জাপানের অর্থায়নে কক্সবাজারের মহেশখালীর মাতারবাড়ি নির্মাণ করা হবে গভীর সমুদ্রবন্দর। মাতারবাড়ি পোর্ট ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্ট শীর্ষক প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ১৭ হাজার ৭৭৭ দশমিক ১৬ কোটি টাকা। এরমধ্যে জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সি (জাইকা) ঋণ দিবে ১২ হাজার ৮৯২ দশমিক ৭৬ কোটি টাকা, বাংলাদেশ সরকার এবং চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের নিজস্ব অর্থ ২ হাজার ২১৩ দশমিক ৯৪ কোটি টাকা। এই প্রকল্পটি বাস্তবায়নের ফলে বাংলাদেশ গভীর সমুদ্রবন্দরের যুগে প্রবেশ করবে বলে জানিয়েছেন নৌ-প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী।
গতকাল কক্সবাজারের মহেশখালীর মাতারবাড়িতে গভীর সমুদ্রবন্দর এলাকা পরিদর্শনে গিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নে জবাবে তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় চট্টগ্রাম বন্দরের চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল জুলফিকার আজিজ, নৌপরিবহন অধিদফতরের মহাপরিচালক কমডোর সৈয়দ আরিফুল ইসলাম ও চট্টগ্রাম বন্দরের সদস্য প্রকৌশল কমডোর শফিউল বারী উপস্থিত ছিলেন।
এ সময় নৌ-প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যেখানে হাত দিয়েছেন সেটি স্বর্ণে পরিণত হয়েছে। মাতারবাড়ি গভীর সমুদ্রবন্দর নির্মাণ তেমনি একটি প্রকল্প। এর ডিটেইল প্রকল্প প্রণয়ন করা হয়েছে। একনেক সভায় পাস হওয়ার পর দ্রুত কাজ শুরু হবে। এটি আমাদের বিশাল অর্জন, আমরা গভীর সমুদ্র বন্দর নির্মাণ যুগে প্রবেশ করেছি। বাংলাদেশকে নিয়ে যারা তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য ও অবজ্ঞা করেছে তারাই এখন এর সম্ভাবনা নিয়ে কথা বলছে। মাতারবাড়ি বন্দর নির্মাণের প্রতিবন্ধকতাকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়েছি। বাংলাদেশে বিনিয়োগে এখন কোন সমস্যা নেই। মাতারবাড়িতে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র ও অর্থনৈতিক জোন গড়ে উঠবে। বাংলাদেশ এখন বিশ্বায়নের সঙ্গে সংযুক্ত, একে আমরা উন্মুক্ত করতে চাই।
নৌমন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, প্রকল্পের মধ্যে অন্যান্য কাজের সাথে প্রায় ২৮ কিলোমিটার চারলেন বিশিষ্ট সড়ক নির্মিত হবে। সড়কে ১৭টি সেতু থাকবে। ১৭টি সেতুর দৈর্ঘ্য প্রায় সাত কিলোমিটার। এটি বাস্তবায়িত হলে ১৯ মিটার ড্রাফটের বড় জাহাজ (মাদার ভেসেল) বন্দরে ভিড়তে পারবে। দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে বন্দরটি বিশাল ভূমিকা রাখবে।
বৃহস্পতিবার, ৩০ জানুয়ারী ২০২০ , ১৬ মাঘ ১৪২৬, ৪ জমাদিউস সানি ১৪৪১
নিজস্ব বার্তা পরিবেশক |
জাপানের অর্থায়নে কক্সবাজারের মহেশখালীর মাতারবাড়ি নির্মাণ করা হবে গভীর সমুদ্রবন্দর। মাতারবাড়ি পোর্ট ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্ট শীর্ষক প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ১৭ হাজার ৭৭৭ দশমিক ১৬ কোটি টাকা। এরমধ্যে জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সি (জাইকা) ঋণ দিবে ১২ হাজার ৮৯২ দশমিক ৭৬ কোটি টাকা, বাংলাদেশ সরকার এবং চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের নিজস্ব অর্থ ২ হাজার ২১৩ দশমিক ৯৪ কোটি টাকা। এই প্রকল্পটি বাস্তবায়নের ফলে বাংলাদেশ গভীর সমুদ্রবন্দরের যুগে প্রবেশ করবে বলে জানিয়েছেন নৌ-প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী।
গতকাল কক্সবাজারের মহেশখালীর মাতারবাড়িতে গভীর সমুদ্রবন্দর এলাকা পরিদর্শনে গিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নে জবাবে তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় চট্টগ্রাম বন্দরের চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল জুলফিকার আজিজ, নৌপরিবহন অধিদফতরের মহাপরিচালক কমডোর সৈয়দ আরিফুল ইসলাম ও চট্টগ্রাম বন্দরের সদস্য প্রকৌশল কমডোর শফিউল বারী উপস্থিত ছিলেন।
এ সময় নৌ-প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যেখানে হাত দিয়েছেন সেটি স্বর্ণে পরিণত হয়েছে। মাতারবাড়ি গভীর সমুদ্রবন্দর নির্মাণ তেমনি একটি প্রকল্প। এর ডিটেইল প্রকল্প প্রণয়ন করা হয়েছে। একনেক সভায় পাস হওয়ার পর দ্রুত কাজ শুরু হবে। এটি আমাদের বিশাল অর্জন, আমরা গভীর সমুদ্র বন্দর নির্মাণ যুগে প্রবেশ করেছি। বাংলাদেশকে নিয়ে যারা তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য ও অবজ্ঞা করেছে তারাই এখন এর সম্ভাবনা নিয়ে কথা বলছে। মাতারবাড়ি বন্দর নির্মাণের প্রতিবন্ধকতাকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়েছি। বাংলাদেশে বিনিয়োগে এখন কোন সমস্যা নেই। মাতারবাড়িতে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র ও অর্থনৈতিক জোন গড়ে উঠবে। বাংলাদেশ এখন বিশ্বায়নের সঙ্গে সংযুক্ত, একে আমরা উন্মুক্ত করতে চাই।
নৌমন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, প্রকল্পের মধ্যে অন্যান্য কাজের সাথে প্রায় ২৮ কিলোমিটার চারলেন বিশিষ্ট সড়ক নির্মিত হবে। সড়কে ১৭টি সেতু থাকবে। ১৭টি সেতুর দৈর্ঘ্য প্রায় সাত কিলোমিটার। এটি বাস্তবায়িত হলে ১৯ মিটার ড্রাফটের বড় জাহাজ (মাদার ভেসেল) বন্দরে ভিড়তে পারবে। দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে বন্দরটি বিশাল ভূমিকা রাখবে।