২৮ ফেব্রুয়ারির মধ্যে কর্মকৌশল প্রণয়ন
দুর্নীতি দমন কমিশনের চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ বলেছেন, তৃণমূল পর্যায়ে সরকারি পরিসেবায় স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা আরও বৃদ্ধি করার লক্ষ্যে কমিশন কাজ শুরু করেছে। এ লক্ষ্যে কমিশনের পক্ষ থেকে দেশব্যাপী গণশুনানি কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে। গতকাল দুর্নীতি দমন কমিশনের প্রধান কার্যালয়ে অক্সফাম ইন্টারন্যাশনাল -এর গ্লোবাল প্রোগ্রাম ডিরেক্টর ফ্রাঙ্ক করটেডার সঙ্গে আলোচনা কালে তিনি এসব কথা বলেন।
এর আগে ফ্রাঙ্ক করটেডারের নেতৃত্বে ছয় সদস্যের একটি উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধি দল দুর্নীতি দমন কমিশনের চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদের সঙ্গে পারস্পরিক সম্পর্ককে আরও গতিশীল ও কার্যকর করার লক্ষ্যে স্ব-স্ব কর্মকৌশল নিয়ে আলোচনা করেন।
দুদক চেয়ারম্যান বলেন দেশব্যাপী গণশুনানির মাধ্যমে তৃণমূল পর্যায়ের সরকারি কর্মকর্তাদের সঙ্গে সেবাগ্রহীতা নাগরিকদের মাঝে একটি মিথস্ক্রিয়া যেমন হচ্ছে, তেমনি সরকারি কর্মকর্তারাও তাদের দায়িত্ব সম্পর্কে আরও সচেতন হচ্ছেন। জনগণের কাছে তাদেরকে প্রত্যক্ষভাবে জবাবদিহি করতে হচ্ছে। এর মাধ্যমে জনগণই যে রাষ্ট্রের মালিক সেটা প্রত্যক্ষভাবে অনুধাবন করা যাচ্ছে। আমরা চাই প্রজাতন্ত্রের কর্মচারীরা সেবা গ্রহীতা নাগরিকদের ‘স্যার’ সম্ভোধন করবেন।
দুদক চেয়ারম্যান বলেন, দুদক ও অক্সফাম যৌথ অংশীদারিত্বে দুর্নীতির বিরুদ্ধে গণসচেতনতা সৃষ্টিতে কার্যকর ও দৃশ্যমান কর্মসূচি বাস্তবায়ন করতে পারে। যাতে জনগণ দুর্নীতির বিরুদ্ধে উচ্চকিত কণ্ঠে প্রতিবাদ করতে পারে। জনগণের দুর্নীতিবিরোধী তীব্র আকাক্সক্ষাই দুর্নীতি নিয়ন্ত্রণে ভূমিকা রাখতে পারে। দেশের ২৬ হাজারের বেশি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে চলমান দুর্নীতিবিরোধী বিতর্ক প্রতিযোগিতা, রচনা প্রতিযোগিতা ও সাংস্কৃতিক কার্যক্রমে অক্সফাম বাংলাদেশের অংশীদারিত্বের প্রশংসা করে দুদক চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ বলেন, দুদকের এই কর্ম প্রক্রিয়ায় অক্সফামের অংশগ্রহণে আমরা খুশি। কমিশন এ জাতীয় কর্মসূচি বাস্তবায়নের মাধ্যমে দেশের তরুণ প্রজন্মের মাঝে সততা ও নৈতিকমূল্যবোধ গ্রোথিত করার চেষ্টা করছে। নৈতিকমূল্যবোধ বিহীন উন্নয়ন কোন কোন ক্ষেত্রে অর্থহীন হয়ে যেতে পারে। দুদক চেয়ারম্যান বলেন কমিশন সমাজের সর্বস্থরে নৈতিকমূল্যবোধ আরও বিকশিত করতে বহুমাত্রিক কার্যক্রম পরিচালনা করছে। অর্ন্তভুক্তিমূলক এ অভিগমনে শুধু অক্সফাম নয় জিও-এনজিও সবার সক্রিয় অংশীদারিত্বের প্রয়োজনীয়তা আমরা অনুভব করি।
