ডিএনডি খালে নিখোঁজ তোহামনি ৪ দিনেও উদ্ধার হয়নি

এলাকাবাসীর মানববন্ধন

রাজধানীর কদমতলীর ডিএনডি খালে নিখোঁজ হওয়া শিশু তোহামনিকে (৫) ৪ দিনেও উদ্ধার করতে পারেনি ফায়ার সার্ভিস। গতকাল সন্ধ্যায় এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত নিখোঁজ রয়েছে সে। এদিকে, এখনও তোহামনির সন্ধ্যান না মেলায় ফায়ার সার্ভিসের কাজে অসন্তুষ্টি প্রকাশ করে গতকাল ঘটনাস্থলের পাশে ইউসুফ মেমোরিয়াল স্কুলের সামনে মানববন্ধন করেছে এলাকাবাসী। এ সময় তোহামনির লাশ উদ্ধারে প্রধানমন্ত্রী হস্তক্ষেপ কামনা করা হয়। জানা গেছে, এরশাদ ও তানিয়া দম্পতির বড় মেয়ে তোহামনি। বাসা মেরাজনগরের পাশের মোহাম্মদনগর কালভার্ট এলাকায়। ঘটনাস্থলের পাশেই এরশাদের একটি কনফেকশনারি রয়েছে। এ বছরই মেরাজনগর ফারহা মডেল স্কুলের শিশুশ্রেণীতে ভর্তি হয়েছিল তোহামনি। তাদের গ্রামের বাড়ি মুন্সীগঞ্জ জেলায়।

নিখোঁজ শিশু তোহামনির প্রতিবেশী মো. ফারুক বলেন, শনিবার মেয়ে শিশুটি বল আনতে খালের কাছে গেলে পড়ে যায়। খালটি কাদা ও ময়লা-আবর্জনায় ভরা। এ কারণে শিশুটি তলিয়ে যাওয়ার পর সন্ধান পাওয়া যাচ্ছে না। কিন্তু ময়লা পরিস্কার করে শিশুটিকে উদ্ধারের কোন উদ্যগ নিচ্ছে না ফায়ার সার্ভিস। এমনকি তাদের অভিযানে তেমন তৎপরতাও নেই। অভিযানে থাকা ফায়ার সদস্যরা বলছেন, ময়লা পরিস্কারের দায়িত্ব সিটি করপোরেশনের। তারা এর বেশি কিছু করতে পারবেন না। ফলে গতকাল ঘটনাস্থলের পাশে মানববন্ধন করে শিশুটির লাশ উদ্ধারে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করা হয়েছে।

ফায়ার সার্ভিস সদর দফতরের ডিউটি অফিসার লিমা খানম বলেন, তোহামনিকে উদ্ধারে ফায়ার সার্ভিসের ২টি ইউনিটের ৩ জন ডুবুরি অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু খালটিতে অতিরিক্ত পরিমাণে ময়লা আবর্জায় থাকায় শিশুটির সন্ধ্যান মিলছে না। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, তোহামনি খালের পানিতে পড়েছে কিনা সেটা আমরা নিশ্চিত নই। শনিবার শিশুটি পানিতে পড়ার খবরে আমাদের দুটি ইউনিট ঘটনাস্থলে রওনা দিয়ে পথিমধ্যে জানতে পারে কেউ পানিতে পড়েনি। পরে তারা ফিরে আসা শুরু করলে আবার ডুবে যাওয়ার খবর আসে। তিনি আরও বলেন, শিশুটিকে নিজ চোখে পানিতে পড়তে দেখেছে এমন কোন প্রত্যক্ষদর্শী আমরা এখনও পাইনি। তবে, অভিযোগের ভিত্তিতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করা হচ্ছে। কদমতলী থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) কামরুজ্জামান বলেন, এখনও শিশুটির সন্ধ্যান মেলেনি। পুলিশের পক্ষ থেকে সহযোগীতা করার জন্য একটি টিম সেখানে মোতায়েন করা আছে।

