ঐতিহ্য ও আধুনিকতার সমন্বয়ে বাসযোগ্য নগরী গড়ার প্রতিশ্রুতি

সামাজিক ও মানবিক মূল্যবোধ সম্পন্ন অত্যাধুনিক ঢাকা গড়ার প্রত্যয়ে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি) নির্বাচনে ধানের শীষের প্রার্থী ইশরাক হোসেন ইশতেহার ঘোষণা করেছেন। তিনি ঐতিহ্য ও আধুনিকতার সমন্বয়ে আধুনিক বাসযোগ্য নগরী গড়ে তোলার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন ইশতেহারে। দুর্নীতিমুক্ত প্রাতিষ্ঠানিক সেবা, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারসহ সব কিছুর সম্মিলনে বিশ্বমানের ঢাকা গড়তে ১৬ দফা দিয়ে ইশতেহার ঘোষণা করেছে বিএনপির প্রার্থী ইশরাক। স্বল্পমেয়াদে ১০০ দিনের পরিকল্পনা নেয়ার পাশাপাশি নাগরিক সমস্যা সমাধানে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে কার্যকরী ব্যবস্থা নেয়ার কথাও জানিয়েছেন তিনি।

গতকাল জাতীয় প্রেসক্লাবে ইশতেহার ঘোষণা করেন তিনি। ইশতেহার ঘোষণার সময় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমান, নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না, গণফোরামের সাধারণ সম্পাদক রেজা কিবরিয়া, নির্বাহী সভাপতি সুব্রত চৌধুরী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক এমাজউদ্দিন আহমেদসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।

ইশরাক হোসেন নির্বাচনী ইশতেহারে ঐতিহ্য ও আধুনিকতার সমন্বয়ে আধুনিক বাসযোগ্য নগরী গড়ে তোলার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। তিনি বলেন, আপনাদের সহযোগিতা পেলে বাস্তব প্রায়োগিক ও নাগরিকবান্ধব করে গড়ে তোলা সম্ভব হবে।

ইশতেহারে নাগরিক সেবা, নাগরিক বিনোদন, যানজট নিরসন ও যোগাযোগ ব্যবস্থার টেকসই উন্নয়ন, নাগরিক স্বাস্থ্যসেবা, শিক্ষাব্যবস্থা, পরিবেশ উন্নয়ন বনায়ন ও বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহার, সমাজসেবা কার্যক্রম, জননিরাপত্তা ব্যবস্থা, প্রাকৃতিক দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা, নৈতিকতার শক্তি পুনরুদ্ধার, গ্রন্থাগার ও জাদুঘর, নগর পরিকল্পনা ও প্রশাসন ব্যবস্থা তুলে ধরেন। নির্বাচিত হলে সমন্বিত ও কার্যকর নগর সরকার ধারণা বাস্তবায়নে সক্রিয় উদ্যোগ নেয়ার কথা ইশতেহারে বলা হয়েছে। নাগরিক সুবিধা বৃদ্ধির জন্য রাজউকের মাস্টারপ্লানের সঙ্গে সমন্বয় করে অঞ্চলভিত্তিক ‘অ্যাকশন এরিয়া প্লান’ গ্রহণ, নাগরিক সেবার কর্মকা- ওয়ার্ড পর্যায়ে বিকেন্দ্রীকরণ করা হবে।

