না’গঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতির ভোটগ্রহণ আজ

শেষ মুহূর্তে সরে দাঁড়াল বিএনপি

নারায়ণগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতির কার্যকরী কমিটির নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর থেকেই নির্বাচন কমিশনের বিরোধীতা করে আসছিল বিএনপিপন্থী আইনজীবীরা। কমিশনের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ থাকা সত্ত্বেও নির্বাচনে অংশ নেয় তারা। তবে শেষ পর্যন্ত থাকতে পারলেন না।

নির্বাচনের ঠিক আগের দিন গতকাল দুপুরে সংবাদ সম্মেলন করে নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দেয় বিএনপি সমর্থিত জাতীয়তাবাদী আইনজীবী পরিষদ প্যানেল। এ সময় নির্বাচন কমিশনারদের নাম লেখা কুশপুত্তলিকা দাহ করেন তারা। কিছুক্ষণ পরই সাংবাদিকদের ডেকে নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দেন স্বতন্ত্র দুই প্রার্থী অ্যাড. রোমেল মোল্লা ও অ্যাড. মামুন সিরাজুল মজিদ। নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে স্বেচ্ছাচারিতা ও ক্ষমতাসীনদের সুবিধা দেয়াসহ নানা অভিযোগ করেছেন বিএনপি সমর্থিত প্যানেলের সভাপতি প্রার্থী অ্যাড. সরকার হুমায়ূন কবির। তিনি বলেন, ‘প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের সঙ্গে আলোচনা ছাড়াই ক্ষমতাসীনদের সুবিধা দিতে নির্বাচনের একদিন আগে পূর্বঘোষিত ভোটগ্রহণের স্থান পরিবর্তন করা হয়েছে। এটা গঠনতন্ত্র বহির্ভূত সিদ্ধান্ত। গত নির্বাচনেও এই কমিশন আওয়ামী লীগের প্রার্থীদের ভোট কারচুপি করার সুযোগ দিয়েছেন। তাই এই কমিশনের বিরুদ্ধে শুরু থেকেই আমাদের অবস্থান ছিল। তবুও গণতান্ত্রিক চিন্তা থেকে আমরা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছিলাম। কিন্তু এবার পূর্বঘোষিত ভেন্যু পরিবর্তন করায় তাদের ওপর আর ভরসা নেই আমাদের। তাই আমরা নির্বাচন বর্জন করলাম।’ এদিকে নিজের অপারগতা প্রকাশ করে প্রধান নির্বাচন কমিশনার প্রবীণ আইনজীবী অ্যাড. আখতার হোসেন বলেন, ‘আমি নিরুপায়। আমার কথা কমিশনের অন্য কেউ শুনছে না। আমাকে পদত্যাগও করতে দিচ্ছে না আবার কাজও করতে দিচ্ছে না।’ গত ৯ জানুয়ারি নির্মাণাধীন বার ভবনের নিচতলায় বার্ষিক সাধারণ সভায় (এজিএম) আইনজীবী সমিতির নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হয়। এ সময় প্রধান নির্বাচন কমিশনার হিসেবে অ্যাড. আখতার হোসেনের নাম ঘোষণা করা হলে তা প্রত্যাখ্যান করে বিএনপি ও আওয়ামী লীগের বড় একটি অংশ। টানা দুইদিন নির্বাচন কমিশনের প্রত্যাহারের দাবিতে আদালতপাড়ায় বিক্ষোভ মিছিলও করেন তারা। বিতর্কের মধ্য দিয়েও ওই কমিশন বহাল থাকে। পরে এই কমিশনের অধীনেই আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্যানেল ছাড়াও আরও দুটি প্যানেল নির্বাচনে অংশ নেয়।

আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতা ও জেলা আইনজীবী সমিতির চারবারের সভাপতি অ্যাড. আনিসুর রহমান দিপুর নেতৃত্বে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী দিপু-পলু প্যানেল ঘোষণা করা হয়। এই প্যানেলের প্রার্থীদের নির্বাচন থেকে সরে যাওয়ার জন্য হুমকি-ধমকি, রাতের বেলা বাড়ির সামনে সন্ত্রাসী মহড়া দেয়ার অভিযোগ ওঠে। এমন অভিযোগ ওঠার একদিন পরই প্যানেলের সতেরো জন প্রার্থীর পনেরো জনকে নিয়ে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ান অ্যাড. আনিসুর রহমান দিপু। তবে মনোনয়ন প্রত্যাহারের সময় সশরীরে কোন প্রার্থীই নির্বাচন কমিশনের কাছে মনোনয়ন প্রত্যাহারপত্র দাখিল করেননি। তাদের পক্ষে মনোনয়ন প্রত্যাহারপত্র দাখিল করেছেন আওয়ামী লীগ সমর্থিত আইনজীবীরা। অভিযোগ রয়েছে, নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সাংসদ একেএম শামীম ওসমানের প্রভাব ও নির্বাচন থেকে সরে যেতে হুমকি-ধমকির কারণেই নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন চারবারের সভাপতি অ্যাড. দিপু। তবে এই বিষয়ে কোন মন্তব্য করতে নারাজ ছিলেন আনিসুর রহমান দিপু। মনোনয়ন প্রত্যাহারের বিষয়ে জানতে চাইলে সে সময় তিনি বলেন, দলীয় সিদ্ধান্তের কারণেই নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন তিনি। এ সময় তার পাশেই দাঁড়িয়ে ছিলেন সাংসদ শামীম ওসমান। ওইদিন আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্যানেলের সভাপতি প্রার্থী অ্যাড. মোহসীন মিয়াকে সমর্থন দিয়ে কান্না চোখে আদালত ত্যাগ করেন আনিসুর রহমান দিপু। এরপর বিগত কয়েকদিনে আর আদালত প্রাঙ্গণে দেখা যায়নি তাকে।

