পাবলিক প্রকিউরমেন্ট প্রক্রিয়া পুনর্মূল্যায়নের সময় এসেছে দুদক চেয়ারম্যান

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ বলেছেন, দেশের পাবলিক প্রকিউরমেন্ট প্রক্রিয়া পুনর্মূল্যায়ন করার সময় এসেছে। কারণ কমিশন যে সব ই-গভর্নমেন্ট প্রকিউরমেন্ট (ই-জিপি) সংক্রান্ত দুর্নীতি তদন্ত করছে, তাতে দেখা যাচ্ছে এই প্রক্রিয়াকে কতিপয় ব্যক্তি ম্যানুপুলেট (বিকৃত) করে সরকারি ক্রয় প্রক্রিয়াকেই বিতর্কিত করছে। গতকাল দুর্নীতি দমন কমিশনের প্রধান কার্যালয়ে ইউনাইটেড ন্যাশনস অফিস অন ড্রাগস অ্যান্ড ক্রাইম এর একটি প্রতিনিধি দল দুর্নীতি কমিশনের চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ-এর সঙ্গে বিভিন্ন আলোচনা কালে তিনি এসব কথা বলেন।

দুদক চেয়ারম্যান বলেন, অপরাধীরা সুকৌশলে ইজিপি প্রক্রিয়াকে কাজে লাগিয়ে অপরাধ করছে। এসব অপরাধীদের কারণেই একই ঠিকাদর অধিকাংশ সরকারি কাজ পাচ্ছে। ইতোমধ্যেই ই-জিপি প্রক্রিয়ায় এ জাতীয় দুর্নীতিতে জড়িত বেশ কিছু সরকারি কর্মকর্তা ও ঠিকাদারকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অনেকের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। অনেকের বিরুদ্ধে তদন্ত চলছে। তাদের জ্ঞিাসাবাদেও বিভিন্ন অনিয়ম-দুর্নীতির তথ্য পাওয়া যাচ্ছে। তাই পাবলিক প্রকিউরমেন্ট প্রক্রিয়ায় দেশের স্বার্থেই এর ফাঁক-ফোঁকড় বন্ধ করা সমীচীন। এ ক্ষেত্রে ইউনাইটেড ন্যাশনস অফিস অন ড্রাগস অ্যান্ড ক্রাইমের সহযোগিতা চেয়ে দুদক চেয়ারম্যান বলেন, এসব নীতিমালা প্রণয়নে আন্তর্জাতিক উত্তম চর্চাসমূহকে কিভাবে সংযোজন করা যায়, যাতে পদ্ধতিগতভাবেই দুর্নীতির সুযোগ রুদ্ধ হয়ে যায় - এ বিষয়ে আপনারাও জ্ঞানভিত্তিক সহযোগিতা করতে পারেন। দুদক চেয়ারম্যান বলেন, ২০১৬ সালে আমরা কমিশনের দায়িত্ব নিয়েই জার্মান উন্নয়ন সহযোগী সংস্থা জিআইজেড-এর সহযোগিতায় পাঁচ বছর মেয়াদি একটি কর্মকৌশল প্রণয়ন করি (২০১৭-২০২১) । ২০২১ সালেই এ কর্মপরিকল্পনার মেয়াদ শেষ হয়ে যাবে। তাই আগামী বছরেই কমিশনের নতুন কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন করা হবে। এক্ষেত্রে ইউনাইটেড ন্যাশনস অফিস অন ড্রাগস অ্যান্ড ক্রাইমের সহযোগিতার সুযোগ রয়েছে। তিনি বলেন দুর্নীতি প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণে সৃজনশীল এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করা হবে।

ইউনাইটেড ন্যাশনস অফিস অন ড্রাগস অ্যান্ড ক্রাইম এর প্রোগ্রাম ম্যানেজমেন্ট অফিসার ডেনিলো রিজ্জি বলেন, ইউনাইটেড ন্যাশনস অফিস অন ড্রাগস অ্যান্ড ক্রাইম একটি জ্ঞানভিত্তিক অফিস। এর বিশাল জ্ঞান ভাণ্ডার রয়েছে। এর মাধ্যমে কমিশনকে সহযোগিতা করা হচ্ছে। ইউনাইটেড ন্যাশনস অফিস অন ড্রাগস অ্যান্ড ক্রাইম (ইউএনও-ডিসি) ও দুদক পারস্পরিক সহযোগিতার মাধ্যমে এসব ইস্যুতে কাজ করতে পারে। এ সময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন দুদকের প্রশিক্ষণ ও আইসিটি অনুবিভাগের মহাপরিচালক একেএম সোহেল ।

আরও খবর
সাধারণ জনগণের উন্নতি দেশের উন্নয়নের পূর্বশর্ত : প্রধানমন্ত্রী
জলবায়ু ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোর উন্নয়ন ধারা অব্যাহত রাখতে সম্মিলিত উদ্যোগ নিতে হবে রাষ্ট্রপতি
বিএনপি চোরাপথে ক্ষমতায় আসার ষড়যন্ত্র করছে কাদের
ভারতীয় হাইকমিশনের ঢাকায় ৭১তম প্রজাতন্ত্র দিবস উদযাপন
নির্মাণাধীন দেয়াল ধসে শিশুসহ নিহত ২
এপ্রিল থেকে ব্যাংক সুদের হার সিঙ্গেল ডিজিটে নামিয়ে আনা হবে বাণিজ্যমন্ত্রী
প্রতিবন্ধী ব্যক্তির তথ্য-উপাত্ত ব্যবহার নীতিমালা ২০২০-এর খসড়া চূড়ান্ত
ই-পাসপোর্টের জন্য তিন দিনে দু’হাজার আবেদন
ব্যবসায়ী মোমতাহিদুরকে জিজ্ঞাসাবাদ
শত কোটি টাকার মালিক পাগলা মিজান
সংবাদপত্রের ওয়েজবোর্ড নিয়ে রুল নিষ্পত্তির নির্দেশ
‘মহাকবি মধুসূদন পদক’ পেলেন কবি অনীক মাহমুদ
প্রদর্শনীসহ ৪টি কর্মশালা আজ
ওয়াহিদুল হকের প্রয়াণ দিবস আজ
অপহৃত আইনজীবীর ছেলে-শ্যালক উদ্ধার
পুলিশ-পাথর শ্রমিক সংঘর্ষ নিহত ১

