ভোটের মাঠে বিএনপি ছিল না

বেশিরভাগ কেন্দ্রেই ছিল না ধানের শীষের এজেন্ট

অনেক হাঁকডাক দিয়ে নির্বাচনে অংশ নিলেও ভোটের মাঠে খুব বেশি সক্রিয় দেখা যায়নি বিএনপি সমর্থিত কাউন্সিলর প্রার্থীদের। দলটির প্রার্থীরা নির্বিঘে্ন ভোটের প্রচারণা চালিয়ে আসলেও ভোটের মাঠে তাদের অনেকটায় নিষ্ক্রিয় দেখা গেছে। বিএনপির দুই মেয়র প্রার্থীর কর্মসমর্থকদের ভোটকেন্দ্রের আশপাশেও সক্রিয় দেখা যায়নি। দলটির স্থানীয় নেতারাও মাঠে নামেনি। বেশির ভাগ কেন্দ্রেই আসেনি বিএনপির প্রার্থীদের এজেন্টরা। দু’একটি কেন্দ্রে বিএনপির এজেন্টরা আসলেও কিছুক্ষণ অবস্থান করেই কেন্দ্র ত্যাগ করেন। তবে বিভিন্ন ভোট কেন্দ্রে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থীদের এজেন্টের সরব উপস্থিতি দেখা গেছে। ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ন্যূনতম বিভিন্ন কেন্দ্র ঘুরে এ তথ্য পাওয়া গেছে।

গতকাল সকাল ৯টায় দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ২ নম্বর ওয়ার্ডের পূর্ব গোড়ান আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্রের কোন বুথেই বিএনপির মেয়র ও ওয়ার্ড কাউন্সিলর প্রার্থীদের কোন এজেন্ট খুঁজে পাওয়া যায়নি। এ সময় প্রিসাইডিং অফিসারকেও তার কক্ষে পাওয়া যায়নি। তবে একজন পুলিশ ও আনসার সদস্য সংবাদকে বলেন, ‘বিএনপির দু’তিন এজেন্ট সকাল আটটার দিকে এসেছিল, কিছুক্ষণ থেকে চলে যান।’

সকাল ১০টার দিকে গোড়ান আলী আহাম্মদ হাইস্কুল অ্যান্ড কলেজ ভোটকেন্দ্রে গিয়ে দেখা যায়, বিএনপির প্রার্থীদের কোন এজেন্ট নেই। কেন্দ্রের দায়িত্বে থাকা প্রিসাইডিং অফিসার বলেন, ‘বিএনপি প্রার্থীদের এজেন্টরা আসেনি তারা না আসলে আমাদের কী করার আছে?’

দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ১ নম্বর ওয়ার্ডের খিলগাঁও মডেল কলেজ ভোট কেন্দ্রে আওয়ামী লীগ ও আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী এবং বিএনপি প্রার্থীর এজেন্ট উপস্থিত ছিল। সকাল ৯টার দিকে আওয়ামী লীগ সমর্থক কাউন্সিলর প্রার্থী ও বিদ্রোহী প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ বাধলে বিএনপির এজেন্টরা পালিয়ে যায়।

সকাল সাড়ে ৯টার দিকে গোড়ান সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে প্রতিপক্ষের মারধরের শিকার হন কাউন্সিলর প্রার্থী জহিরুল ইসলাম ভূঞা। তাকে মারধরের সময় ছিনতাইকারী আখ্যা দেয়া হয়। তিনি এলাকায় আওয়ামী লীগ সমর্থক হিসেবেই পরিচিত।

দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের ধর্মরাজিক উচ্চ বিদ্যালয়, কদমতলা পূর্ব বাসাবো স্কুল অ্যান্ড কলেজ, কমলাপুর স্কুল অ্যান্ড কলেজ, আহমেদবাগ উচ্চ বিদ্যালয়, অভয় বিনোদনী উচ্চ বিদ্যালয়সহ সবগুলো কেন্দ্রের বিএনপির প্রার্থীদের কোন এজেন্টকে খুঁজে পাওয়া যায়নি। এসব কেন্দ্রে বিএনপির এজেন্ট বের করে দেয়া অথবা এজেন্টকে আসতে না দেয়ার ঘটনায় কারও পক্ষ থেকে কোন অভিযোগও পাওয়া যায়নি।

