সুন্দরবন ঘেষা একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে একজন শিক্ষক দিয়ে চলছে পাঠদান। প্রধান শিক্ষক রয়েছেন বাহিরে। পাঠদানের শ্রেণি কক্ষগুলোও ব্যবহারের অনুপযোগী।
কোন রকমে দিন পার করছেন শিক্ষকরা। বিদ্যালয়গুলোর এসব অনিয়ম দেখার কেউ নেই। নেই সংশ্লিষ্ট শিক্ষা কর্মকর্তার কোন তদারকি।
সরেজমিনে বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জের নিশানবাড়িয়া ইউনিয়নের প্রত্যন্ত অঞ্চল আমুরবুনিয়া গ্রাম। আমুরবুনিয়া ফরেস্ট ক্যাম্প সংলগ্ন ১৬৬নং আমুরবুনিয়া বেলায়েতিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় গিয়ে দেখা গেছে, দুপুর দেড়টায় মাঠের মধ্যে শিক্ষার্থীদের খেলাধুলায় ব্যস্ত। সহকারী শিক্ষক সাইদুর রহমান চেয়ারে বসে আছেন। বিদ্যালয়ে মাঠের মধ্যে মাটির স্তুপ মাটি খোড়া একপাশে ছাপরা দেয়া বাসের ছোট ঘর। নেই কোন বিদ্যালয়ের সাইনবোর্ড। দূর থেকে মনে হয় গোয়াল ঘর।
বিদ্যালয়ে প্রবেশেই শিক্ষার্থীদের ডেকে ক্লাসে নিলেন শিক্ষক। ১৯৭১ সালে এ স্কুলটি স্থাপিত হয়। প্রতিষ্ঠার শুরুতেই একটি ভবনে চলত শিক্ষার্থীদের পাঠদান। ২০১৯ সালে পুরাতন ভবনটি ভেঙ্গে নতুন ভবনে বরাদ্দ হয় এবং জুন মাসে মাটি খুড়ে ফেলে রাখে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান। বর্তমানে কাজ বন্ধ। এ বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী রয়েছে ১১১ জন। গত বুধবার ২য় শিফটের ক্লাস চলছিল ৩য় শ্রেণিতে উপস্থিত ৫, ৪র্থ শ্রেণিতে ৭ ও ৫ম শ্রেণিতে ৬ জন। শিক্ষক ম-লী ৫টি পদ থাকলেও প্রথম থেকেই ১টি পদ শূন্য। নিয়মিত রয়েছে ৪ জন শিক্ষক। এর মধ্যে প্রধান শিক্ষক মো. আনোয়ার হোসেন অনুপস্থিত বিদ্যালয়ের কাজে বাহিরে, সহকারী শিক্ষক শাহাজাহান হাওলাদার রয়েছেন ডেপুটেশনে, সহকারী শিক্ষক প্রধান শিক্ষকের স্ত্রী ইরানী আক্তার রয়েছেন বিষয়ভিত্তিক প্রশিক্ষণে। উপস্থিত শুধুমাত্র সহকারী শিক্ষক সাইদুর রহমান তিনি একাই ৩টি ক্লাসে পাঠদান দিচ্ছেন।
স্থানীয় অভিভাবকদের রয়েছে শিক্ষকের প্রতি নানামুখী ক্ষোভ। এভাবে একটি বিদ্যালয়ে চলতে পারে না। ছেলে মেয়েরা স্কুলে আসতে ইচ্ছুক নয়, এ রকম পরিবেশে কি ক্লাশ হয়।
বিদ্যালয়ে অনুপস্থিত সম্পর্কে মুঠো ফোনে প্রধান শিক্ষক মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, তিনি শিশু জরিপের তালিকা শিক্ষা অফিসে দিতে মোরেলগঞ্জে অবস্থান করছেন।
এ বিষয়ে শিক্ষা অফিসার মো. জালাল উদ্দিন খান বলেন, তিনি সদ্যমাত্র যোগদান করেছেন এ উপজেলায়। প্রত্যন্ত অঞ্চলে অনেক বিদ্যালয়ই শিক্ষক অনিয়মিত অবকাঠামো নাজুক, শিক্ষক সঙ্কট সম্পর্কে তিনি অবহিত আছেন। তবে প্রতিটি বিদ্যালয় সরেজমিনে এখন পর্যন্ত তিনি যেতে পারেননি। শীঘ্রই এসব সমস্যার সমাধান হবে বলে তিনি জানান।
শুক্রবার, ৩১ জানুয়ারী ২০২০ , ১৭ মাঘ ১৪২৬, ৫ জমাদিউল সানি ১৪৪১
