গৃহায়ন কর্তৃপক্ষের দুই প্রকৌশলীসহ ৩ জনকে দুদকে তলব

টেন্ডার মাফিয়া গোলাম কিবরিয়া শামীম ওরফে জিকে শামীমকে অবৈধভাবে কাজ দিয়ে সহযোগিতা এবং কমিশন ও ঘুষের মাধ্যমে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষের দুই প্রকৌশলীসহ ৩ জনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন দুদক। দুদকের পরিচালক ইকবাল মাহমুদের স্বাক্ষরিত চিঠিতে তাদের তবল করা হয়। যাদের তলব করা হয়েছে তারা হলেন, নির্বাহী প্রকৌশলী মুনিফ আহমেদ (বর্তমানে সাময়িক বরখাস্ত), উপসহকারী প্রকৌশলী আশরাফুজ্জামান এবং ডিকে শামীমের ঠিকাদারি কাজের সহযোগী বিশ্বার্স বিল্ডার্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক নজরুল ইসলাম। আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি ৩ জনকে দুদকে হাজির থাকতে বলা হয়েছে।

নোটিশে অভিযোগের বিষয়ে বলা হয়, ‘ঠিকাদার জিকে শামীমসহ অন্যান্য ব্যক্তির বিরুদ্ধে সরকারি কর্মকর্তাদের শত শত কোটি টাকা ঘুষ দিয়ে বড় বড় ঠিকাদারি কাজ নিয়ে বিভিন্ন অনিয়মের মাধ্যমে সরকারি অর্থ আত্মসাৎ, ক্যাসিনো ব্যবসা করে শত শত কোটি টাকা অবৈধ প্রক্রিয়ায় অর্জন করে বিদেশে পাচার ও জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে অনুসন্ধান চলছে। সুষ্ঠু অনুসন্ধানের স্বার্থে আপনার বক্তব্য রেকর্ড করে পর্যালোচনা করা একান্ত প্রয়োজন।

দুদক সূত্র জানায়, ক্যাসিনো কাণ্ডে অভিযানের পর অবৈধভাবে সম্পদ অর্জনকারীদের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরু করে। রাজনৈতিক নেতা, বিভিন্ন সরকারি কর্মকর্তা, ঠিকাদারসহ অনেকের বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগের অনুসন্ধানে এর মধ্যে ২০টির বেশি মামলা হয়েছে। এদের মধ্যে অন্যতম হচ্ছে আলোচিত ঠিকাদার জিকে শামীম। জিকে শামীমের বিরুদ্ধে সরকারি বিভিন্ন দফতর নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে সরকারি বড় বড় প্রকল্পের কাজ ভাগিয়ে নেয়ার অভিযোগ রয়েছে। এসব প্রকল্পের কাজ করতে গিয়ে তিনি বিভিন্ন দফতরের কর্মকর্তাদের মোটা অঙ্কের ঘুষ দিয়েছেন। এ বিষয়ে দুদকের অনুসন্ধান চলছে। অনেক কর্মকর্তা এসব ঘটনায় সংশ্লিষ্ট থেকে জিকে শামীমকে সহযোগিতা করার পাশাপাশি নিজেরাও লাভবান হওয়ার মাধ্যমে অবৈধ সম্পদ অর্জন করেছেন। এসব অভিযোগে গণপূর্তের বেশ কয়েকজন প্রকৌশলীকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে এবং তাদের বিষয়ে অনুসন্ধান চলমান রয়েছে। অনুসন্ধানের অংশ হিসেবে গৃহায়নের দুই প্রকৌশলী এবং বিশ্বাস বিল্ডার্সের এমডিকেও তলব করা হয়েছে। এ ৩ জনের বিরুদ্ধেও জিকে শামীমের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট থেকে বিভিন্ন অনিয়ম-দুর্নীতির মাধ্যমে অবৈঝ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ রয়েছে। অভিযোগের অনুসন্ধানের স্বার্থেই জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাদের তলব করা হয়েছে।