প্রথম ১০০ দিনের কর্মসূচি উল্লেখ করে তিনি বলেন, নির্বাচিত হলে স্বল্পমেয়াদে প্রথম ১০০ দিনের অগ্রাধিকার কর্মসূচি গ্রহণ করা হবে। জরুরি জনগুরুত্বপূর্ণ অগ্রাধিকার বিষয়গুলো চিহ্নিত করে সমন্বিত কার্যক্রমের মাধ্যমে ত্বরিৎ বাস্তবায়ন নিশ্চিত করা হবে। ওয়ার্ডভিত্তিক ব্যায়ামাগার আধুনিক করা হবে। বিশেষ স্থানে কৃষক মার্কেট ও নাইট মার্কেট চালু করা হবে। রাজধানীতে জলাবদ্ধতা নিরসনে আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করা হবে। নদী দূষণ রোধ করে নদী পর্যটন চালু করা হবে। মেয়রের দায়িত্ব পেলে ডেঙ্গু প্রতিরোধে বছরজুড়ে মশার অভয়াশ্রম ঢাকার জলাশয়গুলো পরিচ্ছন্ন রাখার উদ্যোগ নেয়া হবে। মশক নিধনে ‘আধুনিক প্রযুক্তি’ ব্যবহার করা হবে।

তিনি বলেন, দুর্নীতি সমাজের রন্ধ্রে রন্ধ্রে প্রবেশ করে আমাদের নৈতিক, সামাজিক ও অর্থনৈতিক উন্নয়ন বাধাগ্রস্ত করছে। আমি প্রতিজ্ঞা করছি আপনাদের সবার আন্তরিক সহযোগিতায় আমরা ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের সর্বস্তরে দুর্নীতিমুক্ত সেবা প্রদান নিশ্চিত করব। যাবতীয় সেবাপ্রাপ্তির জন্য এবং সব অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ কর্তৃপক্ষকে সরাসরি অবহিত করার সুযোগ সৃষ্টির লক্ষ্যে মহানগরী ও আঞ্চলিক কার্যালয়ে হটলাইন চালু করা হবে। সেবাপ্রাপ্তির চাহিদা অভিযোগ পাওয়ার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সমস্যার সমাধানে কার্যকরী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তা ছাড়া যেকোন নাগরিকের জন্য আমার দুয়ার এবং ব্যক্তিগত ফোন সার্বক্ষণিক খোলা থাকবে।

যাত্রাবাড়ী-ডেমরা এলাকায় ‘ডিএনডি’ বাঁধের কারণে সৃষ্ট জলাবদ্ধ এলাকার পানি শীতলক্ষ্যা নদীতে স্থানান্তর এবং বর্জ্য ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে কম্পোস্ট সার তৈরি ও বিদ্যুৎ উৎপাদনের পরিকল্পনাও রয়েছে। মেয়র হলে তিনি বুড়িগঙ্গা দূষণমুক্ত করা, নদীর তীর রক্ষা ও ওয়াকওয়ে নির্মাণ, সৌন্দর্যবর্ধন প্রকল্প নেয়া হবে এবং নদীভিত্তিক বিনোদন কেন্দ্র, নৌ পর্যটন ব্যবস্থা গড়ে তোলা হবে। শিশু পার্কসহ বিনোদন কেন্দ্রের উন্নয়ন ও আধুনিকায়ন করা হবে। পুরান ঢাকার ঐতিহাসিক স্থাপনাগুলোর ঐতিহ্য ও স্থাপত্যশৈলী অক্ষুণœ রেখে সংস্কার করা হবে।

ধানের শীষের প্রার্থী বলেন, গণতন্ত্র আজ নির্বাসিত। কিন্তু জনগণের দল হিসেবে বিএনপি গণতন্ত্র ও গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করে। নির্বাচনই যেহেতু ক্ষমতা বদলের একমাত্র গণতান্ত্রিক পন্থা, তাই আমাদের দল গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার ও বিএনপি চেয়ারপারসন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করার চলমান আন্দোলনের অংশ হিসেবে আসন্ন সিটি করপোরেশন নির্বাচনে অংশ নেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আমরা বিশ্বাস করি গণতন্ত্র, বাকস্বাধীনতা, বেগম জিয়ার মুক্তি এবং সর্বোপরি আমাদের রাষ্ট্রীয় সার্বভৌমত্ব সুরক্ষার স্বার্থে আপনারা ধানের শীষ তথা বেগম জিয়ার পক্ষে আপনার মূল্যবান ভোট দিয়ে আমাকে জয়যুক্ত করবেন।

