আট জেলায় সহকারী শিক্ষক নিয়োগ স্থগিত

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক নিয়োগে আট জেলার কার্যক্রমের ওপর ছয় মাসের জন্য স্থগিতাদেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। এর মধ্যে ফরিদপুর ও লক্ষ্মীপুর জেলায় পাঠানো নিয়োগপত্রের ওপর স্থগিতাদেশ দেয়া হয়েছে। আট জেলা হলো- নাটোর, পাবনা, গাইবান্ধা, লক্ষ্মীপুর, পটুয়াখালী, ফরিদপুর, গোপালগঞ্জ ও কিশোরগঞ্জ।

ওইসব জেলার কয়েকজন নিয়োগ প্রার্থীর করা পৃথক রিট আবেদনের শুনানি নিয়ে গতকাল বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ ও বিচারপতি মো. মাহমুদ হাসান তালুকদারের হাইকোর্ট বেঞ্চ রুলসহ এ আদেশ দেন। আদালতে রিট আবেদনকারীপক্ষে আইনজীবী ছিলেন অ্যাডভোকেট মো. আসাদ উদ্দিন, জামিউল হক ফয়সাল ও আবদুস সাত্তার পালোয়ান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুর্টি অ্যার্টনি জেনারেল বিপুল বাগমার। পরে আইনজীবী মো. আসাদ উদ্দিন বলেন, এরইমধ্যে ফরিদপুর ও লক্ষ্মীপুর জেলায় চূড়ান্ত ফলাফলে উত্তীর্ণদের নিয়োগপত্র দেয়া শুরু হয়েছে। ওই নিয়োগপত্র দেয়ারও বৈধতা চ্যালেঞ্জ করেছি। আদালত এই নিয়োপত্রের ওপর স্থগিতাদেশ দিয়েছেন।

আইনজীবী জানান, প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক নিয়োগ বিধিমালা-২০১৩ এর ৭ ধারা অনুযায়ী সরাসরি নিয়োগযোগ্য পদে ষাট শতাংশ মহিলা, বিশ শতাংশ পৌষ্য এবং বাকি বিশ শতাংশ সাধারণ প্রার্থীকে নিয়োগ দিতে হবে। কিন্তু ২০১৯ সালের ২৪ ডিসেম্বর ঘোষিত ফলাফলে সেটা অনুসরণ করা হয়নি। ওই ফলাফলের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিট আবেদন করা হয়।

গত ২৪ ডিসেম্বর রাতে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় মৌখিক পরীক্ষায় ১৮ হাজার ১৪৭ জন প্রার্থীকে নির্বাচন করে। এর আগে নিয়োগ প্রার্থীদের করা পৃথক আবেদনের শুনানি নিয়ে অনেক জেলার প্রাথমিকে নিয়োগের পরীক্ষার ফল স্থগিত করা হয়েছে।

মঙ্গলবার, ০৪ ফেব্রুয়ারী ২০২০ , ২১ মাঘ ১৪২৬, ৯ জমাদিউল সানি ১৪৪১

প্রাথমিক বিদ্যালয়

আট জেলায় সহকারী শিক্ষক নিয়োগ স্থগিত

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক |

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক নিয়োগে আট জেলার কার্যক্রমের ওপর ছয় মাসের জন্য স্থগিতাদেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। এর মধ্যে ফরিদপুর ও লক্ষ্মীপুর জেলায় পাঠানো নিয়োগপত্রের ওপর স্থগিতাদেশ দেয়া হয়েছে। আট জেলা হলো- নাটোর, পাবনা, গাইবান্ধা, লক্ষ্মীপুর, পটুয়াখালী, ফরিদপুর, গোপালগঞ্জ ও কিশোরগঞ্জ।

ওইসব জেলার কয়েকজন নিয়োগ প্রার্থীর করা পৃথক রিট আবেদনের শুনানি নিয়ে গতকাল বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ ও বিচারপতি মো. মাহমুদ হাসান তালুকদারের হাইকোর্ট বেঞ্চ রুলসহ এ আদেশ দেন। আদালতে রিট আবেদনকারীপক্ষে আইনজীবী ছিলেন অ্যাডভোকেট মো. আসাদ উদ্দিন, জামিউল হক ফয়সাল ও আবদুস সাত্তার পালোয়ান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুর্টি অ্যার্টনি জেনারেল বিপুল বাগমার। পরে আইনজীবী মো. আসাদ উদ্দিন বলেন, এরইমধ্যে ফরিদপুর ও লক্ষ্মীপুর জেলায় চূড়ান্ত ফলাফলে উত্তীর্ণদের নিয়োগপত্র দেয়া শুরু হয়েছে। ওই নিয়োগপত্র দেয়ারও বৈধতা চ্যালেঞ্জ করেছি। আদালত এই নিয়োপত্রের ওপর স্থগিতাদেশ দিয়েছেন।

আইনজীবী জানান, প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক নিয়োগ বিধিমালা-২০১৩ এর ৭ ধারা অনুযায়ী সরাসরি নিয়োগযোগ্য পদে ষাট শতাংশ মহিলা, বিশ শতাংশ পৌষ্য এবং বাকি বিশ শতাংশ সাধারণ প্রার্থীকে নিয়োগ দিতে হবে। কিন্তু ২০১৯ সালের ২৪ ডিসেম্বর ঘোষিত ফলাফলে সেটা অনুসরণ করা হয়নি। ওই ফলাফলের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিট আবেদন করা হয়।

গত ২৪ ডিসেম্বর রাতে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় মৌখিক পরীক্ষায় ১৮ হাজার ১৪৭ জন প্রার্থীকে নির্বাচন করে। এর আগে নিয়োগ প্রার্থীদের করা পৃথক আবেদনের শুনানি নিয়ে অনেক জেলার প্রাথমিকে নিয়োগের পরীক্ষার ফল স্থগিত করা হয়েছে।