গ্যাটকো দুর্নীতি মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ অপর আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন শুনানি এক মাস পিছিয়ে আগামী ৩ মার্চ ধার্য করা হয়েছে। গতকাল মামলার অভিযোগ গঠন শুনানির জন্য দিন ধার্য ছিল। তবে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) খালেদা জিয়া চিকিৎসাধীন থাকায় এদিন তাকে আদালতে হাজির করা হয়নি। তাই কেরানীগঞ্জের কেন্দ্রীয় কারাগারে স্থাপিত অস্থায়ী ঢাকার তিন নম্বর বিশেষ জজ আবু সৈয়দ দিলজার হোসেন ৩ মার্চ শুনা?নির জন্য নতুন দিন ঠিক করে দেন। খালেদা জিয়ার আইনজীবী জিয়া উদ্দিন জিয়া বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তি?নি জানান, গতবছর শুরুর দি?কে এই মামলায় খালেদা জিয়ার প?ক্ষে আং?শিক চার্জ শুনা?নি হয়। প?রে তি?নি অসুস্থ হ?য়ে বিএসএমএসইউতে চিকিৎসাধীন থাকাবস্থায় আদাল?তের স্থান ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার থে?কে কেরানীগ?ঞ্জে স্থানান্তর করা হয়। ত?বে নতুন এই আদাল?তে তা?কে এখ?নও হা?জির করা হয়নি।
২০০৭ সালের ২ সেপ্টেম্বর রাজধানীর তেজগাঁও থানায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ ১৩ জনের বিরুদ্ধে গ্যাটকো মামলাটি করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। দুদকের উপ-পরিচালক গোলাম শাহরিয়ার চৌধুরী মামলার বাদী। মামলার অভিযোগে বলা হয়, ক্ষমতার অপব্যবহার ও দুর্নীতির মাধ্যমে চট্টগ্রাম বন্দরের কনটেইনার হ্যান্ডলিংয়ের কাজ গ্লোবাল অ্যাগ্রো ট্রেড কোম্পানিকে (গ্যাটকো) পাইয়ে দেয়া হয়েছে। এর মধ্য দিয়ে রাষ্ট্রের প্রায় এক হাজার কোটি টাকা ক্ষতি হয়েছে। ২০০৮ সালের ১৩ মে তদন্ত শেষে দুদকের উপ-পরিচালক জহিরুল হুদা খালেদা জিয়াসহ ২৪ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেন।
তাদের মধ্যে ছয় আসামি মারা গেছেন। তারা হলেন- সাবেক মন্ত্রী এম সাইফুর রহমান, আবদুল মান্নান ভূঁইয়া, এমকে আনোয়ার, জামায়াতের সাবেক আমির মতিউর রহমান নিজামী, চট্টগ্রাম বন্দরের প্রধান অর্থ ও হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা আহমেদ আবুল কাশেম ও বিএনপি চেয়ারপারসনের ছোট ছেলে আরাফাত রহমান কোকো। অন্য আসামিরা হলেন- বিএনপির সাবেক মন্ত্রী ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, সাবেক মন্ত্রী এম শামছুল ইসলাম, সাবেক জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী একেএম মোশাররফ হোসেন, চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের (চবক) সাবেক চেয়ারম্যান কমোডর জুলফিকার আলী, প্রয়াত মন্ত্রী কর্নেল (অব.) আকবর হোসেনের স্ত্রী জাহানারা আকবর, দুই ছেলে ইসমাইল হোসেন সায়মন এবং একেএম মুসা কাজল, এহসান ইউসুফ, সাবেক নৌসচিব জুলফিকার হায়দার চৌধুরী, চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের (চবক) সাবেক সদস্য একে রশিদ উদ্দিন আহমেদ, গ্লোবাল অ্যাগ্রোট্রেড প্রাইভেট লিমিটেডের (গ্যাটকো) পরিচালক শাহজাহান এম হাসিব, গ্যাটকোর পরিচালক সৈয়দ তানভির আহমেদ ও সৈয়দ গালিব আহমেদ, চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সাবেক চেয়ারম্যান এএসএম শাহাদত হোসেন, বন্দরের সাবেক পরিচালক (পরিবহন) এএম সানোয়ার হোসেন ও বন্দরের সাবেক সদস্য লুৎফুল কবীর। দুই মামলায় দণ্ডিত হয়ে ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে কারাবন্দী খালেদা জিয়া। প?রে সেখা?নে অসুস্থতা বে?ড়ে যাওয়ায় গত বছর তা?কে চি?কিৎসার জন্য বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) স্থানান্তর করা হয়। সেই থেকে তিনি ওখানেই চিকিৎসাধীন।
মঙ্গলবার, ০৪ ফেব্রুয়ারী ২০২০ , ২১ মাঘ ১৪২৬, ৯ জমাদিউল সানি ১৪৪১
