ওয়েবসাইটে ফাইন্যান্স কোম্পানি আইনের খসড়া

তিন মেয়াদের বেশি পরিচালক থাকতে পারবে না

আর্থিক প্রতিষ্ঠানে কোন পরিচালক টানা তিন মেয়াদের বেশি থাকতে পারবেন না। তবে টানা তিন মেয়াদে পরিচালক পদে থাকলে তৃতীয় মেয়াদ শেষ হওয়ার পরবর্তী তিন বছর পরে ফের ওই কোম্পানির পরিচালক হতে পারবেন। এমন বিধান রেখে ফাইনান্স কোম্পানি আইনের খসড়া চূড়ান্ত করেছে অর্থ মন্ত্রণালয়। ইতোমধ্যে ফাইনান্স কোম্পানি আইন ২০২০-এর খসড়া অর্থ মন্ত্রণালয়ের ওয়েব সাইটে প্রকাশ করা হয়েছে। সংশ্লিষ্টদের মতামতের পর আইনটি চূড়ান্তভাবে প্রণয়ন করা হবে।

খসড়ায় বলা হয়েছে ‘যাহা কিছু থাকুক না কেন এ আইন কার্যকরের অব্যাহতি পূর্বে কোন ব্যক্তি একাধিকবার তিন মেয়াদে বা নয় বছরের অধিক পরিচালক পদে অধিষ্ঠিত থাকলে এ আইন কার্যকর হওয়ার তিন বছর অতিক্রান্ত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তার পরিচালক পদ শূন্য হবে’।

নতুন বিধানে আরও অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে যে, আর্থিক প্রতিষ্ঠানে ন্যূনতম তিনজন স্বতন্ত্র পরিচালকসহ যে কোন ফাইনান্স কোম্পানির পরিচালকের সংখ্যা ১৫ জনের বেশি হবে। নতুন আইনে বিনিয়োগের সীমা প্রসঙ্গে বলা হয়, প্রত্যেক ফাইনান্স কোম্পানি পুঁজিবাজারে বিনিয়োগসীমা সমষ্টিগতভাবে প্রতিষ্ঠানের পরিশোধিত মূলধন বা রিজার্ভের ২৫ শতাংশের বেশি হবে না। তবে শর্ত হচ্ছে আর্থিক প্রতিষ্ঠানের আবেদনের সাপেক্ষে এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমোদন নিয়ে পরিশোধিত মূলধনের ৫০ শতাংশ পর্যন্ত বিনিয়োগ করতে পারবে।

এ ছাড়া কোন আর্থিক প্রতিষ্ঠান সাবসিডিয়ারি ভিন্ন কোন কোম্পানিতে তার পরিশোধিত মূলধন বা রির্জাভের ৫ শতাংশের বেশি শেয়ার অর্জন বা ধারণ করবে না। তবে শর্ত হচ্ছে এই আইন কার্যকরের পাঁচ বছরের মধ্যে এবং কেন্দ্রীয় ব্যাংকের অনুমোদন নিয়ে আরও তিন বছরের মধ্যে প্রত্যেক কোম্পানি অন্য কোম্পানির অর্জিত শেয়ার বা ধারণকৃত শেয়ার নির্দিষ্ট সীমার মধ্যে নামিয়ে আনবে।

