ঠাকুরগাঁওয়ে মুক্তিযোদ্ধা তালিকা প্রণয়নে অনিয়মের অভিযোগ

সর্বশেষ মুক্তিযোদ্ধার তালিকা প্রণয়নে অনিয়মের আভিযোগ তুলে ঠাকুরগাঁওয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছেন রণাঙ্গনের মুক্তিযোদ্ধারা। গত বুধবার ঠাকুরগাঁও শহরের একটি হোটেলে রণাঙ্গনের মুক্তিযোদ্ধাদের আয়োজনে এ সাংবাদিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সর্বশেষ মুক্তিযোদ্ধার তালিকা নিয়ে প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধাদের মাঝে ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে। প্রকাশিত তালিকায় বেশকিছু অমুক্তিযোদ্ধার নাম অন্তর্ভুক্ত হওয়ায় সংবাদ সম্মেলন করে বিতর্কিত ওই তালিকা প্রত্যাখ্যান করে সেনাবাহিনীর মাধ্যমে পুনর্যাচাই বাছাইয়ের দাবি জানিয়েছেন আয়োজকরা। লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সাবেক সাংগঠনিক কমান্ডার আমিনুল ইসলাম বুলু। তিনি বলেন, গত ২০১৭ সালে সদর উপজেলার ১৬৮ জন মুক্তিযোদ্ধার নাম তালিকাভুক্ত করা হয়। আর্থিক লেনদেনের মাধ্যমে এবং অনিয়মের মাধ্যমে ওই তালিকা প্রণয়নের অভিযোগ উঠায় তা ফেরত পাঠানো হয়। পরবর্তীতে গতবছরের ১৯ হতে ২১ নভেম্বর পর্যন্ত ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নেতৃত্বে পুনরায় মুক্তিযোদ্ধাদের যাচাই বাছাই কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়। কিন্তু সাবেক জেলা কমান্ডার বদরুদ্দোজা বদর ও ডিপুটি কমান্ডার আব্দুল মান্নানের মাধ্যমে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বেশকিছু প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধার নাম বাদ দিয়ে বিতর্কিত বেশকিছু ব্যক্তিকে মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে ৭২ জনের নাম চূড়ান্ত করে তালিকা ঢাকায় প্রেরণ করে। অভিযোগে আরও বলা হয়, বিভিন্ন উপজেলায় যাচাই বাছাইয়ের কয়েকদিনের মধ্যে চূড়ান্ত তালিকা প্রদর্শনের জন্য নোটিস বোর্ডে ঝুলিয়ে দেয়া হলেও সদর উপজেলার তালিকা প্রকাশে টালবাহানা করা হয়। পরবর্তীতে মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রীর সুপারিশে উপজেলা নির্বাহী অফিসার যে তালিকা সরবরাহ করেন তাতে আব্দুল কুদ্দুস, আব্দুল আলী, বিনিতা দাস, রফিজ উদ্দীন মেম্বার,আইয়ুব আলী, আতিয়ার রহমানসহ বেশকিছু অমুক্তিযোদ্ধার নাম দেখা যায়। এদের মধ্যে আব্দুল কুদ্দুসের বয়স ’৭১ সালে ৪-৫ বছর ছিল। এ ব্যাপারে সাবেক ডেপুটি কমান্ডার আব্দুল মান্নান জানান,২০১৭ সালের ১৬৮ জনের তালিকা থাকলেও ভাতাভোগী ৭২৭ জনের শতকরা ১০ ভাগ নাম তালিকা করার নির্দেশনা থাকায় এবার ৭২ জনের নাম চূড়ান্ত করা হয়। এতে ৯৬ জন তালিকা হতে বাদ পড়ে। এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, তালিকায় অমুক্তিযোদ্ধা অন্তর্ভুক্তের অভিযোগ থাকলে পুনরায় যাচাই-বাছাই করে অভিযুক্তদের বাদ দেয়া হবে।

