তিনমাসে আক্রান্ত সাড়ে ৪ লাখ

মৃত্যু ৫৭

দেশজুড়ে গত তিন মাসে শীতজনিত শ্বাসতন্ত্রের সংক্রমণ, জন্ডিস, ডায়রিয়াসহ নানা রোগে আক্রান্ত হয়েছে ৪ লাখ ৫৮ হাজার ১৭১ জন। তার মধ্যে মারা গেছে ৫৭ জন। শীত মৌসুমে এসব রোগ বাড়ে, তবে গরমের সময় কমবে বলে বিশেষজ্ঞরা আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

এছাড়া, করোনাভাইরাস, নিপাভাইরাস, সার্সসহ নানা ভাইরাসজনিত রোগের আতঙ্কের সৃষ্টি হয়েছে।

মহাখালী স্বাস্থ্য অধিদফতরের হেলথ ইমাজেন্সি অপারেশন সেন্টারের সহকারী পরিচালক ডা. আয়শা আক্তার জানান, গতবছর পহেলা নভেম্বর থেকে চলতি বছর ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত সারাদেশে জেলা উপজেলা ও বিভাগীয় পর্যায়ে শ্বাসতন্ত্রের প্রদাহ, নিউমোনিয়া, ডায়রিয়া, জন্ডিস, চোখের প্রদাহ ও চর্মরোগ, জ্বরসহ নানা ধরনের রোগে শিশুসহ বিভিন্ন বয়সের মানুষ আক্রান্ত হয়েছে। এরমধ্যে শীতজনিত নানা রোগে অসুস্থ হয়েছে ২ লাখ ৫ হাজার ২১৭ জন। শ্বাসতন্ত্রের সংক্রমণে ৭৩ হাজার ১৬৫জন। ডায়রিয়ায় ১ লাখ ৭৫ হাজার ৭২০জন। গত ২৪ ঘণ্টায় শ্বাসকষ্টে ১২০৮ ও ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়েছে ১৭৬৮ জন। গত ৩ মাসে শ্বাসতন্ত্রের সংক্রমণে ২২ জন, ডায়রিয়ায় ৫ জন ও শীতজনিত রোগসহ অন্য অসুস্থ্যতায় ৩০ জনের মৃত্যু হয়েছে।

বিশেষজ্ঞদের মতে, এ বছর শীতে নিউমোনিয়া, শ্বাসকষ্ট ও ঠাণ্ডাজনিত রোগে শিশুরা ডায়রিয়া আক্রান্ত হয়েছে। মাঘ মাসের শেষে শীতজনিত রোগ কমতে থাকবে।

সূত্র মতে, এ বছর প্রচণ্ড শীতে রংপুর, পঞ্চগড়, নীলফামারী ঠাকুরগাঁও, দিনাজপুরসহ বিভিন্ন জেলায় জন্ডিস, আমশা ও চোখের প্রদাহ, চর্মরোগ, ঠাণ্ডাজনিত কারণে জ্বর ও কাশিসহ অন্য রোগে অনেকেই আক্রান্ত হয়েছে।

বিশেষজ্ঞদের মতে, ঠাণ্ডা কমলেও গরম পড়তে শুরু করবে। এ সময় খেটে খাওয়া মানুষ যত্রতত্র শরবত পান ও ধূলাবালি মিশ্রিত খাবার খেয়ে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়। অনেকেই বাসি খাবার খেয়ে রোগে আক্রান্ত হয়। এপ্রিল-মে মাস পর্যন্ত ডায়রিয়ার প্রভাব থাকবে। এরপর বৃষ্টি শুরু হলেও ডেঙ্গুজ্বরের বাহক অ্যাডিস মশার বিস্তার বাড়তে থাকবে। বিশেষজ্ঞরা ডেঙ্গু রোধে আগাম তৎপরতা শুরু করেছেন। এরপরও চলতি বছরের গতকাল পর্যন্ত মোট ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্ত হয়েছে ১৯৯ জন।