ধর্মরাজিক উচ্চ বিদ্যালয়ে সহকারী প্রিসাইডিং অফিসার আলমগীর হোসেন জানান, বিএনপির কোন এজেন্ট তারা পাননি।

পূর্ব বাসাবো স্কুল অ্যান্ড কলেজ কেন্দ্রে বিএনপির এজেন্ট না থাকার বিষয়ে সহকারী প্রিসাইডিং অফিসাররা কোন কথা বলেননি। আওয়ামী লীগের প্রার্থীদের পক্ষে থাকা এজেন্টরা জানান, ‘বিএনপির এজেন্ট ছিল তারা বাইরে চলে গেছে।’

আহমেদবাগ উচ্চ বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্রে সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর প্রার্থী মাকসুদা সমসের মাসুর পক্ষে নির্বাচনী এজেন্ট ছিলেন ইফতেখার হায়দার সুমন। তিনি বলেন, ‘এ কেন্দ্রে বিএনপির কোন এজেন্ট ছিল না। ভোট শান্তিপূর্ণভাবে হয়েছে। তবে ভোটার উপস্থিতি কম ছিল।’

ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের সবুজবাগ ও মাদারটেক নিয়ে গঠিত ৪ নম্বর ওয়ার্ড ঘড়ি প্রতীকের কাউন্সিলর প্রার্থী গোলাম হোসেন এবং বিএনপির মেয়র প্রার্থী ইশরাক হোসেনের কোন এজেন্টকে ভোটকেন্দ্রে দেখা যায়নি।

বিএনপির কাউন্সিলর প্রার্থী গোলাম হোসেন অভিযোগ করেন, তার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী আওয়ামী লীগের মনোনীত জাহাঙ্গীর হোসেন ঠেলাগাড়ি প্রতীকে নির্বাচন করেছেন। আওয়ামী লীগ প্রার্থীর পক্ষে কর্মী সমর্থকরা সকাল থেকে বিভিন্ন কেন্দ্র দখলে রাখেন। তার পক্ষে এবং ধানের শীষের পক্ষে এজেন্ট দেয়া হলেও তাদের বের করে দেয়া হয়েছে।

এদিকে ঢাকা উত্তরের ১ নম্বর ওয়ার্ডের টাচস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজ কেন্দ্রে সকাল সাড়ে ১১টায় গিয়ে দেখা যায়, নৌকার এজেন্ট রয়েছে। কিন্তু ধানের শীষের কোন এজেন্ট নেই।

এই কেন্দ্রের প্রিসাইডিং অফিসার কামরুল হাসান সংবাদকে বলেন, ‘আমাদের এখানে ২৬০টি ভোট পড়েছে। বাঘ ও নৌকা প্রতীকের এজেন্ট ছিল। বিএনপির পক্ষ থেকে কেউ আবেদনই করেননি। ভোট শান্তিপূর্ণ ও সুষ্ঠু হয়েছে।’

উত্তরের ৫৩ নম্বর ওয়ার্ডের সানবিমস্ স্কুল কেন্দ্রে ধানের শীষের এজেন্ট ছিল। এই কেন্দ্রে প্রিসাইডিং অফিসার জোবায়ের আহমেদ বলেন, ‘হাতপাখা, নৌকা ও ধানের শীষ প্রতীকের এজেন্ট রয়েছে।’

উত্তরের ২৪ নম্বর ওয়ার্ডের তেজগাঁও শিল্প এলাকার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ধানের শীষের এজেন্ট ছিল। এই কেন্দ্রের প্রিসাইডিং অফিসার ফারসিদ রায়হান সংবাদকে বলেন, ‘এখানে ধানের শীষের কোন এজেন্ট নেই।’

ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের অধীন রাজধানীর কদমতলি থানার দনিয়া এলাকায় ৬১, ৬২ ও ৬৩ নম্বর কেন্দ্রে বিএনপির কোন এজেন্ট কেন্দ্রেই যাননি। কিছু কেন্দ্রে হাতপাখার এজেন্ট দেখা গেছে। কেন্দ্রের প্রিসাইডিং অফিস জানান, তাদের কাছে ধানের শীষের কোন এজেন্ট এসে রিপোর্ট করেননি।

