একদিন পর ফের পুঁজিবাজারে বেড়েছে সূচক ও লেনদেন

একদিন পর ফের ঊর্ধ্বমুখী হয়েছে দেশের পুঁজিবাজার। গতকাল প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) এবং অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) মূল্যসূচকের উত্থানের সঙ্গে বেড়েছে লেনদেনের পরিমাণও। এছাড়া বেড়েছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দর। সপ্তাহের তৃতীয় দিন ডিএসই প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ১৭ দশমিক ৭৫ পয়েন্ট বেড়েছে। অপর বাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) প্রধান সূচক সিএএসপিআই বেড়েছে ৫৯ দশমিক ১৯ পয়েন্ট। এছাড়া ডিএসইতে লেনদেন বেড়েছে ৬২ কোটি ৯০ লাখ টাকা। আর সিএসইতে বেড়েছে ৩ কোটি ৪৪ লাখ টাকা।

এর আগে টানা তিন কার্যদিবস ঊর্ধ্বমুখী থাকার পর গত সোমবার দেশের শেয়ারবাজারে দরপতন হয়। দুই বাজারেই মূল্যসূচকের সঙ্গে কমে লেনদেনের পরিমাণ। তবে পতনের এ ধারা দীর্ঘ হয়। মঙ্গলবার আবার ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতায় ফিরেছে দুই বাজার। এদিন লেনদেনের শুরু থেকেই শেয়ারবাজারে ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা দেখা দেয়। লেনদেনের প্রথম ১৪ মিনিটে ডিএসইর প্রধান সূচক ২৩ পয়েন্ট বেড়ে যায়। তবে এরপর সূচক কিছুটা নিম্নমুখী হয়। এতে একপর্যায়ে ডিএসইর প্রধান সূচক ৯ পয়েন্ট কমে যায়। এ নিম্নমুখী প্রবণতা বেশি সময় স্থায়ী হয়নি। ১০ মিনিটের ব্যবধানে আবার ঊর্ধ্বমুখী হয় বাজার। এরপর বেলা সাড়ে ১১টা থেকে লেনদেনের শেষ পর্যন্ত সমানতলে বাড়তে থাকে সূচক। সেই সঙ্গে লেনদেনে অংশ নেয়া বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বাড়ে।

গতকাল ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেয়া ১৮১টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ১০৭টির। দাম অপরিবর্তিত রয়েছে ৬৭টির। বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের এই দাম বাড়ার ফলে ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স ১৭ পয়েন্ট বেড়ে ৪ হাজার ৫১০ পয়েন্টে ওঠে। অপর দুই সূচকের মধ্যে ডিএসই-৩০ সূচক ২ পয়েন্ট বেড়ে ১ হাজার ৫৪৩ পয়েন্টে অবস্থান করছে। ডিএসই শরিয়াহ্ সূচক ২ পয়েন্ট বেড়ে ১ হাজার ৩৪ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।

সবকটি মূল্যসূচকের উত্থানের পাশাপাশি ডিএসইতে বেড়েছে লেনদেনের পরিমাণ। দিনভর বাজারটিতে লেনদেন হয়েছে ৪৬৭ কোটি ৪৮ লাখ টাকা। আগের দিন লেনদেন হয় ৪০৪ কোটি ৫৮ লাখ টাকা। সে হিসাবে লেনদেন বেড়েছে ৬২ কোটি ৯০ লাখ টাকা। টাকার অঙ্কে ডিএসইতে সব থেকে বেশি লেনদেন হয়েছে লাফার্জহোলসিমের শেয়ার। কোম্পানিটির ৪০ কোটি ৪২ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। দ্বিতীয় স্থানে থাকা গ্রামীণফোনের শেয়ার লেনদেন হয়েছে ১৬ কোটি ৩৫ লাখ টাকার। ১৪ কোটি ৩ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেনের মাধ্যমে তৃতীয় স্থানে রয়েছে এসএস স্টিল। এছাড়া লেনদেনের শীর্ষ ১০ কোম্পানির মধ্যে রয়েছে- প্যরামাউন্ট টেক্সটাইল, এডিএন টেলিমক, স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যাল, ন্যাশনাল পলিমার, বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশন, পাইওনিয়ার ইন্স্যুরেন্স এবং ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো।

