দক্ষিণাঞ্চলে

তাপমাত্রা বাড়লেও হিমেল হাওয়ায় জনজীবন বিপর্যস্ত

তাপমাত্রার পারদ গত তিন দিনে পর্যাক্রমে বৃদ্ধি পেয়ে স্বাভাবিকের ওপরে ওঠলেও উত্তরের হিমেল হাওয়ার সঙ্গে হালকা বৃষ্টিপাতে গতকাল সকাল থেকে দক্ষিণাঞ্চলের স্বাভাবিক জনজীবন আবারও বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। গত মঙ্গলবার সকালে বরিশালে তাপমাত্রা ১০.৪ থাকলেও গতকাল সকালে তা ১৩ ডিগ্রিতে উন্নীত হয়। কিন্তু মঙ্গলবার শেষ রাত থেকে হালকা বৃষ্টিপাতের সঙ্গে উত্তরের হিমেল হাওয়ায় অনেক বেলা পর্যন্তই বেশিরভাগ মানুষ জরুরি প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকেই বের হননি। এমনকি দিনের বেশিরভাগই সূর্যের কোন দেখা মেলেনি বরিশালসহ দক্ষিণাঞ্চলের বেশিরভাগ এলাকায়। দুপুর ৩টা পর্যন্ত বরিশালে দশমিক ২ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।

ঘূর্ণিঝড় বুলবুলে ভর করে এবার অগ্রহায়ণের শেষভাগে প্রবল বর্ষণে দক্ষিণাঞ্চলের প্রধান খাদ্য ফসল আমনসহ আগাম রবি ফসলের ব্যাপক ক্ষতির পরে মধ্য পৌষে প্রায় ৫০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাতে আবারও বিপর্যয় দেখা দেয়। কিন্তু সে ধকল কাটার আগেই গত শনিবার মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রায় জনজীবনের পাশাপাশি কৃষিখাতে নতুন বিপর্যয় সৃষ্টি হয়। শনিবার বরিশালে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল স্বাভাবিকের ২ ডিগ্রি নিচে, ৯.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। রোববার তা দশমিক ১ ডিগ্রি বৃদ্ধি পেয়ে ৯.৫ ডিগ্রিতে উন্নীত হলেও সোমবার তাপমাত্রা ছিল ১০.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। মঙ্গলবার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১০.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

কিন্তু গতকাল সর্বনিম্ন তাপমাত্রা এক লাফে ২.৬ ডিগ্রি বৃদ্ধি পেয়ে ১৩ ডিগ্রিতে উন্নীত হলেও হালকা বৃষ্টিপাতের সঙ্গে উত্তরের হাওয়ায় দক্ষিণের জনপদের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা অনেকটাই বিপর্যস্ত। এবার দক্ষিণাঞ্চলে মৃদ্যু শৈত্যপ্রবাহ প্রলম্বিত হওয়ায় ঠাণ্ডাজনিত রোগ ব্যাধির প্রকোপ অতীতের যেকোন সময়ের তুলনায় বেশি। এমনকি এবার শীত মৌসুমে ডায়রিয়া জনিত রোগের প্রকোপও বেশি। গত নভেম্বর থেকে ঠাণ্ডাজনিত বিভিন্ন রোগ ছাড়াও ডায়রিয়া আক্রান্ত হয়ে ২০ সহস্রাধিক মানুষ সরকারি হাসপাতালগুলোতে চিকিৎসার জন্য এসেছে বলে জানা গেছে। বেসরকারি পর্যায়ে চিকিৎসা নেয়া এ ধরনের রোগীর সংখ্যা প্রায় দ্বিগুণ বলে একাধিক সূত্রে জানা গেছে।

আবহাওয়া বিভাগ থেকে দিন ও রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকার কথা জানিয়ে বৃহস্পতিবার সকালের পরবর্তি ৪৮ ঘণ্টা পরে দক্ষিণাঞ্চলসহ সারা দেশের সার্বিক আবহাওয়া পরিস্থিতির উন্নতি হবার কথা বলা হয়েছে।

image

সূর্যের দেখা নেই গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি আর হিমেল হাওয়ায় গতকাল রাজধানীর জনজীবন ছিল বিপর্যস্ত -সংবাদ

আরও খবর
যুবসমাজকে মাদক থেকে দূরে রাখতে হবে : প্রধানমন্ত্রী
বর্জ্য ব্যবস্থাপনা আধুনিকায়নে পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে
গভীর সমুদ্রবন্দর হবে মাতারবাড়ি
সরস্বতী পূজা আজ
সমন্বিতভাবে করোনাভাইরাস প্রতিরোধের আহ্বান
প্রধানমন্ত্রী অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি অর্জনে সংগ্রাম করে যাচ্ছেন
চালের দাম নিয়ন্ত্রণে বিশেষ মনিটরিং টিম
প্রতিবন্ধী ও শিশু ধর্ষণ ঘটনায় ২ জন গ্রেফতার
মেয়র আইভীর আমন্ত্রণে নারায়ণগঞ্জে জাপানের নারোতো সিটি মেয়র
জহির রায়হানের অন্তর্ধান দিবস আজ
কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারে আজ ‘দীপু নাম্বার টু’
হবিগঞ্জে চ্যানেল আই মিউজিক অ্যাওয়ার্ড আজ
সিটি নির্বাচন যেন প্রহসনে পরিণত না হয় মোশাররফ
এক মাসে ডেঙ্গুতে ১৯৩ জন আক্রান্ত
ভল্ট থেকে তিন কোটি টাকা চুরি করে জুয়া খেলল ব্যাংক কর্মকর্তা
আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পরিচয়ে ডাকাতি
হত্যা মামলায় মা-মামাসহ ৪ ভাইয়ের কারাদণ্ড

