বিয়ের উচ্ছ্বাস কাটার আগেই পুড়ে ছাই হলো সংসার
বিয়ের উচ্ছাস কাটার আগেই অগ্নিকাণ্ডে পুড়ে ছাই হয়েছে সংসার। আগুনে দগ্ধ হয়ে নিহত হয়েছে শিশুসহ ৫ জন। জেলা শহর মৌলভীবাজারের ব্যস্ততম বিপনী এলাকা পশ্চিমবাজারের পিংকী সু-স্টোরের এ অগ্নিকাণ্ডে রীতিমত স্তব্ধ মৌলভীবাজার।
নিহতরা হলেন পিংকি সু-স্টোরের মালিক সুভাষ রায় (৬৫), তার মেয়ে প্রিয়া রায় (১৯)। সুভাষ রায়ের ভাই মনা রায়ের স্ত্রী দিপ্তী রায় (৪৮) এবং সুভাষ রায়ের শ্যালক সজল রায়ের স্ত্রী দিপা রায় ও তাদের মেয়ে বৈশাখী রায় (৩)। নিহতদের মধ্যে দিপা রায় ও বৈশাখী রায় (৩) বিয়ে বাড়িতে বেড়াতে এসেছিল। এ অগ্নিকাণ্ডে নিহতদের মধ্যে দিপা রায় ও বৈশাখী সুভাষের বাসায় মেয়ে পিংকীর বিয়ের অনুষ্ঠানে আসেন। তাদের বাড়ি হবিগঞ্জের উমেদনগর এলাকায়।
মৌলভীবাজারের সাইফুর রহমান রোডস্থ ‘পিংকি সু স্টোর’ এর অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় নিহতদের পরিবারকে মৃতদেহ সৎকারের জন্য ১ লক্ষ টাকা করে সহায়তা প্রদান করেছে মৌলভীবাজার জেলা প্রশাসন। গতকাল সন্ধ্যায় মৌলভীবাজার শ্মশানঘাটে অগ্নিকাণ্ডে নিহতদের অন্তেষ্ট্রিক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে বলে জানা গেছে।
এ ঘটনায় মনা রায় (৬০) আহত অবস্থায় চিকিৎসাধীন আছে। তবে সুভাষ রায়ের ছেলে সৌম্য নববিবাহীতা বোন পিংকীর সঙ্গে তার শ্বশুড়ালয়ে থাকায় আগুনের কবল থেকে রক্ষা পেয়েছে। নব বিবাহিতা পিংকীর শ্বশুড়ালয়েও বিরাজ করছে শোকের মাতম।
গতকাল ২৮ জানুয়ারি মঙ্গলবার সকালে তখনও পশ্চিমবাজারের অনেক দোকানপাট খোলা হয়নি। সকাল সোয়া ১০টার দিকে হঠাৎ করেই শহরের পশ্চিম বাজারের এম. সাইফুর রহমান সড়কের পিংকী স্টোরের অগ্নিকাণ্ডের সুত্রপাত ঘটে। এ দোকানঘরের একাংশে পরিবার দিয়ে বসবাস করতেন ব্যবসায়ি সুভাষ রায় ও মনা রায়। অগ্নিকাণ্ডের পর প্রায় দুই ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে ফায়ার সার্ভিসের ৫টি ইউনিট দুপুর ১২টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। পরে ভবনের ভেতর থেকে ৫ জনের মরদেহ বের করা হয়।
সরেজমিনে দেখা যায়, পুড়ে যাওয়া ভবনটির নিচে পিংকি সু স্টোর নামের একটি জুতার দোকান পরিচালনা করেন সুভাষ রায়ের ভাই মনা রায়। সেমি পাকা দোকানটির ছাদ কাঠের তৈরি। তার ওপর তৈরি টিনের ঘরে বাস করছিলেন সুভাষ রায়ের পরিবারের সদস্যরা। দোতলা থেকে নামার সিড়িটিও কাঠের। সকাল ১০টা ১৫ মিনিটে দোকানটিতে আগুন লাগে। ভবনটি কাঠ ও টিনের তৈরি হওয়ায় আগুন দ্রুত ওপরে ছড়িয়ে পড়ে। এছাড়া দোকানে প্রচুর জুতা ও সিনথেটিকের ব্যাগ মজুদ থাকায় আগুনের তীব্রতা বাড়তে থাকে।
