনভেনশন অনুযায়ী, মায়ানমারকে রোহিঙ্গাদের সুরক্ষা দিতে হবে, গণহত্যার প্রমাণ ধ্বংস করা যাবে না, সশস্ত্র বাহিনী পুনরায় কোন গণহত্যা ঘটাতে পারবে না এবং সর্বশেষ প্রতি ৪ মাস পরপর মায়ানমারকে আদালতে প্রতিবেদন জমা দিতে হবে যতদিন পর্যন্ত রোহিঙ্গা গণহত্যা মামলার চূড়ান্ত রায় প্রকাশিত না হয়। রায়ের পর তাৎক্ষণিক কোন প্রতিক্রিয়া না দেখালেও একদিন পর শুক্রবার মায়ানমার কর্তৃপক্ষ ওই রায় প্রত্যাখ্যান করেছে বলে দেশটির গণমাধ্যমে খবর আসে।

২০১৭ সালে রাখাইনে জাতিগত নিধনের শিকার হয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেন সাত লক্ষাধিক রোহিঙ্গা। মায়ানমারের সেনাবাহিনী ও উগ্র বৌদ্ধরা রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর ওপর বর্ণনাতীত নির্যাতন চালায়।