ইশতেহারে তিনি উল্লেখ করেন-সম্প্রতি বাংলাদেশে ধর্ষণ মহামারী আকার ধারণ করেছে। তাছাড়া রয়েছে যৌতুক সমস্যা, ইভটিজিং, এসিড নিক্ষেপসহ নানা ধরনের নারী ও শিশু নির্যাতনের দৌরাত্ম্য। আমাদের নৈতিক মূল্যবোধের ভয়াবহ ধ্বংস নামার কারণেই সমাজে অস্থিরতা ও নৈরাজ্য ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। গণমাধ্যম, একাডেমিক কারিক্যুলাম, সার্বিক ধর্মীয় মূল্যবোধের চর্চা এবং ইতিবাচক সামাজিক আন্দোলনের মাধ্যমে নৈতিকতা ও মূল্যবোধের পুনরুদ্ধার করা হবে। রাজধানীর উন্নয়নে বিশেষজ্ঞদের পরামর্শের পাশাপাশি তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে সাধারণ জনগণকে সম্পৃক্ত করা হবে। জ্যেষ্ঠ নাগরিকদের জন্য বিশেষ সার্ভিস চালু করা হবে। গ্রন্থাগার ও জাদুঘর নির্মাণ করা হবে। বছরে দুইবার নগরের আয়-ব্যয়ের হিসাব নাগরিকদের উদ্দেশ্যে প্রকাশ করা হবে। মেয়র নির্বাচিত হলে ঢাকাবাসী যেকোন সময় মেয়রের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে পারবেন।

ঢাকা দক্ষিণের ৭৫টি ওয়ার্ড এবং ২৫টি সংরক্ষিত ওয়ার্ডে মোট ভোটার ২৩ লাখ ৬৭ হাজার ৪৮৮ জন। এই সিটিতে সাতজন মেয়র প্রার্থী রয়েছেন।

বুধবার, ২৯ জানুয়ারী ২০২০ , ১৫ মাঘ ১৪২৬, ৩ জমাদিউস সানি ১৪৪১

ইশরাকের নির্বাচনী ইশতেহার

ঐতিহ্য ও আধুনিকতার সমন্বয়ে বাসযোগ্য নগরী গড়ার প্রতিশ্রুতি

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক

সামাজিক ও মানবিক মূল্যবোধ সম্পন্ন অত্যাধুনিক ঢাকা গড়ার প্রত্যয়ে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি) নির্বাচনে ধানের শীষের প্রার্থী ইশরাক হোসেন ইশতেহার ঘোষণা করেছেন। তিনি ঐতিহ্য ও আধুনিকতার সমন্বয়ে আধুনিক বাসযোগ্য নগরী গড়ে তোলার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন ইশতেহারে। দুর্নীতিমুক্ত প্রাতিষ্ঠানিক সেবা, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারসহ সব কিছুর সম্মিলনে বিশ্বমানের ঢাকা গড়তে ১৬ দফা দিয়ে ইশতেহার ঘোষণা করেছে বিএনপির প্রার্থী ইশরাক। স্বল্পমেয়াদে ১০০ দিনের পরিকল্পনা নেয়ার পাশাপাশি নাগরিক সমস্যা সমাধানে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে কার্যকরী ব্যবস্থা নেয়ার কথাও জানিয়েছেন তিনি।

গতকাল জাতীয় প্রেসক্লাবে ইশতেহার ঘোষণা করেন তিনি। ইশতেহার ঘোষণার সময় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমান, নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না, গণফোরামের সাধারণ সম্পাদক রেজা কিবরিয়া, নির্বাহী সভাপতি সুব্রত চৌধুরী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক এমাজউদ্দিন আহমেদসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।

ইশরাক হোসেন নির্বাচনী ইশতেহারে ঐতিহ্য ও আধুনিকতার সমন্বয়ে আধুনিক বাসযোগ্য নগরী গড়ে তোলার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। তিনি বলেন, আপনাদের সহযোগিতা পেলে বাস্তব প্রায়োগিক ও নাগরিকবান্ধব করে গড়ে তোলা সম্ভব হবে।