এ সময় অক্সফাম প্রতিনিধি দলের সদস্যরা জানান, তারাও তৃণমূল পর্যায়ে বিশেষ করে ত্রাণ, নদী ভাঙ্গণ, পরিবেশসহ বিভিন্ন ইস্যুতে গণশুনানি করে থাকেন। এসব গণশুনানির মাধ্যমে তারা দুর্নীতির অনেক তথ্য পেয়ে থাকেন। এ জাতীয় তথ্য দুদক গ্রহণ করলে, তারা যা সরবরাহ করতে পারে তা প্রান্তিক পর্যায়ে দুর্নীতি নিয়ন্ত্রণে বিশেষ ভূমিকা রাখতে পারে। এ প্রসঙ্গে দুদক চেয়রম্যান বলেন, কীভাবে কমিশন এবং অক্সফাম যৌথভাবে কাজ করতে পারে, প্রথমে এর একটি কর্মকৌশল প্রণয়ন করা হবে। এই কর্মকৌশলের মাধ্যমে যৌথভাবে সব কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে। এ সময় এই কর্মকৌশল আগামী ২৮ ফ্রেব্রুয়ারির মধ্যে প্রণয়নের জন্য দুদকের মহাপরিচালক প্রতিরোধকে কমিশনের পক্ষে দায়িত্ব দেয়া হয়। দুদক মহাপরিচালকের নেতৃত্বধীন একটি টিম এবং অক্সফামের একটি টিম যৌথভাবে এই কর্মকৌশল প্রণয়ন করবে মর্মে সিদ্ধান্ত হয়।
এ সময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন দুদকের প্রশিক্ষণ ও আইসিটি অনুবিভাগের মহাপরিচালক একেএম সোহেল, অক্সফাম এর কান্ট্রি ডিরেক্টর দীপঙ্কর দত্ত, সিনিয়র প্রোগ্রাম অফিসার মাহফুজা আক্তার, সিনিয়র ইনফ্লুয়েনসিং অফিসার মেহবুবা ইয়াসমিন প্রমুখ ।
শুক্রবার, ৩১ জানুয়ারী ২০২০ , ১৭ মাঘ ১৪২৬, ৫ জমাদিউল সানি ১৪৪১
২৮ ফেব্রুয়ারির মধ্যে কর্মকৌশল প্রণয়ন
নিজস্ব বার্তা পরিবেশক |
দুর্নীতি দমন কমিশনের চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ বলেছেন, তৃণমূল পর্যায়ে সরকারি পরিসেবায় স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা আরও বৃদ্ধি করার লক্ষ্যে কমিশন কাজ শুরু করেছে। এ লক্ষ্যে কমিশনের পক্ষ থেকে দেশব্যাপী গণশুনানি কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে। গতকাল দুর্নীতি দমন কমিশনের প্রধান কার্যালয়ে অক্সফাম ইন্টারন্যাশনাল -এর গ্লোবাল প্রোগ্রাম ডিরেক্টর ফ্রাঙ্ক করটেডার সঙ্গে আলোচনা কালে তিনি এসব কথা বলেন।
এর আগে ফ্রাঙ্ক করটেডারের নেতৃত্বে ছয় সদস্যের একটি উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধি দল দুর্নীতি দমন কমিশনের চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদের সঙ্গে পারস্পরিক সম্পর্ককে আরও গতিশীল ও কার্যকর করার লক্ষ্যে স্ব-স্ব কর্মকৌশল নিয়ে আলোচনা করেন।
দুদক চেয়ারম্যান বলেন দেশব্যাপী গণশুনানির মাধ্যমে তৃণমূল পর্যায়ের সরকারি কর্মকর্তাদের সঙ্গে সেবাগ্রহীতা নাগরিকদের মাঝে একটি মিথস্ক্রিয়া যেমন হচ্ছে, তেমনি সরকারি কর্মকর্তারাও তাদের দায়িত্ব সম্পর্কে আরও সচেতন হচ্ছেন। জনগণের কাছে তাদেরকে প্রত্যক্ষভাবে জবাবদিহি করতে হচ্ছে। এর মাধ্যমে জনগণই যে রাষ্ট্রের মালিক সেটা প্রত্যক্ষভাবে অনুধাবন করা যাচ্ছে। আমরা চাই প্রজাতন্ত্রের কর্মচারীরা সেবা গ্রহীতা নাগরিকদের ‘স্যার’ সম্ভোধন করবেন।
