ইজারাদারের সুবিধায় নিরাপদ নৌযান সি-ট্রাকের তলা পরিবর্তন

ভোলা-লক্ষ্মীপুর রুটে সরকারি প্রতিষ্ঠান বিআইডব্লিউটিসি’র সি-ট্রাক খিজির-৫ এর কোন প্রকার প্ল্যান ছাড়াই স্থানীয় ব্যক্তি মালিকানার ডকইয়ার্ডে মেরামতের নামে তলা পরিবর্তন করা ছাড়াও বিভিন্ন অংশ কেটে জোড়া দেয়া হচ্ছে। বিষয়টি তদারকি কর্মকর্তারাও জানেন না।

সাগর বা উপকূলে ডেঞ্জার মৌসুমে চলাচলের নিরাপদ নৌযান হিসেবে এটি চীনে ২০০৩ সালে সাড়ে ৩ কোটি টাকা ব্যয়ে এটি নির্মাণ করা হয়েছিল। এমন স্পর্শকাতর নৌযানের কোন ত্রুটি এতদিন মেরামত করা হতো বিআইডব্লিউটিসি’র নিজস্ব ডকইয়ার্ডে। কিন্তু সম্প্রতি এটি ইজারাদারের স্বার্থ হাসিল করতে ত্রুটি মেরামতের নামে ইঞ্জিন রুমসহ তলা পরিবর্তন করা হচ্ছে ভোলা সদর উপজেলার পশ্চিম ইলিশা এলাকার আহম্মেদ ডকইয়ার্ডে। বিষয়টি তদারকি কমিটির তিন সদস্যের প্রধানসহ দু’জনই জানেন না। ওই কমিটির তৃতীয় সদস্য সহকারী ব্যবস্থাপক হারুন অর রশিদ জানান, এক সপ্তাহ আগে ভোলার আহম্মেদ ডকইয়ার্ডে তোলার সময় তিনি কেবল উপস্থিত ছিলেন। তবে কি মেরামত করা হচ্ছে তা তিনি জানেন না। ইজারাদারের আবেদনের প্রেক্ষিতে রং দেয়াসহ সামান্য কিছু কাজের মেরামতের বিষয়ে বিআইডব্লিউটিসি’র সদর দফতর থেকে তদারকি করার জন্য ৩ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়। ২৬ ডিসেম্বর ডিসেম্বের ওই চিঠি সদস্যদের দেয়া হয়। কমিটির প্রধান ভোলা-লক্ষ্মীপুর রুটের ফেরির দায়েত্ব থাকা ম্যানেজার কে এম এমরান হোসেন ও কমিটির সদস্য সহকারী প্রকৌশলী আব্দুল মালেক জানান, তারা সদর দফতর থেকে চিঠি পেয়েছেন। কিন্তু কবে, কখন, কোথায় এবং কি ধরনের ত্রুটি মেরামত করা হবে, ওই ব্যাপারে সি-ট্রাক ইজারাদার তাদের সঙ্গে কোন যোগাযোগ করেননি। বুধবার ভোলা সদর উপজেলার পশ্চিম ইলিশার কলঘাট এলাকার আহম্মেদ ডকইয়ার্ডে গিয়ে দেখা যায়, সি-ট্রাকের তলাসহ বিভিন্ন অংশ কেটে বিচ্ছিন্ন করা হয়। অপরদিকে জোড়া দেয়ার সঙ্গে সঙ্গে দ্রুত রং করা হচ্ছে। কোন তদারকি কর্মকর্তা বা প্রকৌশলীকে দেখা যায়নি।

বৃহস্পতিবার, ৩০ জানুয়ারী ২০২০ , ১৬ মাঘ ১৪২৬, ৪ জমাদিউস সানি ১৪৪১

ইজারাদারের সুবিধায় নিরাপদ নৌযান সি-ট্রাকের তলা পরিবর্তন

প্রতিনিধি, ভোলা

ভোলা-লক্ষ্মীপুর রুটে সরকারি প্রতিষ্ঠান বিআইডব্লিউটিসি’র সি-ট্রাক খিজির-৫ এর কোন প্রকার প্ল্যান ছাড়াই স্থানীয় ব্যক্তি মালিকানার ডকইয়ার্ডে মেরামতের নামে তলা পরিবর্তন করা ছাড়াও বিভিন্ন অংশ কেটে জোড়া দেয়া হচ্ছে। বিষয়টি তদারকি কর্মকর্তারাও জানেন না।

সাগর বা উপকূলে ডেঞ্জার মৌসুমে চলাচলের নিরাপদ নৌযান হিসেবে এটি চীনে ২০০৩ সালে সাড়ে ৩ কোটি টাকা ব্যয়ে এটি নির্মাণ করা হয়েছিল। এমন স্পর্শকাতর নৌযানের কোন ত্রুটি এতদিন মেরামত করা হতো বিআইডব্লিউটিসি’র নিজস্ব ডকইয়ার্ডে। কিন্তু সম্প্রতি এটি ইজারাদারের স্বার্থ হাসিল করতে ত্রুটি মেরামতের নামে ইঞ্জিন রুমসহ তলা পরিবর্তন করা হচ্ছে ভোলা সদর উপজেলার পশ্চিম ইলিশা এলাকার আহম্মেদ ডকইয়ার্ডে। বিষয়টি তদারকি কমিটির তিন সদস্যের প্রধানসহ দু’জনই জানেন না। ওই কমিটির তৃতীয় সদস্য সহকারী ব্যবস্থাপক হারুন অর রশিদ জানান, এক সপ্তাহ আগে ভোলার আহম্মেদ ডকইয়ার্ডে তোলার সময় তিনি কেবল উপস্থিত ছিলেন। তবে কি মেরামত করা হচ্ছে তা তিনি জানেন না। ইজারাদারের আবেদনের প্রেক্ষিতে রং দেয়াসহ সামান্য কিছু কাজের মেরামতের বিষয়ে বিআইডব্লিউটিসি’র সদর দফতর থেকে তদারকি করার জন্য ৩ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়। ২৬ ডিসেম্বর ডিসেম্বের ওই চিঠি সদস্যদের দেয়া হয়। কমিটির প্রধান ভোলা-লক্ষ্মীপুর রুটের ফেরির দায়েত্ব থাকা ম্যানেজার কে এম এমরান হোসেন ও কমিটির সদস্য সহকারী প্রকৌশলী আব্দুল মালেক জানান, তারা সদর দফতর থেকে চিঠি পেয়েছেন। কিন্তু কবে, কখন, কোথায় এবং কি ধরনের ত্রুটি মেরামত করা হবে, ওই ব্যাপারে সি-ট্রাক ইজারাদার তাদের সঙ্গে কোন যোগাযোগ করেননি। বুধবার ভোলা সদর উপজেলার পশ্চিম ইলিশার কলঘাট এলাকার আহম্মেদ ডকইয়ার্ডে গিয়ে দেখা যায়, সি-ট্রাকের তলাসহ বিভিন্ন অংশ কেটে বিচ্ছিন্ন করা হয়। অপরদিকে জোড়া দেয়ার সঙ্গে সঙ্গে দ্রুত রং করা হচ্ছে। কোন তদারকি কর্মকর্তা বা প্রকৌশলীকে দেখা যায়নি।