নতুন আইনে আরও বলা আছে, কোন আর্থিক প্রতিষ্ঠান জনস্বার্থ বা আমানতকারীদের স্বার্থ পরিপন্থী পদ্ধতিতে পরিচালনা করা হলে ওই প্রতিষ্ঠানের লাইসেন্স বাতিল, স্থগিত করা হবে। বিশেষ ক্ষেত্রে আর্থিক প্রতিষ্ঠান পুনর্গঠন প্রসঙ্গে আইনে বলা হয়, কোন আর্থিক প্রতিষ্ঠান স্বপ্রণোদিত হয়ে অন্যকোন আর্থিক প্রতিষ্ঠান বা ব্যাংকের সঙ্গে একীভূত হতে চাইলে বা নিজের ব্যবসার কিয়দংশ অন্যকোন ব্যাংক কোম্পানি বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানের কাছে হস্তান্তরের মাধ্যমে বা বিদ্যমান দায়-সম্পদ পুনর্মূল্যায়নের মাধ্যমে পুনর্গঠিত হতে চাইলে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের অনুমোদনক্রমে তা করতে পারবে। তবে আর্থিক প্রতিষ্ঠানে কার্যকলাপ আমানতবারীদের স্বার্থবিরোধী হলে কেন্দ্রীয় ব্যাংক ওই কোম্পানি অবসায়নের জন্য উচ্চ আদালতে আবেদন করতে পারবে।

ইচ্ছাকৃত ঋণখেলাপিরা বিদেশ ভ্রমণ ও রাজনীতিতে নিষিদ্ধ হচ্ছেন

স্বেচ্ছা ঋণখেলাপিদের রাষ্ট্রীয় ও সামাজিকভাবে বয়কট করার উদ্যোগ গ্রহণ করেছে সরকার। তাদের রাজনীতিতে নিষিদ্ধ রাখার পাশাপাশি পেশাজীবী, ব্যবসায়িক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনেও নিষিদ্ধ করা হচ্ছে। শুধু তা-ই নয়, ইচ্ছাকৃত ঋণখেলাপি ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের পরিচালকদের বিদেশ ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা আরোপে উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। এসব বিধান রেখে ফাইনান্স কোম্পানি আইনের খসড়া চূড়ান্ত করেছে অর্থ মন্ত্রণালয়।

খসড়া বিলে বলা হয়েছে, ফাইন্যান্স কোম্পানি খেলাপি বা স্বেচ্ছাকৃত খেলাপি ঋণগ্রহীতা শনাক্তকরণ এবং সিআইবিতে রিপোর্টকরণ-সংক্রান্ত বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক জারিকৃত নির্দেশনা পরিপালন করবে। খেলাপি ঋণগ্রহীতাকে দেউলিয়া ঘোষণা করার লক্ষ্যে ফাইন্যান্স কোম্পানি দেউলিয়া আদালতে আবেদন করবে বা ওই রূপে আবেদন করার জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক সংশ্লিষ্ট ফাইন্যান্স কোম্পানিকে নির্দেশ প্রদান করতে পারবে।

খেলাপি ঋণগ্রহীতার অনুকূলে ফাইন্যান্স কোম্পানি কোনরূপ ঋণ প্রদান করবে না। স্বেচ্ছাকৃত খেলাপি ঋণগ্রহীতাকে তালিকাভুক্তির এক মাসের মধ্যে তার বকেয়া ঋণ আদায়ের জন্য ফাইন্যান্স কোম্পানি আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবে এবং প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রে পরিচালনা পর্ষদের অনুমোদনক্রমে তার বিরুদ্ধে ফৌজদারী মামলা দায়ের করবে।

স্বেচ্ছাকৃত খেলাপি ঋণগ্রহীতাদের তালিকা বাংলাদেশ ব্যাংক সরকারের কাছে প্রেরণপূর্বক তাদের বিদেশ ভ্রমণ, গাড়ি ও বাড়ি রেজিস্ট্রেশন, ট্রেড লাইসেন্স ইস্যু, যৌথমূলধন কোম্পানি ও ফার্মসমূহের পরিদফতর-এর কোম্পানি নিবন্ধনের বিষয়ে নিষেধাজ্ঞা আরোপের প্রয়জনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য অনুরোধ করা হলে সরকার সংশ্লিষ্ট আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।