রবিবার, ০২ ফেব্রুয়ারী ২০২০ , ১৯ মাঘ ১৪২৬, ৭ জমাদিউল সানি ১৪৪১

ভোটের মাঠে বিএনপি ছিল না

বেশিরভাগ কেন্দ্রেই ছিল না ধানের শীষের এজেন্ট

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক |

image

রাজধানীর একটি ভোটকেন্দ্রের নারী ভোটাররা -সংবাদ

অনেক হাঁকডাক দিয়ে নির্বাচনে অংশ নিলেও ভোটের মাঠে খুব বেশি সক্রিয় দেখা যায়নি বিএনপি সমর্থিত কাউন্সিলর প্রার্থীদের। দলটির প্রার্থীরা নির্বিঘে্ন ভোটের প্রচারণা চালিয়ে আসলেও ভোটের মাঠে তাদের অনেকটায় নিষ্ক্রিয় দেখা গেছে। বিএনপির দুই মেয়র প্রার্থীর কর্মসমর্থকদের ভোটকেন্দ্রের আশপাশেও সক্রিয় দেখা যায়নি। দলটির স্থানীয় নেতারাও মাঠে নামেনি। বেশির ভাগ কেন্দ্রেই আসেনি বিএনপির প্রার্থীদের এজেন্টরা। দু’একটি কেন্দ্রে বিএনপির এজেন্টরা আসলেও কিছুক্ষণ অবস্থান করেই কেন্দ্র ত্যাগ করেন। তবে বিভিন্ন ভোট কেন্দ্রে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থীদের এজেন্টের সরব উপস্থিতি দেখা গেছে। ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ন্যূনতম বিভিন্ন কেন্দ্র ঘুরে এ তথ্য পাওয়া গেছে।

গতকাল সকাল ৯টায় দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ২ নম্বর ওয়ার্ডের পূর্ব গোড়ান আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্রের কোন বুথেই বিএনপির মেয়র ও ওয়ার্ড কাউন্সিলর প্রার্থীদের কোন এজেন্ট খুঁজে পাওয়া যায়নি। এ সময় প্রিসাইডিং অফিসারকেও তার কক্ষে পাওয়া যায়নি। তবে একজন পুলিশ ও আনসার সদস্য সংবাদকে বলেন, ‘বিএনপির দু’তিন এজেন্ট সকাল আটটার দিকে এসেছিল, কিছুক্ষণ থেকে চলে যান।’

সকাল ১০টার দিকে গোড়ান আলী আহাম্মদ হাইস্কুল অ্যান্ড কলেজ ভোটকেন্দ্রে গিয়ে দেখা যায়, বিএনপির প্রার্থীদের কোন এজেন্ট নেই। কেন্দ্রের দায়িত্বে থাকা প্রিসাইডিং অফিসার বলেন, ‘বিএনপি প্রার্থীদের এজেন্টরা আসেনি তারা না আসলে আমাদের কী করার আছে?’

দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ১ নম্বর ওয়ার্ডের খিলগাঁও মডেল কলেজ ভোট কেন্দ্রে আওয়ামী লীগ ও আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী এবং বিএনপি প্রার্থীর এজেন্ট উপস্থিত ছিল। সকাল ৯টার দিকে আওয়ামী লীগ সমর্থক কাউন্সিলর প্রার্থী ও বিদ্রোহী প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ বাধলে বিএনপির এজেন্টরা পালিয়ে যায়।

সকাল সাড়ে ৯টার দিকে গোড়ান সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে প্রতিপক্ষের মারধরের শিকার হন কাউন্সিলর প্রার্থী জহিরুল ইসলাম ভূঞা। তাকে মারধরের সময় ছিনতাইকারী আখ্যা দেয়া হয়। তিনি এলাকায় আওয়ামী লীগ সমর্থক হিসেবেই পরিচিত।

দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের ধর্মরাজিক উচ্চ বিদ্যালয়, কদমতলা পূর্ব বাসাবো স্কুল অ্যান্ড কলেজ, কমলাপুর স্কুল অ্যান্ড কলেজ, আহমেদবাগ উচ্চ বিদ্যালয়, অভয় বিনোদনী উচ্চ বিদ্যালয়সহ সবগুলো কেন্দ্রের বিএনপির প্রার্থীদের কোন এজেন্টকে খুঁজে পাওয়া যায়নি। এসব কেন্দ্রে বিএনপির এজেন্ট বের করে দেয়া অথবা এজেন্টকে আসতে না দেয়ার ঘটনায় কারও পক্ষ থেকে কোন অভিযোগও পাওয়া যায়নি।

