টানা তিন কার্যদিবস ঊর্ধ্বমুখী থাকার পর দেশের শেয়ারবাজারে আবারও মূল্যসূচকের পতন হয়েছে। গতকাল দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) এবং অপর পুঁজিাবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) মূল্যসূচকের পতন হয়েছে। গতকাল ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স কমেছে ৩৫ পয়েন্ট আর সিএসইর সার্বিক সূচক সিএএসপিআই কমেছে ১৩৬ পয়েন্ট। সেই সঙ্গে কমেছে লেনদেনের পরিমাণ। ডিএসইর লেনদেন কমেছে ৬৯ কোটি ৫৬ লাখ টাকা। আর সিএসইতে কমেছে প্রায় আড়াই কোটি টাকা।
বাজার বিশ্লেষণে দেখা যায়, দিনের লেনদেনের শুরু থেকেই শেয়ারবাজারে নিম্নমুখী প্রবণতা দেখা দেয়। লেনদেনের শেষ পর্যন্ত এ প্রবণতা অব্যাহত থাকে। ফলে লেনদেনে অংশ নেয়া বেশির ভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দরপতন হয়। দিনভর ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেয়া ৬৬টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ২৫৫টির। আর দাম অপরিবর্তিত রয়েছে ৩৩টির প্রতিষ্ঠানের। বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের এ দরপতনের ফলে ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স ৩৫ পয়েন্ট কমে ৪ হাজার ৪৯৩ পয়েন্টে নেমে এসেছে। অপর দুই সূচকের মধ্যে ডিএসই-৩০ সূচক ৪ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ৫৪১ পয়েন্টে অবস্থান করছে। আর ডিএসই শরিয়াহ্ সূচক ৩ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ৩১ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। সবক’টি মূল্যসূচকের পতনের পাশাপাশি ডিএসইতে কমেছে লেনদেনের পরিমাণ। দিনভর বাজারটিতে লেনদেন হয়েছে ৪০৪ কোটি ৫৮ লাখ টাকা। যেখানে আগের দিন (রোববার) লেনদেন হয়েছে ৪৭৪ কোটি ১৪ লাখ টাকা। সে হিসেবে লেনদেন কমেছে ৬৯ কোটি ৫৬ লাখ টাকা।
টাকার অঙ্কে ডিএসইতে সব থেকে বেশি লেনদেন হয়েছে লাফার্জ হোলসিমের শেয়ার। কোম্পানিটির ৩৫ কোটি ৮ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। দ্বিতীয় স্থানে থাকা স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালের শেয়ার লেনদেন হয়েছে ১৫ কোটি ৫৪ লাখ টাকার। ১২ কোটি ৫৩ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেনের মাধ্যমে তৃতীয় স্থানে রয়েছে বাংলাদেশ সাবমেরিন কেবলস। এছাড়া লেনদেনের শীর্ষ ১০ কোম্পানির মধ্যে রয়েছে- ব্রিটিশ আমেরিকান টোবাকো, এসকে ট্রিমস, এসএস স্টিল, প্যারামাউন্ট টেক্সটাইল, নিউ লাইন ক্লোথিং, এডিএন টেলিকম এবং খুলনা পাওয়ার কোম্পানি।
দর বৃদ্ধির শীর্ষে প্রধান ১০টি কোম্পানি হলো- বিএসআরএমএল, বিএসআরএম স্টিল, বিআইএফসি, আরএসআরএম স্টিল, ফু-ওয়াং সিরামিক, আজিজ পাইপস, সিলকো ফার্মা, প্রগতি ইন্স্যুরেন্স প্রাইম লাইফ ও শিপাইর্ড ইন্ড্রাস্টিজ। অন্যদিকে দর কমার শীর্ষে প্রধান ১০টি কোম্পানি হলো- আমরা ট্রেক, এলএইচবিএল, পদ্মা অয়েল, রেনেটা, সিনো-বাংলা, স্ট্যান্ডার্ড সিরামিক ও স্ট্যান্ডার্ড ইন্সুরেন্স। দেশের অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ১৩৬ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ১৩ হাজার ৬৫৬ পয়েন্টে। বাজারটিতে লেনদেন হয়েছে ১২ কোটি ৬৩ লাখ টাকা। আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ১৬ কোটি টাকা। সে হিসেবে লেনদেন কমেছে প্রায় আড়াই কোটি টাকা। লেনদেন অংশ নেয়া ২৪৭ প্রতিষ্ঠানের মধ্যে দাম বেড়েছে ৪৮টির, কমেছে ১৭৭টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ২২টির।
মঙ্গলবার, ২৮ জানুয়ারী ২০২০ , ১৪ মাঘ ১৪২৬, ২ জমাদিউস সানি ১৪৪১
