প্রধানমন্ত্রী আজ ইতালি যাচ্ছেন

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ইতালির প্রধানমন্ত্রী জিউসেপ কোঁতের আমন্ত্রণে চার দিনের সরকারি সফরে আজ রোমের উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করবেন।

প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম জানান, সফরকালে প্রধানমন্ত্রী আগামীকাল জিউসেপ কোঁতের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করবেন।

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী ও তার সফরসঙ্গীদের নিয়ে বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ভিভিআইপি বিমান আজ সকালে ইতালির রাজধানী রোমের উদ্দেশে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে যাত্রা করবে।

বিমানটি স্থানীয় সময় বিকেল সোয়া ৪টায় রোমের ফিয়ামিসিনো বিমানবন্দরে অবতরণ করবে। মিনিস্টার প্লেনিপোটেনসিয়ারি অব ইটালিয়ান ফরেন মিনিস্ট্রি এবং ইতালিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত আবদুস সোবহান সিকদার প্রধানমন্ত্রীকে বিমানবন্দরে অভ্যর্থনা জানাবেন।

বিমানবন্দরে আনুষ্ঠানিকতা শেষে, মোটর শোভাযাত্রা সহকারে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে পার্কো দেই প্রিন্সিপি গ্র্যান্ড হোটেল অ্যান্ড স্পায় নিয়ে যাওয়া হবে। ইতালির রাজধানীতে সফরকালে তিনি সেখানে অবস্থান করবেন।

শেখ হাসিনা একই দিন সন্ধ্যায় পার্কো দেই প্রিন্সিপি গ্র্যান্ড হোটেল অ্যান্ড স্পায় তার সম্মানে আয়োজিত একটি সংবর্ধনায় যোগ দিবেন।

আগামীকাল সকালে তিনি রোমের ভায়া ডেল এন্টারটাইড এলাকায় বাংলাদেশ দূতাবাসের চ্যান্সরি ভবন উদ্বোধন করবেন।

বিকেলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ইতালির প্রধানমন্ত্রী জিউসেপ কোঁতের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় আলোচনা করবেন এবং ইতালির প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন পালাজো চিগিতে এক আনুষ্ঠানিক মধ্যাহ্নভোজে যোগ দেবেন।

দুই শীর্ষ নেতা সম্মেলনে দ্বিপক্ষীয় সার্বিক ইস্যুগুলোর পাশাপাশি আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে আলোচনা করবেন বলে আশা করা হচ্ছে।

পরে, ইতালীয় ব্যবসায়িক সংস্থাগুলোর প্রতিনিধিগণ পার্কো দেই প্রিন্সিপি গ্র্যান্ড হোটেল অ্যান্ড স্পায় তার হোটেলের সভাকক্ষে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন।

প্রধানমন্ত্রী পরে পার্কো দেই প্রিন্সিপি গ্র্যান্ড হোটেল অ্যান্ড স্পায় ইতালিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত আয়োজিত নৈশভোজে অংশ নেবেন।

৬ ফেব্রুয়ারি সকালে শেখ হাসিনা পোপ ফ্রান্সিসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন।

পরে প্রধানমন্ত্রী দুপুর ১২টা ৫০ মিনিটে ট্রেনে করে রোম থেকে ইতালির মিলান শহরের উদ্দেশে যাত্রা করবেন এবং স্থানীয় সময় বিকেল চারটায় সেখানে পৌঁছে যাবেন।

মিলান সফরের সময় তিনি এক্সেলসিয়ার হোটেল গালিয়ায় অবস্থান করবেন।

আগামী ৭ ফেব্রুয়ারি, প্রধানমন্ত্রী স্থানীয় সময় দুপুর ১টা ৪০ মিনিটে আমিরাত এয়ারলাইন্সের একটি বিমানে মিলান মালপেন্সা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে দেশের উদ্দেশে রওনা হবেন।

শেখ হাসিনা ৮ ফেব্রুয়ারি দুবাই হয়ে বাংলাদেশ সময় সকাল ৮টা ১০ মিনিটে ঢাকা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছবেন।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আবদুল মোমেন বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সফরকালে ঢাকা ও রোমের মধ্যে তিনটি দ্বিপক্ষীয় চুক্তি স্বাক্ষরিত হতে পারে।

রোববার পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রধানমন্ত্রীর সফরের বিষয়ে সাংবাদিকদের বলেন, ‘ইতালির হাতে তিনটি খসড়া চুক্তি রয়েছে। তারা যদি প্রধানমন্ত্রীর সফরকালের মধ্যে এগুলো চূড়ান্ত করতে পারে, তবে এ সফরকালে চুক্তিগুলো স্বাক্ষরিত হবে।’

মোমেন আরও বলেন, প্রস্তাবিত চুক্তিগুলোর মধ্যে রয়েছে সাংস্কৃতিক বিনিময়, রাজনৈতিক আলোচনা এবং কূটনৈতিক ক্ষেত্রে সহযোগিতা।

তিনি আরও বলেন, ‘আমরা এই সফরটিকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে বিবেচনা করছি। কারণ এ সফরে বাংলাদেশে ইতালীয় উদ্যোক্তাদের নতুন বিনিয়োগের সন্ধান, ইতালিতে আরও বিভিন্ন পণ্য রপ্তানি এবং দক্ষ জনশক্তি রপ্তানির ক্ষেত্র অনুসন্ধান করার প্রয়াস চালানো হবে।’ ইতালি বাংলাদেশের অন্যতম বৃহত্তম ব্যবসায়িক অংশীদার। দেশটিতে দুই লাখের বেশি বাংলাদেশি বসবাস করে।