বুধবার, ২৯ জানুয়ারী ২০২০ , ১৫ মাঘ ১৪২৬, ৩ জমাদিউস সানি ১৪৪১

একদিন পর ফের পুঁজিবাজারে বেড়েছে সূচক ও লেনদেন

অর্থনৈতিক বার্তা পরিবেশক |

একদিন পর ফের ঊর্ধ্বমুখী হয়েছে দেশের পুঁজিবাজার। গতকাল প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) এবং অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) মূল্যসূচকের উত্থানের সঙ্গে বেড়েছে লেনদেনের পরিমাণও। এছাড়া বেড়েছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দর। সপ্তাহের তৃতীয় দিন ডিএসই প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ১৭ দশমিক ৭৫ পয়েন্ট বেড়েছে। অপর বাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) প্রধান সূচক সিএএসপিআই বেড়েছে ৫৯ দশমিক ১৯ পয়েন্ট। এছাড়া ডিএসইতে লেনদেন বেড়েছে ৬২ কোটি ৯০ লাখ টাকা। আর সিএসইতে বেড়েছে ৩ কোটি ৪৪ লাখ টাকা।

এর আগে টানা তিন কার্যদিবস ঊর্ধ্বমুখী থাকার পর গত সোমবার দেশের শেয়ারবাজারে দরপতন হয়। দুই বাজারেই মূল্যসূচকের সঙ্গে কমে লেনদেনের পরিমাণ। তবে পতনের এ ধারা দীর্ঘ হয়। মঙ্গলবার আবার ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতায় ফিরেছে দুই বাজার। এদিন লেনদেনের শুরু থেকেই শেয়ারবাজারে ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা দেখা দেয়। লেনদেনের প্রথম ১৪ মিনিটে ডিএসইর প্রধান সূচক ২৩ পয়েন্ট বেড়ে যায়। তবে এরপর সূচক কিছুটা নিম্নমুখী হয়। এতে একপর্যায়ে ডিএসইর প্রধান সূচক ৯ পয়েন্ট কমে যায়। এ নিম্নমুখী প্রবণতা বেশি সময় স্থায়ী হয়নি। ১০ মিনিটের ব্যবধানে আবার ঊর্ধ্বমুখী হয় বাজার। এরপর বেলা সাড়ে ১১টা থেকে লেনদেনের শেষ পর্যন্ত সমানতলে বাড়তে থাকে সূচক। সেই সঙ্গে লেনদেনে অংশ নেয়া বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বাড়ে।

গতকাল ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেয়া ১৮১টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ১০৭টির। দাম অপরিবর্তিত রয়েছে ৬৭টির। বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের এই দাম বাড়ার ফলে ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স ১৭ পয়েন্ট বেড়ে ৪ হাজার ৫১০ পয়েন্টে ওঠে। অপর দুই সূচকের মধ্যে ডিএসই-৩০ সূচক ২ পয়েন্ট বেড়ে ১ হাজার ৫৪৩ পয়েন্টে অবস্থান করছে। ডিএসই শরিয়াহ্ সূচক ২ পয়েন্ট বেড়ে ১ হাজার ৩৪ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।

সবকটি মূল্যসূচকের উত্থানের পাশাপাশি ডিএসইতে বেড়েছে লেনদেনের পরিমাণ। দিনভর বাজারটিতে লেনদেন হয়েছে ৪৬৭ কোটি ৪৮ লাখ টাকা। আগের দিন লেনদেন হয় ৪০৪ কোটি ৫৮ লাখ টাকা। সে হিসাবে লেনদেন বেড়েছে ৬২ কোটি ৯০ লাখ টাকা। টাকার অঙ্কে ডিএসইতে সব থেকে বেশি লেনদেন হয়েছে লাফার্জহোলসিমের শেয়ার। কোম্পানিটির ৪০ কোটি ৪২ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। দ্বিতীয় স্থানে থাকা গ্রামীণফোনের শেয়ার লেনদেন হয়েছে ১৬ কোটি ৩৫ লাখ টাকার। ১৪ কোটি ৩ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেনের মাধ্যমে তৃতীয় স্থানে রয়েছে এসএস স্টিল। এছাড়া লেনদেনের শীর্ষ ১০ কোম্পানির মধ্যে রয়েছে- প্যরামাউন্ট টেক্সটাইল, এডিএন টেলিমক, স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যাল, ন্যাশনাল পলিমার, বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশন, পাইওনিয়ার ইন্স্যুরেন্স এবং ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো।