বইমেলায় থাকবে চার স্তরের নিরাপত্তা : ডিএমপি কমিশনার

একুশে বইমেলা ঘিরে চার স্তরে নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার শফিকুল ইসলাম। মেলাসহ আশপাশের সড়কে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তার জন্য সিসি ক্যামেরা বসানো হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার বিকেলে অমর একুশে বইমেলার নিরাপত্তা ব্যবস্থা পরিদর্শন শেষে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে অস্থায়ী পুলিশ কন্ট্রোল রুমের সামনে সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানিয়েছেন।

ডিএমপি কমিশনার বলেন, বইমেলার আশপাশে টিএসসি, দোয়েল চত্বর, শহীদ মিনার, নীলক্ষেত, শাহবাগ এলাকায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকবে। মেট্রোরেলের কাজ চলায় রাস্তা অনেক সংকীর্ণ হয়েছে। বইমেলায় দর্শনার্থীদের সুষ্ঠুভাবে প্রবেশ ও বাহির করাটা আমাদের কাছে চ্যালেঞ্জ। প্রত্যেক দর্শনার্থীকে আর্চওয়ে দিয়ে মেলা প্রাঙ্গণে প্রবেশ করতে হবে। পুরো বইমেলা এলাকা থাকবে সম্পূর্ণ সিসিটিভির আওতায়। সন্দেহজনক কোন কিছু দেখলে দেহ তল্লাশি করতে নারী ও পুরুষ পুলিশের টিম থাকবে। মেলার চারপাশে থাকবে মোটরসাইকেলে পুলিশের টহল ব্যবস্থা। পোশাকে ও সাদা পোশাকে পর্যাপ্ত সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন থাকবে। বইমেলা প্রাঙ্গণে ও তার আশপাশে কোন ভাসমান দোকান বা হকার বসতে দেয়া হবে না। মেলা কর্তৃপক্ষ যেখানে খাবার স্টল অনুমোদন করেছেন শুধু সেখানে খাবার দোকান থাকবে। সাম্প্রদায়িক উস্কানি ও ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করে এমন বই নিয়ন্ত্রণে পুলিশ কীভাবে কাজ করবে এমন প্রশ্নের উত্তরে কমিশনার বলেন, বিতর্কিত বই নিয়ে আমরা সতর্ক আছি। আমরা বাংলা একাডেমিকে অনুরোধ করেছি কোন বিতর্কিত বই যেন মেলায় না আসে সেদিকে লক্ষ্য রাখতে। বই নিয়ন্ত্রণ অনেক কঠিন কাজ। প্রকাশক বইটি প্রকাশ করে বইমেলার স্টলে নিয়ে আসেন। প্রতিটি বই স্টলে আনার আগে বইগুলো বাংলা একাডেমি অথবা পুলিশ দিয়ে পড়িয়ে নিলে ভালো হতো। এই ধরনের কোন বিতর্কিত লেখা যাতে না আসে সেজন্য আমরা প্রকাশকদের সঙ্গে কথা বলেছি।

রবিবার, ০২ ফেব্রুয়ারী ২০২০ , ১৯ মাঘ ১৪২৬, ৭ জমাদিউল সানি ১৪৪১

বইমেলায় থাকবে চার স্তরের নিরাপত্তা : ডিএমপি কমিশনার

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক

image

বই মেলার প্রস্তুতি শেষ। স্টলে স্টলে গোছানো হয় বই -সংবাদ

একুশে বইমেলা ঘিরে চার স্তরে নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার শফিকুল ইসলাম। মেলাসহ আশপাশের সড়কে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তার জন্য সিসি ক্যামেরা বসানো হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার বিকেলে অমর একুশে বইমেলার নিরাপত্তা ব্যবস্থা পরিদর্শন শেষে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে অস্থায়ী পুলিশ কন্ট্রোল রুমের সামনে সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানিয়েছেন।

ডিএমপি কমিশনার বলেন, বইমেলার আশপাশে টিএসসি, দোয়েল চত্বর, শহীদ মিনার, নীলক্ষেত, শাহবাগ এলাকায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকবে। মেট্রোরেলের কাজ চলায় রাস্তা অনেক সংকীর্ণ হয়েছে। বইমেলায় দর্শনার্থীদের সুষ্ঠুভাবে প্রবেশ ও বাহির করাটা আমাদের কাছে চ্যালেঞ্জ। প্রত্যেক দর্শনার্থীকে আর্চওয়ে দিয়ে মেলা প্রাঙ্গণে প্রবেশ করতে হবে। পুরো বইমেলা এলাকা থাকবে সম্পূর্ণ সিসিটিভির আওতায়। সন্দেহজনক কোন কিছু দেখলে দেহ তল্লাশি করতে নারী ও পুরুষ পুলিশের টিম থাকবে। মেলার চারপাশে থাকবে মোটরসাইকেলে পুলিশের টহল ব্যবস্থা। পোশাকে ও সাদা পোশাকে পর্যাপ্ত সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন থাকবে। বইমেলা প্রাঙ্গণে ও তার আশপাশে কোন ভাসমান দোকান বা হকার বসতে দেয়া হবে না। মেলা কর্তৃপক্ষ যেখানে খাবার স্টল অনুমোদন করেছেন শুধু সেখানে খাবার দোকান থাকবে। সাম্প্রদায়িক উস্কানি ও ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করে এমন বই নিয়ন্ত্রণে পুলিশ কীভাবে কাজ করবে এমন প্রশ্নের উত্তরে কমিশনার বলেন, বিতর্কিত বই নিয়ে আমরা সতর্ক আছি। আমরা বাংলা একাডেমিকে অনুরোধ করেছি কোন বিতর্কিত বই যেন মেলায় না আসে সেদিকে লক্ষ্য রাখতে। বই নিয়ন্ত্রণ অনেক কঠিন কাজ। প্রকাশক বইটি প্রকাশ করে বইমেলার স্টলে নিয়ে আসেন। প্রতিটি বই স্টলে আনার আগে বইগুলো বাংলা একাডেমি অথবা পুলিশ দিয়ে পড়িয়ে নিলে ভালো হতো। এই ধরনের কোন বিতর্কিত লেখা যাতে না আসে সেজন্য আমরা প্রকাশকদের সঙ্গে কথা বলেছি।