অর্থনৈতিক বার্তা পরিবেশক |
টানা তিন কার্যদিবস ঊর্ধ্বমুখী থাকার পর দেশের শেয়ারবাজারে আবারও মূল্যসূচকের পতন হয়েছে। গতকাল দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) এবং অপর পুঁজিাবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) মূল্যসূচকের পতন হয়েছে। গতকাল ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স কমেছে ৩৫ পয়েন্ট আর সিএসইর সার্বিক সূচক সিএএসপিআই কমেছে ১৩৬ পয়েন্ট। সেই সঙ্গে কমেছে লেনদেনের পরিমাণ। ডিএসইর লেনদেন কমেছে ৬৯ কোটি ৫৬ লাখ টাকা। আর সিএসইতে কমেছে প্রায় আড়াই কোটি টাকা।
বাজার বিশ্লেষণে দেখা যায়, দিনের লেনদেনের শুরু থেকেই শেয়ারবাজারে নিম্নমুখী প্রবণতা দেখা দেয়। লেনদেনের শেষ পর্যন্ত এ প্রবণতা অব্যাহত থাকে। ফলে লেনদেনে অংশ নেয়া বেশির ভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দরপতন হয়। দিনভর ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেয়া ৬৬টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ২৫৫টির। আর দাম অপরিবর্তিত রয়েছে ৩৩টির প্রতিষ্ঠানের। বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের এ দরপতনের ফলে ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স ৩৫ পয়েন্ট কমে ৪ হাজার ৪৯৩ পয়েন্টে নেমে এসেছে। অপর দুই সূচকের মধ্যে ডিএসই-৩০ সূচক ৪ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ৫৪১ পয়েন্টে অবস্থান করছে। আর ডিএসই শরিয়াহ্ সূচক ৩ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ৩১ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। সবক’টি মূল্যসূচকের পতনের পাশাপাশি ডিএসইতে কমেছে লেনদেনের পরিমাণ। দিনভর বাজারটিতে লেনদেন হয়েছে ৪০৪ কোটি ৫৮ লাখ টাকা। যেখানে আগের দিন (রোববার) লেনদেন হয়েছে ৪৭৪ কোটি ১৪ লাখ টাকা। সে হিসেবে লেনদেন কমেছে ৬৯ কোটি ৫৬ লাখ টাকা।
টাকার অঙ্কে ডিএসইতে সব থেকে বেশি লেনদেন হয়েছে লাফার্জ হোলসিমের শেয়ার। কোম্পানিটির ৩৫ কোটি ৮ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। দ্বিতীয় স্থানে থাকা স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালের শেয়ার লেনদেন হয়েছে ১৫ কোটি ৫৪ লাখ টাকার। ১২ কোটি ৫৩ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেনের মাধ্যমে তৃতীয় স্থানে রয়েছে বাংলাদেশ সাবমেরিন কেবলস। এছাড়া লেনদেনের শীর্ষ ১০ কোম্পানির মধ্যে রয়েছে- ব্রিটিশ আমেরিকান টোবাকো, এসকে ট্রিমস, এসএস স্টিল, প্যারামাউন্ট টেক্সটাইল, নিউ লাইন ক্লোথিং, এডিএন টেলিকম এবং খুলনা পাওয়ার কোম্পানি।
দর বৃদ্ধির শীর্ষে প্রধান ১০টি কোম্পানি হলো- বিএসআরএমএল, বিএসআরএম স্টিল, বিআইএফসি, আরএসআরএম স্টিল, ফু-ওয়াং সিরামিক, আজিজ পাইপস, সিলকো ফার্মা, প্রগতি ইন্স্যুরেন্স প্রাইম লাইফ ও শিপাইর্ড ইন্ড্রাস্টিজ। অন্যদিকে দর কমার শীর্ষে প্রধান ১০টি কোম্পানি হলো- আমরা ট্রেক, এলএইচবিএল, পদ্মা অয়েল, রেনেটা, সিনো-বাংলা, স্ট্যান্ডার্ড সিরামিক ও স্ট্যান্ডার্ড ইন্সুরেন্স। দেশের অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ১৩৬ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ১৩ হাজার ৬৫৬ পয়েন্টে। বাজারটিতে লেনদেন হয়েছে ১২ কোটি ৬৩ লাখ টাকা। আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ১৬ কোটি টাকা। সে হিসেবে লেনদেন কমেছে প্রায় আড়াই কোটি টাকা। লেনদেন অংশ নেয়া ২৪৭ প্রতিষ্ঠানের মধ্যে দাম বেড়েছে ৪৮টির, কমেছে ১৭৭টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ২২টির।