ইশতেহারে নাগরিক সেবা, নাগরিক বিনোদন, যানজট নিরসন ও যোগাযোগ ব্যবস্থার টেকসই উন্নয়ন, নাগরিক স্বাস্থ্যসেবা, শিক্ষাব্যবস্থা, পরিবেশ উন্নয়ন বনায়ন ও বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহার, সমাজসেবা কার্যক্রম, জননিরাপত্তা ব্যবস্থা, প্রাকৃতিক দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা, নৈতিকতার শক্তি পুনরুদ্ধার, গ্রন্থাগার ও জাদুঘর, নগর পরিকল্পনা ও প্রশাসন ব্যবস্থা তুলে ধরেন। নির্বাচিত হলে সমন্বিত ও কার্যকর নগর সরকার ধারণা বাস্তবায়নে সক্রিয় উদ্যোগ নেয়ার কথা ইশতেহারে বলা হয়েছে। নাগরিক সুবিধা বৃদ্ধির জন্য রাজউকের মাস্টারপ্লানের সঙ্গে সমন্বয় করে অঞ্চলভিত্তিক ‘অ্যাকশন এরিয়া প্লান’ গ্রহণ, নাগরিক সেবার কর্মকা- ওয়ার্ড পর্যায়ে বিকেন্দ্রীকরণ করা হবে।

প্রথম ১০০ দিনের কর্মসূচি উল্লেখ করে তিনি বলেন, নির্বাচিত হলে স্বল্পমেয়াদে প্রথম ১০০ দিনের অগ্রাধিকার কর্মসূচি গ্রহণ করা হবে। জরুরি জনগুরুত্বপূর্ণ অগ্রাধিকার বিষয়গুলো চিহ্নিত করে সমন্বিত কার্যক্রমের মাধ্যমে ত্বরিৎ বাস্তবায়ন নিশ্চিত করা হবে। ওয়ার্ডভিত্তিক ব্যায়ামাগার আধুনিক করা হবে। বিশেষ স্থানে কৃষক মার্কেট ও নাইট মার্কেট চালু করা হবে। রাজধানীতে জলাবদ্ধতা নিরসনে আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করা হবে। নদী দূষণ রোধ করে নদী পর্যটন চালু করা হবে। মেয়রের দায়িত্ব পেলে ডেঙ্গু প্রতিরোধে বছরজুড়ে মশার অভয়াশ্রম ঢাকার জলাশয়গুলো পরিচ্ছন্ন রাখার উদ্যোগ নেয়া হবে। মশক নিধনে ‘আধুনিক প্রযুক্তি’ ব্যবহার করা হবে।

তিনি বলেন, দুর্নীতি সমাজের রন্ধ্রে রন্ধ্রে প্রবেশ করে আমাদের নৈতিক, সামাজিক ও অর্থনৈতিক উন্নয়ন বাধাগ্রস্ত করছে। আমি প্রতিজ্ঞা করছি আপনাদের সবার আন্তরিক সহযোগিতায় আমরা ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের সর্বস্তরে দুর্নীতিমুক্ত সেবা প্রদান নিশ্চিত করব। যাবতীয় সেবাপ্রাপ্তির জন্য এবং সব অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ কর্তৃপক্ষকে সরাসরি অবহিত করার সুযোগ সৃষ্টির লক্ষ্যে মহানগরী ও আঞ্চলিক কার্যালয়ে হটলাইন চালু করা হবে। সেবাপ্রাপ্তির চাহিদা অভিযোগ পাওয়ার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সমস্যার সমাধানে কার্যকরী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তা ছাড়া যেকোন নাগরিকের জন্য আমার দুয়ার এবং ব্যক্তিগত ফোন সার্বক্ষণিক খোলা থাকবে।