এদিকে আপত্তি থাকা সত্ত্বে আখতার কমিশনের অধীনে থেকেই নির্বাচনী প্রচারণা চালিয়ে আসছিল বিএনপি। কিন্তু গত সোমবার হঠাৎ করেই পরিবর্তন করা হয় নির্বাচনের ভোটগ্রহণের স্থান। নির্বাচন কমিশন ও প্রার্থীদের দেয়া তথ্যমতে, গত এজিএমেই ভোটগ্রহণের স্থান হিসেবে নির্মাণাধীন বারভবনের নিচতলা নির্ধারণ করা হয়। কিন্তু নির্বাচনের একদিন পূর্বে তা পরিবর্তন করে জেলা জজ আদালতের তৃতীয় তলার একটি কক্ষ নির্ধারণ করা হয়। এর বিরোধীতা করেন বিএনপি সমর্থিত প্রার্থীরা। পরিপ্রেক্ষিতে গতকাল সংবাদ সম্মেলন ডেকে নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দেন তারা।

সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির সিনিয়র নেতা ও বারের তিনবারের সভাপতি অ্যাড. সাখাওয়াত হোসেন খান বলেন, ‘নির্বাচনের একদিন আগে ভেন্যু পরিবর্তনের কোন এখতিয়ার কমিশনের নেই। নির্বাচন কমিশনার হিসেবে আদালতের অতিরিক্ত পিপি, জিপি ও ভিপিকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এই কমিশন সরকারি দলের কথা ছাড়া এক চুলও নড়ে না। তাদের অধীনে একটি সুষ্ঠু নির্বাচন অসম্ভব।’

এ বিষয়ে জানতে চাইলে প্রধান নির্বাচন কমিশনার অ্যাড. আখতার হোসেন বলেন, ‘বার ভবনের নিচতলায় ভোটগ্রহণ হবে এমন সিদ্ধান্তে প্রথমে কমিশনের পাঁচজনই স্বাক্ষর করি। কিন্তু এখন কমিশনের অন্যরা নিরাপত্তার কথা বলে ভেন্যু পরিবর্তনের মত দিয়েছেন। আমি আমার কথায় ঠিক আছি। আমার কথায় কোন নড়চড় নাই। কিন্তু আমি একা কী করব? আমার করার কিছু নাই। এই হলো অবস্থা!’

প্রসঙ্গত, আজ ২৯ জানুয়ারি জেলা আইনজীবী সমিতির নির্বাচনের ভোটগ্রহণের দিন। বিএনপি প্যানেল ও স্বতন্ত্র দুই প্রার্থী নির্বাচন বর্জন করাতে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বীতায় নির্বাচিত হতে যাচ্ছেন আওয়ামী লীগ সমর্থিত সম্মিলিত আইনজীবী পরিষদের অ্যাড. মোহসীন মিয়া ও অ্যাড. মাহবুবুর রহমানের প্যানেলের ১৭ জন প্রার্থী।

আরও খবর
একনেকে ৪ হাজার ৩২৪ কোটি টাকা ব্যয়ে ৯ প্রকল্প অনুমোদন
আগামী জুনে পদ্মা সেতু ডিসেম্বরে মেট্রোরেল উদ্বোধন
চার জেলায় প্রাণ গেল ৭ জনের
ভোট সংশ্লিষ্ট তথ্য জানা যাবে এসএমএসে
আ’লীগ এমপি আফজাল হোসেনের সম্পদ অনুসন্ধানে দুদক
অ্যাসকড সম্মেলন শুরু
চার শিল্পপতির বিরুদ্ধে দুদকের মামলা
ক্যানসার আক্রান্ত শিশুর অস্থিমজ্জা প্রতিস্থাপন
শিল্পকলায় বহুবচনের ‘প্রেম বড় কবিরাজ’ মঞ্চায়ন আজ
আজ সিনেমাটোগ্রাফির ওপর কর্মশালা
মুক্তিপণ নিয়ে ৪ পুলিশসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে মামলা
সাংবাদিকদের ওপর হামলার প্রতিবাদে সড়ক অবরোধ ও বিক্ষোভ
আড়ং কর্মীর কাছে চেঞ্জরুমের ৩৭টি গোপন ভিডিও
কাপ্তাই ভাইস চেয়ারম্যানের ৩ বছর কারাদণ্ড