বৃহস্পতিবার, ৩০ জানুয়ারী ২০২০ , ১৬ মাঘ ১৪২৬, ৪ জমাদিউস সানি ১৪৪১

দক্ষিণাঞ্চলে

তাপমাত্রা বাড়লেও হিমেল হাওয়ায় জনজীবন বিপর্যস্ত

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক, বরিশাল

image

সূর্যের দেখা নেই গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি আর হিমেল হাওয়ায় গতকাল রাজধানীর জনজীবন ছিল বিপর্যস্ত -সংবাদ

তাপমাত্রার পারদ গত তিন দিনে পর্যাক্রমে বৃদ্ধি পেয়ে স্বাভাবিকের ওপরে ওঠলেও উত্তরের হিমেল হাওয়ার সঙ্গে হালকা বৃষ্টিপাতে গতকাল সকাল থেকে দক্ষিণাঞ্চলের স্বাভাবিক জনজীবন আবারও বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। গত মঙ্গলবার সকালে বরিশালে তাপমাত্রা ১০.৪ থাকলেও গতকাল সকালে তা ১৩ ডিগ্রিতে উন্নীত হয়। কিন্তু মঙ্গলবার শেষ রাত থেকে হালকা বৃষ্টিপাতের সঙ্গে উত্তরের হিমেল হাওয়ায় অনেক বেলা পর্যন্তই বেশিরভাগ মানুষ জরুরি প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকেই বের হননি। এমনকি দিনের বেশিরভাগই সূর্যের কোন দেখা মেলেনি বরিশালসহ দক্ষিণাঞ্চলের বেশিরভাগ এলাকায়। দুপুর ৩টা পর্যন্ত বরিশালে দশমিক ২ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।

ঘূর্ণিঝড় বুলবুলে ভর করে এবার অগ্রহায়ণের শেষভাগে প্রবল বর্ষণে দক্ষিণাঞ্চলের প্রধান খাদ্য ফসল আমনসহ আগাম রবি ফসলের ব্যাপক ক্ষতির পরে মধ্য পৌষে প্রায় ৫০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাতে আবারও বিপর্যয় দেখা দেয়। কিন্তু সে ধকল কাটার আগেই গত শনিবার মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রায় জনজীবনের পাশাপাশি কৃষিখাতে নতুন বিপর্যয় সৃষ্টি হয়। শনিবার বরিশালে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল স্বাভাবিকের ২ ডিগ্রি নিচে, ৯.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। রোববার তা দশমিক ১ ডিগ্রি বৃদ্ধি পেয়ে ৯.৫ ডিগ্রিতে উন্নীত হলেও সোমবার তাপমাত্রা ছিল ১০.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। মঙ্গলবার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১০.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

কিন্তু গতকাল সর্বনিম্ন তাপমাত্রা এক লাফে ২.৬ ডিগ্রি বৃদ্ধি পেয়ে ১৩ ডিগ্রিতে উন্নীত হলেও হালকা বৃষ্টিপাতের সঙ্গে উত্তরের হাওয়ায় দক্ষিণের জনপদের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা অনেকটাই বিপর্যস্ত। এবার দক্ষিণাঞ্চলে মৃদ্যু শৈত্যপ্রবাহ প্রলম্বিত হওয়ায় ঠাণ্ডাজনিত রোগ ব্যাধির প্রকোপ অতীতের যেকোন সময়ের তুলনায় বেশি। এমনকি এবার শীত মৌসুমে ডায়রিয়া জনিত রোগের প্রকোপও বেশি। গত নভেম্বর থেকে ঠাণ্ডাজনিত বিভিন্ন রোগ ছাড়াও ডায়রিয়া আক্রান্ত হয়ে ২০ সহস্রাধিক মানুষ সরকারি হাসপাতালগুলোতে চিকিৎসার জন্য এসেছে বলে জানা গেছে। বেসরকারি পর্যায়ে চিকিৎসা নেয়া এ ধরনের রোগীর সংখ্যা প্রায় দ্বিগুণ বলে একাধিক সূত্রে জানা গেছে।

আবহাওয়া বিভাগ থেকে দিন ও রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকার কথা জানিয়ে বৃহস্পতিবার সকালের পরবর্তি ৪৮ ঘণ্টা পরে দক্ষিণাঞ্চলসহ সারা দেশের সার্বিক আবহাওয়া পরিস্থিতির উন্নতি হবার কথা বলা হয়েছে।