সোমবার, ২৭ জানুয়ারী ২০২০ , ১৩ মাঘ ১৪২৬, ১ জমাদিউস সানি ১৪৪১

পাবলিক প্রকিউরমেন্ট প্রক্রিয়া পুনর্মূল্যায়নের সময় এসেছে দুদক চেয়ারম্যান

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক |

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ বলেছেন, দেশের পাবলিক প্রকিউরমেন্ট প্রক্রিয়া পুনর্মূল্যায়ন করার সময় এসেছে। কারণ কমিশন যে সব ই-গভর্নমেন্ট প্রকিউরমেন্ট (ই-জিপি) সংক্রান্ত দুর্নীতি তদন্ত করছে, তাতে দেখা যাচ্ছে এই প্রক্রিয়াকে কতিপয় ব্যক্তি ম্যানুপুলেট (বিকৃত) করে সরকারি ক্রয় প্রক্রিয়াকেই বিতর্কিত করছে। গতকাল দুর্নীতি দমন কমিশনের প্রধান কার্যালয়ে ইউনাইটেড ন্যাশনস অফিস অন ড্রাগস অ্যান্ড ক্রাইম এর একটি প্রতিনিধি দল দুর্নীতি কমিশনের চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ-এর সঙ্গে বিভিন্ন আলোচনা কালে তিনি এসব কথা বলেন।

দুদক চেয়ারম্যান বলেন, অপরাধীরা সুকৌশলে ইজিপি প্রক্রিয়াকে কাজে লাগিয়ে অপরাধ করছে। এসব অপরাধীদের কারণেই একই ঠিকাদর অধিকাংশ সরকারি কাজ পাচ্ছে। ইতোমধ্যেই ই-জিপি প্রক্রিয়ায় এ জাতীয় দুর্নীতিতে জড়িত বেশ কিছু সরকারি কর্মকর্তা ও ঠিকাদারকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অনেকের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। অনেকের বিরুদ্ধে তদন্ত চলছে। তাদের জ্ঞিাসাবাদেও বিভিন্ন অনিয়ম-দুর্নীতির তথ্য পাওয়া যাচ্ছে। তাই পাবলিক প্রকিউরমেন্ট প্রক্রিয়ায় দেশের স্বার্থেই এর ফাঁক-ফোঁকড় বন্ধ করা সমীচীন। এ ক্ষেত্রে ইউনাইটেড ন্যাশনস অফিস অন ড্রাগস অ্যান্ড ক্রাইমের সহযোগিতা চেয়ে দুদক চেয়ারম্যান বলেন, এসব নীতিমালা প্রণয়নে আন্তর্জাতিক উত্তম চর্চাসমূহকে কিভাবে সংযোজন করা যায়, যাতে পদ্ধতিগতভাবেই দুর্নীতির সুযোগ রুদ্ধ হয়ে যায় - এ বিষয়ে আপনারাও জ্ঞানভিত্তিক সহযোগিতা করতে পারেন। দুদক চেয়ারম্যান বলেন, ২০১৬ সালে আমরা কমিশনের দায়িত্ব নিয়েই জার্মান উন্নয়ন সহযোগী সংস্থা জিআইজেড-এর সহযোগিতায় পাঁচ বছর মেয়াদি একটি কর্মকৌশল প্রণয়ন করি (২০১৭-২০২১) । ২০২১ সালেই এ কর্মপরিকল্পনার মেয়াদ শেষ হয়ে যাবে। তাই আগামী বছরেই কমিশনের নতুন কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন করা হবে। এক্ষেত্রে ইউনাইটেড ন্যাশনস অফিস অন ড্রাগস অ্যান্ড ক্রাইমের সহযোগিতার সুযোগ রয়েছে। তিনি বলেন দুর্নীতি প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণে সৃজনশীল এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করা হবে।

ইউনাইটেড ন্যাশনস অফিস অন ড্রাগস অ্যান্ড ক্রাইম এর প্রোগ্রাম ম্যানেজমেন্ট অফিসার ডেনিলো রিজ্জি বলেন, ইউনাইটেড ন্যাশনস অফিস অন ড্রাগস অ্যান্ড ক্রাইম একটি জ্ঞানভিত্তিক অফিস। এর বিশাল জ্ঞান ভাণ্ডার রয়েছে। এর মাধ্যমে কমিশনকে সহযোগিতা করা হচ্ছে। ইউনাইটেড ন্যাশনস অফিস অন ড্রাগস অ্যান্ড ক্রাইম (ইউএনও-ডিসি) ও দুদক পারস্পরিক সহযোগিতার মাধ্যমে এসব ইস্যুতে কাজ করতে পারে। এ সময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন দুদকের প্রশিক্ষণ ও আইসিটি অনুবিভাগের মহাপরিচালক একেএম সোহেল ।