প্রতিবন্ধীদের প্রয়োজনীয় তথ্য সহজে পাওয়ার জন্য ‘প্রতিবন্ধী ব্যক্তির তথ্য-উপাত্ত ব্যবহার নীতিমালা-২০২০’-এর খসড়া চূড়ান্ত করেছে সরকার। গতকাল সচিবালয়ে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ে এক আন্তঃমন্ত্রণালয় সভায় এই নীতিমালা চূড়ান্ত করা হয়। সমাজকল্যাণমন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদের সভাপতিত্বে সভায় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রণালয়ের সচিব মোহাম্মদ জয়নুল বারী ও সমাজসেবা অধিদফতরের মহাপরিচালক শেখ রফিকুল ইসলামসহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
সভায় জানানো হয়, এর আগেও খসড়াটি প্রণয়নে একাধিক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এসব সভায় ১১টি মন্ত্রণালয়ের অভিমত নেয়া হয়েছে। নীতিমালার পটভূমিতে বলা হয়েছে, এদেশের সংবিধানে বর্ণিত ‘সবার সমানাধিকার, মানবসত্তার মর্যাদা, মৌলিক মানবাধিকার ও সামাজিক সাম্যপ্রতিষ্ঠার অঙ্গীকার’ ও ‘ইউনাইটেড ন্যাশনস কনভেনশন অন দ্য রাইট অব দ্য পারসনস উইথ ডিজাবিলিটিস’-এর অনুসমর্থন বাস্তবায়নে প্রতিবন্ধী জনগোষ্ঠীর জীবনমানের উন্নয়ন এবং সার্বিক কল্যাণের লক্ষ্যে ‘প্রতিবন্ধী ব্যক্তির অধিকার ও সুরক্ষা আইন-২০১৩’ প্রণীত হয়েছে। এ আইনের ৩১ (১) ধারামতে প্রতিবন্ধীদের নিবন্ধন ও পরিচয়পত্র দেয়ার নির্দেশনা থাকায় ২০১৩ সাল থেকে সব প্রতিবন্ধীর তথ্য ও উপাত্ত সংগ্রহের জন্য নিয়মিতভাবে ‘প্রতিবন্ধিতা শনাক্তকরণ জরিপ কর্মসূচি’ পরিচালনা করা হচ্ছে। প্রতিবন্ধীদের তথ্য সংগ্রহের জন্য ওয়েবসাইট অ্যাপ্লিকেশনসহ ‘ডিজেবিলিটি ইনফরমেশন সিস্টেম (ডিআইএস)’-এর আওতায় একটি ওয়েবসাইট www.dis.gov.bd) চালু করা হয়েছে, যা প্রতিনিয়ত হালনাগাদ করা হচ্ছে। বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি কর্তৃপক্ষ ও সংস্থাও এই প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের তথ্যভাণ্ডার ব্যবহার করছে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে একটি তথ্য-উপাত্ত ব্যবহার নীতিমালার প্রয়োজনীয়তা জরুরি হয়ে পড়ে। এছাড়া, প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের ছবিসহ তথ্যসংবলিত তথ্যভাণ্ডার প্রস্তুত করে যাবতীয় তথ্য সব প্রশাসনিক মন্ত্রণালয়ের ব্যবহার উপযোগীকরণ ‘প্রতিবন্ধিতা শনাক্তকরণ জরিপ কর্মসূচির অন্যতম উদ্দেশ্য। এ উদ্দেশ্য পূরণের লক্ষ্যে তথ্য-উপাত্ত ব্যবহারের পথ সুগম করার জন্যই এই নীতিমালা প্রণয়ন করা হলো। ৬টি অনুচ্ছেদ সংবলিত এ নীতিমালাটি কার্যকর হলে প্রতিবন্ধীদের প্রতি প্রধানমন্ত্রীর সহমর্মিতার আরেক ধাপ অগ্রগতি হবে। সরকারি-বেসরকারি সংস্থা ও ব্যক্তির পক্ষে প্রতিবন্ধীদের প্রয়োজনীয় তথ্য-উপাত্ত পাওয়াও সহজ হবে বলে সমাজকল্যাণমন্ত্রী আশা প্রকাশ করেন।
সোমবার, ২৭ জানুয়ারী ২০২০ , ১৩ মাঘ ১৪২৬, ১ জমাদিউস সানি ১৪৪১