উল্লেখ, গত ১৮ সেপ্টেম্বর থেকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ক্যাসিনোবিরোধী অভিযান শুরু হয়। এরপর ৩০ সেপ্টেম্বর থেকে ক্যাসিনোসহ বিভিন্ন মাধ্যমে অবৈধ সম্পদ অর্জনের বিষয়ে অনুসন্ধানে নামে দুদক। এখন পর্যন্ত ক্যাসিনোসহ বিভিন্ন মাধ্যমে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে ২০টি মামলা করেছে দুদক। ক্যাসিনোসহ বিভিন্ন মাধ্যমে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে প্রায় ২০০ জনের তালিকা ধরে অনুসন্ধান করছে দুদক। দুদকের পরিচালক ছাড়া অনুসন্ধান টিমের অপর সদস্যরা হলেন- উপ-পরিচালক মো. জাহাঙ্গীর আলম, মো. সালাহউদ্দিন, গুলশান আনোয়ার প্রধান, সহকারী পরিচালক মামুনুর রশীদ চৌধুরী, সাইফুল ইসলাম, আতাউর রহমান ও মোহাম্মদ নেয়ামুল আহসান গাজী।

আরও খবর
কোন বাংলাদেশি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়নি
করোনাভাইরাস রোধ করতে হবেই প্রধানমন্ত্রী
ভুল প্রশ্নপত্র সরবরাহসহ নানা জটিলতা
সরকারিভাবে আর কাউকে আনা হবে না স্বাস্থ্যমন্ত্রী
উহান থেকে ৩১২ বাংলাদেশিকে আনতে ব্যয় ২ কোটি ৩০ লাখ টাকা
করোনাভাইরাস চিকিৎসায় সফলতার দাবি থাই চিকিৎসকদের
অনাগত শিশুর লিঙ্গ পরিচয় প্রকাশ কেন অবৈধ নয় : হাইকোর্ট
গ্যাটকো দুর্নীতি খালেদার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন ৩ মার্চ
জামানত হারাবেন ৯ মেয়র প্রার্থী
বহিষ্কৃতদের নাম প্রকাশের আল্টিমেটাম
এখন থেকে বিদেশ যেতে সঙ্গে নেয়া যাবে ১০ হাজার ডলার
বিআরটিসির বাস বন্ধ করে দিয়েছে মোটর মালিক সমিতি
আ-মরি বাংলা ভাষা
ক্ষণগণনা : আর ৪১ দিন

মঙ্গলবার, ০৪ ফেব্রুয়ারী ২০২০ , ২১ মাঘ ১৪২৬, ৯ জমাদিউল সানি ১৪৪১

শামীমকে কাজ প্রদান ও অবৈধ সম্পদ

গৃহায়ন কর্তৃপক্ষের দুই প্রকৌশলীসহ ৩ জনকে দুদকে তলব

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক |

টেন্ডার মাফিয়া গোলাম কিবরিয়া শামীম ওরফে জিকে শামীমকে অবৈধভাবে কাজ দিয়ে সহযোগিতা এবং কমিশন ও ঘুষের মাধ্যমে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষের দুই প্রকৌশলীসহ ৩ জনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন দুদক। দুদকের পরিচালক ইকবাল মাহমুদের স্বাক্ষরিত চিঠিতে তাদের তবল করা হয়। যাদের তলব করা হয়েছে তারা হলেন, নির্বাহী প্রকৌশলী মুনিফ আহমেদ (বর্তমানে সাময়িক বরখাস্ত), উপসহকারী প্রকৌশলী আশরাফুজ্জামান এবং ডিকে শামীমের ঠিকাদারি কাজের সহযোগী বিশ্বার্স বিল্ডার্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক নজরুল ইসলাম। আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি ৩ জনকে দুদকে হাজির থাকতে বলা হয়েছে।