যাত্রাবাড়ী-ডেমরা এলাকায় ‘ডিএনডি’ বাঁধের কারণে সৃষ্ট জলাবদ্ধ এলাকার পানি শীতলক্ষ্যা নদীতে স্থানান্তর এবং বর্জ্য ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে কম্পোস্ট সার তৈরি ও বিদ্যুৎ উৎপাদনের পরিকল্পনাও রয়েছে। মেয়র হলে তিনি বুড়িগঙ্গা দূষণমুক্ত করা, নদীর তীর রক্ষা ও ওয়াকওয়ে নির্মাণ, সৌন্দর্যবর্ধন প্রকল্প নেয়া হবে এবং নদীভিত্তিক বিনোদন কেন্দ্র, নৌ পর্যটন ব্যবস্থা গড়ে তোলা হবে। শিশু পার্কসহ বিনোদন কেন্দ্রের উন্নয়ন ও আধুনিকায়ন করা হবে। পুরান ঢাকার ঐতিহাসিক স্থাপনাগুলোর ঐতিহ্য ও স্থাপত্যশৈলী অক্ষুণœ রেখে সংস্কার করা হবে।

ধানের শীষের প্রার্থী বলেন, গণতন্ত্র আজ নির্বাসিত। কিন্তু জনগণের দল হিসেবে বিএনপি গণতন্ত্র ও গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করে। নির্বাচনই যেহেতু ক্ষমতা বদলের একমাত্র গণতান্ত্রিক পন্থা, তাই আমাদের দল গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার ও বিএনপি চেয়ারপারসন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করার চলমান আন্দোলনের অংশ হিসেবে আসন্ন সিটি করপোরেশন নির্বাচনে অংশ নেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আমরা বিশ্বাস করি গণতন্ত্র, বাকস্বাধীনতা, বেগম জিয়ার মুক্তি এবং সর্বোপরি আমাদের রাষ্ট্রীয় সার্বভৌমত্ব সুরক্ষার স্বার্থে আপনারা ধানের শীষ তথা বেগম জিয়ার পক্ষে আপনার মূল্যবান ভোট দিয়ে আমাকে জয়যুক্ত করবেন।

ইশতেহারে তিনি উল্লেখ করেন-সম্প্রতি বাংলাদেশে ধর্ষণ মহামারী আকার ধারণ করেছে। তাছাড়া রয়েছে যৌতুক সমস্যা, ইভটিজিং, এসিড নিক্ষেপসহ নানা ধরনের নারী ও শিশু নির্যাতনের দৌরাত্ম্য। আমাদের নৈতিক মূল্যবোধের ভয়াবহ ধ্বংস নামার কারণেই সমাজে অস্থিরতা ও নৈরাজ্য ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। গণমাধ্যম, একাডেমিক কারিক্যুলাম, সার্বিক ধর্মীয় মূল্যবোধের চর্চা এবং ইতিবাচক সামাজিক আন্দোলনের মাধ্যমে নৈতিকতা ও মূল্যবোধের পুনরুদ্ধার করা হবে। রাজধানীর উন্নয়নে বিশেষজ্ঞদের পরামর্শের পাশাপাশি তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে সাধারণ জনগণকে সম্পৃক্ত করা হবে। জ্যেষ্ঠ নাগরিকদের জন্য বিশেষ সার্ভিস চালু করা হবে। গ্রন্থাগার ও জাদুঘর নির্মাণ করা হবে। বছরে দুইবার নগরের আয়-ব্যয়ের হিসাব নাগরিকদের উদ্দেশ্যে প্রকাশ করা হবে। মেয়র নির্বাচিত হলে ঢাকাবাসী যেকোন সময় মেয়রের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে পারবেন।

ঢাকা দক্ষিণের ৭৫টি ওয়ার্ড এবং ২৫টি সংরক্ষিত ওয়ার্ডে মোট ভোটার ২৩ লাখ ৬৭ হাজার ৪৮৮ জন। এই সিটিতে সাতজন মেয়র প্রার্থী রয়েছেন।