দুদক চেয়ারম্যান বলেন, দুদক ও অক্সফাম যৌথ অংশীদারিত্বে দুর্নীতির বিরুদ্ধে গণসচেতনতা সৃষ্টিতে কার্যকর ও দৃশ্যমান কর্মসূচি বাস্তবায়ন করতে পারে। যাতে জনগণ দুর্নীতির বিরুদ্ধে উচ্চকিত কণ্ঠে প্রতিবাদ করতে পারে। জনগণের দুর্নীতিবিরোধী তীব্র আকাক্সক্ষাই দুর্নীতি নিয়ন্ত্রণে ভূমিকা রাখতে পারে। দেশের ২৬ হাজারের বেশি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে চলমান দুর্নীতিবিরোধী বিতর্ক প্রতিযোগিতা, রচনা প্রতিযোগিতা ও সাংস্কৃতিক কার্যক্রমে অক্সফাম বাংলাদেশের অংশীদারিত্বের প্রশংসা করে দুদক চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ বলেন, দুদকের এই কর্ম প্রক্রিয়ায় অক্সফামের অংশগ্রহণে আমরা খুশি। কমিশন এ জাতীয় কর্মসূচি বাস্তবায়নের মাধ্যমে দেশের তরুণ প্রজন্মের মাঝে সততা ও নৈতিকমূল্যবোধ গ্রোথিত করার চেষ্টা করছে। নৈতিকমূল্যবোধ বিহীন উন্নয়ন কোন কোন ক্ষেত্রে অর্থহীন হয়ে যেতে পারে। দুদক চেয়ারম্যান বলেন কমিশন সমাজের সর্বস্থরে নৈতিকমূল্যবোধ আরও বিকশিত করতে বহুমাত্রিক কার্যক্রম পরিচালনা করছে। অর্ন্তভুক্তিমূলক এ অভিগমনে শুধু অক্সফাম নয় জিও-এনজিও সবার সক্রিয় অংশীদারিত্বের প্রয়োজনীয়তা আমরা অনুভব করি।
এ সময় অক্সফাম প্রতিনিধি দলের সদস্যরা জানান, তারাও তৃণমূল পর্যায়ে বিশেষ করে ত্রাণ, নদী ভাঙ্গণ, পরিবেশসহ বিভিন্ন ইস্যুতে গণশুনানি করে থাকেন। এসব গণশুনানির মাধ্যমে তারা দুর্নীতির অনেক তথ্য পেয়ে থাকেন। এ জাতীয় তথ্য দুদক গ্রহণ করলে, তারা যা সরবরাহ করতে পারে তা প্রান্তিক পর্যায়ে দুর্নীতি নিয়ন্ত্রণে বিশেষ ভূমিকা রাখতে পারে। এ প্রসঙ্গে দুদক চেয়রম্যান বলেন, কীভাবে কমিশন এবং অক্সফাম যৌথভাবে কাজ করতে পারে, প্রথমে এর একটি কর্মকৌশল প্রণয়ন করা হবে। এই কর্মকৌশলের মাধ্যমে যৌথভাবে সব কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে। এ সময় এই কর্মকৌশল আগামী ২৮ ফ্রেব্রুয়ারির মধ্যে প্রণয়নের জন্য দুদকের মহাপরিচালক প্রতিরোধকে কমিশনের পক্ষে দায়িত্ব দেয়া হয়। দুদক মহাপরিচালকের নেতৃত্বধীন একটি টিম এবং অক্সফামের একটি টিম যৌথভাবে এই কর্মকৌশল প্রণয়ন করবে মর্মে সিদ্ধান্ত হয়।
এ সময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন দুদকের প্রশিক্ষণ ও আইসিটি অনুবিভাগের মহাপরিচালক একেএম সোহেল, অক্সফাম এর কান্ট্রি ডিরেক্টর দীপঙ্কর দত্ত, সিনিয়র প্রোগ্রাম অফিসার মাহফুজা আক্তার, সিনিয়র ইনফ্লুয়েনসিং অফিসার মেহবুবা ইয়াসমিন প্রমুখ ।