সুরের মূর্চ্ছনার সঙ্গে নাচের মুদ্রার ঝলকানি সেই সঙ্গে অ্যাক্রোবেটিকের চমকপ্রদ উপস্থাপন ইত্যাদি নানা বর্ণাঢ্য আয়োজনের মধ্য দিয়ে গতকাল কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে শেষ হয়েছে দুই দিনব্যাপী ‘সৈকত সংস্কৃতি উৎসব ২০২০’।
সমাপনী আসরের শুরুতেই অ্যাক্রোবেটিক পরিবেশন করে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির শিল্পীরা। পাইপ ব্যালেন্স, দিয়ারো ব্যালেন্স ও রোপ রাইডের অনন্য পরিবেশনার সঙ্গে শারীরিক কসরতে পুরো লাবনী পয়েন্টকে চমকপ্রদ করে তোলে শিল্পীরা। এরপরে ভিন্ন ভিন্ন পরিবেশনায় রোলার ব্যালেন্স ও মার্শাল আর্ট, হাই সাইকেল, রিং ড্যান্স, ব্ল্যাঙ্কেট ব্যালেন্স ও গ্রুপ সাইকেলের নান্দনিক উপস্থাপনায় সৈকতে আগতদের বিমোহিত করে তোলে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির অ্যাক্রোবেটিক দল। এদিনের আয়োজনে সমবেত নৃত্য পরিবেশন করে ঢাকা, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার ও বান্দরবানের শিল্পীরা। সেই সঙ্গে ক্ষুদ্র- নৃ-গোষ্ঠীর শিল্পীরা নাচ ও গানের মাধ্যমে তাদের নিজস্ব কৃষ্টি ও সংস্কৃতি তুলে ধরে আসরের শেষ দিনেও দ্যুতি ছড়ায়। কক্সবাজারের স্থানীয় শিল্পীরা সমবেতভাবে পরিবেশন করে ‘হাইল্যার গান,’। ‘দুঃখিনী বাংলা’ ও ‘বুকের ভেতর আকাশ’ গান দুটির কথায় দলীয়নৃত্য পরিবেশন করে জাতীয় পর্যায়ের শিল্পীরা। চার জেলার শিল্পীদের সমবেত নৃত্য ও সমবেত গানের সঙ্গে এদিনের আসরে একক গান গেয়ে শোনান শিল্পকলা একাডেমির নিয়মিত শিল্পী সেতু, রূপসা, সুচিত্রা প্রমুখ। একক গান, সমবেত গান, সমবেত নৃত্য, অ্যাক্রোবেটিক ও বাউল গানের রেশ কাটতে না কাটতেই মঞ্চে আসে দেশের প্রথম ব্যান্ডদল ‘স্পন্দন’। শেষ দিনের বিশেষ আকর্ষণ ব্যান্ডসংগীতের পরিবেশনার মধ্য দিয়েই বৃহৎ এই উৎসবের সমাপ্তি ঘটে। শেষ দিনের শেষ পরিবেশনা হিসেবে ‘স্পন্দন’ ব্যান্ডদল মঞ্চে আসার পর উন্মুক্ত প্রাঙ্গণে আগত দর্শক শ্রোতাদের মাঝে উদ্দামতার ঢেউ উঠে। মঞ্চ থেকে সুরের মূর্চ্ছনা ছড়াচ্ছিলেন ব্যান্ডশিল্পীরা। আর সেই সুরের সঙ্গে উদ্দাম নৃত্যে নিজেদের আনন্দের বহিঃপ্রকাশ ঘটিয়েছিলেন সংস্কৃতি অনুরাগী দর্শক- শ্রোতারা। আসরের শেষ দিনে শিল্পীদের বৈচিত্র্যময় পরিবেশনায় কখনও পিনপতন নীরবতায় ধ্যানমগ্ন ছিলেন শিল্পানুরাগীরা আবার কখনও পাগলকরা সুর ও নাচে প্রাণের উচ্ছ্বাসে নেচে গেয়ে আনন্দে আত্মহারা হয়ে পড়েছিল সৈকতে আগত দর্শক শ্রোতারা।
গত ২৪ জানুয়ারি কক্সবাজারের লাবনী পয়েন্টে দুই দিনের এই সৈকত সাংস্কৃতিক উৎসবের উদ্বোধন করেন বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকী।
শিল্পকলা একাডেমির আয়োজিত এ উৎসবের সহযোগিতায় ছিল কক্সবাজার জেলা প্রশাসন। ঢাকা চট্টগ্রাম, কক্সবাজার ও বান্দরবানের শিল্পীদের পাশাপাশি ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর শিল্পীরাসহ দুইদিনের এই উৎসবে অংশ নেয় প্রায় পাঁচ শতাধিক শিল্পী।
রবিবার, ২৬ জানুয়ারী ২০২০ , ১২ মাঘ ১৪২৬, ২৯ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪১
