কোড অব কন্ডাক্ট না মানলে চলে যান

পররাষ্ট্রমন্ত্রী একে আবদুল মোমেন বলেছেন, তাদের (কূটনীতিকরা) নিজেদের কাজ বাদ দিয়ে আমাদের ডমেস্টিক ইস্যুতে (সিটি করপোরেশন নির্বাচন) নাক গলাচ্ছে। এটা উচিত নয়। কূটনীতিকরা কোড অব কন্ডাক্ট মেনে কাজ করবেন বলে আশা করি। তবে যারা কোড অব কন্ডাক্ট মানবেন না তাদের বলবো দেশ থেকে চলে যান।

গতকাল বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে বাংলাদেশ উন্নয়ন ফোরামের সমাপনী অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।

মোমেন বলেন, এ নির্বাচন হবে আদর্শ নির্বাচন। এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দিয়েছেন। এই নির্বাচন অত্যন্ত স্বচ্ছ হবে।

প্রসঙ্গত, আগামী ১ ফেব্রুয়ারি ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচনের আগে ঢাকায় কর্মরত পশ্চিমা দেশগুলোর কূটনীতিকরা বেশ তৎপর। তারা ইতোমধ্যে বিএনপি ও ইসির সঙ্গে বৈঠক করেছেন।

কূটনীতিক ও বিদেশি পর্যবেক্ষকদের তৎপরতা নিয়ে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের একটি প্রতিনিধি দল ইসিতে গিয়ে অভিযোগ জানিয়েছে। গত সংসদ নির্বাচনে একটি দেশের রাষ্ট্রদূত ক্যামেরা নিয়ে বুথের মধ্যে ঢুকে পড়েছিলেন জানিয়ে এমন ঘটনার পুনরাবৃত্তি যাতে না হয়, সে দিকে সতর্ক থাকতে ইসিকে অনুরোধ করেছে আওয়ামী লীগ।

ইসির সঙ্গে বৈঠকের পর আওয়ামী লীগের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির কো-চেয়ারম্যান এইচটি ইমাম বলেন, মান্যবর রাষ্ট্রদূতদের যথেষ্ট সম্মান করি। বাংলাদেশের মতো এত আদর-যতœ কেউ করে না। সেটা তো অব্যাহত থাকবে। কিন্তু আতিথেয়তা মানে এই নয় যে কেউ সেটির সুযোগ নিয়ে অতিরিক্ত বাড়াবাড়ি করবে।

শুক্রবার, ৩১ জানুয়ারী ২০২০ , ১৭ মাঘ ১৪২৬, ৫ জমাদিউল সানি ১৪৪১

কূটনীতিকদের পররাষ্ট্রমন্ত্রী

কোড অব কন্ডাক্ট না মানলে চলে যান

কূটনৈতিক বার্তা পরিবেশক

পররাষ্ট্রমন্ত্রী একে আবদুল মোমেন বলেছেন, তাদের (কূটনীতিকরা) নিজেদের কাজ বাদ দিয়ে আমাদের ডমেস্টিক ইস্যুতে (সিটি করপোরেশন নির্বাচন) নাক গলাচ্ছে। এটা উচিত নয়। কূটনীতিকরা কোড অব কন্ডাক্ট মেনে কাজ করবেন বলে আশা করি। তবে যারা কোড অব কন্ডাক্ট মানবেন না তাদের বলবো দেশ থেকে চলে যান।

গতকাল বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে বাংলাদেশ উন্নয়ন ফোরামের সমাপনী অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।

মোমেন বলেন, এ নির্বাচন হবে আদর্শ নির্বাচন। এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দিয়েছেন। এই নির্বাচন অত্যন্ত স্বচ্ছ হবে।

প্রসঙ্গত, আগামী ১ ফেব্রুয়ারি ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচনের আগে ঢাকায় কর্মরত পশ্চিমা দেশগুলোর কূটনীতিকরা বেশ তৎপর। তারা ইতোমধ্যে বিএনপি ও ইসির সঙ্গে বৈঠক করেছেন।

কূটনীতিক ও বিদেশি পর্যবেক্ষকদের তৎপরতা নিয়ে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের একটি প্রতিনিধি দল ইসিতে গিয়ে অভিযোগ জানিয়েছে। গত সংসদ নির্বাচনে একটি দেশের রাষ্ট্রদূত ক্যামেরা নিয়ে বুথের মধ্যে ঢুকে পড়েছিলেন জানিয়ে এমন ঘটনার পুনরাবৃত্তি যাতে না হয়, সে দিকে সতর্ক থাকতে ইসিকে অনুরোধ করেছে আওয়ামী লীগ।

ইসির সঙ্গে বৈঠকের পর আওয়ামী লীগের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির কো-চেয়ারম্যান এইচটি ইমাম বলেন, মান্যবর রাষ্ট্রদূতদের যথেষ্ট সম্মান করি। বাংলাদেশের মতো এত আদর-যতœ কেউ করে না। সেটা তো অব্যাহত থাকবে। কিন্তু আতিথেয়তা মানে এই নয় যে কেউ সেটির সুযোগ নিয়ে অতিরিক্ত বাড়াবাড়ি করবে।