নোটিশে অভিযোগের বিষয়ে বলা হয়, ‘ঠিকাদার জিকে শামীমসহ অন্যান্য ব্যক্তির বিরুদ্ধে সরকারি কর্মকর্তাদের শত শত কোটি টাকা ঘুষ দিয়ে বড় বড় ঠিকাদারি কাজ নিয়ে বিভিন্ন অনিয়মের মাধ্যমে সরকারি অর্থ আত্মসাৎ, ক্যাসিনো ব্যবসা করে শত শত কোটি টাকা অবৈধ প্রক্রিয়ায় অর্জন করে বিদেশে পাচার ও জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে অনুসন্ধান চলছে। সুষ্ঠু অনুসন্ধানের স্বার্থে আপনার বক্তব্য রেকর্ড করে পর্যালোচনা করা একান্ত প্রয়োজন।

দুদক সূত্র জানায়, ক্যাসিনো কাণ্ডে অভিযানের পর অবৈধভাবে সম্পদ অর্জনকারীদের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরু করে। রাজনৈতিক নেতা, বিভিন্ন সরকারি কর্মকর্তা, ঠিকাদারসহ অনেকের বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগের অনুসন্ধানে এর মধ্যে ২০টির বেশি মামলা হয়েছে। এদের মধ্যে অন্যতম হচ্ছে আলোচিত ঠিকাদার জিকে শামীম। জিকে শামীমের বিরুদ্ধে সরকারি বিভিন্ন দফতর নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে সরকারি বড় বড় প্রকল্পের কাজ ভাগিয়ে নেয়ার অভিযোগ রয়েছে। এসব প্রকল্পের কাজ করতে গিয়ে তিনি বিভিন্ন দফতরের কর্মকর্তাদের মোটা অঙ্কের ঘুষ দিয়েছেন। এ বিষয়ে দুদকের অনুসন্ধান চলছে। অনেক কর্মকর্তা এসব ঘটনায় সংশ্লিষ্ট থেকে জিকে শামীমকে সহযোগিতা করার পাশাপাশি নিজেরাও লাভবান হওয়ার মাধ্যমে অবৈধ সম্পদ অর্জন করেছেন। এসব অভিযোগে গণপূর্তের বেশ কয়েকজন প্রকৌশলীকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে এবং তাদের বিষয়ে অনুসন্ধান চলমান রয়েছে। অনুসন্ধানের অংশ হিসেবে গৃহায়নের দুই প্রকৌশলী এবং বিশ্বাস বিল্ডার্সের এমডিকেও তলব করা হয়েছে। এ ৩ জনের বিরুদ্ধেও জিকে শামীমের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট থেকে বিভিন্ন অনিয়ম-দুর্নীতির মাধ্যমে অবৈঝ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ রয়েছে। অভিযোগের অনুসন্ধানের স্বার্থেই জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাদের তলব করা হয়েছে।

উল্লেখ, গত ১৮ সেপ্টেম্বর থেকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ক্যাসিনোবিরোধী অভিযান শুরু হয়। এরপর ৩০ সেপ্টেম্বর থেকে ক্যাসিনোসহ বিভিন্ন মাধ্যমে অবৈধ সম্পদ অর্জনের বিষয়ে অনুসন্ধানে নামে দুদক। এখন পর্যন্ত ক্যাসিনোসহ বিভিন্ন মাধ্যমে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে ২০টি মামলা করেছে দুদক। ক্যাসিনোসহ বিভিন্ন মাধ্যমে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে প্রায় ২০০ জনের তালিকা ধরে অনুসন্ধান করছে দুদক। দুদকের পরিচালক ছাড়া অনুসন্ধান টিমের অপর সদস্যরা হলেন- উপ-পরিচালক মো. জাহাঙ্গীর আলম, মো. সালাহউদ্দিন, গুলশান আনোয়ার প্রধান, সহকারী পরিচালক মামুনুর রশীদ চৌধুরী, সাইফুল ইসলাম, আতাউর রহমান ও মোহাম্মদ নেয়ামুল আহসান গাজী।