ঢাকা ও রাজশাহী থেকে ৩ জন গ্রেফতার
আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তথা ডিবি, সিআইডি বা র্যাব পরিচয়ে আড়াই কোটি টাকার ওষুধের কাঁচামাল লুটের অভিযোগে তিন ডাকাতকে গ্রেফতার করেছে র্যাব। তারা হলো- চক্রের হোতা অপু রোজারিও (৫৫), রুহুল আমিন (৩৫) ও জামাল হোসেন (৩২)। গত মঙ্গলবার দিবাগত রাতে রাজধানীর কলাবাগান ও রাজশাহীর রাজপাড়া এলাকা থেকে র্যাব-৪ এর একটি দল তাদেরকে গ্রেফতার করে। গতকাল দুপুরে কারওয়ান বাজারে র্যাবের মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানায় র্যাব-৪ এর অধিনায়ক অতিরিক্ত ডিআইজি মো. মোজাম্মেল হক। তিনি জানান, সড়কে ওষুধের মূল্যবান কাঁচামাল টার্গেট করে দীর্ঘদিন ধরে ডাকাতি করে আসছিল চক্রটি। এর আগে ১৪ জানুয়ারি গাজীপুরের কালিয়াকৈর থেকে নিজেদের ডিবি পুলিশ পরিচয়ে ২৬৯ ড্রাম কাঁচামাল ভর্তি একটি কাভার্ডভ্যান লুট করে তারা। গত সোমবার কালিয়াকৈর থানা পুলিশ ২০৯ ড্রাম কাঁচামালসহ এই ডাকাতদলের আরও ৬ সদস্যকে গ্রেফতার করে।
ডিআইজি মোজাম্মেল বলেন, ১৪ জানুয়ারি বিদেশ থেকে আমদানি করা ওষুধের কাঁচামাল শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালের কাভার্ডভ্যানে গাজীপুরে নেয়া হচ্ছিল। রাত সাড়ে ১০টার দিকে কালিয়াকৈর এলাকায় রাস্তায় ব্যারিকেড দিয়ে কয়েকজন নিজেদের গোয়েন্দা পুলিশ পরিচয় দিয়ে ২৬৯ ড্রাম কাঁচামাল লুট করে নিয়ে যায়। যার বাজার মূল্য প্রায় ২ কোটি ৭৪ লাখ টাকা। এ ঘটনায় ১৫ জানুয়ারি কালিয়াকৈর থানায় ভুক্তভোগী প্রতিষ্ঠান স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যাল মামলা করলে ছায়াতদন্ত শুরু করে র্যাব। এরই ধারাবাহিকতায় মঙ্গলবার রাতে কলাবাগানের পশ্চিম রাজাবাজার এলাকা থেকে সংঘবদ্ধ ডাকাতদলের মূল হোতা অপু রোজারিওকে গ্রেফতার করা হয়। পরে তার দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে বুধবার ভোরে রাজশাহী থেকে রুহুল আমিন ও জামাল হোসেনকে গ্রেফতার করা হয়। তাদের কাছ থেকে ৬০ ড্রাম ওষুধের কাঁচামাল জব্দ করা হয়।
র্যাব-৪ অধিনায়ক বলেন, চক্রটি দীর্ঘদিন ধরে পুলিশ, ডিবি, সিআইডি পরিচয়ে মহাসড়কে ডাকাতি করে আসছিল। ডাকাতির সময় তারা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর মতো হ্যান্ডকাপ, ওয়াকিটকি সেট ও রিফ্লেকটিং জ্যাকেট ব্যবহার করতেন। এ চক্রের মূলহোতা অপু রোজারিও। তিনি ছাড়াও তার দলে আরও ১০-১২ জন সদস্য রয়েছে। অপু তার দলের সেকেন্ড ইন কমান্ড ছাড়া কারও সঙ্গে কথা বলতেন না। ডাকাতি কার্যক্রমের সব পরিকল্পনা সম্পন্ন করে তার দলের সেকেন্ড ইন কমান্ডের মাধ্যমে অন্য সদস্যদের জানাতেন। তার নির্দেশ মোতাবেক নির্দিষ্ট তারিখ ও সময়ে নির্দিষ্ট স্থানে উপস্থিত হয়ে ডাকাতি সম্পন্ন করা হতো। গ্রেফতাররা স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালের ওষুধের কাঁচামাল ডাকাতির বিষয়টি স্বীকার করেছেন। এছাড়াও ২০১৮ সালের ৯ আগস্ট জেনারেল ফার্মাসিউটিক্যালের কাঁচামালসহ বিভিন্ন কোম্পানির ওষুধের কাঁচামাল ডাকাতির বিষয়টি স্বীকার করেছেন। চক্রের অন্য সদস্যদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
বৃহস্পতিবার, ৩০ জানুয়ারী ২০২০ , ১৬ মাঘ ১৪২৬, ৪ জমাদিউস সানি ১৪৪১
