মুক্তিপণ নিয়ে ৪ পুলিশসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে মামলা

লক্ষ্মীপুরে নুর আলম নুরু নামে এক ব্যক্তিকে অপহরণের পর মুক্তিপণ আদায়ের অভিযোগে চার পুলিশ সদস্যসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। গত সোমবার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সদর আদালতে নুরুর মা নুরজাহান বেগম বাদী হয়ে মামলাটি করেন। মামলার আসামিরা হলেন লক্ষ্মীপুর শহর পুলিশ ফাঁড়ির উপ-পরিদর্শক (এসআই) মোহাম্মদ কাওসারুজ্জামান, সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) মঞ্জুরুল ইসলাম, মহিউদ্দিন খন্দকার, কনস্টেবল কবির হোসেন, শহরের দক্ষিণ তেমুহনীর চা দোকানি আবুল হোসেন ও অজ্ঞাত আরও পাঁচজন। এজাহার সূত্রে জানা গেছে, রায়পুর থানার একটি মামলায় ২০১৯ সালের ৩১ জুলাই নুর আলমকে পুলিশ গ্রেফতার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠায়। ৩০ ডিসেম্বর লক্ষ্মীপুর চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত তার জামিন মঞ্জুর করেন। ওইদিন সন্ধ্যায় জেল হাজতে থেকে বের হওয়ার সময় সাদা পোশাকে তিনজন লোক নুর আলমকে আটক করতে যায়। এ সময় ভয়ে তিনি কারা পুলিশ ব্যারাকের রান্নাঘরে আশ্রয় নেন। পরে তারা নুর আলমকে সেখানে থেকে হাতকড়া ও চোখ বেঁধে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যায়। সেখানে চোখের বাঁধন খুললে তিনি এসআই কাওসারুজ্জামানকে চিনতে পারেন। এরপর থেকে প্রায় ছয় দিন পর্যন্ত তাকে আটকে রাখা হয়। ৫ জানুয়ারি তারা নুর আলমের শাশুড়ি ফিরোজা বেগমের মোবাইল ফোনে কল করে এক লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। টাকা না দিলে নুর আলমকে হত্যা বা অস্ত্র-মাদক মামলায় জড়িয়ে দেবে বলে হুমকি দেয়। এ সময় দাবি করা টাকা শহরের দক্ষিণ তেমুহনী এলাকার চা-দোকানি আবুল হোসেনের কাছে দিয়ে আসতে বলে। ওইদিন দুপুরে ১৯ হাজার ৫০০ টাকা আবুল হোসেনের কাছে দিয়ে আসা হয়। কিন্তু দাবি করা পুরো টাকা না দেয়ায় ওইদিনই ৪৫ পিস ইয়াবা দিয়ে নুর আলমকে তারা গ্রেফতার দেখায়। পরে আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। ২১ জানুয়ারি নুর আলমের বিরুদ্ধে মাদক মামলাটি তদন্তের জন্য আদালতে আবেদন করা হয়। এতে এসআই কাওসারুজ্জামান ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন। ওইদিনই আদালতের পুলিশ কাস্টডিতে নুর আলমকে তিনি ক্রসফায়ারের হুমকি দেন বলে এজাহারে উল্লেখ করা হয়।

অভিযোগ অস্বীকার করে এসআই কাওসারুজ্জামান বলেন, অভিযোগটি সত্য নয়। মিথ্যা ঘটনা সাজিয়ে আমাদের ফাঁসানোর চেষ্টা করা হচ্ছে।

বাদীর আইনজীবী আবদুল আহাদ শাকিল বলেন, আদালতের বিচারক রায়হান চৌধুরী মামলাটি আমলে নিয়েছেন। নোয়াখালী পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) মামলাটি তদন্তের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

আরও খবর
একনেকে ৪ হাজার ৩২৪ কোটি টাকা ব্যয়ে ৯ প্রকল্প অনুমোদন
আগামী জুনে পদ্মা সেতু ডিসেম্বরে মেট্রোরেল উদ্বোধন
চার জেলায় প্রাণ গেল ৭ জনের
ভোট সংশ্লিষ্ট তথ্য জানা যাবে এসএমএসে
আ’লীগ এমপি আফজাল হোসেনের সম্পদ অনুসন্ধানে দুদক
অ্যাসকড সম্মেলন শুরু
চার শিল্পপতির বিরুদ্ধে দুদকের মামলা
ক্যানসার আক্রান্ত শিশুর অস্থিমজ্জা প্রতিস্থাপন
শিল্পকলায় বহুবচনের ‘প্রেম বড় কবিরাজ’ মঞ্চায়ন আজ
আজ সিনেমাটোগ্রাফির ওপর কর্মশালা
সাংবাদিকদের ওপর হামলার প্রতিবাদে সড়ক অবরোধ ও বিক্ষোভ
আড়ং কর্মীর কাছে চেঞ্জরুমের ৩৭টি গোপন ভিডিও
না’গঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতির ভোটগ্রহণ আজ
কাপ্তাই ভাইস চেয়ারম্যানের ৩ বছর কারাদণ্ড

