বঙ্গোপসাগরে মাছ শিকারে গিয়ে মিয়ানমারের নৌবাহিনীর হাতে দুই ফিশিং ট্রলারসহ উদ্ধার ৩২ বাংলাদেশি জেলে ফিরেছেন। ফেরত আসা জেলেদের মধ্যে ১৮ জন নোয়াখালীর, ১৪ জন চট্টগ্রামের অধিবাসী।
গত রোববার বেলা ১১টার দিকে বাংলাদেশ-মিয়ানমার জল সীমার শুন্য রেখায় বাংলাদেশ কোস্টগার্ডের সৈয়দ নজরুল ইসলাম নামক জাহাজের কমান্ডারের হাতে ট্রলারসহ জেলেদের হস্তান্তর করা হয়।
ট্রলারসহ জেলেদের হস্তান্তরের বিষয়টি মুঠোফোনে নিশ্চিত করেছেন মিয়ানমারে আকিয়াবে কর্মরত বাংলাদেশের কনস্যুলেটর মো. বারিকুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘চলতি মাসে ২১ ও ২৫ জানুয়ারি পৃথক সময়ে সাগরে মাছ শিকার কালে ট্রলার বিকল হয়ে বঙ্গোপসাগরে মিয়ানমার জলসীমায় চিতাপরীক্ষা নামক এলাকায় ঢুকে পড়লে মিয়ানমার নৌবাহিনী তাদের উদ্ধার করে। জেলেদের উদ্ধারের খবর পেয়ে মিয়ানমার সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ করে তাঁদের ফেরত আনার ব্যবস্থা করা হয়।
তিনি আরও বলেন, এতে বাকলিয়া-১ ট্রলারের ১৯ জন এবং এফবি সাজ্জাদ-১ ট্রলারের ১৩ জনসহ ৩২ বাংলাদেশি জেলে রয়েছে। এসব জেলেদের কোস্ট গার্ডের কাছে হস্তান্তর করা হয়। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কোস্ট গার্ডের সৈয়দ নজরুল ইসলাম নামক জাহাজের এক কর্মকর্তা বলেন, ‘মিয়ানমার নৌবাহিনীর হাতে উদ্ধার দুইটি ট্রলারসহ বাংলাদেশী ৩২ জেলেকে ফেরত আনা হয়েছে। প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা শেষে তাদের ট্রলার মালিককের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানায়, চলতি মাসের ২১ ও ২৫ জানুয়ারি বাকলিয়া-১ ট্রলারের মাঝি মো, বেলালসহ ১৯ জন এবং এফবি সাজ্জাদ-১ ট্রলারের মাঝি মো. রাজুসহ ১৩ জন মাঝি মাল্লাহ সাগরে মাছ শিকারে যায়। এ সময় ট্রলার বিকল হয়ে ভাসমান অবস্থান মিয়ানমার জলসীমানায় ঢুকে পড়ায় তাদের আটক করেছিল। এছাড়া গতবছরের ৬ ডিসেম্বর একইভাবে মিয়ানমার থেকে ১৭ বাংলাদেশি জেলেকে ট্রলারসহ ফেরত আনা হয়েছিল।
মঙ্গলবার, ২৮ জানুয়ারী ২০২০ , ১৪ মাঘ ১৪২৬, ২ জমাদিউস সানি ১৪৪১
প্রতিনিধি, টেকনাফ (কক্সবাজার)
বঙ্গোপসাগরে মাছ শিকারে গিয়ে মিয়ানমারের নৌবাহিনীর হাতে দুই ফিশিং ট্রলারসহ উদ্ধার ৩২ বাংলাদেশি জেলে ফিরেছেন। ফেরত আসা জেলেদের মধ্যে ১৮ জন নোয়াখালীর, ১৪ জন চট্টগ্রামের অধিবাসী।
গত রোববার বেলা ১১টার দিকে বাংলাদেশ-মিয়ানমার জল সীমার শুন্য রেখায় বাংলাদেশ কোস্টগার্ডের সৈয়দ নজরুল ইসলাম নামক জাহাজের কমান্ডারের হাতে ট্রলারসহ জেলেদের হস্তান্তর করা হয়।
ট্রলারসহ জেলেদের হস্তান্তরের বিষয়টি মুঠোফোনে নিশ্চিত করেছেন মিয়ানমারে আকিয়াবে কর্মরত বাংলাদেশের কনস্যুলেটর মো. বারিকুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘চলতি মাসে ২১ ও ২৫ জানুয়ারি পৃথক সময়ে সাগরে মাছ শিকার কালে ট্রলার বিকল হয়ে বঙ্গোপসাগরে মিয়ানমার জলসীমায় চিতাপরীক্ষা নামক এলাকায় ঢুকে পড়লে মিয়ানমার নৌবাহিনী তাদের উদ্ধার করে। জেলেদের উদ্ধারের খবর পেয়ে মিয়ানমার সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ করে তাঁদের ফেরত আনার ব্যবস্থা করা হয়।
তিনি আরও বলেন, এতে বাকলিয়া-১ ট্রলারের ১৯ জন এবং এফবি সাজ্জাদ-১ ট্রলারের ১৩ জনসহ ৩২ বাংলাদেশি জেলে রয়েছে। এসব জেলেদের কোস্ট গার্ডের কাছে হস্তান্তর করা হয়। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কোস্ট গার্ডের সৈয়দ নজরুল ইসলাম নামক জাহাজের এক কর্মকর্তা বলেন, ‘মিয়ানমার নৌবাহিনীর হাতে উদ্ধার দুইটি ট্রলারসহ বাংলাদেশী ৩২ জেলেকে ফেরত আনা হয়েছে। প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা শেষে তাদের ট্রলার মালিককের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানায়, চলতি মাসের ২১ ও ২৫ জানুয়ারি বাকলিয়া-১ ট্রলারের মাঝি মো, বেলালসহ ১৯ জন এবং এফবি সাজ্জাদ-১ ট্রলারের মাঝি মো. রাজুসহ ১৩ জন মাঝি মাল্লাহ সাগরে মাছ শিকারে যায়। এ সময় ট্রলার বিকল হয়ে ভাসমান অবস্থান মিয়ানমার জলসীমানায় ঢুকে পড়ায় তাদের আটক করেছিল। এছাড়া গতবছরের ৬ ডিসেম্বর একইভাবে মিয়ানমার থেকে ১৭ বাংলাদেশি জেলেকে ট্রলারসহ ফেরত আনা হয়েছিল।