যশোর শিক্ষা প্রকৌশল অধিদফতরের উপসহকারী প্রকৌশলী রফিকুজ্জামান নিজেকে রক্ষা করতে অধিদফতরের ঠিকাদারদের তার পক্ষে মিটিং করতে বাধ্য করেছেন। তবে ঠিকাদারা তার বিপক্ষেই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। ২৮ জানুয়ারি সন্ধ্যায় অফিসে সভাটি হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন ঠিকাদার মোবাশ্বের হোসেন বাবু। সভায় ৫০ জন ঠিকাদার উপস্থিত ছিলেন। গত ২৭ জানুয়ারি ‘সংবাদ’ এ ‘যিনিই ঠিকাদার, তিনিই প্রকৌশলী?’ শিরোনামে খবর সভায় ঠিকাদাররা সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, এখন থেকে শিক্ষাপ্রকৌশল অধিদফতরের কোন কর্মকর্তা-কর্মচারী ঠিকাদারী কাজ করতে পারবেন না। একইসঙ্গে কোন ঠিকাদারও অফিসের কারও সঙ্গে পার্টনারশিপে কাজ করতে পারবেন না।
ঠিকাদাররা অভিযোগ করেছেন, রফিকুজ্জামানের অনৈতিক চাপ সহ্য করতে না পেরে একজন সহকারী প্রকৌশলী মানসিক নির্যাতনের শিকার হয়ে স্বাভাবিক কাজকর্ম করতে পারছেন না। তার মানসিক অবস্থা দেখে কর্র্তৃপক্ষ ছুটি দিতে বাধ্য হয়েছে।
শিক্ষাপ্রকৌশল অধিদফতরের ঠিকাদারী কাজের অনৈতিক বিলসহ অন্য কাগজপত্র ছাড় করাতে সহকারী প্রকৌশলী মুত্তাকীমকে চাপ দিয়ে আসছেন দীর্ঘদিন ধরে। তার কথামতো কাজ না হলে তিনি সহকারী প্রকৌশলীকে হুমকি দেন। এসব কারণে তিনি হতাশ হয়ে পড়েন। এখন মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলার পর্যায়ে রয়েছেন।
কর্মকর্তা-কর্মচারীরা জানিয়েছেন, মানসিকভাবে ভেঙেপড়া সহকারী প্রকৌশলী মুত্তাকীম কিছুদিন আগে অফিসে এসে নির্বাহী প্রকৌশলীর সামনে কান্নাকাটি শুরু করেন। মুত্তাকীম রফিকুজ্জামানের হাত থেকে রক্ষা করতে নির্বাহী প্রকৌশলীকে অনুরোধ করেন।
এ ব্যাপারে উপসহকারী প্রকৌশলী রফিকুজ্জামানের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এসব বানোয়াট কথা কে বলেছে তাদের নাম বলেন। আমার বিরুদ্ধে লিখে কিছু হবে না, আমি প্রধান প্রকৌশলীর লোক।
শুক্রবার, ৩১ জানুয়ারী ২০২০ , ১৭ মাঘ ১৪২৬, ৫ জমাদিউল সানি ১৪৪১
যশোর অফিস
যশোর শিক্ষা প্রকৌশল অধিদফতরের উপসহকারী প্রকৌশলী রফিকুজ্জামান নিজেকে রক্ষা করতে অধিদফতরের ঠিকাদারদের তার পক্ষে মিটিং করতে বাধ্য করেছেন। তবে ঠিকাদারা তার বিপক্ষেই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। ২৮ জানুয়ারি সন্ধ্যায় অফিসে সভাটি হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন ঠিকাদার মোবাশ্বের হোসেন বাবু। সভায় ৫০ জন ঠিকাদার উপস্থিত ছিলেন। গত ২৭ জানুয়ারি ‘সংবাদ’ এ ‘যিনিই ঠিকাদার, তিনিই প্রকৌশলী?’ শিরোনামে খবর সভায় ঠিকাদাররা সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, এখন থেকে শিক্ষাপ্রকৌশল অধিদফতরের কোন কর্মকর্তা-কর্মচারী ঠিকাদারী কাজ করতে পারবেন না। একইসঙ্গে কোন ঠিকাদারও অফিসের কারও সঙ্গে পার্টনারশিপে কাজ করতে পারবেন না।
ঠিকাদাররা অভিযোগ করেছেন, রফিকুজ্জামানের অনৈতিক চাপ সহ্য করতে না পেরে একজন সহকারী প্রকৌশলী মানসিক নির্যাতনের শিকার হয়ে স্বাভাবিক কাজকর্ম করতে পারছেন না। তার মানসিক অবস্থা দেখে কর্র্তৃপক্ষ ছুটি দিতে বাধ্য হয়েছে।
শিক্ষাপ্রকৌশল অধিদফতরের ঠিকাদারী কাজের অনৈতিক বিলসহ অন্য কাগজপত্র ছাড় করাতে সহকারী প্রকৌশলী মুত্তাকীমকে চাপ দিয়ে আসছেন দীর্ঘদিন ধরে। তার কথামতো কাজ না হলে তিনি সহকারী প্রকৌশলীকে হুমকি দেন। এসব কারণে তিনি হতাশ হয়ে পড়েন। এখন মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলার পর্যায়ে রয়েছেন।
কর্মকর্তা-কর্মচারীরা জানিয়েছেন, মানসিকভাবে ভেঙেপড়া সহকারী প্রকৌশলী মুত্তাকীম কিছুদিন আগে অফিসে এসে নির্বাহী প্রকৌশলীর সামনে কান্নাকাটি শুরু করেন। মুত্তাকীম রফিকুজ্জামানের হাত থেকে রক্ষা করতে নির্বাহী প্রকৌশলীকে অনুরোধ করেন।
এ ব্যাপারে উপসহকারী প্রকৌশলী রফিকুজ্জামানের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এসব বানোয়াট কথা কে বলেছে তাদের নাম বলেন। আমার বিরুদ্ধে লিখে কিছু হবে না, আমি প্রধান প্রকৌশলীর লোক।