আহত অর্ধশতাধিক
মাটি খনন করে পাথর উত্তোলনের দাবিতে গতকাল সকাল থেকে পঞ্চগড়-বাংলাবান্ধা মহাসড়কে অঘোষিত হরতালের ডাক দেয় পাথর শ্রমিকরা। এ সময় পাথর শ্রমিকদেও সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষে জমির আলী (৫৫) নামে এক শ্রমিক নিহতসহ বেশ কয়েকজন শ্রমিক আহত হয়। পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া উপজেলার ভজনপুরে মাটি খনন করে পাথর উত্তোলন করার দাবিতে পাথর শ্রমিকরা সড়ক অবরোধে করে প্রায় ৫ ঘণ্টা বিক্ষোভ করছে, এতে পুলিশ ও শ্রমিকের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ায় পুলিশ ছত্র ভঙ্গ করতে রাবার বুলেট ও টিয়ার সেল নিক্ষেপ করে। এতে পুলিশসহ প্রায় অর্ধশতাধিক আহত হয়। তবে এখন পর্যন্ত এলাকার পরিস্থিতি থমথমে বিরাজ করছে।
গতকাল সকাল সাড়ে ৯টায় ভজনপুর বাংলাবান্ধা এলাকায় এ ঘটনাটি ঘটে। এ সময় পুলিশ ও স্থানীয় জনতার মধ্যে সংঘর্ষের সময় পুলিশের গাড়ি ভাঙচুর করা হয়েছে। পরিস্থিতি বেগতিক দেখে তাৎক্ষণিক ৩ রাউন্ড টিয়ার সেল ও ৮ রাউন্ড রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে। পরে ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশসহ র্যাব ও বিজিবি পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
পাথর উত্তোলন পুনরায় চালুর দাবিতে রোববার হরতাল পালন করা হয়। এ বিষয়ে দিনভর পাথর উত্তোলন সংশ্লিষ্ট সব সংগঠন ও নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে কেউ প্রকাশ্যে এটিকে সমর্থন করেনি। তবে গত শনিবার উপজেলার ভজনপুর বাজারে ঢোল পিটিয়ে অঘোষিতভাবে এই হরতাল পালনের আহবান করা হয়। তবে ঘোষণার নেতৃত্বে কে ছিল তা জানা যায়নি। স্থানীয় এক শ্রমিক বাজারেও রাতে ঢোল পিটিয়ে সবাইকে দোকানপাট বন্ধ রেখে রাস্তায় নেমে আসার আহ্বান জানায়।
সকাল ৯টা থেকে দুপুর পর্যন্ত পঞ্চগড়-তেঁতুলিয়া মহাসড়কের ভজনপুর এলাকায় অঘোষিতভাবে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করে মাটি কাটা ও পাথর উত্তোলনকারী শ্রমিকরা। এ সময় বিক্ষোভকারীরা পুলিশের ২টি গাড়ি ও র্যাবের ১টি গাড়ি ভাঙচুর করলে তাদের ছত্র ভঙ্গ করতে পুলিশ রাবার বুলেট ও টিয়ার সেল নিক্ষেপ করে। এতে করে প্রায় ৫ ঘণ্টা উত্তাপ বিরাজ করে পুরো উপজেলায়। সকাল থেকেই ভজনপুর এলাকার সব ধরনের দোকানপাট ও যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকে।
পঞ্চগড় পুলিশ সুপার মোহাম্মদ ইউসুফ আলী জানান, বিক্ষোভের সংবাদ পেয়ে ভজনপুর এলাকায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছিল। বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা পুলিশের উপর ইট, পাটকেল নিক্ষেপ করতে থাকলে পুলিশ আত্মরক্ষার্থে ও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে টিয়ার সেল ও রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে জনতাকে ছত্রভঙ্গ করে দেয়। এ সময় বিক্ষোভকারীদের হামলায় ১০/১২ জন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছে।
সোমবার, ২৭ জানুয়ারী ২০২০ , ১৩ মাঘ ১৪২৬, ১ জমাদিউস সানি ১৪৪১