বুধবার, ২৯ জানুয়ারী ২০২০ , ১৫ মাঘ ১৪২৬, ৩ জমাদিউস সানি ১৪৪১

না’গঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতির ভোটগ্রহণ আজ

শেষ মুহূর্তে সরে দাঁড়াল বিএনপি

সৌরভ হোসেন সিয়াম, নারায়ণগঞ্জ

নারায়ণগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতির কার্যকরী কমিটির নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর থেকেই নির্বাচন কমিশনের বিরোধীতা করে আসছিল বিএনপিপন্থী আইনজীবীরা। কমিশনের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ থাকা সত্ত্বেও নির্বাচনে অংশ নেয় তারা। তবে শেষ পর্যন্ত থাকতে পারলেন না।

নির্বাচনের ঠিক আগের দিন গতকাল দুপুরে সংবাদ সম্মেলন করে নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দেয় বিএনপি সমর্থিত জাতীয়তাবাদী আইনজীবী পরিষদ প্যানেল। এ সময় নির্বাচন কমিশনারদের নাম লেখা কুশপুত্তলিকা দাহ করেন তারা। কিছুক্ষণ পরই সাংবাদিকদের ডেকে নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দেন স্বতন্ত্র দুই প্রার্থী অ্যাড. রোমেল মোল্লা ও অ্যাড. মামুন সিরাজুল মজিদ। নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে স্বেচ্ছাচারিতা ও ক্ষমতাসীনদের সুবিধা দেয়াসহ নানা অভিযোগ করেছেন বিএনপি সমর্থিত প্যানেলের সভাপতি প্রার্থী অ্যাড. সরকার হুমায়ূন কবির। তিনি বলেন, ‘প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের সঙ্গে আলোচনা ছাড়াই ক্ষমতাসীনদের সুবিধা দিতে নির্বাচনের একদিন আগে পূর্বঘোষিত ভোটগ্রহণের স্থান পরিবর্তন করা হয়েছে। এটা গঠনতন্ত্র বহির্ভূত সিদ্ধান্ত। গত নির্বাচনেও এই কমিশন আওয়ামী লীগের প্রার্থীদের ভোট কারচুপি করার সুযোগ দিয়েছেন। তাই এই কমিশনের বিরুদ্ধে শুরু থেকেই আমাদের অবস্থান ছিল। তবুও গণতান্ত্রিক চিন্তা থেকে আমরা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছিলাম। কিন্তু এবার পূর্বঘোষিত ভেন্যু পরিবর্তন করায় তাদের ওপর আর ভরসা নেই আমাদের। তাই আমরা নির্বাচন বর্জন করলাম।’ এদিকে নিজের অপারগতা প্রকাশ করে প্রধান নির্বাচন কমিশনার প্রবীণ আইনজীবী অ্যাড. আখতার হোসেন বলেন, ‘আমি নিরুপায়। আমার কথা কমিশনের অন্য কেউ শুনছে না। আমাকে পদত্যাগও করতে দিচ্ছে না আবার কাজও করতে দিচ্ছে না।’ গত ৯ জানুয়ারি নির্মাণাধীন বার ভবনের নিচতলায় বার্ষিক সাধারণ সভায় (এজিএম) আইনজীবী সমিতির নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হয়। এ সময় প্রধান নির্বাচন কমিশনার হিসেবে অ্যাড. আখতার হোসেনের নাম ঘোষণা করা হলে তা প্রত্যাখ্যান করে বিএনপি ও আওয়ামী লীগের বড় একটি অংশ। টানা দুইদিন নির্বাচন কমিশনের প্রত্যাহারের দাবিতে আদালতপাড়ায় বিক্ষোভ মিছিলও করেন তারা। বিতর্কের মধ্য দিয়েও ওই কমিশন বহাল থাকে। পরে এই কমিশনের অধীনেই আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্যানেল ছাড়াও আরও দুটি প্যানেল নির্বাচনে অংশ নেয়।

আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতা ও জেলা আইনজীবী সমিতির চারবারের সভাপতি অ্যাড. আনিসুর রহমান দিপুর নেতৃত্বে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী দিপু-পলু প্যানেল ঘোষণা করা হয়। এই প্যানেলের প্রার্থীদের নির্বাচন থেকে সরে যাওয়ার জন্য হুমকি-ধমকি, রাতের বেলা বাড়ির সামনে সন্ত্রাসী মহড়া দেয়ার অভিযোগ ওঠে। এমন অভিযোগ ওঠার একদিন পরই প্যানেলের সতেরো জন প্রার্থীর পনেরো জনকে নিয়ে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ান অ্যাড. আনিসুর রহমান দিপু। তবে মনোনয়ন প্রত্যাহারের সময় সশরীরে কোন প্রার্থীই নির্বাচন কমিশনের কাছে মনোনয়ন প্রত্যাহারপত্র দাখিল করেননি। তাদের পক্ষে মনোনয়ন প্রত্যাহারপত্র দাখিল করেছেন আওয়ামী লীগ সমর্থিত আইনজীবীরা। অভিযোগ রয়েছে, নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সাংসদ একেএম শামীম ওসমানের প্রভাব ও নির্বাচন থেকে সরে যেতে হুমকি-ধমকির কারণেই নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন চারবারের সভাপতি অ্যাড. দিপু। তবে এই বিষয়ে কোন মন্তব্য করতে নারাজ ছিলেন আনিসুর রহমান দিপু। মনোনয়ন প্রত্যাহারের বিষয়ে জানতে চাইলে সে সময় তিনি বলেন, দলীয় সিদ্ধান্তের কারণেই নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন তিনি। এ সময় তার পাশেই দাঁড়িয়ে ছিলেন সাংসদ শামীম ওসমান। ওইদিন আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্যানেলের সভাপতি প্রার্থী অ্যাড. মোহসীন মিয়াকে সমর্থন দিয়ে কান্না চোখে আদালত ত্যাগ করেন আনিসুর রহমান দিপু। এরপর বিগত কয়েকদিনে আর আদালত প্রাঙ্গণে দেখা যায়নি তাকে।

এদিকে আপত্তি থাকা সত্ত্বে আখতার কমিশনের অধীনে থেকেই নির্বাচনী প্রচারণা চালিয়ে আসছিল বিএনপি। কিন্তু গত সোমবার হঠাৎ করেই পরিবর্তন করা হয় নির্বাচনের ভোটগ্রহণের স্থান। নির্বাচন কমিশন ও প্রার্থীদের দেয়া তথ্যমতে, গত এজিএমেই ভোটগ্রহণের স্থান হিসেবে নির্মাণাধীন বারভবনের নিচতলা নির্ধারণ করা হয়। কিন্তু নির্বাচনের একদিন পূর্বে তা পরিবর্তন করে জেলা জজ আদালতের তৃতীয় তলার একটি কক্ষ নির্ধারণ করা হয়। এর বিরোধীতা করেন বিএনপি সমর্থিত প্রার্থীরা। পরিপ্রেক্ষিতে গতকাল সংবাদ সম্মেলন ডেকে নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দেন তারা।

সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির সিনিয়র নেতা ও বারের তিনবারের সভাপতি অ্যাড. সাখাওয়াত হোসেন খান বলেন, ‘নির্বাচনের একদিন আগে ভেন্যু পরিবর্তনের কোন এখতিয়ার কমিশনের নেই। নির্বাচন কমিশনার হিসেবে আদালতের অতিরিক্ত পিপি, জিপি ও ভিপিকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এই কমিশন সরকারি দলের কথা ছাড়া এক চুলও নড়ে না। তাদের অধীনে একটি সুষ্ঠু নির্বাচন অসম্ভব।’

এ বিষয়ে জানতে চাইলে প্রধান নির্বাচন কমিশনার অ্যাড. আখতার হোসেন বলেন, ‘বার ভবনের নিচতলায় ভোটগ্রহণ হবে এমন সিদ্ধান্তে প্রথমে কমিশনের পাঁচজনই স্বাক্ষর করি। কিন্তু এখন কমিশনের অন্যরা নিরাপত্তার কথা বলে ভেন্যু পরিবর্তনের মত দিয়েছেন। আমি আমার কথায় ঠিক আছি। আমার কথায় কোন নড়চড় নাই। কিন্তু আমি একা কী করব? আমার করার কিছু নাই। এই হলো অবস্থা!’

প্রসঙ্গত, আজ ২৯ জানুয়ারি জেলা আইনজীবী সমিতির নির্বাচনের ভোটগ্রহণের দিন। বিএনপি প্যানেল ও স্বতন্ত্র দুই প্রার্থী নির্বাচন বর্জন করাতে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বীতায় নির্বাচিত হতে যাচ্ছেন আওয়ামী লীগ সমর্থিত সম্মিলিত আইনজীবী পরিষদের অ্যাড. মোহসীন মিয়া ও অ্যাড. মাহবুবুর রহমানের প্যানেলের ১৭ জন প্রার্থী।