কক্সবাজার থেকে নিথর মাহবুব ও নীহার আহমেদ
সুরের মূর্চ্ছনার সঙ্গে নাচের মুদ্রার ঝলকানি সেই সঙ্গে অ্যাক্রোবেটিকের চমকপ্রদ উপস্থাপন ইত্যাদি নানা বর্ণাঢ্য আয়োজনের মধ্য দিয়ে গতকাল কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে শেষ হয়েছে দুই দিনব্যাপী ‘সৈকত সংস্কৃতি উৎসব ২০২০’।
সমাপনী আসরের শুরুতেই অ্যাক্রোবেটিক পরিবেশন করে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির শিল্পীরা। পাইপ ব্যালেন্স, দিয়ারো ব্যালেন্স ও রোপ রাইডের অনন্য পরিবেশনার সঙ্গে শারীরিক কসরতে পুরো লাবনী পয়েন্টকে চমকপ্রদ করে তোলে শিল্পীরা। এরপরে ভিন্ন ভিন্ন পরিবেশনায় রোলার ব্যালেন্স ও মার্শাল আর্ট, হাই সাইকেল, রিং ড্যান্স, ব্ল্যাঙ্কেট ব্যালেন্স ও গ্রুপ সাইকেলের নান্দনিক উপস্থাপনায় সৈকতে আগতদের বিমোহিত করে তোলে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির অ্যাক্রোবেটিক দল। এদিনের আয়োজনে সমবেত নৃত্য পরিবেশন করে ঢাকা, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার ও বান্দরবানের শিল্পীরা। সেই সঙ্গে ক্ষুদ্র- নৃ-গোষ্ঠীর শিল্পীরা নাচ ও গানের মাধ্যমে তাদের নিজস্ব কৃষ্টি ও সংস্কৃতি তুলে ধরে আসরের শেষ দিনেও দ্যুতি ছড়ায়। কক্সবাজারের স্থানীয় শিল্পীরা সমবেতভাবে পরিবেশন করে ‘হাইল্যার গান,’। ‘দুঃখিনী বাংলা’ ও ‘বুকের ভেতর আকাশ’ গান দুটির কথায় দলীয়নৃত্য পরিবেশন করে জাতীয় পর্যায়ের শিল্পীরা। চার জেলার শিল্পীদের সমবেত নৃত্য ও সমবেত গানের সঙ্গে এদিনের আসরে একক গান গেয়ে শোনান শিল্পকলা একাডেমির নিয়মিত শিল্পী সেতু, রূপসা, সুচিত্রা প্রমুখ। একক গান, সমবেত গান, সমবেত নৃত্য, অ্যাক্রোবেটিক ও বাউল গানের রেশ কাটতে না কাটতেই মঞ্চে আসে দেশের প্রথম ব্যান্ডদল ‘স্পন্দন’। শেষ দিনের বিশেষ আকর্ষণ ব্যান্ডসংগীতের পরিবেশনার মধ্য দিয়েই বৃহৎ এই উৎসবের সমাপ্তি ঘটে। শেষ দিনের শেষ পরিবেশনা হিসেবে ‘স্পন্দন’ ব্যান্ডদল মঞ্চে আসার পর উন্মুক্ত প্রাঙ্গণে আগত দর্শক শ্রোতাদের মাঝে উদ্দামতার ঢেউ উঠে। মঞ্চ থেকে সুরের মূর্চ্ছনা ছড়াচ্ছিলেন ব্যান্ডশিল্পীরা। আর সেই সুরের সঙ্গে উদ্দাম নৃত্যে নিজেদের আনন্দের বহিঃপ্রকাশ ঘটিয়েছিলেন সংস্কৃতি অনুরাগী দর্শক- শ্রোতারা। আসরের শেষ দিনে শিল্পীদের বৈচিত্র্যময় পরিবেশনায় কখনও পিনপতন নীরবতায় ধ্যানমগ্ন ছিলেন শিল্পানুরাগীরা আবার কখনও পাগলকরা সুর ও নাচে প্রাণের উচ্ছ্বাসে নেচে গেয়ে আনন্দে আত্মহারা হয়ে পড়েছিল সৈকতে আগত দর্শক শ্রোতারা।
গত ২৪ জানুয়ারি কক্সবাজারের লাবনী পয়েন্টে দুই দিনের এই সৈকত সাংস্কৃতিক উৎসবের উদ্বোধন করেন বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকী।
শিল্পকলা একাডেমির আয়োজিত এ উৎসবের সহযোগিতায় ছিল কক্সবাজার জেলা প্রশাসন। ঢাকা চট্টগ্রাম, কক্সবাজার ও বান্দরবানের শিল্পীদের পাশাপাশি ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর শিল্পীরাসহ দুইদিনের এই উৎসবে অংশ নেয় প্রায় পাঁচ শতাধিক শিল্পী।