মায়ানমারের মানবতাবিরোধী অপরাধ তদন্তে আইসিসি

মায়ানমারে রোহিঙ্গাদের ওপর নির্যাতনে মানবতাবিরোধী অপরাধ হয়েছে কিনা, সে বিষয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে তদন্ত শুরু করেছে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি)। নেদারল্যান্ডসের রাজধানী হেগে আদালতের প্রাক্?-শুনানি আদালতের নির্দেশের প্রায় তিন মাসের মাথায় এ তদন্ত শুরু হলো। আইসিসির কৌঁসুলির দফতরের এক প্রতিনিধি দলের বাংলাদেশ সফরের মধ্য দিয়ে তদন্তের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। প্রতিনিধিদলের নেতা ও আইসিসির কৌঁসুলি ফেতু বেনসুদার জ্যেষ্ঠ পরামর্শক ফাকিসো মোচোচোকো গতকাল সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান।

ঢাকার প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে সংবাদ সম্মেলনে প্রসিকিউটর কার্যালয়ের পরিচালক ফাকিসো মচোচোকো বলেন, ‘ন্যায়বিচার প্রদান করা হবে। তদন্তে মায়ানমারের রোহিঙ্গা জনগণের সঙ্গে কী ঘটেছিল, কেন তাদের বাংলাদেশে আসতে হয়েছে -সে সম্পর্কে যথাযথভাবে উদ্ঘাটন করার চেষ্টা করা হবে। গণহত্যা, মানবতাবিরোধী অপরাধ, যুদ্ধাপরাধ এবং আগ্রাসনের মতো অপরাধের ক্ষেত্রে যে কাউকে বিচারের মুখোমুখি করার এখতিয়ার আইসিসির রয়েছে।

ফাকিসো মোচোচোকো বলেন, রাখাইন থেকে রোহিঙ্গাদের বলপূর্বক তাড়িয়ে দেয়ার মধ্য দিয়ে রোম সনদ অনুযায়ী মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগের তদন্ত হবে। এই তদন্তের উদ্দেশ্য হলো ক্ষতিগ্রস্ত রোহিঙ্গাদের ন্যায়বিচার নিশ্চিত করা, যাতে ভবিষ্যতে কেউ এ ধরনের অপরাধ করার আগে অন্তত দুবার চিন্তা করে। রোম সনদে সই না করাতে আইসিসিকে তদন্তে কোন সহযোগিতা করছে না মায়ানমার। ফাকিসো মোচোচোকো মায়ানমারের ওই ভূমিকার সমালোচনা করেন। তিনি এটিকে দুর্ভাগ্যজনক হিসেবে অভিহিত করেন।

মায়ানমারের অসহযোগিতার কারণে তদন্তের ভবিষ্যৎ নিয়ে জানতে চাইলে ফাকিসো মোচোচোকো বলেন, তদন্তের প্রক্রিয়ায় যেসব চ্যালেঞ্জ আছে, এটি তার অন্যতম। তবে এটা তদন্তে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টির মতো চ্যালেঞ্জ নয়। আইসিসি তথ্য, প্রমাণ ও সাক্ষীদের বক্তব্যের ভিত্তিতে দোষী ব্যক্তিদের চিহ্নিত করবেন।

বুধবার, ০৫ ফেব্রুয়ারী ২০২০ , ২২ মাঘ ১৪২৬, ১০ জমাদিউল সানি ১৪৪১

মায়ানমারের মানবতাবিরোধী অপরাধ তদন্তে আইসিসি

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক |

image

মায়ানমারে রোহিঙ্গাদের ওপর নির্যাতনে মানবতাবিরোধী অপরাধ হয়েছে কিনা, সে বিষয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে তদন্ত শুরু করেছে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি)। নেদারল্যান্ডসের রাজধানী হেগে আদালতের প্রাক্?-শুনানি আদালতের নির্দেশের প্রায় তিন মাসের মাথায় এ তদন্ত শুরু হলো। আইসিসির কৌঁসুলির দফতরের এক প্রতিনিধি দলের বাংলাদেশ সফরের মধ্য দিয়ে তদন্তের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। প্রতিনিধিদলের নেতা ও আইসিসির কৌঁসুলি ফেতু বেনসুদার জ্যেষ্ঠ পরামর্শক ফাকিসো মোচোচোকো গতকাল সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান।

ঢাকার প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে সংবাদ সম্মেলনে প্রসিকিউটর কার্যালয়ের পরিচালক ফাকিসো মচোচোকো বলেন, ‘ন্যায়বিচার প্রদান করা হবে। তদন্তে মায়ানমারের রোহিঙ্গা জনগণের সঙ্গে কী ঘটেছিল, কেন তাদের বাংলাদেশে আসতে হয়েছে -সে সম্পর্কে যথাযথভাবে উদ্ঘাটন করার চেষ্টা করা হবে। গণহত্যা, মানবতাবিরোধী অপরাধ, যুদ্ধাপরাধ এবং আগ্রাসনের মতো অপরাধের ক্ষেত্রে যে কাউকে বিচারের মুখোমুখি করার এখতিয়ার আইসিসির রয়েছে।

ফাকিসো মোচোচোকো বলেন, রাখাইন থেকে রোহিঙ্গাদের বলপূর্বক তাড়িয়ে দেয়ার মধ্য দিয়ে রোম সনদ অনুযায়ী মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগের তদন্ত হবে। এই তদন্তের উদ্দেশ্য হলো ক্ষতিগ্রস্ত রোহিঙ্গাদের ন্যায়বিচার নিশ্চিত করা, যাতে ভবিষ্যতে কেউ এ ধরনের অপরাধ করার আগে অন্তত দুবার চিন্তা করে। রোম সনদে সই না করাতে আইসিসিকে তদন্তে কোন সহযোগিতা করছে না মায়ানমার। ফাকিসো মোচোচোকো মায়ানমারের ওই ভূমিকার সমালোচনা করেন। তিনি এটিকে দুর্ভাগ্যজনক হিসেবে অভিহিত করেন।

মায়ানমারের অসহযোগিতার কারণে তদন্তের ভবিষ্যৎ নিয়ে জানতে চাইলে ফাকিসো মোচোচোকো বলেন, তদন্তের প্রক্রিয়ায় যেসব চ্যালেঞ্জ আছে, এটি তার অন্যতম। তবে এটা তদন্তে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টির মতো চ্যালেঞ্জ নয়। আইসিসি তথ্য, প্রমাণ ও সাক্ষীদের বক্তব্যের ভিত্তিতে দোষী ব্যক্তিদের চিহ্নিত করবেন।