এতে আরও বলা হয় স্বেচ্ছাকৃত খেলাপি ঋণগ্রহীতা রাষ্ট্রীয় ও সামাজিকভাবে কোন সম্মাননা পাওয়ার বা রাষ্ট্রীয় অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণের যোগ্য বলে বিবেচিত হবে না এবং কোন প্রকার পেশাজীবী, ব্যবসায়িক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক বা ফাইন্যান্স কোম্পানি আইন, ২০১৯ রাজনৈতিক সংগঠন পরিচালনার লক্ষ্যে গঠিত কোন কমিটির, যে নামেই অভিহিত করা হোক না কেন, কোন পদে অধিষ্ঠিত হতে বা আসীন থাকতে পারবে না। প্রস্তাবিত নতুন আইনে ইচ্ছাকৃত ঋণ খেলাপির সংজ্ঞায় বলা হয়েছে যদি কোন ব্যক্তি তার নিজের বা স্বার্থসংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের অনুকূলে প্রদত্ত ঋণ বা ঋণের অংশ বা তার ওপর অর্জিত সুদ বা উহার মুনাফা তাহার সামর্থ্য থাকা সত্ত্বেও বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক জারিকৃত নির্দেশনা অনুযায়ী পরিশোধ না করেন বা তিনি জাল-জালিয়াতি, প্রতারণা ও মিথ্যা তথ্য প্রদানের মাধ্যমে অস্তিত্ববিহীন প্রতিষ্ঠান বা কোম্পানির নামে ঋণ গ্রহণ করেন বা তিনি, যেই উদ্দেশে ঋণ প্রদান করা হয়েছিল সেই উদ্দেশ্য ব্যতীত অন্য কোন উদ্দেশে ওই ঋণ বা ঋণের অংশ ব্যবহার বা স্থানান্তর করেন; বা তিনি ঋণের বিপরীতে প্রদত্ত জামানত ঋণ প্রদানকারী ফাইন্যান্স কোম্পানির অজ্ঞাতসারে হস্তান্তর বা স্থানান্তর করেন।

মঙ্গলবার, ২৮ জানুয়ারী ২০২০ , ১৪ মাঘ ১৪২৬, ২ জমাদিউস সানি ১৪৪১

ওয়েবসাইটে ফাইন্যান্স কোম্পানি আইনের খসড়া

অর্থনৈতিক বার্তা পরিবেশক |

তিন মেয়াদের বেশি পরিচালক থাকতে পারবে না

আর্থিক প্রতিষ্ঠানে কোন পরিচালক টানা তিন মেয়াদের বেশি থাকতে পারবেন না। তবে টানা তিন মেয়াদে পরিচালক পদে থাকলে তৃতীয় মেয়াদ শেষ হওয়ার পরবর্তী তিন বছর পরে ফের ওই কোম্পানির পরিচালক হতে পারবেন। এমন বিধান রেখে ফাইনান্স কোম্পানি আইনের খসড়া চূড়ান্ত করেছে অর্থ মন্ত্রণালয়। ইতোমধ্যে ফাইনান্স কোম্পানি আইন ২০২০-এর খসড়া অর্থ মন্ত্রণালয়ের ওয়েব সাইটে প্রকাশ করা হয়েছে। সংশ্লিষ্টদের মতামতের পর আইনটি চূড়ান্তভাবে প্রণয়ন করা হবে।

খসড়ায় বলা হয়েছে ‘যাহা কিছু থাকুক না কেন এ আইন কার্যকরের অব্যাহতি পূর্বে কোন ব্যক্তি একাধিকবার তিন মেয়াদে বা নয় বছরের অধিক পরিচালক পদে অধিষ্ঠিত থাকলে এ আইন কার্যকর হওয়ার তিন বছর অতিক্রান্ত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তার পরিচালক পদ শূন্য হবে’।

