চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে জোরপূর্বক ২টি পাকা সীমানা প্রাচীর ভাঙচুর ও অর্ধশতাধিক বিভিন্ন প্রজাতির ফলজ ও বনজ গাছ কর্তন করে লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে। গত সোমবার সকাল ১০টার দিকে উপজেলার সাধনপুর ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের বিছিন্নাপাড়া এলাকায় এ ঘটনাটি ঘটে। এ নিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত বাড়ির মালিক মনির আহমদ বাদী হয়ে ৮ জনের বিরুদ্ধে বাঁশখালী থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। জানা গেছে, জায়গা জমি সংক্রান্ত পূর্বশত্রুতার জের ধরে সাধনপুর ইউনিয়নের বিছিন্না পাড়া ৮নং ওয়ার্ড এলাকার ছাবের আহমদের পুত্র মনির আহমদের বসতবাড়ির ২টি পাকা সীমানা প্রাচীর ভাঙচুর করে প্রতিপক্ষ। এ সময় তারা ওই বসতভিটায় রোপিত ২৩টি সুপারি গাছ, ৭টি গোয়াছি গাছ, ১২টি পেপে গাছ ও ১৪টি একাশি গাছ কর্তন করে লুটপাট করে বলে জানান মনির আহমদের পরিবারের সদস্যরা। অভিযোগের প্রেক্ষিতে রামদাশ হাট তদন্ত কেন্দ্রের এএসআই আবদুল মোনাফ উভয়পক্ষকে নোটিস প্রদান করেছেন। এ ব্যাপারে জানতে চাইলে অভিযুক্ত আবদুস সাত্তার বলেন, ‘জায়গাটি আমার পৈত্রিক এজন্য আমি সীমানা প্রাচীর ভেঙ্গে ফেলেছি। মনির আহমদ জোরপূর্বক জায়গাটি দখল করে সীমানা প্রাচীর নির্মাণ করেছিল। এই নিয়ে আমি স্থানীয় চেয়ারম্যানসহ প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ দায়ের করেছি।’ ক্ষতিগ্রস্ত মনির আহমদ বলেন, ‘জায়গাটি আমার খরিদা সম্পত্তি। ৪ চার বছর পূর্বে ওই জায়গায় সীমানা প্রাচীর নির্মাণ করে বিভিন্ন প্রজাতির গাছ রোপণ করা হয়েছিল।’ এ ব্যাপারে অভিযোগের তদন্তকারী কর্মকর্তা এএসআই আবদুল মোনাফ বলেন, ‘আমি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। সীমানা প্রাচীর ও গাছপালা কেটে ফেলার অভিযোগটি সত্য। দুই পক্ষই ওই জায়গাটির মালিকানা দাবি করছেন।’
বুধবার, ০৫ ফেব্রুয়ারী ২০২০ , ২২ মাঘ ১৪২৬, ১০ জমাদিউল সানি ১৪৪১
প্রতিনিধি, বাঁশখালী (চট্টগ্রাম)
চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে জোরপূর্বক ২টি পাকা সীমানা প্রাচীর ভাঙচুর ও অর্ধশতাধিক বিভিন্ন প্রজাতির ফলজ ও বনজ গাছ কর্তন করে লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে। গত সোমবার সকাল ১০টার দিকে উপজেলার সাধনপুর ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের বিছিন্নাপাড়া এলাকায় এ ঘটনাটি ঘটে। এ নিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত বাড়ির মালিক মনির আহমদ বাদী হয়ে ৮ জনের বিরুদ্ধে বাঁশখালী থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। জানা গেছে, জায়গা জমি সংক্রান্ত পূর্বশত্রুতার জের ধরে সাধনপুর ইউনিয়নের বিছিন্না পাড়া ৮নং ওয়ার্ড এলাকার ছাবের আহমদের পুত্র মনির আহমদের বসতবাড়ির ২টি পাকা সীমানা প্রাচীর ভাঙচুর করে প্রতিপক্ষ। এ সময় তারা ওই বসতভিটায় রোপিত ২৩টি সুপারি গাছ, ৭টি গোয়াছি গাছ, ১২টি পেপে গাছ ও ১৪টি একাশি গাছ কর্তন করে লুটপাট করে বলে জানান মনির আহমদের পরিবারের সদস্যরা। অভিযোগের প্রেক্ষিতে রামদাশ হাট তদন্ত কেন্দ্রের এএসআই আবদুল মোনাফ উভয়পক্ষকে নোটিস প্রদান করেছেন। এ ব্যাপারে জানতে চাইলে অভিযুক্ত আবদুস সাত্তার বলেন, ‘জায়গাটি আমার পৈত্রিক এজন্য আমি সীমানা প্রাচীর ভেঙ্গে ফেলেছি। মনির আহমদ জোরপূর্বক জায়গাটি দখল করে সীমানা প্রাচীর নির্মাণ করেছিল। এই নিয়ে আমি স্থানীয় চেয়ারম্যানসহ প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ দায়ের করেছি।’ ক্ষতিগ্রস্ত মনির আহমদ বলেন, ‘জায়গাটি আমার খরিদা সম্পত্তি। ৪ চার বছর পূর্বে ওই জায়গায় সীমানা প্রাচীর নির্মাণ করে বিভিন্ন প্রজাতির গাছ রোপণ করা হয়েছিল।’ এ ব্যাপারে অভিযোগের তদন্তকারী কর্মকর্তা এএসআই আবদুল মোনাফ বলেন, ‘আমি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। সীমানা প্রাচীর ও গাছপালা কেটে ফেলার অভিযোগটি সত্য। দুই পক্ষই ওই জায়গাটির মালিকানা দাবি করছেন।’