শুক্রবার, ৩১ জানুয়ারী ২০২০ , ১৭ মাঘ ১৪২৬, ৫ জমাদিউল সানি ১৪৪১

ঠাকুরগাঁওয়ে মুক্তিযোদ্ধা তালিকা প্রণয়নে অনিয়মের অভিযোগ

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক, ঠাকুরগাঁও

সর্বশেষ মুক্তিযোদ্ধার তালিকা প্রণয়নে অনিয়মের আভিযোগ তুলে ঠাকুরগাঁওয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছেন রণাঙ্গনের মুক্তিযোদ্ধারা। গত বুধবার ঠাকুরগাঁও শহরের একটি হোটেলে রণাঙ্গনের মুক্তিযোদ্ধাদের আয়োজনে এ সাংবাদিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সর্বশেষ মুক্তিযোদ্ধার তালিকা নিয়ে প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধাদের মাঝে ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে। প্রকাশিত তালিকায় বেশকিছু অমুক্তিযোদ্ধার নাম অন্তর্ভুক্ত হওয়ায় সংবাদ সম্মেলন করে বিতর্কিত ওই তালিকা প্রত্যাখ্যান করে সেনাবাহিনীর মাধ্যমে পুনর্যাচাই বাছাইয়ের দাবি জানিয়েছেন আয়োজকরা। লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সাবেক সাংগঠনিক কমান্ডার আমিনুল ইসলাম বুলু। তিনি বলেন, গত ২০১৭ সালে সদর উপজেলার ১৬৮ জন মুক্তিযোদ্ধার নাম তালিকাভুক্ত করা হয়। আর্থিক লেনদেনের মাধ্যমে এবং অনিয়মের মাধ্যমে ওই তালিকা প্রণয়নের অভিযোগ উঠায় তা ফেরত পাঠানো হয়। পরবর্তীতে গতবছরের ১৯ হতে ২১ নভেম্বর পর্যন্ত ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নেতৃত্বে পুনরায় মুক্তিযোদ্ধাদের যাচাই বাছাই কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়। কিন্তু সাবেক জেলা কমান্ডার বদরুদ্দোজা বদর ও ডিপুটি কমান্ডার আব্দুল মান্নানের মাধ্যমে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বেশকিছু প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধার নাম বাদ দিয়ে বিতর্কিত বেশকিছু ব্যক্তিকে মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে ৭২ জনের নাম চূড়ান্ত করে তালিকা ঢাকায় প্রেরণ করে। অভিযোগে আরও বলা হয়, বিভিন্ন উপজেলায় যাচাই বাছাইয়ের কয়েকদিনের মধ্যে চূড়ান্ত তালিকা প্রদর্শনের জন্য নোটিস বোর্ডে ঝুলিয়ে দেয়া হলেও সদর উপজেলার তালিকা প্রকাশে টালবাহানা করা হয়। পরবর্তীতে মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রীর সুপারিশে উপজেলা নির্বাহী অফিসার যে তালিকা সরবরাহ করেন তাতে আব্দুল কুদ্দুস, আব্দুল আলী, বিনিতা দাস, রফিজ উদ্দীন মেম্বার,আইয়ুব আলী, আতিয়ার রহমানসহ বেশকিছু অমুক্তিযোদ্ধার নাম দেখা যায়। এদের মধ্যে আব্দুল কুদ্দুসের বয়স ’৭১ সালে ৪-৫ বছর ছিল। এ ব্যাপারে সাবেক ডেপুটি কমান্ডার আব্দুল মান্নান জানান,২০১৭ সালের ১৬৮ জনের তালিকা থাকলেও ভাতাভোগী ৭২৭ জনের শতকরা ১০ ভাগ নাম তালিকা করার নির্দেশনা থাকায় এবার ৭২ জনের নাম চূড়ান্ত করা হয়। এতে ৯৬ জন তালিকা হতে বাদ পড়ে। এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, তালিকায় অমুক্তিযোদ্ধা অন্তর্ভুক্তের অভিযোগ থাকলে পুনরায় যাচাই-বাছাই করে অভিযুক্তদের বাদ দেয়া হবে।