বুধবার, ২৯ জানুয়ারী ২০২০ , ১৫ মাঘ ১৪২৬, ৩ জমাদিউস সানি ১৪৪১

লক্ষ্মীপুরে

মুক্তিপণ নিয়ে ৪ পুলিশসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে মামলা

জেলা বার্তা পরিবেশক, লক্ষ্মীপুর

লক্ষ্মীপুরে নুর আলম নুরু নামে এক ব্যক্তিকে অপহরণের পর মুক্তিপণ আদায়ের অভিযোগে চার পুলিশ সদস্যসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। গত সোমবার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সদর আদালতে নুরুর মা নুরজাহান বেগম বাদী হয়ে মামলাটি করেন। মামলার আসামিরা হলেন লক্ষ্মীপুর শহর পুলিশ ফাঁড়ির উপ-পরিদর্শক (এসআই) মোহাম্মদ কাওসারুজ্জামান, সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) মঞ্জুরুল ইসলাম, মহিউদ্দিন খন্দকার, কনস্টেবল কবির হোসেন, শহরের দক্ষিণ তেমুহনীর চা দোকানি আবুল হোসেন ও অজ্ঞাত আরও পাঁচজন। এজাহার সূত্রে জানা গেছে, রায়পুর থানার একটি মামলায় ২০১৯ সালের ৩১ জুলাই নুর আলমকে পুলিশ গ্রেফতার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠায়। ৩০ ডিসেম্বর লক্ষ্মীপুর চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত তার জামিন মঞ্জুর করেন। ওইদিন সন্ধ্যায় জেল হাজতে থেকে বের হওয়ার সময় সাদা পোশাকে তিনজন লোক নুর আলমকে আটক করতে যায়। এ সময় ভয়ে তিনি কারা পুলিশ ব্যারাকের রান্নাঘরে আশ্রয় নেন। পরে তারা নুর আলমকে সেখানে থেকে হাতকড়া ও চোখ বেঁধে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যায়। সেখানে চোখের বাঁধন খুললে তিনি এসআই কাওসারুজ্জামানকে চিনতে পারেন। এরপর থেকে প্রায় ছয় দিন পর্যন্ত তাকে আটকে রাখা হয়। ৫ জানুয়ারি তারা নুর আলমের শাশুড়ি ফিরোজা বেগমের মোবাইল ফোনে কল করে এক লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। টাকা না দিলে নুর আলমকে হত্যা বা অস্ত্র-মাদক মামলায় জড়িয়ে দেবে বলে হুমকি দেয়। এ সময় দাবি করা টাকা শহরের দক্ষিণ তেমুহনী এলাকার চা-দোকানি আবুল হোসেনের কাছে দিয়ে আসতে বলে। ওইদিন দুপুরে ১৯ হাজার ৫০০ টাকা আবুল হোসেনের কাছে দিয়ে আসা হয়। কিন্তু দাবি করা পুরো টাকা না দেয়ায় ওইদিনই ৪৫ পিস ইয়াবা দিয়ে নুর আলমকে তারা গ্রেফতার দেখায়। পরে আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। ২১ জানুয়ারি নুর আলমের বিরুদ্ধে মাদক মামলাটি তদন্তের জন্য আদালতে আবেদন করা হয়। এতে এসআই কাওসারুজ্জামান ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন। ওইদিনই আদালতের পুলিশ কাস্টডিতে নুর আলমকে তিনি ক্রসফায়ারের হুমকি দেন বলে এজাহারে উল্লেখ করা হয়।

অভিযোগ অস্বীকার করে এসআই কাওসারুজ্জামান বলেন, অভিযোগটি সত্য নয়। মিথ্যা ঘটনা সাজিয়ে আমাদের ফাঁসানোর চেষ্টা করা হচ্ছে।

বাদীর আইনজীবী আবদুল আহাদ শাকিল বলেন, আদালতের বিচারক রায়হান চৌধুরী মামলাটি আমলে নিয়েছেন। নোয়াখালী পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) মামলাটি তদন্তের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।