আহত অর্ধশতাধিক
প্রতিনিধি, তেঁতুলিয়া (পঞ্চগড়)
মাটি খনন করে পাথর উত্তোলনের দাবিতে গতকাল সকাল থেকে পঞ্চগড়-বাংলাবান্ধা মহাসড়কে অঘোষিত হরতালের ডাক দেয় পাথর শ্রমিকরা। এ সময় পাথর শ্রমিকদেও সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষে জমির আলী (৫৫) নামে এক শ্রমিক নিহতসহ বেশ কয়েকজন শ্রমিক আহত হয়। পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া উপজেলার ভজনপুরে মাটি খনন করে পাথর উত্তোলন করার দাবিতে পাথর শ্রমিকরা সড়ক অবরোধে করে প্রায় ৫ ঘণ্টা বিক্ষোভ করছে, এতে পুলিশ ও শ্রমিকের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ায় পুলিশ ছত্র ভঙ্গ করতে রাবার বুলেট ও টিয়ার সেল নিক্ষেপ করে। এতে পুলিশসহ প্রায় অর্ধশতাধিক আহত হয়। তবে এখন পর্যন্ত এলাকার পরিস্থিতি থমথমে বিরাজ করছে।
গতকাল সকাল সাড়ে ৯টায় ভজনপুর বাংলাবান্ধা এলাকায় এ ঘটনাটি ঘটে। এ সময় পুলিশ ও স্থানীয় জনতার মধ্যে সংঘর্ষের সময় পুলিশের গাড়ি ভাঙচুর করা হয়েছে। পরিস্থিতি বেগতিক দেখে তাৎক্ষণিক ৩ রাউন্ড টিয়ার সেল ও ৮ রাউন্ড রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে। পরে ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশসহ র্যাব ও বিজিবি পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
পাথর উত্তোলন পুনরায় চালুর দাবিতে রোববার হরতাল পালন করা হয়। এ বিষয়ে দিনভর পাথর উত্তোলন সংশ্লিষ্ট সব সংগঠন ও নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে কেউ প্রকাশ্যে এটিকে সমর্থন করেনি। তবে গত শনিবার উপজেলার ভজনপুর বাজারে ঢোল পিটিয়ে অঘোষিতভাবে এই হরতাল পালনের আহবান করা হয়। তবে ঘোষণার নেতৃত্বে কে ছিল তা জানা যায়নি। স্থানীয় এক শ্রমিক বাজারেও রাতে ঢোল পিটিয়ে সবাইকে দোকানপাট বন্ধ রেখে রাস্তায় নেমে আসার আহ্বান জানায়।
সকাল ৯টা থেকে দুপুর পর্যন্ত পঞ্চগড়-তেঁতুলিয়া মহাসড়কের ভজনপুর এলাকায় অঘোষিতভাবে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করে মাটি কাটা ও পাথর উত্তোলনকারী শ্রমিকরা। এ সময় বিক্ষোভকারীরা পুলিশের ২টি গাড়ি ও র্যাবের ১টি গাড়ি ভাঙচুর করলে তাদের ছত্র ভঙ্গ করতে পুলিশ রাবার বুলেট ও টিয়ার সেল নিক্ষেপ করে। এতে করে প্রায় ৫ ঘণ্টা উত্তাপ বিরাজ করে পুরো উপজেলায়। সকাল থেকেই ভজনপুর এলাকার সব ধরনের দোকানপাট ও যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকে।
পঞ্চগড় পুলিশ সুপার মোহাম্মদ ইউসুফ আলী জানান, বিক্ষোভের সংবাদ পেয়ে ভজনপুর এলাকায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছিল। বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা পুলিশের উপর ইট, পাটকেল নিক্ষেপ করতে থাকলে পুলিশ আত্মরক্ষার্থে ও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে টিয়ার সেল ও রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে জনতাকে ছত্রভঙ্গ করে দেয়। এ সময় বিক্ষোভকারীদের হামলায় ১০/১২ জন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছে।