নোয়াখালীতে ৫ যুবলীগ নেতার বিরুদ্ধে চার্জশিট

কবিরহাটে প্রতিপক্ষ দলের সমর্থক স্বামীকে রাজনৈতিক মামলায় কারাগারে পাঠিয়ে স্ত্রীকে গণধর্ষণ মামলায় ৫ যুবলীগ নেতার বিরুদ্ধে জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে চার্জশিট দাখিল করেছেন পিবিআই। চার্জশিট গ্রহণ করে তা বিচারে জন্য নোয়াখালী নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২ এ বিচারের জন্য প্রেরণ করেছে নোয়াখালী সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কবিরহাট আদালত।

নোয়াখালী নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর ছালেহ আহমদ সোহেল খান জানান, এ মামলার ভিকটিম নিজেই বাদী হয়ে ১৯-১-১৯ ইং স্থানীয় যুবলীগ নেতার নাম দিয়ে আরও ৩ জনকে অজ্ঞাতনামা দিয়ে কবিরহাট থানায় মামলা করেন যে, তার স্বামী স্থানীয় বিএনপির নেতা তাকে কয়েকটি মামলায় জড়িয়ে ২৪-১২-১৯ ইং গ্রেফতার করে কারাগারে পাঠায়। তার পর থেকে যুবলীগ নেতা বিভিন্ন সময় তাকে কুইঙ্গিত দিত। সে রাজি না হওয়ায় ১৮-১-১৯ ইং রাতে যুবলীগ নেতা জাকের হোসেন জহিরের নেতৃত্বে আরও কয়েকজন যুবলীগ নেতা তার ঘরের সিঁধ কেটে ঘরে থাকা শাশুড়িকে জিম্মি করে কয়েকজন মিলে তাকে উপর্যুপরি ধর্ষণ করে। এ ব্যাপারে ১৯-১-১৯ ইং সে কবিরহাট থানায় মামলা করলে পুলিশ জাকির হোসেনকে গ্রেফতার করে। জাকির হোসেনকে আদালতে পাঠিয়ে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দী রেকর্ড করায়। জাকের ১৬৪ ধারায় স্বীকার করে যে, সেসহ আবদুর রব হোসেন মান্না, হারুনুর রসিদ, জামাল উদ্দিন, মো. সেলিম ওরফে জামাই সেলিম ভিকটিমের মুখে কম্বল চাপা দিয়ে একে একে সবাই ভিকটিমকে ধর্ষণ করে। কবিরহাট থানা পুলিশ, নোয়াখালী গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)’র তদন্ত হাত বদলিয়ে পিবিআইতে তদন্ত ন্যস্ত হওয়ার পর পিবিআই দীর্ঘ তদন্তের পর যুবলীগ নেতা জাকের হোসেন ওরপে জহির, আবদুর রব প্রকাশ মান্না, হারুনুর রসিদ, জামাল উদ্দিন, মো. সেলিম প্রকাশ জামাই সেলিমের বিরুদ্ধে নাশিনি দমন আইন ২০০০ (সংশোধনী ২০০৩) এর ৯(৩) তৎসহ পেনাল কোডের ৪৫৭/৩৮০ ধারায় চার্জশিট দাখিল করলে জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কবিরহাট আদালত তা গ্রহণ করে গত রোববার নাশিনি ট্রাইব্যুনাল ২-এর বিচারক (জেলা জজ) শামছুউদ্দিন খালেদের আদালতে প্রেরণ করেন।

এদিকে মামলার বাদী ভিকটিম অভিযোগ করেন যে, তদন্তকারী পিবিআই কর্মকর্তার চাহিদা মতো উৎকোচ দিতে না পারায় চার্জশিটে মূল আসামি মুরাদুজ্জামান, মো. ফয়সাল, ইব্রাহীম খলিল ও জিয়াউল হককে বাদ দিয়ে তার (ভিকটিমের) দেবর আবদুর রহমান মান্নাকেসহ কাছের আত্মীয়দের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেছে। ট্রাইব্যুনাল সূত্র জানায়, চার্জশিটভুক্ত আসামিরা বিচারিক আদালতে চার্জশিট গ্রহণ পর্যন্ত জামিনে রয়েছে। পরবর্তী ধার্য তারিখে এ আসামিদের ভাগ্য নির্ধারিত হবে।

আরও খবর
বিশ্ববিদ্যালয় জ্ঞানচর্চা ও মানবিক মূল্যবোধ বিকাশের ক্ষেত্র
শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ এখন বিশ্বের বিস্ময়
চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের সফল অংশীদার হতে কাজ করতে হবে শিক্ষামন্ত্রী
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন আইন অনুমোদন
ডে কেয়ার সেন্টার স্থাপনে নিবন্ধন বাধ্যতামূলক
বিএনপি আচরণবিধি লংঘন করেছে তথ্যমন্ত্রী
একে আজাদের সম্পদের তথ্য চেয়ে নোটিশ
পাবনায় আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ বাড়ি-ঘর ভাঙচুর আহত ১৫
উন্নয়নের প্রধান অন্তরায় দুর্নীতি দুদক কমিশনার
জমে উঠেছে শিশু চলচ্চিত্র উৎসব
শরীয়ত বয়াতির মুক্তি দাবি উদীচীর সমাবেশ
কলাকেন্দ্রে শিল্পী হাবীবের একক চিত্র প্রদর্শনী
শিল্পকলায় থিয়েটারের ‘বারামখানা’ মঞ্চায়ন আজ