ধর্মরাজিক উচ্চ বিদ্যালয়ে সহকারী প্রিসাইডিং অফিসার আলমগীর হোসেন জানান, বিএনপির কোন এজেন্ট তারা পাননি।

পূর্ব বাসাবো স্কুল অ্যান্ড কলেজ কেন্দ্রে বিএনপির এজেন্ট না থাকার বিষয়ে সহকারী প্রিসাইডিং অফিসাররা কোন কথা বলেননি। আওয়ামী লীগের প্রার্থীদের পক্ষে থাকা এজেন্টরা জানান, ‘বিএনপির এজেন্ট ছিল তারা বাইরে চলে গেছে।’

আহমেদবাগ উচ্চ বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্রে সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর প্রার্থী মাকসুদা সমসের মাসুর পক্ষে নির্বাচনী এজেন্ট ছিলেন ইফতেখার হায়দার সুমন। তিনি বলেন, ‘এ কেন্দ্রে বিএনপির কোন এজেন্ট ছিল না। ভোট শান্তিপূর্ণভাবে হয়েছে। তবে ভোটার উপস্থিতি কম ছিল।’

ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের সবুজবাগ ও মাদারটেক নিয়ে গঠিত ৪ নম্বর ওয়ার্ড ঘড়ি প্রতীকের কাউন্সিলর প্রার্থী গোলাম হোসেন এবং বিএনপির মেয়র প্রার্থী ইশরাক হোসেনের কোন এজেন্টকে ভোটকেন্দ্রে দেখা যায়নি।

বিএনপির কাউন্সিলর প্রার্থী গোলাম হোসেন অভিযোগ করেন, তার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী আওয়ামী লীগের মনোনীত জাহাঙ্গীর হোসেন ঠেলাগাড়ি প্রতীকে নির্বাচন করেছেন। আওয়ামী লীগ প্রার্থীর পক্ষে কর্মী সমর্থকরা সকাল থেকে বিভিন্ন কেন্দ্র দখলে রাখেন। তার পক্ষে এবং ধানের শীষের পক্ষে এজেন্ট দেয়া হলেও তাদের বের করে দেয়া হয়েছে।

এদিকে ঢাকা উত্তরের ১ নম্বর ওয়ার্ডের টাচস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজ কেন্দ্রে সকাল সাড়ে ১১টায় গিয়ে দেখা যায়, নৌকার এজেন্ট রয়েছে। কিন্তু ধানের শীষের কোন এজেন্ট নেই।

এই কেন্দ্রের প্রিসাইডিং অফিসার কামরুল হাসান সংবাদকে বলেন, ‘আমাদের এখানে ২৬০টি ভোট পড়েছে। বাঘ ও নৌকা প্রতীকের এজেন্ট ছিল। বিএনপির পক্ষ থেকে কেউ আবেদনই করেননি। ভোট শান্তিপূর্ণ ও সুষ্ঠু হয়েছে।’

উত্তরের ৫৩ নম্বর ওয়ার্ডের সানবিমস্ স্কুল কেন্দ্রে ধানের শীষের এজেন্ট ছিল। এই কেন্দ্রে প্রিসাইডিং অফিসার জোবায়ের আহমেদ বলেন, ‘হাতপাখা, নৌকা ও ধানের শীষ প্রতীকের এজেন্ট রয়েছে।’

উত্তরের ২৪ নম্বর ওয়ার্ডের তেজগাঁও শিল্প এলাকার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ধানের শীষের এজেন্ট ছিল। এই কেন্দ্রের প্রিসাইডিং অফিসার ফারসিদ রায়হান সংবাদকে বলেন, ‘এখানে ধানের শীষের কোন এজেন্ট নেই।’

ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের অধীন রাজধানীর কদমতলি থানার দনিয়া এলাকায় ৬১, ৬২ ও ৬৩ নম্বর কেন্দ্রে বিএনপির কোন এজেন্ট কেন্দ্রেই যাননি। কিছু কেন্দ্রে হাতপাখার এজেন্ট দেখা গেছে। কেন্দ্রের প্রিসাইডিং অফিস জানান, তাদের কাছে ধানের শীষের কোন এজেন্ট এসে রিপোর্ট করেননি।