নতুন বিধানে আরও অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে যে, আর্থিক প্রতিষ্ঠানে ন্যূনতম তিনজন স্বতন্ত্র পরিচালকসহ যে কোন ফাইনান্স কোম্পানির পরিচালকের সংখ্যা ১৫ জনের বেশি হবে। নতুন আইনে বিনিয়োগের সীমা প্রসঙ্গে বলা হয়, প্রত্যেক ফাইনান্স কোম্পানি পুঁজিবাজারে বিনিয়োগসীমা সমষ্টিগতভাবে প্রতিষ্ঠানের পরিশোধিত মূলধন বা রিজার্ভের ২৫ শতাংশের বেশি হবে না। তবে শর্ত হচ্ছে আর্থিক প্রতিষ্ঠানের আবেদনের সাপেক্ষে এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমোদন নিয়ে পরিশোধিত মূলধনের ৫০ শতাংশ পর্যন্ত বিনিয়োগ করতে পারবে।

এ ছাড়া কোন আর্থিক প্রতিষ্ঠান সাবসিডিয়ারি ভিন্ন কোন কোম্পানিতে তার পরিশোধিত মূলধন বা রির্জাভের ৫ শতাংশের বেশি শেয়ার অর্জন বা ধারণ করবে না। তবে শর্ত হচ্ছে এই আইন কার্যকরের পাঁচ বছরের মধ্যে এবং কেন্দ্রীয় ব্যাংকের অনুমোদন নিয়ে আরও তিন বছরের মধ্যে প্রত্যেক কোম্পানি অন্য কোম্পানির অর্জিত শেয়ার বা ধারণকৃত শেয়ার নির্দিষ্ট সীমার মধ্যে নামিয়ে আনবে।

নতুন আইনে আরও বলা আছে, কোন আর্থিক প্রতিষ্ঠান জনস্বার্থ বা আমানতকারীদের স্বার্থ পরিপন্থী পদ্ধতিতে পরিচালনা করা হলে ওই প্রতিষ্ঠানের লাইসেন্স বাতিল, স্থগিত করা হবে। বিশেষ ক্ষেত্রে আর্থিক প্রতিষ্ঠান পুনর্গঠন প্রসঙ্গে আইনে বলা হয়, কোন আর্থিক প্রতিষ্ঠান স্বপ্রণোদিত হয়ে অন্যকোন আর্থিক প্রতিষ্ঠান বা ব্যাংকের সঙ্গে একীভূত হতে চাইলে বা নিজের ব্যবসার কিয়দংশ অন্যকোন ব্যাংক কোম্পানি বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানের কাছে হস্তান্তরের মাধ্যমে বা বিদ্যমান দায়-সম্পদ পুনর্মূল্যায়নের মাধ্যমে পুনর্গঠিত হতে চাইলে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের অনুমোদনক্রমে তা করতে পারবে। তবে আর্থিক প্রতিষ্ঠানে কার্যকলাপ আমানতবারীদের স্বার্থবিরোধী হলে কেন্দ্রীয় ব্যাংক ওই কোম্পানি অবসায়নের জন্য উচ্চ আদালতে আবেদন করতে পারবে।

ইচ্ছাকৃত ঋণখেলাপিরা বিদেশ ভ্রমণ ও রাজনীতিতে নিষিদ্ধ হচ্ছেন

স্বেচ্ছা ঋণখেলাপিদের রাষ্ট্রীয় ও সামাজিকভাবে বয়কট করার উদ্যোগ গ্রহণ করেছে সরকার। তাদের রাজনীতিতে নিষিদ্ধ রাখার পাশাপাশি পেশাজীবী, ব্যবসায়িক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনেও নিষিদ্ধ করা হচ্ছে। শুধু তা-ই নয়, ইচ্ছাকৃত ঋণখেলাপি ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের পরিচালকদের বিদেশ ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা আরোপে উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। এসব বিধান রেখে ফাইনান্স কোম্পানি আইনের খসড়া চূড়ান্ত করেছে অর্থ মন্ত্রণালয়।

