ঢাবির ৬৭ শিক্ষার্থী আজীবন বহিষ্কার

ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস ও জালিয়াতির সঙ্গে জড়িত থাকা এবং অস্ত্র ও মাদকের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় ৬৭ জন শিক্ষার্থীকে আজীবনের জন্য বহিষ্কার করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এদের মধ্যে প্রশ্নপত্র ফাঁস ও জালিয়াতির জন্য ৬৩ জন এবং অস্ত্র ও মাদকের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার দায়ে ৪ জনকে বহিষ্কার করা হয়।

গতকাল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সিন্ডিকেটের এক সভায় বহিষ্কারের এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। এছাড়া, সভায় ডিজিটাল জালিয়াতি ও অবৈধ পন্থায় ভর্তির অভিযোগে আরও ৯ জন এবং ছিনতাইয়ের অভিযোগে ১৩ জন শিক্ষার্থীকে সাময়িকভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে। তাদেরকে কেন স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হবে না-এই মর্মে সাত কার্যদিবসের মধ্যে কারণ দর্শানোর নোটিশ প্রদানের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দফতর থেকে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, স্থায়ীভাবে বহিষ্কৃত শিক্ষার্থীদেরকে ইতিপূর্বে কারণ দর্শানো নোটিশ প্রদান করা হয়েছিল এবং ৭ দিনের মধ্যে জবাব দিতে বলা হয়েছিল। জবাব সন্তোষজনক না হওয়ায় শৃঙ্খলা পরিষদের সুপারিশক্রমে তাদেরকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে।

এছাড়া সভায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রন্থাগার ও টিএসসিতে গত ২৫ অক্টোবর ২০১৯ তারিখে সংঘটিত ঘটনায় ২ জন শিক্ষার্থীকে ৬ মাসের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছে। সভায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরীণ পরীক্ষায় বিভিন্ন সময়ে অসদুপায় অবলম্বনের অভিযোগে ৩০ জন শিক্ষার্থীকে বিভিন্ন মেয়াদে শাস্তি প্রদান করা হয়েছে।

সভায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন শিক্ষকের বিরুদ্ধে পিএইচ.ডি. থিসিস জালিয়াতির অভিযোগ উত্থাপিত হওয়ায় তাকে প্রশাসনিক ও শিক্ষা কার্যক্রম থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে এবং এ বিষয়ে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।

বুধবার, ২৯ জানুয়ারী ২০২০ , ১৫ মাঘ ১৪২৬, ৩ জমাদিউস সানি ১৪৪১

প্রশ্ন ফাঁস

ঢাবির ৬৭ শিক্ষার্থী আজীবন বহিষ্কার

প্রতিনিধি, ঢাবি

ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস ও জালিয়াতির সঙ্গে জড়িত থাকা এবং অস্ত্র ও মাদকের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় ৬৭ জন শিক্ষার্থীকে আজীবনের জন্য বহিষ্কার করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এদের মধ্যে প্রশ্নপত্র ফাঁস ও জালিয়াতির জন্য ৬৩ জন এবং অস্ত্র ও মাদকের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার দায়ে ৪ জনকে বহিষ্কার করা হয়।

গতকাল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সিন্ডিকেটের এক সভায় বহিষ্কারের এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। এছাড়া, সভায় ডিজিটাল জালিয়াতি ও অবৈধ পন্থায় ভর্তির অভিযোগে আরও ৯ জন এবং ছিনতাইয়ের অভিযোগে ১৩ জন শিক্ষার্থীকে সাময়িকভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে। তাদেরকে কেন স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হবে না-এই মর্মে সাত কার্যদিবসের মধ্যে কারণ দর্শানোর নোটিশ প্রদানের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দফতর থেকে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, স্থায়ীভাবে বহিষ্কৃত শিক্ষার্থীদেরকে ইতিপূর্বে কারণ দর্শানো নোটিশ প্রদান করা হয়েছিল এবং ৭ দিনের মধ্যে জবাব দিতে বলা হয়েছিল। জবাব সন্তোষজনক না হওয়ায় শৃঙ্খলা পরিষদের সুপারিশক্রমে তাদেরকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে।

এছাড়া সভায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রন্থাগার ও টিএসসিতে গত ২৫ অক্টোবর ২০১৯ তারিখে সংঘটিত ঘটনায় ২ জন শিক্ষার্থীকে ৬ মাসের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছে। সভায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরীণ পরীক্ষায় বিভিন্ন সময়ে অসদুপায় অবলম্বনের অভিযোগে ৩০ জন শিক্ষার্থীকে বিভিন্ন মেয়াদে শাস্তি প্রদান করা হয়েছে।

সভায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন শিক্ষকের বিরুদ্ধে পিএইচ.ডি. থিসিস জালিয়াতির অভিযোগ উত্থাপিত হওয়ায় তাকে প্রশাসনিক ও শিক্ষা কার্যক্রম থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে এবং এ বিষয়ে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।