মঙ্গলবার, ২৮ জানুয়ারী ২০২০ , ১৪ মাঘ ১৪২৬, ২ জমাদিউস সানি ১৪৪১

গণধর্ষণ মামলা

নোয়াখালীতে ৫ যুবলীগ নেতার বিরুদ্ধে চার্জশিট

প্রতিনিধি, নোয়াখালী

কবিরহাটে প্রতিপক্ষ দলের সমর্থক স্বামীকে রাজনৈতিক মামলায় কারাগারে পাঠিয়ে স্ত্রীকে গণধর্ষণ মামলায় ৫ যুবলীগ নেতার বিরুদ্ধে জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে চার্জশিট দাখিল করেছেন পিবিআই। চার্জশিট গ্রহণ করে তা বিচারে জন্য নোয়াখালী নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২ এ বিচারের জন্য প্রেরণ করেছে নোয়াখালী সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কবিরহাট আদালত।

নোয়াখালী নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর ছালেহ আহমদ সোহেল খান জানান, এ মামলার ভিকটিম নিজেই বাদী হয়ে ১৯-১-১৯ ইং স্থানীয় যুবলীগ নেতার নাম দিয়ে আরও ৩ জনকে অজ্ঞাতনামা দিয়ে কবিরহাট থানায় মামলা করেন যে, তার স্বামী স্থানীয় বিএনপির নেতা তাকে কয়েকটি মামলায় জড়িয়ে ২৪-১২-১৯ ইং গ্রেফতার করে কারাগারে পাঠায়। তার পর থেকে যুবলীগ নেতা বিভিন্ন সময় তাকে কুইঙ্গিত দিত। সে রাজি না হওয়ায় ১৮-১-১৯ ইং রাতে যুবলীগ নেতা জাকের হোসেন জহিরের নেতৃত্বে আরও কয়েকজন যুবলীগ নেতা তার ঘরের সিঁধ কেটে ঘরে থাকা শাশুড়িকে জিম্মি করে কয়েকজন মিলে তাকে উপর্যুপরি ধর্ষণ করে। এ ব্যাপারে ১৯-১-১৯ ইং সে কবিরহাট থানায় মামলা করলে পুলিশ জাকির হোসেনকে গ্রেফতার করে। জাকির হোসেনকে আদালতে পাঠিয়ে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দী রেকর্ড করায়। জাকের ১৬৪ ধারায় স্বীকার করে যে, সেসহ আবদুর রব হোসেন মান্না, হারুনুর রসিদ, জামাল উদ্দিন, মো. সেলিম ওরফে জামাই সেলিম ভিকটিমের মুখে কম্বল চাপা দিয়ে একে একে সবাই ভিকটিমকে ধর্ষণ করে। কবিরহাট থানা পুলিশ, নোয়াখালী গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)’র তদন্ত হাত বদলিয়ে পিবিআইতে তদন্ত ন্যস্ত হওয়ার পর পিবিআই দীর্ঘ তদন্তের পর যুবলীগ নেতা জাকের হোসেন ওরপে জহির, আবদুর রব প্রকাশ মান্না, হারুনুর রসিদ, জামাল উদ্দিন, মো. সেলিম প্রকাশ জামাই সেলিমের বিরুদ্ধে নাশিনি দমন আইন ২০০০ (সংশোধনী ২০০৩) এর ৯(৩) তৎসহ পেনাল কোডের ৪৫৭/৩৮০ ধারায় চার্জশিট দাখিল করলে জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কবিরহাট আদালত তা গ্রহণ করে গত রোববার নাশিনি ট্রাইব্যুনাল ২-এর বিচারক (জেলা জজ) শামছুউদ্দিন খালেদের আদালতে প্রেরণ করেন।

এদিকে মামলার বাদী ভিকটিম অভিযোগ করেন যে, তদন্তকারী পিবিআই কর্মকর্তার চাহিদা মতো উৎকোচ দিতে না পারায় চার্জশিটে মূল আসামি মুরাদুজ্জামান, মো. ফয়সাল, ইব্রাহীম খলিল ও জিয়াউল হককে বাদ দিয়ে তার (ভিকটিমের) দেবর আবদুর রহমান মান্নাকেসহ কাছের আত্মীয়দের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেছে। ট্রাইব্যুনাল সূত্র জানায়, চার্জশিটভুক্ত আসামিরা বিচারিক আদালতে চার্জশিট গ্রহণ পর্যন্ত জামিনে রয়েছে। পরবর্তী ধার্য তারিখে এ আসামিদের ভাগ্য নির্ধারিত হবে।