সম্প্রতি রাজধানীর ফ্লাইওভারগুলোতে একের পর এক ছিনতাই, ছিনতাই করতে গিয়ে হত্যার ঘটনা ঘটেই চলছিল। একটু রাত হলেই অন্ধকারাচ্ছন্ন ফ্লাইওভার ব্যবহারে সাধারণ মানুষের মধ্যে ভীতি কাজ করত। বেশ কয়েকটি ঘটনার পর বিষয়টি নিয়ে নড়েচড়ে বসে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। ঘটে যাওয়া ঘটনাগুলো তদন্ত করে একটি ‘ছিনতাইকারী চক্রকে’ চিহ্নিত করে ঢাকা মহানগর পুলিশ। চক্রটি ‘গামছা পার্টি’ নামে পরিচিত। এই পার্টির দুই সদস্য গত বুধবার দিবাগত রাত ৩টার দিকে হাতিরঝিল থানা পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়েছে। তারা হলো- নাজমুল ও মোটা শাহীন।
হাতিরঝিল থানার ওসি আবদুর রশিদ বলেন, নিহত দু’জনই ছিনতাইসহ চারটি খুনের ঘটনার সঙ্গে সরাসরি জড়িত ছিল। তাদের নামে হাতিরঝিল থানায় একটি, খিলক্ষেত থানায় দুটি এবং ভাটারা থানায় একটি মামলা তদন্তাধীন আছে। তাদের ধরতে অভিযানে নামে হাতিরঝিল থানা পুলিশ। বুধবার রাতে খিলক্ষেত ৩০০ ফিট সড়ক এলাকায় যাওয়ার পর পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে পুলিশের ওপর গুলিবর্ষণ করে তারা। পরে পুলিশও আত্মরক্ষার্থে গুলি ছুড়লে ওই দু’জন গুলিবিদ্ধ হয়। ঘটনাস্থল থেকে ছিনতাই কাজে ব্যবহৃত সিএনজি ও একটি আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। পরে তাদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। মৃতদেহ দুটির সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করেন খিলক্ষেত থানার এসআই সাদিকুর রহমান। সুরতহাল প্রতিবেদনে তিনি উল্লেখ করেন, গতকাল সকাল ৭টার দিকে কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতাল থেকে মৃতদেহ দুটি উদ্ধার করা হয়। এদের একজনের বুকের বাম পাশে ২টি, ডান পাশে একটি, ডান বোগলে একটি, ডান হাতে ২টি, বাম হাতে ২টি, পিঠে একটি, ডান পায়ের হাটুর উপরে ক্ষত চিহ্ন রয়েছে। আরেকজনের বুকে একটি, পেটে ৪টি, পিঠে ৪টি ক্ষত চিহ্ন রয়েছে।
তেজগাঁও বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) বিপ্লব বিজয় তালুকদার জানান, নিহত নাজমুল ও মোটা শাহীন ছিনতাইয়ের পাশাপাশি ছিনতাই করতে গিয়ে মানুষ খুন করতো। সম্প্রতি ফ্লাইওভারে ছিনতাই ও ছিনতাই করতে গিয়ে তারা কয়েকটি খুনের ঘটনা ঘটায়। সেই চক্রের কয়েকজনকে গ্রেফতারের পর আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে এবং তাদের বক্তব্যে উঠে আসে যে, তারা একটি সংঘবদ্ধ ছিনতাইকারী চক্রের সদস্য। তাদের বক্তব্যে এই নাজমুল ও মোটা শাহীনের নাম উঠে আসে। আমাদের কাছে তথ্য ছিল যে, তারা সিএনজি ব্যবহারে ছিনতাই কাজ করছে। এরপর গাজীপুরের টঙ্গী থেকে জীবন নামে একজনকে প্রথমে গ্রেফতার করা হয়। জীবন জানায়, ওই সিএনজি দিয়ে তাদের এই দুজন সহযোগী ৩০০ ফিট এলাকায় ছিনতাই কাজে বেরিয়েছে। ওই তথ্যের ভিত্তিতে হাতিরঝিল থানা পুলিশের একটি টহল টিম সেখানে চেকপোস্ট বাসায়। সেখানে চেকপোস্ট চলাকালে তারা পুলিশকে লক্ষ্য করে পিস্তল থেকে গুলি ছোড়ে। তখন পুলিশও গুলি ছোড়ে। এতে ওই দু’জন নিহত হয়।
শুক্রবার, ৩১ জানুয়ারী ২০২০ , ১৭ মাঘ ১৪২৬, ৫ জমাদিউল সানি ১৪৪১