স্থানীয়দের সূত্রে জানা গেছে, সুভাষ রায়ের মেয়ের পিংকির বিয়ে গত ২২ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হয়। বিয়ে উপলক্ষে আত্মীয়রা বাসায় আসেন। সোমবার ২৭ জানুয়ারি মেয়ের বউ ভাত শেষে বাসায় ১২ জন সদস্য অবস্থান করছিলেন। মঙ্গলবার সকাল ১০টার দিকে ভবনের নিচ তলায় তাদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়। পরে তা পুরো ভবনে ছড়িয়ে পড়ে। বিয়ের আনুষ্ঠানিকতায় ক্লান্ত সবাই তখন ঘুমে ছিলেন। আগুন টের পেয়ে পরিবারের সদস্য ও স্বজনদের মধ্যে ৭ জন আশপাশের বাসিন্দাদের সহায়তায় বেরিয়ে আসতে সক্ষম হয়। কিন্তু ভয়াবহ আগুনের কবলে আটকা পড়েন ৫ জন এবং তারা ঘটনাস্থলেই মারা যান। মৌলভীবাজার ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের উপ পরিচালক আবদুল আল বাসার জানান, সকাল সাড়ে ১০টায় ফায়ার সার্ভিসের ২টি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। পরে শ্রীমঙ্গল থেকে আরও ৩টি ইউনিট সেখানে আগুন দমনে যোগ দেয়। ৫টি ইউনিট মিলে দুপুর ১২টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়। পরে ভবনের ভেতর থেকে ৫ জনের মরদেহ বের করা হয়। তিনি আরও জানান, এখনই নিশ্চিত করে অগ্নিকাণ্ডের কারণ নির্ণয়ে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পদক অ্যাডভোকেট রাধাপদ দেব সজল জানান, ঘরটি মুলত একতলা পুরোনো ঘর। ঘরের একাংশে কাটের দ্বি-তল ব্যবস্থা ছিল। অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাতের পরে তা রান্না ঘরের গ্যাসের লাইন পর্যন্ত ছড়িয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হয়। আগুনের তীব্রতার কারণে নিহত ৫ জনকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। বেড়াতে এসে মৃত মৌলভীবাজারে সাইফুর রহমান রোডস্থ ‘পিংকি সু স্টোরে’ লাগা অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় অতিরিক্ত মানুষের ভিড়ে উদ্ধার কাজ ব্যাহত হয়েছে বলে অভিযোগ ওঠেছে। এছাড়াও শীত মৌসুম থাকার ফলে পার্শ্ববর্তী মনু নদীতে পানি না থাকায় তাৎক্ষণিক পানি সরবরাহ করতে না পারার কারণেও আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সময় লেগেছে বলে জানিয়েছেন ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তারা। আগুনে দগ্ধ হয়ে মারা যাওয়া প্রিয়া রায়ের প্রাইমারি স্কুলের এক শিক্ষিকা ক্ষোভের সঙ্গে বলেন, রেড এলার্ট দিয়ে মানুষ সরিয়ে আগুন নেভানোর কাজ করা উচিত ছিল। কিন্তু মানুষের জটলার অজুহাতে আগুন নেভাতে দেরির বিষয়টি গ্রহণ যোগ্য নয়।
উল্লেখ্য, সকাল সোয়া ১০টায় অগ্নিকাণ্ডের সূচনা হলেও আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে প্রায় ১২টার দিকে।
বেড়াতে এসে অগ্নিদগ্ধ
স্বামীর ভাগনির বিয়েতে সামিল হতে হবিগঞ্জ থেকে সপরিবারে মৌলভীবাজারে এসেছিলেন দিপা রায় (৩৫)। ২২ জানুয়ারি বিয়ে শেষ হলেও সোমবার ছিল বিয়ের বৌ ভাত। বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা শেষে পরিবারের সঙ্গেই হবিগঞ্জে ফিরে যাওয়ার কথা ছিলো আজকালকের মধ্যেই।
কিন্তু মেয়েকে নিয়ে আর বাড়ি ফেরা হলোনা দিপা রায়ের। ভয়াবহ আগুন অকস্মাৎ মা-মেয়ের জীবন কেড়ে নিয়েছে। স্ত্রী-কন্যাকে এভাবে হারাবেন তা কল্পনাও করতে পারেননি দিপা রায়ের স্বামী সজল রায় । গতকাল সকালে পিংকি সু স্টোরে লাগা আগুনে পুড়ে অন্য স্বজনদের সঙ্গে মারা গেছেন দিপা রায় ও তার মেয়ে বৈশাখী রায়। এ নিয়ে হবিগঞ্জে তাদের পরিবারে মাতম চলছে বলে সেখান থেকে আসা লোকজন জানিয়েছেন।
বুধবার, ২৯ জানুয়ারী ২০২০ , ১৫ মাঘ ১৪২৬, ৩ জমাদিউস সানি ১৪৪১