মঙ্গলবার, ০৪ ফেব্রুয়ারী ২০২০ , ২১ মাঘ ১৪২৬, ৯ জমাদিউল সানি ১৪৪১

প্রধানমন্ত্রী আজ ইতালি যাচ্ছেন

বাসস

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ইতালির প্রধানমন্ত্রী জিউসেপ কোঁতের আমন্ত্রণে চার দিনের সরকারি সফরে আজ রোমের উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করবেন।

প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম জানান, সফরকালে প্রধানমন্ত্রী আগামীকাল জিউসেপ কোঁতের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করবেন।

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী ও তার সফরসঙ্গীদের নিয়ে বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ভিভিআইপি বিমান আজ সকালে ইতালির রাজধানী রোমের উদ্দেশে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে যাত্রা করবে।

বিমানটি স্থানীয় সময় বিকেল সোয়া ৪টায় রোমের ফিয়ামিসিনো বিমানবন্দরে অবতরণ করবে। মিনিস্টার প্লেনিপোটেনসিয়ারি অব ইটালিয়ান ফরেন মিনিস্ট্রি এবং ইতালিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত আবদুস সোবহান সিকদার প্রধানমন্ত্রীকে বিমানবন্দরে অভ্যর্থনা জানাবেন।

বিমানবন্দরে আনুষ্ঠানিকতা শেষে, মোটর শোভাযাত্রা সহকারে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে পার্কো দেই প্রিন্সিপি গ্র্যান্ড হোটেল অ্যান্ড স্পায় নিয়ে যাওয়া হবে। ইতালির রাজধানীতে সফরকালে তিনি সেখানে অবস্থান করবেন।

শেখ হাসিনা একই দিন সন্ধ্যায় পার্কো দেই প্রিন্সিপি গ্র্যান্ড হোটেল অ্যান্ড স্পায় তার সম্মানে আয়োজিত একটি সংবর্ধনায় যোগ দিবেন।

আগামীকাল সকালে তিনি রোমের ভায়া ডেল এন্টারটাইড এলাকায় বাংলাদেশ দূতাবাসের চ্যান্সরি ভবন উদ্বোধন করবেন।

বিকেলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ইতালির প্রধানমন্ত্রী জিউসেপ কোঁতের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় আলোচনা করবেন এবং ইতালির প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন পালাজো চিগিতে এক আনুষ্ঠানিক মধ্যাহ্নভোজে যোগ দেবেন।

দুই শীর্ষ নেতা সম্মেলনে দ্বিপক্ষীয় সার্বিক ইস্যুগুলোর পাশাপাশি আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে আলোচনা করবেন বলে আশা করা হচ্ছে।

পরে, ইতালীয় ব্যবসায়িক সংস্থাগুলোর প্রতিনিধিগণ পার্কো দেই প্রিন্সিপি গ্র্যান্ড হোটেল অ্যান্ড স্পায় তার হোটেলের সভাকক্ষে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন।

প্রধানমন্ত্রী পরে পার্কো দেই প্রিন্সিপি গ্র্যান্ড হোটেল অ্যান্ড স্পায় ইতালিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত আয়োজিত নৈশভোজে অংশ নেবেন।

৬ ফেব্রুয়ারি সকালে শেখ হাসিনা পোপ ফ্রান্সিসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন।

পরে প্রধানমন্ত্রী দুপুর ১২টা ৫০ মিনিটে ট্রেনে করে রোম থেকে ইতালির মিলান শহরের উদ্দেশে যাত্রা করবেন এবং স্থানীয় সময় বিকেল চারটায় সেখানে পৌঁছে যাবেন।

মিলান সফরের সময় তিনি এক্সেলসিয়ার হোটেল গালিয়ায় অবস্থান করবেন।

আগামী ৭ ফেব্রুয়ারি, প্রধানমন্ত্রী স্থানীয় সময় দুপুর ১টা ৪০ মিনিটে আমিরাত এয়ারলাইন্সের একটি বিমানে মিলান মালপেন্সা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে দেশের উদ্দেশে রওনা হবেন।

শেখ হাসিনা ৮ ফেব্রুয়ারি দুবাই হয়ে বাংলাদেশ সময় সকাল ৮টা ১০ মিনিটে ঢাকা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছবেন।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আবদুল মোমেন বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সফরকালে ঢাকা ও রোমের মধ্যে তিনটি দ্বিপক্ষীয় চুক্তি স্বাক্ষরিত হতে পারে।

রোববার পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রধানমন্ত্রীর সফরের বিষয়ে সাংবাদিকদের বলেন, ‘ইতালির হাতে তিনটি খসড়া চুক্তি রয়েছে। তারা যদি প্রধানমন্ত্রীর সফরকালের মধ্যে এগুলো চূড়ান্ত করতে পারে, তবে এ সফরকালে চুক্তিগুলো স্বাক্ষরিত হবে।’

মোমেন আরও বলেন, প্রস্তাবিত চুক্তিগুলোর মধ্যে রয়েছে সাংস্কৃতিক বিনিময়, রাজনৈতিক আলোচনা এবং কূটনৈতিক ক্ষেত্রে সহযোগিতা।

তিনি আরও বলেন, ‘আমরা এই সফরটিকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে বিবেচনা করছি। কারণ এ সফরে বাংলাদেশে ইতালীয় উদ্যোক্তাদের নতুন বিনিয়োগের সন্ধান, ইতালিতে আরও বিভিন্ন পণ্য রপ্তানি এবং দক্ষ জনশক্তি রপ্তানির ক্ষেত্র অনুসন্ধান করার প্রয়াস চালানো হবে।’ ইতালি বাংলাদেশের অন্যতম বৃহত্তম ব্যবসায়িক অংশীদার। দেশটিতে দুই লাখের বেশি বাংলাদেশি বসবাস করে।