যশোরে বঙ্গবন্ধুর জীবন ও কর্ম নিয়ে নাটক ‘৩২-এর ক্রন্দন’ মঞ্চায়িত হয়েছে। গত শনিবার রাতে জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে নাটকটি মঞ্চস্থ হয়। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবর্ষ ঘিরে দেশব্যাপী নানা আয়োজন চলছে। মুজিব জন্মশতবর্ষ উপলক্ষে এদিন জেলা শিল্পকলা একাডেমির আয়োজনে নাটকটির মঞ্চায়ন হলো। এতে যশোরের বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংগঠনের নাট্যকর্মীরা অভিনয় করেন।
নাটকটির প্রতিটি সিকোয়েন্স জুড়ে ছিল ১৯৭১-এর মহান স্বাধীনতা ও ’৭৫-এর বিভীষিকার দৃশ্যায়ন। নাটকের ঘটনাবলির অনুপম অভিনয় শৈলী দর্শকদের নিয়ে যায় পঁচাত্তরে বেদনাবিধূর লোমহর্ষক ইতিহাসে। মহান স্বাধীনতা সংগ্রাম। আর সেই সংগ্রামের মহানায়ককে হত্যার ষড়যন্ত্র। এমনকি ষড়যন্ত্রের বাস্তবায়নের দৃশ্যপট উঠে আসে নিপুণ মঞ্চাভিনয়ে।
নাটক শুরুর আগে স্বাগত বক্তব্য রাখেন শিল্পকলা একাডেমির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মাহামুদ হাসান বুলু।
নাটক রচয়িতা ও নির্দেশকের কথা : কিছু মহামানবের হারানোর বেদনা মহাকাল বয়ে চলে। কিছু ব্যথা অনন্তকালের তরে জাগরিত থাকে, কোন কোন কান্না বিশ্বপত্রে লেখা থাকে। কিছু ক্রন্দনের অশ্রু মানুষের হৃদয়ে ¯স্রোতশ্বিনী থাকে সহস্র বর্ষ। ১৫ আগস্ট সেই অশ্রুপাতের ব্যথাতুর রাত। ওই রাতের শেষান্তেই তো বাঙালি জাতির সর্বশ্রেষ্ঠ মুকুট সর্বকালের সর্বশেষ্ঠ বাঙালি স্বাধীনতার স্বপ্নদ্রষ্টা, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সপরিবারে নৃশংস হত্যাযজ্ঞের শিকার হলেন।
কিছু বিপথগামী চাকরিচ্যূত সেনা কর্মকর্তা বাঙালি জাতির সব থেকে নিষ্ঠুর কুলাঙ্গার, সেদিন রাতে শুধু বঙ্গবন্ধুর বাড়িতেই হত্যাযজ্ঞ চালায়নি, শেখ ফজলুল হক মনি ও কৃষক নেতা সেরনিয়াবাতের বাড়িতে ধ্বংসলীলা চালিয়েছিল। ওই রাতের প্রতিটি সেকেন্ড কিভাবে পার হয়েছে তারই আবহ বিন্যাস হলো-নাটক ‘৩২-এর ক্রন্দন’।
সোমবার, ০৩ ফেব্রুয়ারী ২০২০ , ২০ মাঘ ১৪২৬, ৮ জমাদিউল সানি ১৪৪১
যশোর অফিস
যশোরে বঙ্গবন্ধুর জীবন ও কর্ম নিয়ে নাটক ‘৩২-এর ক্রন্দন’ মঞ্চায়িত হয়েছে। গত শনিবার রাতে জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে নাটকটি মঞ্চস্থ হয়। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবর্ষ ঘিরে দেশব্যাপী নানা আয়োজন চলছে। মুজিব জন্মশতবর্ষ উপলক্ষে এদিন জেলা শিল্পকলা একাডেমির আয়োজনে নাটকটির মঞ্চায়ন হলো। এতে যশোরের বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংগঠনের নাট্যকর্মীরা অভিনয় করেন।
নাটকটির প্রতিটি সিকোয়েন্স জুড়ে ছিল ১৯৭১-এর মহান স্বাধীনতা ও ’৭৫-এর বিভীষিকার দৃশ্যায়ন। নাটকের ঘটনাবলির অনুপম অভিনয় শৈলী দর্শকদের নিয়ে যায় পঁচাত্তরে বেদনাবিধূর লোমহর্ষক ইতিহাসে। মহান স্বাধীনতা সংগ্রাম। আর সেই সংগ্রামের মহানায়ককে হত্যার ষড়যন্ত্র। এমনকি ষড়যন্ত্রের বাস্তবায়নের দৃশ্যপট উঠে আসে নিপুণ মঞ্চাভিনয়ে।
নাটক শুরুর আগে স্বাগত বক্তব্য রাখেন শিল্পকলা একাডেমির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মাহামুদ হাসান বুলু।
নাটক রচয়িতা ও নির্দেশকের কথা : কিছু মহামানবের হারানোর বেদনা মহাকাল বয়ে চলে। কিছু ব্যথা অনন্তকালের তরে জাগরিত থাকে, কোন কোন কান্না বিশ্বপত্রে লেখা থাকে। কিছু ক্রন্দনের অশ্রু মানুষের হৃদয়ে ¯স্রোতশ্বিনী থাকে সহস্র বর্ষ। ১৫ আগস্ট সেই অশ্রুপাতের ব্যথাতুর রাত। ওই রাতের শেষান্তেই তো বাঙালি জাতির সর্বশ্রেষ্ঠ মুকুট সর্বকালের সর্বশেষ্ঠ বাঙালি স্বাধীনতার স্বপ্নদ্রষ্টা, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সপরিবারে নৃশংস হত্যাযজ্ঞের শিকার হলেন।
কিছু বিপথগামী চাকরিচ্যূত সেনা কর্মকর্তা বাঙালি জাতির সব থেকে নিষ্ঠুর কুলাঙ্গার, সেদিন রাতে শুধু বঙ্গবন্ধুর বাড়িতেই হত্যাযজ্ঞ চালায়নি, শেখ ফজলুল হক মনি ও কৃষক নেতা সেরনিয়াবাতের বাড়িতে ধ্বংসলীলা চালিয়েছিল। ওই রাতের প্রতিটি সেকেন্ড কিভাবে পার হয়েছে তারই আবহ বিন্যাস হলো-নাটক ‘৩২-এর ক্রন্দন’।