রবিবার, ০২ ফেব্রুয়ারী ২০২০ , ১৯ মাঘ ১৪২৬, ৭ জমাদিউল সানি ১৪৪১

শ্বাসতন্ত্র-ডায়রিয়া ও নানা রোগে

তিনমাসে আক্রান্ত সাড়ে ৪ লাখ

মৃত্যু ৫৭

বাকী বিল্লাহ

দেশজুড়ে গত তিন মাসে শীতজনিত শ্বাসতন্ত্রের সংক্রমণ, জন্ডিস, ডায়রিয়াসহ নানা রোগে আক্রান্ত হয়েছে ৪ লাখ ৫৮ হাজার ১৭১ জন। তার মধ্যে মারা গেছে ৫৭ জন। শীত মৌসুমে এসব রোগ বাড়ে, তবে গরমের সময় কমবে বলে বিশেষজ্ঞরা আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

এছাড়া, করোনাভাইরাস, নিপাভাইরাস, সার্সসহ নানা ভাইরাসজনিত রোগের আতঙ্কের সৃষ্টি হয়েছে।

মহাখালী স্বাস্থ্য অধিদফতরের হেলথ ইমাজেন্সি অপারেশন সেন্টারের সহকারী পরিচালক ডা. আয়শা আক্তার জানান, গতবছর পহেলা নভেম্বর থেকে চলতি বছর ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত সারাদেশে জেলা উপজেলা ও বিভাগীয় পর্যায়ে শ্বাসতন্ত্রের প্রদাহ, নিউমোনিয়া, ডায়রিয়া, জন্ডিস, চোখের প্রদাহ ও চর্মরোগ, জ্বরসহ নানা ধরনের রোগে শিশুসহ বিভিন্ন বয়সের মানুষ আক্রান্ত হয়েছে। এরমধ্যে শীতজনিত নানা রোগে অসুস্থ হয়েছে ২ লাখ ৫ হাজার ২১৭ জন। শ্বাসতন্ত্রের সংক্রমণে ৭৩ হাজার ১৬৫জন। ডায়রিয়ায় ১ লাখ ৭৫ হাজার ৭২০জন। গত ২৪ ঘণ্টায় শ্বাসকষ্টে ১২০৮ ও ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়েছে ১৭৬৮ জন। গত ৩ মাসে শ্বাসতন্ত্রের সংক্রমণে ২২ জন, ডায়রিয়ায় ৫ জন ও শীতজনিত রোগসহ অন্য অসুস্থ্যতায় ৩০ জনের মৃত্যু হয়েছে।

বিশেষজ্ঞদের মতে, এ বছর শীতে নিউমোনিয়া, শ্বাসকষ্ট ও ঠাণ্ডাজনিত রোগে শিশুরা ডায়রিয়া আক্রান্ত হয়েছে। মাঘ মাসের শেষে শীতজনিত রোগ কমতে থাকবে।

সূত্র মতে, এ বছর প্রচণ্ড শীতে রংপুর, পঞ্চগড়, নীলফামারী ঠাকুরগাঁও, দিনাজপুরসহ বিভিন্ন জেলায় জন্ডিস, আমশা ও চোখের প্রদাহ, চর্মরোগ, ঠাণ্ডাজনিত কারণে জ্বর ও কাশিসহ অন্য রোগে অনেকেই আক্রান্ত হয়েছে।

বিশেষজ্ঞদের মতে, ঠাণ্ডা কমলেও গরম পড়তে শুরু করবে। এ সময় খেটে খাওয়া মানুষ যত্রতত্র শরবত পান ও ধূলাবালি মিশ্রিত খাবার খেয়ে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়। অনেকেই বাসি খাবার খেয়ে রোগে আক্রান্ত হয়। এপ্রিল-মে মাস পর্যন্ত ডায়রিয়ার প্রভাব থাকবে। এরপর বৃষ্টি শুরু হলেও ডেঙ্গুজ্বরের বাহক অ্যাডিস মশার বিস্তার বাড়তে থাকবে। বিশেষজ্ঞরা ডেঙ্গু রোধে আগাম তৎপরতা শুরু করেছেন। এরপরও চলতি বছরের গতকাল পর্যন্ত মোট ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্ত হয়েছে ১৯৯ জন।