বিয়ের উচ্ছ্বাস কাটার আগেই পুড়ে ছাই হলো সংসার
এমএ সালাম, মৌলভীবাজার
বিয়ের উচ্ছাস কাটার আগেই অগ্নিকাণ্ডে পুড়ে ছাই হয়েছে সংসার। আগুনে দগ্ধ হয়ে নিহত হয়েছে শিশুসহ ৫ জন। জেলা শহর মৌলভীবাজারের ব্যস্ততম বিপনী এলাকা পশ্চিমবাজারের পিংকী সু-স্টোরের এ অগ্নিকাণ্ডে রীতিমত স্তব্ধ মৌলভীবাজার।
নিহতরা হলেন পিংকি সু-স্টোরের মালিক সুভাষ রায় (৬৫), তার মেয়ে প্রিয়া রায় (১৯)। সুভাষ রায়ের ভাই মনা রায়ের স্ত্রী দিপ্তী রায় (৪৮) এবং সুভাষ রায়ের শ্যালক সজল রায়ের স্ত্রী দিপা রায় ও তাদের মেয়ে বৈশাখী রায় (৩)। নিহতদের মধ্যে দিপা রায় ও বৈশাখী রায় (৩) বিয়ে বাড়িতে বেড়াতে এসেছিল। এ অগ্নিকাণ্ডে নিহতদের মধ্যে দিপা রায় ও বৈশাখী সুভাষের বাসায় মেয়ে পিংকীর বিয়ের অনুষ্ঠানে আসেন। তাদের বাড়ি হবিগঞ্জের উমেদনগর এলাকায়।
মৌলভীবাজারের সাইফুর রহমান রোডস্থ ‘পিংকি সু স্টোর’ এর অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় নিহতদের পরিবারকে মৃতদেহ সৎকারের জন্য ১ লক্ষ টাকা করে সহায়তা প্রদান করেছে মৌলভীবাজার জেলা প্রশাসন। গতকাল সন্ধ্যায় মৌলভীবাজার শ্মশানঘাটে অগ্নিকাণ্ডে নিহতদের অন্তেষ্ট্রিক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে বলে জানা গেছে।
এ ঘটনায় মনা রায় (৬০) আহত অবস্থায় চিকিৎসাধীন আছে। তবে সুভাষ রায়ের ছেলে সৌম্য নববিবাহীতা বোন পিংকীর সঙ্গে তার শ্বশুড়ালয়ে থাকায় আগুনের কবল থেকে রক্ষা পেয়েছে। নব বিবাহিতা পিংকীর শ্বশুড়ালয়েও বিরাজ করছে শোকের মাতম।
গতকাল ২৮ জানুয়ারি মঙ্গলবার সকালে তখনও পশ্চিমবাজারের অনেক দোকানপাট খোলা হয়নি। সকাল সোয়া ১০টার দিকে হঠাৎ করেই শহরের পশ্চিম বাজারের এম. সাইফুর রহমান সড়কের পিংকী স্টোরের অগ্নিকাণ্ডের সুত্রপাত ঘটে। এ দোকানঘরের একাংশে পরিবার দিয়ে বসবাস করতেন ব্যবসায়ি সুভাষ রায় ও মনা রায়। অগ্নিকাণ্ডের পর প্রায় দুই ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে ফায়ার সার্ভিসের ৫টি ইউনিট দুপুর ১২টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। পরে ভবনের ভেতর থেকে ৫ জনের মরদেহ বের করা হয়।
সরেজমিনে দেখা যায়, পুড়ে যাওয়া ভবনটির নিচে পিংকি সু স্টোর নামের একটি জুতার দোকান পরিচালনা করেন সুভাষ রায়ের ভাই মনা রায়। সেমি পাকা দোকানটির ছাদ কাঠের তৈরি। তার ওপর তৈরি টিনের ঘরে বাস করছিলেন সুভাষ রায়ের পরিবারের সদস্যরা। দোতলা থেকে নামার সিড়িটিও কাঠের। সকাল ১০টা ১৫ মিনিটে দোকানটিতে আগুন লাগে। ভবনটি কাঠ ও টিনের তৈরি হওয়ায় আগুন দ্রুত ওপরে ছড়িয়ে পড়ে। এছাড়া দোকানে প্রচুর জুতা ও সিনথেটিকের ব্যাগ মজুদ থাকায় আগুনের তীব্রতা বাড়তে থাকে।