নিজস্ব বার্তা পরিবেশক |
গ্যাটকো দুর্নীতি মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ অপর আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন শুনানি এক মাস পিছিয়ে আগামী ৩ মার্চ ধার্য করা হয়েছে। গতকাল মামলার অভিযোগ গঠন শুনানির জন্য দিন ধার্য ছিল। তবে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) খালেদা জিয়া চিকিৎসাধীন থাকায় এদিন তাকে আদালতে হাজির করা হয়নি। তাই কেরানীগঞ্জের কেন্দ্রীয় কারাগারে স্থাপিত অস্থায়ী ঢাকার তিন নম্বর বিশেষ জজ আবু সৈয়দ দিলজার হোসেন ৩ মার্চ শুনা?নির জন্য নতুন দিন ঠিক করে দেন। খালেদা জিয়ার আইনজীবী জিয়া উদ্দিন জিয়া বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তি?নি জানান, গতবছর শুরুর দি?কে এই মামলায় খালেদা জিয়ার প?ক্ষে আং?শিক চার্জ শুনা?নি হয়। প?রে তি?নি অসুস্থ হ?য়ে বিএসএমএসইউতে চিকিৎসাধীন থাকাবস্থায় আদাল?তের স্থান ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার থে?কে কেরানীগ?ঞ্জে স্থানান্তর করা হয়। ত?বে নতুন এই আদাল?তে তা?কে এখ?নও হা?জির করা হয়নি।
২০০৭ সালের ২ সেপ্টেম্বর রাজধানীর তেজগাঁও থানায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ ১৩ জনের বিরুদ্ধে গ্যাটকো মামলাটি করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। দুদকের উপ-পরিচালক গোলাম শাহরিয়ার চৌধুরী মামলার বাদী। মামলার অভিযোগে বলা হয়, ক্ষমতার অপব্যবহার ও দুর্নীতির মাধ্যমে চট্টগ্রাম বন্দরের কনটেইনার হ্যান্ডলিংয়ের কাজ গ্লোবাল অ্যাগ্রো ট্রেড কোম্পানিকে (গ্যাটকো) পাইয়ে দেয়া হয়েছে। এর মধ্য দিয়ে রাষ্ট্রের প্রায় এক হাজার কোটি টাকা ক্ষতি হয়েছে। ২০০৮ সালের ১৩ মে তদন্ত শেষে দুদকের উপ-পরিচালক জহিরুল হুদা খালেদা জিয়াসহ ২৪ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেন।
তাদের মধ্যে ছয় আসামি মারা গেছেন। তারা হলেন- সাবেক মন্ত্রী এম সাইফুর রহমান, আবদুল মান্নান ভূঁইয়া, এমকে আনোয়ার, জামায়াতের সাবেক আমির মতিউর রহমান নিজামী, চট্টগ্রাম বন্দরের প্রধান অর্থ ও হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা আহমেদ আবুল কাশেম ও বিএনপি চেয়ারপারসনের ছোট ছেলে আরাফাত রহমান কোকো। অন্য আসামিরা হলেন- বিএনপির সাবেক মন্ত্রী ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, সাবেক মন্ত্রী এম শামছুল ইসলাম, সাবেক জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী একেএম মোশাররফ হোসেন, চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের (চবক) সাবেক চেয়ারম্যান কমোডর জুলফিকার আলী, প্রয়াত মন্ত্রী কর্নেল (অব.) আকবর হোসেনের স্ত্রী জাহানারা আকবর, দুই ছেলে ইসমাইল হোসেন সায়মন এবং একেএম মুসা কাজল, এহসান ইউসুফ, সাবেক নৌসচিব জুলফিকার হায়দার চৌধুরী, চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের (চবক) সাবেক সদস্য একে রশিদ উদ্দিন আহমেদ, গ্লোবাল অ্যাগ্রোট্রেড প্রাইভেট লিমিটেডের (গ্যাটকো) পরিচালক শাহজাহান এম হাসিব, গ্যাটকোর পরিচালক সৈয়দ তানভির আহমেদ ও সৈয়দ গালিব আহমেদ, চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সাবেক চেয়ারম্যান এএসএম শাহাদত হোসেন, বন্দরের সাবেক পরিচালক (পরিবহন) এএম সানোয়ার হোসেন ও বন্দরের সাবেক সদস্য লুৎফুল কবীর। দুই মামলায় দণ্ডিত হয়ে ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে কারাবন্দী খালেদা জিয়া। প?রে সেখা?নে অসুস্থতা বে?ড়ে যাওয়ায় গত বছর তা?কে চি?কিৎসার জন্য বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) স্থানান্তর করা হয়। সেই থেকে তিনি ওখানেই চিকিৎসাধীন।