বুধবার, ০৫ ফেব্রুয়ারী ২০২০ , ২২ মাঘ ১৪২৬, ১০ জমাদিউল সানি ১৪৪১

ডিএনডি খালে নিখোঁজ তোহামনি ৪ দিনেও উদ্ধার হয়নি

এলাকাবাসীর মানববন্ধন

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক |

image

রাজধানীর কদমতলীর ডিএনডি খালে ৪ দিন ধরে খোঁজা হচ্ছে শিশু তোহামনিকে (ইনসেটে) তোহামনির বাবার আহাজারি -সংবাদ

রাজধানীর কদমতলীর ডিএনডি খালে নিখোঁজ হওয়া শিশু তোহামনিকে (৫) ৪ দিনেও উদ্ধার করতে পারেনি ফায়ার সার্ভিস। গতকাল সন্ধ্যায় এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত নিখোঁজ রয়েছে সে। এদিকে, এখনও তোহামনির সন্ধ্যান না মেলায় ফায়ার সার্ভিসের কাজে অসন্তুষ্টি প্রকাশ করে গতকাল ঘটনাস্থলের পাশে ইউসুফ মেমোরিয়াল স্কুলের সামনে মানববন্ধন করেছে এলাকাবাসী। এ সময় তোহামনির লাশ উদ্ধারে প্রধানমন্ত্রী হস্তক্ষেপ কামনা করা হয়। জানা গেছে, এরশাদ ও তানিয়া দম্পতির বড় মেয়ে তোহামনি। বাসা মেরাজনগরের পাশের মোহাম্মদনগর কালভার্ট এলাকায়। ঘটনাস্থলের পাশেই এরশাদের একটি কনফেকশনারি রয়েছে। এ বছরই মেরাজনগর ফারহা মডেল স্কুলের শিশুশ্রেণীতে ভর্তি হয়েছিল তোহামনি। তাদের গ্রামের বাড়ি মুন্সীগঞ্জ জেলায়।

নিখোঁজ শিশু তোহামনির প্রতিবেশী মো. ফারুক বলেন, শনিবার মেয়ে শিশুটি বল আনতে খালের কাছে গেলে পড়ে যায়। খালটি কাদা ও ময়লা-আবর্জনায় ভরা। এ কারণে শিশুটি তলিয়ে যাওয়ার পর সন্ধান পাওয়া যাচ্ছে না। কিন্তু ময়লা পরিস্কার করে শিশুটিকে উদ্ধারের কোন উদ্যগ নিচ্ছে না ফায়ার সার্ভিস। এমনকি তাদের অভিযানে তেমন তৎপরতাও নেই। অভিযানে থাকা ফায়ার সদস্যরা বলছেন, ময়লা পরিস্কারের দায়িত্ব সিটি করপোরেশনের। তারা এর বেশি কিছু করতে পারবেন না। ফলে গতকাল ঘটনাস্থলের পাশে মানববন্ধন করে শিশুটির লাশ উদ্ধারে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করা হয়েছে।

ফায়ার সার্ভিস সদর দফতরের ডিউটি অফিসার লিমা খানম বলেন, তোহামনিকে উদ্ধারে ফায়ার সার্ভিসের ২টি ইউনিটের ৩ জন ডুবুরি অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু খালটিতে অতিরিক্ত পরিমাণে ময়লা আবর্জায় থাকায় শিশুটির সন্ধ্যান মিলছে না। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, তোহামনি খালের পানিতে পড়েছে কিনা সেটা আমরা নিশ্চিত নই। শনিবার শিশুটি পানিতে পড়ার খবরে আমাদের দুটি ইউনিট ঘটনাস্থলে রওনা দিয়ে পথিমধ্যে জানতে পারে কেউ পানিতে পড়েনি। পরে তারা ফিরে আসা শুরু করলে আবার ডুবে যাওয়ার খবর আসে। তিনি আরও বলেন, শিশুটিকে নিজ চোখে পানিতে পড়তে দেখেছে এমন কোন প্রত্যক্ষদর্শী আমরা এখনও পাইনি। তবে, অভিযোগের ভিত্তিতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করা হচ্ছে। কদমতলী থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) কামরুজ্জামান বলেন, এখনও শিশুটির সন্ধ্যান মেলেনি। পুলিশের পক্ষ থেকে সহযোগীতা করার জন্য একটি টিম সেখানে মোতায়েন করা আছে।