স্থানীয়দের সূত্রে জানা গেছে, সুভাষ রায়ের মেয়ের পিংকির বিয়ে গত ২২ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হয়। বিয়ে উপলক্ষে আত্মীয়রা বাসায় আসেন। সোমবার ২৭ জানুয়ারি মেয়ের বউ ভাত শেষে বাসায় ১২ জন সদস্য অবস্থান করছিলেন। মঙ্গলবার সকাল ১০টার দিকে ভবনের নিচ তলায় তাদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়। পরে তা পুরো ভবনে ছড়িয়ে পড়ে। বিয়ের আনুষ্ঠানিকতায় ক্লান্ত সবাই তখন ঘুমে ছিলেন। আগুন টের পেয়ে পরিবারের সদস্য ও স্বজনদের মধ্যে ৭ জন আশপাশের বাসিন্দাদের সহায়তায় বেরিয়ে আসতে সক্ষম হয়। কিন্তু ভয়াবহ আগুনের কবলে আটকা পড়েন ৫ জন এবং তারা ঘটনাস্থলেই মারা যান। মৌলভীবাজার ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের উপ পরিচালক আবদুল আল বাসার জানান, সকাল সাড়ে ১০টায় ফায়ার সার্ভিসের ২টি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। পরে শ্রীমঙ্গল থেকে আরও ৩টি ইউনিট সেখানে আগুন দমনে যোগ দেয়। ৫টি ইউনিট মিলে দুপুর ১২টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়। পরে ভবনের ভেতর থেকে ৫ জনের মরদেহ বের করা হয়। তিনি আরও জানান, এখনই নিশ্চিত করে অগ্নিকাণ্ডের কারণ নির্ণয়ে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পদক অ্যাডভোকেট রাধাপদ দেব সজল জানান, ঘরটি মুলত একতলা পুরোনো ঘর। ঘরের একাংশে কাটের দ্বি-তল ব্যবস্থা ছিল। অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাতের পরে তা রান্না ঘরের গ্যাসের লাইন পর্যন্ত ছড়িয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হয়। আগুনের তীব্রতার কারণে নিহত ৫ জনকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। বেড়াতে এসে মৃত মৌলভীবাজারে সাইফুর রহমান রোডস্থ ‘পিংকি সু স্টোরে’ লাগা অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় অতিরিক্ত মানুষের ভিড়ে উদ্ধার কাজ ব্যাহত হয়েছে বলে অভিযোগ ওঠেছে। এছাড়াও শীত মৌসুম থাকার ফলে পার্শ্ববর্তী মনু নদীতে পানি না থাকায় তাৎক্ষণিক পানি সরবরাহ করতে না পারার কারণেও আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সময় লেগেছে বলে জানিয়েছেন ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তারা। আগুনে দগ্ধ হয়ে মারা যাওয়া প্রিয়া রায়ের প্রাইমারি স্কুলের এক শিক্ষিকা ক্ষোভের সঙ্গে বলেন, রেড এলার্ট দিয়ে মানুষ সরিয়ে আগুন নেভানোর কাজ করা উচিত ছিল। কিন্তু মানুষের জটলার অজুহাতে আগুন নেভাতে দেরির বিষয়টি গ্রহণ যোগ্য নয়।
উল্লেখ্য, সকাল সোয়া ১০টায় অগ্নিকাণ্ডের সূচনা হলেও আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে প্রায় ১২টার দিকে।
বেড়াতে এসে অগ্নিদগ্ধ
স্বামীর ভাগনির বিয়েতে সামিল হতে হবিগঞ্জ থেকে সপরিবারে মৌলভীবাজারে এসেছিলেন দিপা রায় (৩৫)। ২২ জানুয়ারি বিয়ে শেষ হলেও সোমবার ছিল বিয়ের বৌ ভাত। বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা শেষে পরিবারের সঙ্গেই হবিগঞ্জে ফিরে যাওয়ার কথা ছিলো আজকালকের মধ্যেই।
কিন্তু মেয়েকে নিয়ে আর বাড়ি ফেরা হলোনা দিপা রায়ের। ভয়াবহ আগুন অকস্মাৎ মা-মেয়ের জীবন কেড়ে নিয়েছে। স্ত্রী-কন্যাকে এভাবে হারাবেন তা কল্পনাও করতে পারেননি দিপা রায়ের স্বামী সজল রায় । গতকাল সকালে পিংকি সু স্টোরে লাগা আগুনে পুড়ে অন্য স্বজনদের সঙ্গে মারা গেছেন দিপা রায় ও তার মেয়ে বৈশাখী রায়। এ নিয়ে হবিগঞ্জে তাদের পরিবারে মাতম চলছে বলে সেখান থেকে আসা লোকজন জানিয়েছেন।