ঢাকা-চট্টগ্রাম চলবে বুলেট ট্রেন রেলমন্ত্রী

রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন বলেছেন, রেলওয়ে এখন একটি প্রতিষ্ঠানে রূপ লাভ করেছে। এ প্রতিষ্ঠানে হাসপাতাল আছে, স্কুল আছে, নিজস্ব নিরাপত্তাবাহিনী ও যোগাযোগ এবং পরিবহন ব্যবস্থাও আছে। আমরা এখন আর অন্যের ওপর নির্ভরশীল নই। আমরা নিজেদের আয় দিয়ে চলতে পারি।

রেলের সম্প্রতি উন্নয়নের কথা উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, রেলওয়ে এক সময় স্বকীয়তা হারাতে বসেছিল। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সদূরপ্রসারী পরিকল্পনায় এ রেল আবারও সগৌরবে ফিরে এসেছে। প্রধানমন্ত্রীর কয়েকটি মেগা প্রকল্পের মধ্যে কক্সবাজার রেলপ্রকল্পও একটি। তার নির্দেশেই ঢাকায় মেট্টো ট্রেন, ঢাকা-চট্টগ্রাম রুটে বুলেট ট্রেন চালুর কাজ চলছে। তিনি এ রেল ব্যবস্থাকে যুগোপযোগী করার জন্য সব রকমের ব্যবস্থা নিয়েছেন।

গতকাল বেলা ১১টায় নগরের চট্টগ্রাম মহানগরের পলোগ্রাউন্ড মাঠে রেলওয়ের ৪১তম বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্ত্যবে তিনি এসব কথা বলেন।

মন্ত্রী চট্টগ্রাম থেকে রেল যোগাযোগের সুব্যবস্থার কথা উল্লেখ করে বলেন, চট্টগ্রাম থেকে আখাউড়া হয়ে লাকসাম ও টঙ্গী পর্যন্ত ডাবল লাইনের কাজ চলছে। এ কাজ শেষ হলে রেলে এ রুটে বৈপ্লবিক পরিবর্তন হবে। চট্টগ্রাম থেকে ঢাকা খুব কম সময়ে যাওয়া যাবে।

দেশের ৬৪টি জেলায় রেলপথ সম্প্রসারণের কাজ চলছে উল্লেখ করে রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের জন্য ভাবেন, দেশের জনগণের কথা চিন্তা করেন। তার নির্দেশেই দেশের প্রত্যেকটি জেলায় ট্রেন নিয়ে যাওয়ার জন্য কাজ চলছে।

এদিকে এই ক্রীড়া প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠানে রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজনের পাশে টুপি নিয়ে হট্টগোল করেছেন শ্রমিক লীগের একাংশের কর্মীরা। সকাল সাড়ে ১০টার দিকে তাদের হট্টগোল ও বিশৃঙ্খলার কারণে অনুষ্ঠানে আগত অতিথিরা বিরক্তি প্রকাশ করেন। এর আগে সকাল ১০টায় রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন ও মহাপরিচালক শামছুজ্জামান এসে উপস্থিত হন। তাদের গার্ড অব অনার দেন রেলওয়ের নিরাপত্তাবাহিনীর সদস্যরা। অনুষ্ঠানে শ্রমিক লীগের এক কর্মী বেশকিছু টুপি নিয়ে আসেন। এসব টুপি বিতরণ নিয়ে তাদের মধ্যে হট্টগোল শুরু হয়। এ সময় পাশে ছিলেন রেলমন্ত্রীসহ আগত অতিথিরা। তাদের এ হট্টগোল প্রায় ২০ মিনিট পর্যন্ত চললেও পরে পরিস্থিতি শান্ত হয়।

সোমবার, ০৩ ফেব্রুয়ারী ২০২০ , ২০ মাঘ ১৪২৬, ৮ জমাদিউল সানি ১৪৪১

ঢাকা-চট্টগ্রাম চলবে বুলেট ট্রেন রেলমন্ত্রী

চট্টগ্রাম ব্যুরো

রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন বলেছেন, রেলওয়ে এখন একটি প্রতিষ্ঠানে রূপ লাভ করেছে। এ প্রতিষ্ঠানে হাসপাতাল আছে, স্কুল আছে, নিজস্ব নিরাপত্তাবাহিনী ও যোগাযোগ এবং পরিবহন ব্যবস্থাও আছে। আমরা এখন আর অন্যের ওপর নির্ভরশীল নই। আমরা নিজেদের আয় দিয়ে চলতে পারি।

রেলের সম্প্রতি উন্নয়নের কথা উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, রেলওয়ে এক সময় স্বকীয়তা হারাতে বসেছিল। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সদূরপ্রসারী পরিকল্পনায় এ রেল আবারও সগৌরবে ফিরে এসেছে। প্রধানমন্ত্রীর কয়েকটি মেগা প্রকল্পের মধ্যে কক্সবাজার রেলপ্রকল্পও একটি। তার নির্দেশেই ঢাকায় মেট্টো ট্রেন, ঢাকা-চট্টগ্রাম রুটে বুলেট ট্রেন চালুর কাজ চলছে। তিনি এ রেল ব্যবস্থাকে যুগোপযোগী করার জন্য সব রকমের ব্যবস্থা নিয়েছেন।

গতকাল বেলা ১১টায় নগরের চট্টগ্রাম মহানগরের পলোগ্রাউন্ড মাঠে রেলওয়ের ৪১তম বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্ত্যবে তিনি এসব কথা বলেন।

মন্ত্রী চট্টগ্রাম থেকে রেল যোগাযোগের সুব্যবস্থার কথা উল্লেখ করে বলেন, চট্টগ্রাম থেকে আখাউড়া হয়ে লাকসাম ও টঙ্গী পর্যন্ত ডাবল লাইনের কাজ চলছে। এ কাজ শেষ হলে রেলে এ রুটে বৈপ্লবিক পরিবর্তন হবে। চট্টগ্রাম থেকে ঢাকা খুব কম সময়ে যাওয়া যাবে।

দেশের ৬৪টি জেলায় রেলপথ সম্প্রসারণের কাজ চলছে উল্লেখ করে রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের জন্য ভাবেন, দেশের জনগণের কথা চিন্তা করেন। তার নির্দেশেই দেশের প্রত্যেকটি জেলায় ট্রেন নিয়ে যাওয়ার জন্য কাজ চলছে।

এদিকে এই ক্রীড়া প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠানে রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজনের পাশে টুপি নিয়ে হট্টগোল করেছেন শ্রমিক লীগের একাংশের কর্মীরা। সকাল সাড়ে ১০টার দিকে তাদের হট্টগোল ও বিশৃঙ্খলার কারণে অনুষ্ঠানে আগত অতিথিরা বিরক্তি প্রকাশ করেন। এর আগে সকাল ১০টায় রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন ও মহাপরিচালক শামছুজ্জামান এসে উপস্থিত হন। তাদের গার্ড অব অনার দেন রেলওয়ের নিরাপত্তাবাহিনীর সদস্যরা। অনুষ্ঠানে শ্রমিক লীগের এক কর্মী বেশকিছু টুপি নিয়ে আসেন। এসব টুপি বিতরণ নিয়ে তাদের মধ্যে হট্টগোল শুরু হয়। এ সময় পাশে ছিলেন রেলমন্ত্রীসহ আগত অতিথিরা। তাদের এ হট্টগোল প্রায় ২০ মিনিট পর্যন্ত চললেও পরে পরিস্থিতি শান্ত হয়।