ঢাকা ও রাজশাহী থেকে ৩ জন গ্রেফতার
নিজস্ব বার্তা পরিবেশক |
আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তথা ডিবি, সিআইডি বা র্যাব পরিচয়ে আড়াই কোটি টাকার ওষুধের কাঁচামাল লুটের অভিযোগে তিন ডাকাতকে গ্রেফতার করেছে র্যাব। তারা হলো- চক্রের হোতা অপু রোজারিও (৫৫), রুহুল আমিন (৩৫) ও জামাল হোসেন (৩২)। গত মঙ্গলবার দিবাগত রাতে রাজধানীর কলাবাগান ও রাজশাহীর রাজপাড়া এলাকা থেকে র্যাব-৪ এর একটি দল তাদেরকে গ্রেফতার করে। গতকাল দুপুরে কারওয়ান বাজারে র্যাবের মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানায় র্যাব-৪ এর অধিনায়ক অতিরিক্ত ডিআইজি মো. মোজাম্মেল হক। তিনি জানান, সড়কে ওষুধের মূল্যবান কাঁচামাল টার্গেট করে দীর্ঘদিন ধরে ডাকাতি করে আসছিল চক্রটি। এর আগে ১৪ জানুয়ারি গাজীপুরের কালিয়াকৈর থেকে নিজেদের ডিবি পুলিশ পরিচয়ে ২৬৯ ড্রাম কাঁচামাল ভর্তি একটি কাভার্ডভ্যান লুট করে তারা। গত সোমবার কালিয়াকৈর থানা পুলিশ ২০৯ ড্রাম কাঁচামালসহ এই ডাকাতদলের আরও ৬ সদস্যকে গ্রেফতার করে।
ডিআইজি মোজাম্মেল বলেন, ১৪ জানুয়ারি বিদেশ থেকে আমদানি করা ওষুধের কাঁচামাল শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালের কাভার্ডভ্যানে গাজীপুরে নেয়া হচ্ছিল। রাত সাড়ে ১০টার দিকে কালিয়াকৈর এলাকায় রাস্তায় ব্যারিকেড দিয়ে কয়েকজন নিজেদের গোয়েন্দা পুলিশ পরিচয় দিয়ে ২৬৯ ড্রাম কাঁচামাল লুট করে নিয়ে যায়। যার বাজার মূল্য প্রায় ২ কোটি ৭৪ লাখ টাকা। এ ঘটনায় ১৫ জানুয়ারি কালিয়াকৈর থানায় ভুক্তভোগী প্রতিষ্ঠান স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যাল মামলা করলে ছায়াতদন্ত শুরু করে র্যাব। এরই ধারাবাহিকতায় মঙ্গলবার রাতে কলাবাগানের পশ্চিম রাজাবাজার এলাকা থেকে সংঘবদ্ধ ডাকাতদলের মূল হোতা অপু রোজারিওকে গ্রেফতার করা হয়। পরে তার দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে বুধবার ভোরে রাজশাহী থেকে রুহুল আমিন ও জামাল হোসেনকে গ্রেফতার করা হয়। তাদের কাছ থেকে ৬০ ড্রাম ওষুধের কাঁচামাল জব্দ করা হয়।
র্যাব-৪ অধিনায়ক বলেন, চক্রটি দীর্ঘদিন ধরে পুলিশ, ডিবি, সিআইডি পরিচয়ে মহাসড়কে ডাকাতি করে আসছিল। ডাকাতির সময় তারা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর মতো হ্যান্ডকাপ, ওয়াকিটকি সেট ও রিফ্লেকটিং জ্যাকেট ব্যবহার করতেন। এ চক্রের মূলহোতা অপু রোজারিও। তিনি ছাড়াও তার দলে আরও ১০-১২ জন সদস্য রয়েছে। অপু তার দলের সেকেন্ড ইন কমান্ড ছাড়া কারও সঙ্গে কথা বলতেন না। ডাকাতি কার্যক্রমের সব পরিকল্পনা সম্পন্ন করে তার দলের সেকেন্ড ইন কমান্ডের মাধ্যমে অন্য সদস্যদের জানাতেন। তার নির্দেশ মোতাবেক নির্দিষ্ট তারিখ ও সময়ে নির্দিষ্ট স্থানে উপস্থিত হয়ে ডাকাতি সম্পন্ন করা হতো। গ্রেফতাররা স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালের ওষুধের কাঁচামাল ডাকাতির বিষয়টি স্বীকার করেছেন। এছাড়াও ২০১৮ সালের ৯ আগস্ট জেনারেল ফার্মাসিউটিক্যালের কাঁচামালসহ বিভিন্ন কোম্পানির ওষুধের কাঁচামাল ডাকাতির বিষয়টি স্বীকার করেছেন। চক্রের অন্য সদস্যদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।