নিজস্ব বার্তা পরিবেশক |
সম্প্রতি রাজধানীর ফ্লাইওভারগুলোতে একের পর এক ছিনতাই, ছিনতাই করতে গিয়ে হত্যার ঘটনা ঘটেই চলছিল। একটু রাত হলেই অন্ধকারাচ্ছন্ন ফ্লাইওভার ব্যবহারে সাধারণ মানুষের মধ্যে ভীতি কাজ করত। বেশ কয়েকটি ঘটনার পর বিষয়টি নিয়ে নড়েচড়ে বসে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। ঘটে যাওয়া ঘটনাগুলো তদন্ত করে একটি ‘ছিনতাইকারী চক্রকে’ চিহ্নিত করে ঢাকা মহানগর পুলিশ। চক্রটি ‘গামছা পার্টি’ নামে পরিচিত। এই পার্টির দুই সদস্য গত বুধবার দিবাগত রাত ৩টার দিকে হাতিরঝিল থানা পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়েছে। তারা হলো- নাজমুল ও মোটা শাহীন।
হাতিরঝিল থানার ওসি আবদুর রশিদ বলেন, নিহত দু’জনই ছিনতাইসহ চারটি খুনের ঘটনার সঙ্গে সরাসরি জড়িত ছিল। তাদের নামে হাতিরঝিল থানায় একটি, খিলক্ষেত থানায় দুটি এবং ভাটারা থানায় একটি মামলা তদন্তাধীন আছে। তাদের ধরতে অভিযানে নামে হাতিরঝিল থানা পুলিশ। বুধবার রাতে খিলক্ষেত ৩০০ ফিট সড়ক এলাকায় যাওয়ার পর পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে পুলিশের ওপর গুলিবর্ষণ করে তারা। পরে পুলিশও আত্মরক্ষার্থে গুলি ছুড়লে ওই দু’জন গুলিবিদ্ধ হয়। ঘটনাস্থল থেকে ছিনতাই কাজে ব্যবহৃত সিএনজি ও একটি আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। পরে তাদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। মৃতদেহ দুটির সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করেন খিলক্ষেত থানার এসআই সাদিকুর রহমান। সুরতহাল প্রতিবেদনে তিনি উল্লেখ করেন, গতকাল সকাল ৭টার দিকে কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতাল থেকে মৃতদেহ দুটি উদ্ধার করা হয়। এদের একজনের বুকের বাম পাশে ২টি, ডান পাশে একটি, ডান বোগলে একটি, ডান হাতে ২টি, বাম হাতে ২টি, পিঠে একটি, ডান পায়ের হাটুর উপরে ক্ষত চিহ্ন রয়েছে। আরেকজনের বুকে একটি, পেটে ৪টি, পিঠে ৪টি ক্ষত চিহ্ন রয়েছে।
তেজগাঁও বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) বিপ্লব বিজয় তালুকদার জানান, নিহত নাজমুল ও মোটা শাহীন ছিনতাইয়ের পাশাপাশি ছিনতাই করতে গিয়ে মানুষ খুন করতো। সম্প্রতি ফ্লাইওভারে ছিনতাই ও ছিনতাই করতে গিয়ে তারা কয়েকটি খুনের ঘটনা ঘটায়। সেই চক্রের কয়েকজনকে গ্রেফতারের পর আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে এবং তাদের বক্তব্যে উঠে আসে যে, তারা একটি সংঘবদ্ধ ছিনতাইকারী চক্রের সদস্য। তাদের বক্তব্যে এই নাজমুল ও মোটা শাহীনের নাম উঠে আসে। আমাদের কাছে তথ্য ছিল যে, তারা সিএনজি ব্যবহারে ছিনতাই কাজ করছে। এরপর গাজীপুরের টঙ্গী থেকে জীবন নামে একজনকে প্রথমে গ্রেফতার করা হয়। জীবন জানায়, ওই সিএনজি দিয়ে তাদের এই দুজন সহযোগী ৩০০ ফিট এলাকায় ছিনতাই কাজে বেরিয়েছে। ওই তথ্যের ভিত্তিতে হাতিরঝিল থানা পুলিশের একটি টহল টিম সেখানে চেকপোস্ট বাসায়। সেখানে চেকপোস্ট চলাকালে তারা পুলিশকে লক্ষ্য করে পিস্তল থেকে গুলি ছোড়ে। তখন পুলিশও গুলি ছোড়ে। এতে ওই দু’জন নিহত হয়।