নিজস্ব বার্তা পরিবেশক |
প্রতিবন্ধীদের প্রয়োজনীয় তথ্য সহজে পাওয়ার জন্য ‘প্রতিবন্ধী ব্যক্তির তথ্য-উপাত্ত ব্যবহার নীতিমালা-২০২০’-এর খসড়া চূড়ান্ত করেছে সরকার। গতকাল সচিবালয়ে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ে এক আন্তঃমন্ত্রণালয় সভায় এই নীতিমালা চূড়ান্ত করা হয়। সমাজকল্যাণমন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদের সভাপতিত্বে সভায় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রণালয়ের সচিব মোহাম্মদ জয়নুল বারী ও সমাজসেবা অধিদফতরের মহাপরিচালক শেখ রফিকুল ইসলামসহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
সভায় জানানো হয়, এর আগেও খসড়াটি প্রণয়নে একাধিক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এসব সভায় ১১টি মন্ত্রণালয়ের অভিমত নেয়া হয়েছে। নীতিমালার পটভূমিতে বলা হয়েছে, এদেশের সংবিধানে বর্ণিত ‘সবার সমানাধিকার, মানবসত্তার মর্যাদা, মৌলিক মানবাধিকার ও সামাজিক সাম্যপ্রতিষ্ঠার অঙ্গীকার’ ও ‘ইউনাইটেড ন্যাশনস কনভেনশন অন দ্য রাইট অব দ্য পারসনস উইথ ডিজাবিলিটিস’-এর অনুসমর্থন বাস্তবায়নে প্রতিবন্ধী জনগোষ্ঠীর জীবনমানের উন্নয়ন এবং সার্বিক কল্যাণের লক্ষ্যে ‘প্রতিবন্ধী ব্যক্তির অধিকার ও সুরক্ষা আইন-২০১৩’ প্রণীত হয়েছে। এ আইনের ৩১ (১) ধারামতে প্রতিবন্ধীদের নিবন্ধন ও পরিচয়পত্র দেয়ার নির্দেশনা থাকায় ২০১৩ সাল থেকে সব প্রতিবন্ধীর তথ্য ও উপাত্ত সংগ্রহের জন্য নিয়মিতভাবে ‘প্রতিবন্ধিতা শনাক্তকরণ জরিপ কর্মসূচি’ পরিচালনা করা হচ্ছে। প্রতিবন্ধীদের তথ্য সংগ্রহের জন্য ওয়েবসাইট অ্যাপ্লিকেশনসহ ‘ডিজেবিলিটি ইনফরমেশন সিস্টেম (ডিআইএস)’-এর আওতায় একটি ওয়েবসাইট www.dis.gov.bd) চালু করা হয়েছে, যা প্রতিনিয়ত হালনাগাদ করা হচ্ছে। বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি কর্তৃপক্ষ ও সংস্থাও এই প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের তথ্যভাণ্ডার ব্যবহার করছে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে একটি তথ্য-উপাত্ত ব্যবহার নীতিমালার প্রয়োজনীয়তা জরুরি হয়ে পড়ে। এছাড়া, প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের ছবিসহ তথ্যসংবলিত তথ্যভাণ্ডার প্রস্তুত করে যাবতীয় তথ্য সব প্রশাসনিক মন্ত্রণালয়ের ব্যবহার উপযোগীকরণ ‘প্রতিবন্ধিতা শনাক্তকরণ জরিপ কর্মসূচির অন্যতম উদ্দেশ্য। এ উদ্দেশ্য পূরণের লক্ষ্যে তথ্য-উপাত্ত ব্যবহারের পথ সুগম করার জন্যই এই নীতিমালা প্রণয়ন করা হলো। ৬টি অনুচ্ছেদ সংবলিত এ নীতিমালাটি কার্যকর হলে প্রতিবন্ধীদের প্রতি প্রধানমন্ত্রীর সহমর্মিতার আরেক ধাপ অগ্রগতি হবে। সরকারি-বেসরকারি সংস্থা ও ব্যক্তির পক্ষে প্রতিবন্ধীদের প্রয়োজনীয় তথ্য-উপাত্ত পাওয়াও সহজ হবে বলে সমাজকল্যাণমন্ত্রী আশা প্রকাশ করেন।