গনেশ পাল, মোরেলগঞ্জ (বাগেরহাট)
সুন্দরবন ঘেষা একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে একজন শিক্ষক দিয়ে চলছে পাঠদান। প্রধান শিক্ষক রয়েছেন বাহিরে। পাঠদানের শ্রেণি কক্ষগুলোও ব্যবহারের অনুপযোগী।
কোন রকমে দিন পার করছেন শিক্ষকরা। বিদ্যালয়গুলোর এসব অনিয়ম দেখার কেউ নেই। নেই সংশ্লিষ্ট শিক্ষা কর্মকর্তার কোন তদারকি।
সরেজমিনে বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জের নিশানবাড়িয়া ইউনিয়নের প্রত্যন্ত অঞ্চল আমুরবুনিয়া গ্রাম। আমুরবুনিয়া ফরেস্ট ক্যাম্প সংলগ্ন ১৬৬নং আমুরবুনিয়া বেলায়েতিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় গিয়ে দেখা গেছে, দুপুর দেড়টায় মাঠের মধ্যে শিক্ষার্থীদের খেলাধুলায় ব্যস্ত। সহকারী শিক্ষক সাইদুর রহমান চেয়ারে বসে আছেন। বিদ্যালয়ে মাঠের মধ্যে মাটির স্তুপ মাটি খোড়া একপাশে ছাপরা দেয়া বাসের ছোট ঘর। নেই কোন বিদ্যালয়ের সাইনবোর্ড। দূর থেকে মনে হয় গোয়াল ঘর।
বিদ্যালয়ে প্রবেশেই শিক্ষার্থীদের ডেকে ক্লাসে নিলেন শিক্ষক। ১৯৭১ সালে এ স্কুলটি স্থাপিত হয়। প্রতিষ্ঠার শুরুতেই একটি ভবনে চলত শিক্ষার্থীদের পাঠদান। ২০১৯ সালে পুরাতন ভবনটি ভেঙ্গে নতুন ভবনে বরাদ্দ হয় এবং জুন মাসে মাটি খুড়ে ফেলে রাখে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান। বর্তমানে কাজ বন্ধ। এ বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী রয়েছে ১১১ জন। গত বুধবার ২য় শিফটের ক্লাস চলছিল ৩য় শ্রেণিতে উপস্থিত ৫, ৪র্থ শ্রেণিতে ৭ ও ৫ম শ্রেণিতে ৬ জন। শিক্ষক ম-লী ৫টি পদ থাকলেও প্রথম থেকেই ১টি পদ শূন্য। নিয়মিত রয়েছে ৪ জন শিক্ষক। এর মধ্যে প্রধান শিক্ষক মো. আনোয়ার হোসেন অনুপস্থিত বিদ্যালয়ের কাজে বাহিরে, সহকারী শিক্ষক শাহাজাহান হাওলাদার রয়েছেন ডেপুটেশনে, সহকারী শিক্ষক প্রধান শিক্ষকের স্ত্রী ইরানী আক্তার রয়েছেন বিষয়ভিত্তিক প্রশিক্ষণে। উপস্থিত শুধুমাত্র সহকারী শিক্ষক সাইদুর রহমান তিনি একাই ৩টি ক্লাসে পাঠদান দিচ্ছেন।
স্থানীয় অভিভাবকদের রয়েছে শিক্ষকের প্রতি নানামুখী ক্ষোভ। এভাবে একটি বিদ্যালয়ে চলতে পারে না। ছেলে মেয়েরা স্কুলে আসতে ইচ্ছুক নয়, এ রকম পরিবেশে কি ক্লাশ হয়।
বিদ্যালয়ে অনুপস্থিত সম্পর্কে মুঠো ফোনে প্রধান শিক্ষক মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, তিনি শিশু জরিপের তালিকা শিক্ষা অফিসে দিতে মোরেলগঞ্জে অবস্থান করছেন।
এ বিষয়ে শিক্ষা অফিসার মো. জালাল উদ্দিন খান বলেন, তিনি সদ্যমাত্র যোগদান করেছেন এ উপজেলায়। প্রত্যন্ত অঞ্চলে অনেক বিদ্যালয়ই শিক্ষক অনিয়মিত অবকাঠামো নাজুক, শিক্ষক সঙ্কট সম্পর্কে তিনি অবহিত আছেন। তবে প্রতিটি বিদ্যালয় সরেজমিনে এখন পর্যন্ত তিনি যেতে পারেননি। শীঘ্রই এসব সমস্যার সমাধান হবে বলে তিনি জানান।