খসড়া বিলে বলা হয়েছে, ফাইন্যান্স কোম্পানি খেলাপি বা স্বেচ্ছাকৃত খেলাপি ঋণগ্রহীতা শনাক্তকরণ এবং সিআইবিতে রিপোর্টকরণ-সংক্রান্ত বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক জারিকৃত নির্দেশনা পরিপালন করবে। খেলাপি ঋণগ্রহীতাকে দেউলিয়া ঘোষণা করার লক্ষ্যে ফাইন্যান্স কোম্পানি দেউলিয়া আদালতে আবেদন করবে বা ওই রূপে আবেদন করার জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক সংশ্লিষ্ট ফাইন্যান্স কোম্পানিকে নির্দেশ প্রদান করতে পারবে।

খেলাপি ঋণগ্রহীতার অনুকূলে ফাইন্যান্স কোম্পানি কোনরূপ ঋণ প্রদান করবে না। স্বেচ্ছাকৃত খেলাপি ঋণগ্রহীতাকে তালিকাভুক্তির এক মাসের মধ্যে তার বকেয়া ঋণ আদায়ের জন্য ফাইন্যান্স কোম্পানি আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবে এবং প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রে পরিচালনা পর্ষদের অনুমোদনক্রমে তার বিরুদ্ধে ফৌজদারী মামলা দায়ের করবে।

স্বেচ্ছাকৃত খেলাপি ঋণগ্রহীতাদের তালিকা বাংলাদেশ ব্যাংক সরকারের কাছে প্রেরণপূর্বক তাদের বিদেশ ভ্রমণ, গাড়ি ও বাড়ি রেজিস্ট্রেশন, ট্রেড লাইসেন্স ইস্যু, যৌথমূলধন কোম্পানি ও ফার্মসমূহের পরিদফতর-এর কোম্পানি নিবন্ধনের বিষয়ে নিষেধাজ্ঞা আরোপের প্রয়জনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য অনুরোধ করা হলে সরকার সংশ্লিষ্ট আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।

এতে আরও বলা হয় স্বেচ্ছাকৃত খেলাপি ঋণগ্রহীতা রাষ্ট্রীয় ও সামাজিকভাবে কোন সম্মাননা পাওয়ার বা রাষ্ট্রীয় অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণের যোগ্য বলে বিবেচিত হবে না এবং কোন প্রকার পেশাজীবী, ব্যবসায়িক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক বা ফাইন্যান্স কোম্পানি আইন, ২০১৯ রাজনৈতিক সংগঠন পরিচালনার লক্ষ্যে গঠিত কোন কমিটির, যে নামেই অভিহিত করা হোক না কেন, কোন পদে অধিষ্ঠিত হতে বা আসীন থাকতে পারবে না। প্রস্তাবিত নতুন আইনে ইচ্ছাকৃত ঋণ খেলাপির সংজ্ঞায় বলা হয়েছে যদি কোন ব্যক্তি তার নিজের বা স্বার্থসংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের অনুকূলে প্রদত্ত ঋণ বা ঋণের অংশ বা তার ওপর অর্জিত সুদ বা উহার মুনাফা তাহার সামর্থ্য থাকা সত্ত্বেও বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক জারিকৃত নির্দেশনা অনুযায়ী পরিশোধ না করেন বা তিনি জাল-জালিয়াতি, প্রতারণা ও মিথ্যা তথ্য প্রদানের মাধ্যমে অস্তিত্ববিহীন প্রতিষ্ঠান বা কোম্পানির নামে ঋণ গ্রহণ করেন বা তিনি, যেই উদ্দেশে ঋণ প্রদান করা হয়েছিল সেই উদ্দেশ্য ব্যতীত অন্য কোন উদ্দেশে ওই ঋণ বা ঋণের অংশ ব্যবহার বা স্থানান্তর করেন; বা তিনি ঋণের বিপরীতে প্রদত্ত জামানত ঋণ প্রদানকারী ফাইন্যান্স কোম্পানির অজ্ঞাতসারে হস্তান্তর বা স্থানান্তর করেন।